পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্যামল রায়

ছবি
ভালোবাসার উঠোন চেয়েছি এমন একটা ভালোবাসার উঠোন চেয়েছি দাঁড়িয়ে বলতে পারি ,,তুমি কি করছো? আমি জোর গলায় বলতে পারব তুমি কেমন আছো ?আমার জন্য। আমি ভালবাসার একটা উঠোন চেয়েছি যেখানে শিউলি ফুল ছড়িয়ে থাকবে দেখতে পাবো কখনো রোদ্দুর বৃষ্টি ভেজা শুধুই তোমাকে শুধু তোমাকে। আকাশটা আরো নীল দেখতে চেয়েছি ব্যস্ততার মাঝে তোমার ঢেউ চেয়েছি আমি নদীর বা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়াই অপেক্ষা করি----- তোমার চোখ দেখতে ।। একটু উষ্ণতার জন্য একটু বাতাসের জন্য শ্বাস নিতে একটা উঠোন চেয়েছি শুধুই ভালোবাসার উঠোনে শিউলি ফুলগুলো ছড়িয়ে পড়ুক।। প্রথম তোমাকে ছোঁয়া   আমি প্রথম তোমাকে ছুঁয়েছিলাম যেদিন শব্দ ছিল। ছিল পলাশ বকুল জুঁই  নতুন রঙে রঞ্জিত হয়েছিলে ইচ্ছে ছিল ডিঙ্গি নৌকোয় চেপে বেড়াবে ঘুরে ঘুরে। আমি সঁপে দিয়েছিলাম জীবনের সবটুকু ঘন কালো অন্ধকার মুছে দিয়ে আলো বিন্দু খুজে নিয়েছিলাম ছিল স্বপ্নে ঘেরা সিঁড়ি সত্যের জয় গান। আমি যতটুকু ছুঁয়েছিলাম তোমাকে নির্ভেজাল ভালোবাসাটুকু দিয়ে খুজে নিয়েছিলাম আত্মতৃপ্তি দুজন দিন যেয়ে মাস ,বছরের পর বছর তবুও মনে হয় স্বপ্ন হাঁটতে শেখেনি আজও বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপের মধ্যে স্বপ্নের ভালোবাসা

শিপ্রা দেবনাথ ( টুলটুল)

ছবি
নিস্তেজ     উঠোনের শিউলি গাছটায় রুক্ষতা ভর করেছে গুমসুম ঘরে জীবনের বর্ণপরিচয় আগুনে ঝলসায়, প্রিয় কুলিক নদী সেও কোমলতা হারিয়ে ঘন কমলা রং ধারণ করেছে, দুচোখে বন্যা নিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। উইপোকায় কাটা জীবনগুলো কেমন  ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে চলছে, ভাত ফোটার গন্ধও ওদের মনকে আর নাড়া দিয়ে যায় না, সূর্যের বুক ওমহীন নিস্তেজ আবেশী নরম ঠোঁট জোড়া এখন খরখরে, তাতে বসন্তের আবেদন নেই।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
স্বপ্নকথা কি কথা বল‌বো বল‌বো ক‌রে আর তা হ‌লো না বলা, হঠাৎ ক‌রেই কেন যেন এ‌লো‌মে‌লো হ‌য়ে গে‌লো তা। সকা‌লের আ‌লো‌তে মনটা‌ অ‌নেক স্বপ্ন দে‌খে‌ছি‌লো, দুপু‌রের রো‌দের তে‌জে ম্রিয়মান হ‌য়ে স্বপ্ন হারা‌লো। বি‌কেলে ‌ঐ স্বপ্ন‌টি ম‌নের কোনায় জড় হ‌লো সহসা, জা‌নিনা রা‌তের অাঁধা‌রে ‌সেই স্বপ্ন‌টি পালা‌বে কোথা! নি‌শ্চিৎ ত‌বে স্বপ্ন জা‌গে স্বপ্ন ভা‌ঙ্গে স্বপ্ন ফি‌রে আ‌সে, এটাও জা‌নি স্বপ্ন এক‌দিন বাস্ত‌বে রুপ নে‌বেই নে‌বে।

সুরজিৎ ব্যানার্জী

ছবি
হেমলক   'ভালোবাসা' শরীরের  তাঁবেদারি শোক বুকে তার "প্রেমিক-এর কর্মী নিয়োগ" মুগ্ধ গোপন ছিল তাতে আমি দায়ী ফালতু মেসেজে  বাঁচি শর্তানুযায়ী  জানতাম সেও খুব ঠোঁটকাটা, জেদী তবু আশা পুষে রাখা স্বপ্ন কয়েদী তার কাছে প্রেম মানে দৃশ্য প্রবাহ স্মৃতি জুড়ে অপলক যাখুশি যাহোক অথচ গুজব ছিল  চোখের পিপাসা কেউ তো এবং  বলে  যন্ত্রণা ঠাসা তার চোখে নিশানাতে মিইয়েছে ঠক বিশ্বাস মুখে রাখি ঠোঁটে হেমলক হ্যাংলা আয়নাগুলো সায় দিতে থাকে মনের আকুতি মেনে ভালোবাসি তাকে সে কোনো দুঃখ পেলে আমি নিজে দোষী  কেঁদে কেঁদে হয়ে উঠি মনের বয়সী গোঙাতে গোঙাতে ফের তাকেই তো ডাকি কিছু আসে অবয়ব কিছুটা পোশাকি তার সে চুমুক ছিল রক্তেতে মিশে আমার তো যথারীতি ফিরে যাওয়া নিষেধ পুনরায় বেঁচে ওঠা ভালোবাসা বিষে ।

রেবা রেবা

ছবি
যায় একাকিবেলা বয়ে যায় রে আয় মনের পথ দরে আয় রে যায় একাকি বেলা বয়ে যায় রে, যানিনা কোন সে দূরে থাকে এমন করে বলে যায় বারে বারে। ভালো লাগেনা  কোন কিছুই ঘুমের চোখে কিযে এলোমেলো স্বপ্নে দেখিছি যারে পাব কি তারে? একটি জীবন আমার একটি স্বপ্ন একটি চাওয়া সে শুধুই  তারি ভালোবাসা পাওয়া। স্বপ্ন দেখি সাধনা করি অপেক্ষার প্রহর গুনি উদ্দেশ্য  সুধুই তাহারে আপন করে পাওয়া। আমার ভালোবাসা দেহ মন তাহারি জন্য করে দিতাম বিসর্জন।  তাহার চোখে জমা বিষাদ টুকু এক নিমেষেই মুছে দিতাম কষ্ট গুলো আর পারতোনা  তাহারে অকারণে কষ্ট দিতে। আয় মনের পথ ধরে আয়রে যায় একাকিবেলা বয়ে যায় রে।

তরুণকুমার পাল

ছবি
  চন্দ্রিমা প্রেম মনে লাগামছাড়া ভালোবাসার গতি- মেলেছে অনন্ত অম্বরে রঙিন পাখনা, ধুকপুক ধুকপুক দ্রুততম হৎস্পন্দন- আজ আর সে কোথাও বাঁধা পড়ে না- মানেনা কারো কোন অনুশাসনের বন্ধন- হয়তোবা সুখের সন্ধানে কোন ঠিকানায় ? এ মন খুঁজে পায়-খুশির খুশবু সোহাগি রেণু - সারা অঙ্গে প্রাণ ভরে-মেখে নিতে চায়, হিয়ার আবেশে গীত সুরের গুঞ্জরণ, তারই মাঝে উঁকি মারে চুপিচুপি মান অভিমানে মাখানো খুনসুটি ও রূপে বিভোর তবুও আঁখি দুটি,  উতলা- দুরন্ত, ভরা যৌবনের ঢেউয়ে  নিমজ্জমান, এক মোহনিয়া চন্দ্রিমা প্রেমে। ভালোবাসার বাকি কথা,সযত্নে আছে রাখা  স্বপ্নময় অন্তরের মোড়া নীল খামে।

ড,সৈয়দ আজিজ।

ছবি
মানুষ সেদিন রমনা পার্কে এক অপরাহ্নে  ঘুরছিলাম উদ্দেশ্যেবিহীন,আনমনে  সবুজের ছায়াঘের মায়াঘেরা পথে  হঠাৎ পড়ল চোখে কোথা হতে  এক লীলাসঙ্গিনী কিংশুক বৃক্ষতলে  যৌবন রসের বহ্নিশিখায় লীলাচ্ছলে  বসে খাচ্ছিল গান বেসুরে দোলে দোলে, এক শীর্ণ শুভ্র সদ্যযাত শিশু কোলে  অনুসন্ধানী চোখে ভীড়লাম কাছে সন্তর্পণে কী জানি কী ভাবে,যদি দেখে পরিচিত জনে? পসারিনী শিশুকে চামচে দুগ্ধ করাচ্ছিল পান পরম তৃপ্তিতে,যতনে আগ্রহে সঁপে প্রান  মনে ভাবি জারজ শিশু তবুও তো জন্মদাত্রী মাতা তাই বুঝি দারিদ্র্য  পরিচর্যায় নেই কোনো কার্পণ্যতা  প্রশ্ন করি অবহেলা ভরে, নিয়ে অভিঘ্য ভাব  চামচে কেন? তোমার বুকের দুধের কি অভাব?  শুধালো সে এ শিশু আমার নয় বটে  বান্ধবীর, এর জন্মলগ্নেই মাতৃমৃত্যু ঘটে  এখন ফেলি কোথা?তুলেছি আপনার কোলে  মাতৃ হীন শিশুসন্তান তাই বেঁধেছি যে অঞ্চলে  জিজ্ঞাসি মায়া ভরে,অসুবিধা হবে না তাতে? শুধালো সে কে নেবে দায়িত্ব এই অনাথে? দেশ,সমাজ,সরকার, আপনি না কোনো দলে? তাই অনাথেরে নিয়াছি নিজ কোলে, তরুতলে   আপনাদের মতো আমাদের নেই সামাজিক সন্মান আমরা, অচ্ছুত, অমানুষ, সাহেব এবার আপনি যান।

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
দহন বেলা আমার স্বপ্নটা অনাকাঙ্খিত যেন চোরাবালির জালে আবদ্ধ, তবুও শিহরিত নয় আমার হৃদয় জানি সব স্বপ্নয় বড় মায়াময়। মনের মাঝে বৃস্টিস্নাত সুশীল গগন নিদ্রাবিহীন নিশীথে যদি হয় তার আগমন, অবসাদ গ্রস্থ আমি আছি প্রতীক্ষায় আঁধারে ডুবেছি সদা মন নিয়ে ঠাঁই। আমার আনুভূতিতে উষ্ণ আয়োজন তাত্বিক প্রেমে যেন ভাতৃত্বের উদয়ন, আকাঙ্খা করে যেন আত্মচিৎকার নিঃস্ব স্বপ্ন আমার করে হা হা কার। হৃদয়ের গহীনের আকাঙ্খা হবে কি ধুলিস্মাৎ ? নাকি হবো আমি সগৌরবে অগ্রসর, প্রতীক্ষায় স্বপ্নের মালা বুনছি আজো আকাঙ্খিত সব আশা কি থাকবে অধরাই ? পরিবর্তিত হবে কি আমার ভগ্ন হৃদয় পারব কি আমি এ সংগ্রাম করতে জয় ? আছে মনে যদিও দৃঢ় বিশ্বাস হবে নিশ্চিত নতুন সূর্য উদয়।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
হাঁটা সময়ের মত নিয়ম মেনে, সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা ধরে, জীবনকে নিয়ে পারিনি এগোতে, চলেই চলেছি নিজের গতিতে। পথে জল,মাটি,কাদা, এসবের মধ্যেই তো হাঁটা। হয়তো বা ঠিক,কিংবা বেঠিক, জীবনটাই যে সাদামাটা। পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাতে, হেঁটে হয়েছি আত্মহারা। অমাবস্যার ঘন নিশিতে, কেবলই যে পথহারা। ধরার মৃদুমন্দ বাতাস, ছড়িয়ে দিয়ে নিজের সুবাস, এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, সুদূর পথ হাঁটার তরে। জন্মলগ্ন থেকে সবাই আমরা, কেবলই হেঁটে চলেছি, জীবনের সীমানা পেরোলেই জানব, হাঁটা শেষ করেছি।

নার্গিস জামান

ছবি
পাগল নই একটিবার শিকলটা খুলে দাও। বিশ্বাস করো, পাগল নই। আকাশ দেখলেই, তাকে পাগল বলা যায় না। ও মা' একটিবার চোখের বাঁধনটা খুলে দাও, ম্রিয়মাণ ধুসর চাঁদের গল্পটা শুনবো। আকাশকে দেখবো, সারারাত... সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত আকাশে বিলীন হব, শিকলটা খুলে দাও। ধুসর চাঁদের না বলা কষ্টটুকু জানতে চাই। চোখের পর্দাটা সরিয়ে দাও, ওরা ডাকছে দেখ! খোলা ময়দানে দূর্বাঘাসে  শেফালির মত শুয়ে সারারাত নক্ষত্র দেখব, প্রতিটি নক্ষত্রে চন্দ্রমুখীর প্রতিচ্ছবি !  প্রতিচ্ছবিগুলি কেমন মুখরা দেখ! একেকটি মুখচ্ছবি আলাদা আলাদাভাবে বলছে, আমার অপরাধগুলি!  এবার আামায় শুধরাতে হবে মা! ছেড়ে দাও আমায়, বিশ্বাস কর পাগল নই আকাশ দেখলেই, তাকে পাগল বলা যায় না!

দেলোয়ার হোসেন সজীব

ছবি
নারীতে পুরুষ ধন্য নারীর ছোঁয়ায় পুরুষ ধন্য পুরুষ জন্ম নারীর জন্য, মা রুপে নারীর মমতা লিপিবদ্ধ লক্ষ কবিতা। নারী হলেন শ্রদ্ধার প্রাত্র খুলে দেখো ধর্মীয় শাস্র ? শ্রদ্ধায় মুক্তি শ্রদ্ধায় শক্তি শ্রদ্ধায় দিয়ে যাও ভক্তি। নারী বোন রুপে স্নেহময়ী কাছে থেকে দেখো পাবে, ভাই আদরে নেই কমতি দাও গিয়ে বোনের ইজ্জতি। কত শত রুপে নারী শ্রেষ্ঠ স্ত্রী রুপে নিলে পাবে পূর্ণতা, শ্রদ্ধা বিশ্বাস নারীতে রেখো নারীতে সৃষ্টির উল্লাস  দেখো।

সমিত মণ্ডল

ছবি
মা, আজ একুশে শ্লেট,পেন্সিল, অ আ খেলা খেলা বর্ণমালা  ক তে কলাপাতা এ তে একুশ মা! তোমার বুকে রক্তছাপ সাদাপাতায় কালির ছিটের মতো ইতিহাসে শুয়ে আছে সালাম,রফিক                                             ...কতো! এভাষা ঘুম পাড়ানি গান  মনভোলানি টিপ,চন্দ্রবিন্দু চাঁদ  ছেলেবেলা দন্তে ন ন তে কাগজ-নৌকো যেন ভেসে চলে অনেক দূর মায়ের কাছে গল্প শোনা সাত সমুদ্দুর,স্বপ্ন স্বপ্ন রাজপুত্তুর! প্রথম কথা বলা অ আ খেলা খেলা বর্ণমালা এক হাতে রং অন্যহাতে তুলি আঁকি শহীদ মিনার,লাল সূর্য আঁকি ক তে কলাপাতা এ তে একুশ  মা! আজ একুশে ফেব্রুয়ারি!

এম, এইচ, বাসিত ( ইংল্যান্ড )

ছবি
সখী ভালোবাসা দিয়ে সখী একটু বাঁচতে দাও মোরে ভলোবাসা নিয়ে সখী একটু মরতে দাও মোরে, তোমার গোলাপী অধরের অমিয় সখী  একটু সেবন করতে দাও মোরে তোমার সাগর দুটি চোখে সখী একটু ডুবতে দাও মোরে, তোমার দৈব-শীতল আঁচলে সখী একটু বাসতে দাও মোরে তোমার প্রণয় শিখায় সখী একটু পুড়তে দাও মোরে, তোমার অপেক্ষায় সখী  একটু ক্ষয় হতে দাও মোরে তোমার আলিঙ্গনে সখী একটু ফোটে উঠতে দাও মোরে,  তোমার মাধুর্যে সখী  একটু অন্ধ হতে দাও মোরে  তোমার যৌন-সুবাসে সখী একটু উন্মাদী হতে দাও মোরে, ভালোবেসে সখী অমর হতে দাও মোরে।

ওমর ফারুক

ছবি
ভাবিনি কখনও কখনো ভাবিনি আমার প্রেমহীন  অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে দিবে। কখনো ভাবিনি তোমার স্নিগ্ধ কন্ঠের আহবানে শীতল শয্যা করে দিবে। কখনো ভাবিনি হঠাৎ করে মনের পিঞ্জিরাতে জায়গা দখল করে নিবে নিজের মতো করে।  কখনো ভাবিনি আমার অতীতের দুঃখ ভুলিয়ে নতুন করে হাসি ফুটিয়ে দিবে নিজের মতো করে।  কখনো ভাবিনি আমার কষ্টে'ভরা জীবন টাকে আনন্দময় বানিয়ে দিবে তোমা লাজুক লাজুক দুষ্টমিতে। এ তোমার জাদু নয়, গুণ যে গুণে জড়িয়ে আমি হয়েছি প্রেমিক।

এস এম শামীম রেজা

ছবি
রং নাম্বার হ্যালো কেমন আছো প্রিয়া, এটাই কি তোমার হিয়া। আমারে কান্দাইলা তুমি, নিজে না কান্দিয়া। মিস কলে হলো পরিচয়, তার পর মন বিনিময়। এভাবে চললো কত দিন, ভালোবাসা ছিল মোহহীন। রাতের পর রাত জাগিয়া, কথা হতো কান পাতিয়া। রাত ভর কত মিষ্টি কথা, মুছিয়া দিতে দুংখ ব্যাথা। এখন সিমটা বন্ধ থাকে, সৃর্তিগুলো শুধু পিছু ডাকে। মনটা কাঁদে বার বার, ওটা ছিলো রং নাম্বার।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
নেয়ামত ‌হে বিরাট ‌হে দয়াময় তোমারই নাম যপি দিনমান ধরি, মহান ক‌রে‌ছো মো‌দের আছে যত তোমার সৃ‌ষ্টিরা‌জি। পাহাড় পর্বত নদী নালা আর আ‌ছে যত বি‌শ্বের বিস্ময়, অধীন ক‌রিয়া দিয়াছ সবই মো‌দের তু‌মি সৃ‌ষ্টির সর্বময়। পাখপাখালি, পশু আর সৃ‌ষ্টির যত আ‌ছে প্রাণীগু‌লো, ‌মো‌দের কথায় উ‌ঠবোস ক'র‌ছে তারা দিবারাত্র যে‌ন। আকা‌শে আ‌ছে চাঁদ সূরুজ আর যতসব নক্ষত্রপু‌ঞ্জি ‌শো‌ভিয়াছ তু‌মি ন‌ভো‌তে সবই যেন মানু‌ষেরই লা‌গি। সাত সমুদ্র তে‌রো নদী সৃ‌জি‌ছ ‌সাগ‌রে যত জলজ প্রাণী, ‌হিসাব ক‌সে দে‌খে‌ছি সবই সৃ‌জি‌ছ তা মান‌বেরই লা‌গি। আ‌লো বাতাস গাছপালা এসবই তোমার বড় নিয়ামত, সে‌বি‌বে মানু‌ষের ত‌রে যত‌দিন হ‌বেনা রোজ‌ কেয়ামত। মানুষ সেরা মানুষই শ্রেষ্ঠ তা‌তে নেই কোন স‌ন্দেহ বু‌ঝি, দান ক‌রে‌ছো যত ফল ফুল ও শস‌্যভান্ডার রা‌শি রা‌শি। ‌হে আল্লাহ্, হে মা'বুদ হে দয়াময় তু‌মি মো‌দের সৃ‌ষ্টিকর্তা, ‌তোমার খেলা বুঝা স‌ত্যিই বড় দায় সৃষ্ট মান‌বের দ্বারা।

বিধান সাহা

ছবি
সঞ্চয়    চুক্তি যেটুকু ছিল সেটুকুই থাক নতুন কিছু সংযুক্তির প্রয়োজন নেই চেনা অচেনার জীবন পথে নতুন স্বপ্নের আবেশ নতুন করে ছবি আঁকে এটুকুই চাওয়া যেটুকু পাওয়া হলো জীবনের চলার পথে সেটুকুই থাক

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
অপ্রতিরোধ্য প্রত‍্যাশায় বসে হয়েছি অগ্রসর যানিনা কোথায় হবে এর শেষ আত্মবিশ্বাসে পড়েনি ভাটা তাই আজো আমি স্বতস্ফূর্ত। মানিনি কোন বাঁধা বিপত্তি করেছি সব কিছু ধূলিসাৎ এগিয়েছি অধীর আগ্রহে যানিনা কবে ফুরাবে এই পথ। আশা আছে প্রবল বুকে ধরেছি আমি সৎ পথ অতিক্রম করব সব বাধা নিয়তি যদি হয় সহায়ক। আমার পদতলে সব বজ্রঘাত তবুও আমার পথে আমি নিশ্চল,  বুকের মাঝে আছে প্রত‍্যাশা যানি আমি নিশ্চিত হব সফল। আমার অন্তরে পরিপূর্ণ মনোবল সংগ্রামের পথে আমি আবিচল, থামবোনা আমি হব অগ্রসর আয়ত্বে আনবো আমার আকাঙ্খিত বিজয়।

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
  অনন্য একুশ (১) একুশ মানে জিয়ন কাঠি, একুশ মানে বাঙালি মননের বাতি। একুশ মানে ছাত্র-জনতার রক্তে সিক্ত অমর স্বাধীনতা। একুশ মানেই আত্মার লড়াই একুশ মানেই বাঁচার প্রেরণা। একুশ মানে ৫২র রক্তে ভেজা বাক-স্বাধীনতার কাননে কুসুমকলি। একুশ মানে বাঁচার রসদ, ভালোবাসার দৃঢ় সংকল্প। একুশ মানে আগামীর পথ চলা প্রভাত ফেরী, একুশ মানে তুমি আমি চলতে পারি সারাটা পৃথিবীব্যাপী। (২) একুশ মানে বলতে পারি আমার মুখের ভাষা। একুশ মানেই বলতে পারি আমি খাঁটি বাঙালি ঘেঁষা। একুশ মানে চেতনায় জাগা দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা। একুশ মানেই বাঁধতে পারি ভালোবাসার নির্ভেজাল খাসা বাসা। একুশ মানেই সোনার বাংলার কুমোর, ছুতোর ,তাঁতি ,চাষা। একুশ মানেই প্রাণের ভাষা অমৃত আছে  তাতে ঠাসা। এই ভাষাতেই গান গেয়ে নিতাই গোরা আনল দেশে ভালোবাসার প্রেমগাথা। একুশ মানে আমার গর্ব, একুশ মানে প্রভাতফেরির , রঙিন স্বপ্ন দেখার গল্প। (৩) একুশ মানে খুঁজে দেখা, বাহান্নের রক্তে ভেজা, বাংলা ভাষার কান্না। একুশ মানে দৃঢ় প্রত্যয়ে  গর্জে ওঠা বেআব্রু বাংলা  ভাষার রক্ষা শালীনতা। একুশ মানে বাংলা ও বাংলা ভাষার বিভাজনীতি  বানচাল করা। একুশ মানে পায়ের মাটি শক্ত করতে, হাতে হা

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল

ছবি
দাগ অভিশপ্ত বন্দিজীবন,নির্বাক হাহাকার; মিনতিতে আর্তনাদ,স্মৃতিতে অম্লান; বারেবারে উপহাস,অগোচরে উচ্ছাস; ক্ষনিকের আনন্দে,মন মাতানো উল্লাস। হারাবে হারাবে সবি,যত ছিলো প্রহসন; রয়ে যাবে চিরদিন,অনুতাপের ক্রন্দন; অভিশপ্ত বাতাসের,সুবাশিত গন্ধে; হৃদয়ে জমেছে,ব্যথারি পাহাড়। জীবনতো একটাই,নাটকের সমাহার; না পাওয়ার বেদনায়, প্রতিদিন কেটে যায়। বাঁচার লড়ায়ে আজ,মৃত্যুর যাত্রী; ব্যথারি তিব্রতায়,হৃয়টা ফেটে যায়। অভিলাসের লালসায়,জীবনটা পুড়ে ছায়; এলোমেলো জীবনটা,আঁধারে ঢেকে যায়; নিয়তির কাছে যেন,লান্হিত সমাহার; জীবনের জয়গান,সমাধীতে উপহার। আসুক আঁধার যতো,কেটে যাবে সহসায়; স্মৃতি শুধু ভেজাবে,চোখের ভাষায়; রক্তিম হৃদয়ের জাগ্রত নীতিতে, পথচলা অবিরাম,নিবৃত্ত-বৈপরীত্য।

সাইফুল আলিম

ছবি
  একুশের জয়গান পরমতলা, মুরাদনগর, কুমিল্লা  রক্ত মাখা শরীর নিয়ে কাফেলায় ফিরে যায় একুশ এলেই স্মৃতিরা দাঁড়িয়ে  বারে বারে কাঁদায়  ।  জীবনের মায়া করেনি কখনো স্বপ্ন জাতির জন্য  প্রেম কাকে বলে দেখিয়ে দিলো স্বদেশ করতে ধন্য।  মা,মাটি আর  মাতৃভূমি  জগতে শ্রেষ্ঠ মধুর ভাষা  মন আনন্দে কথা বলে কামার কুমার চাষা। বাকরুদ্ধ করতে চেয়েছিলো  পাকের উর্দু বুলি হয়নি সফল,বুলেট নিয়েও রক্তে ভিজালো ধুলি। বাংলা আমার মায়ের ভাষা বাংলা এদেশের প্রান  বারে বারে আমায়,মনে করে দেয় একুশের জয়গান।

অমিত কাশ‍্যপ

ছবি
  হারাণজেঠু শহর কখন গড়িয়ে গড়িয়ে গ্রামের পথে  এখন গ্রামে আর মাটির পথ নেই  মোরামের পর মসৃণ পিচরাস্তা মাটির বাড়ি অবলুপ্তির পথ, অট্টালিকার শোভা নজর কাড়ে গ্রাম-শহরের মেলবন্ধন, এরই নাম সম্পর্ক গ্রামের প্রবীণ মানুষ হারাণজেঠু, স্বাধীনতা দেখেছেন  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি তাও ম্লান নয় নবীন প্রজন্মের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বলেন  এরই নাম সম্পর্ক, বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় আলোময় আজ গ্রাম গ্রাম ভরে যাচ্ছে শহুরে গন্ধে আর শোভনতায়

গোলাম কবির

ছবি
মেয়ে, সাবধান!  ফুলের বাগানে মৌমাছি উড়বে  এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এখন দেখছি  মৌমাছি নয় শুধু সাপ আর বিচ্ছু, আবার কিছু জোঁকও আছে সেখানে। এরকম বৈরী সময়ে মেয়ে,সাবধান!  তুমি যেনো যেও না,  বরং নিজেকে সামলে রেখো  এই বিপন্ন সময়ে।  ওরা তোমাকে ছোবল দেবে,   রক্ত শুষে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবে  কিংবা শেয়ালের  মুরগির মতো  ছিঁড়ে খুঁড়ে  নিষ্প্রাণ দেহে  পাট খেতে ফেলে রাখবে তোমায়।  ভালবেসে একদিন তোমার খোঁপায়  ফুল গুঁজে দিতো যে যুবক,  সে এখন জন্মান্ধ সময়ের ফেরে  নেশায় মাতাল! ঘর বাঁধার ছলে  তোমার জন্য হতে পারে  শরৎ বাবু'র দেবদাসের চুনিলাল।

প্রেমাংশু শ্রাবণ

ছবি
ফেব্রুয়ারী  এলেই ফেব্রুয়ারী এলেই আমার বুকের অবাধ্য অক্ষরগুলো হুড়মুড় বেরিয়ে পড়ে কলমের মোক্ষম শৃঙ্খল ছিঁড়ে ঝরতে থাকে শিমুল পলাশ আরো কতো লালফুল ! ফেব্রুয়ারী এলেই আমি জেনে যাই প্রতিবাদী অক্ষরগুলো অসম্ভব স্বাধীন হবে অদম্য শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হবে দিকবিদিক, উচ্চকিত কথারঙে বর্ণাঢ্য মিছিল হয়ে দাপিয়ে বেড়াবে ফুল পাখি নদী গাছ---- আকাশের উঠোনে উঠোনে কলাবউ কিষাণের বিস্মিত চোখের তারায় তারায় খুঁজে নেবে বীজরঙা মাটির অঘ্রাণ। ফেব্রুয়ারী এলেই আমার অক্ষরেরা মানবে না বেড়াজাল কোনো উষ্ণতার কোদালে ছেনে ছিঁড়েখুঁড়ে তুলে নেবে ইচ্ছেদের পাললিক ভ্রুণ। নিজেই নিজেদের হুকুমদার এরা আমাকেও অস্বীকার করবে ফের.... নিত্যন্ত অক্ষরহারা স্তব্ধ-কলম আমার শুকনো মসৃণ ডগায় ফিরবে নতজানু হবে যেনো বা ক্রন্দনরত এক শহীদ মিনার! এবং ফেব্রুয়ারী এলেই আমি জেনে যাই অক্ষম কলমে আজ হারানো অক্ষরের শোকে কিছুই লেখা হবে না আর

শ্যামল রায় এর তিনটি কবিতা

ছবি
ভালোবাসার উঠোন চেয়েছি এমন একটা ভালোবাসার উঠোন চেয়েছি দাঁড়িয়ে বলতে পারি ,,তুমি কি করছো? আমি জোর গলায় বলতে পারব তুমি কেমন আছো ?আমার জন্য। আমি ভালবাসার একটা উঠোন চেয়েছি যেখানে শিউলি ফুল ছড়িয়ে থাকবে দেখতে পাবো কখনো রোদ্দুর বৃষ্টি ভেজা শুধুই তোমাকে শুধু তোমাকে। আকাশটা আরো নীল দেখতে চেয়েছি ব্যস্ততার মাঝে তোমার ঢেউ চেয়েছি আমি নদীর বা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়াই অপেক্ষা করি----- তোমার চোখ দেখতে ।। একটু উষ্ণতার জন্য একটু বাতাসের জন্য শ্বাস নিতে একটা উঠোন চেয়েছি শুধুই ভালোবাসার উঠোনে শিউলি ফুলগুলো ছড়িয়ে পড়ুক।। প্রথম তোমাকে ছোঁয়া   আমি প্রথম তোমাকে ছুঁয়েছিলাম যেদিন শব্দ ছিল। ছিল পলাশ বকুল জুঁই  নতুন রঙে রঞ্জিত হয়েছিলে ইচ্ছে ছিল ডিঙ্গি নৌকোয় চেপে বেড়াবে ঘুরে ঘুরে। আমি সঁপে দিয়েছিলাম জীবনের সবটুকু ঘন কালো অন্ধকার মুছে দিয়ে আলো বিন্দু খুজে নিয়েছিলাম ছিল স্বপ্নে ঘেরা সিঁড়ি সত্যের জয় গান। আমি যতটুকু ছুঁয়েছিলাম তোমাকে নির্ভেজাল ভালোবাসাটুকু দিয়ে খুজে নিয়েছিলাম আত্মতৃপ্তি দুজন দিন যেয়ে মাস ,বছরের পর বছর তবুও মনে হয় স্বপ্ন হাঁটতে শেখেনি আজও বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপের মধ্যে স্বপ্নের ভালোবাসা

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
বিপ্লবের আহ্বান                           করব লড়াই তাদের সাথে ধরব অতীত এর পথ- রক্তে মোদের আজও সে জোয়ার মনের মাঝে আছে হিম্মত। তারা তো কেবল হিংসা জানে ধ্বংসের পথে অবিচল- আমরা আনিব নতুন বিপ্লব বুকে আছে মোদের সেবল। পারবেনা তারা অগ্রসর হতে  কি আছে তাদের সাধ‍্য- আমরা যে সব তরুনের দল ওদের পিছুটানে করব বাধ্য। তারা তো সব ক্ষমতা লোভী পুঁজিপতি বুর্জোয়ার দল- ধ্বংস করব তাদের পরিকল্পনা ভবিষ্যত প্রজন্ম পাবে তার সুফল। কন্ঠে মোদের অমৃত বানী বাহুতে অসীম জোর-  শেষ হবে তাদের সম্প্রদায়  আনব প্রজ্জ্বলিত নতুন ভোর।

ফরমান সেখ

ছবি
  নতুন যৌবন কেবলি মোর  ফুটেছে ফুল     যৌবনের যে বনে, খেওনা কীট  একটু দাড়াও     দুঃখ পাবো মনে। অনেক যত্নে  করছি বাগান       পরিশ্রম ও ঢের, এখন যদি নাওগো খেয়ে     হয়ে যাবে হের ফের। আমার জীবন  বাকি অনেক     আছে অনেক স্বপ্ন, কেবলি মোর  নতুন পোষাক     করোনা মোর নগ্ন। শক্ত হয়ে  দাড়াও তুমি        আসুক যত ঝড়, অসৎ পাত্রে  তবুও গো     ফেলিওনা সর। চাপে পড়ে  যখন-তখন    করিওনা গো ভুল, থাকবে না  বাগানখানি   থাকবে নাকো ফুল। কামড়াও না  যৌবন তুমি   বন্যায় যাবো ভেসে, মান সন্মান  সবই যাবে    থাকবে নাকো শেষে। ধর্য্য ধরো  একটু আরো        আসুক ফল গাছে, দিবো খেতে  অমৃত ফল     করোনা ভুল পাছে। আঁকড়ে রাখি  তোমার ভয়ে    ভালোবাসার বন্ধন, কখনো বা  ভেঙে পড়ি   বসে করি ক্রন্দন।

হাকিকুর রহমান

ছবি
কান্না কুড়োতে চাই কান্না কুড়োতে এসেছি মাগো, এই অবেলায়- কুকড়িয়ে যাওয়া মনের কান্নাগুলো যে গুলোকে তুলে রেখেছো শিয়রের কাছে- আমি তো কান পেতে সেগুলোকে শুনতে পাই, তাতে, আমার কি দোষ হলো, তুমিই বলো। সোনার ফসলেতে ভরে আছে ক্ষেত- রাঙা মাটির বিরান পথটা তবুও কেন কাঁদে, শূন্য আঙিনাটাই বা কেন কাঁদে, বুঝতে পারিনে মাগো, তোমার ছায়ার পরশ পেতে, বুকের আলোতে বিলীন হতে আমিও যে কাঁদি। শারদ সকালে ঝরা বকুলের কান্না কেন শুধু আমিই শুনতে পাই, মাগো- ঝর্ণার জল, গোল নুড়িগুলোকে বুকের ভেতরে নিয়ে বয়ে যায় যখন, তার কান্নার প্রতিধ্বনিও যে আমি শুনি। বুনো সূর্যের আলোয় একাকী মরুদ্যানটা কি হাসে, না কি কাঁদে, সে খবরটা কেইবা রাখে? আলোর প্রার্থনায় মায়ের পাখার নিচে বসে ছোট্ট পাখিটা কি হাসে, না কি কাঁদে, কেইবা জানে। তবুও বুকের পাজরে থিতিয়ে থাকা কান্নাগুলোকে কুড়িয়ে যেতে চাই, মাগো।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
একান্তে যখন তার পাই না দেখা, লাগে কেবল ফাঁকা ফাঁকা। যখন সে কাছে থাকে, মনে হয় যেন,সব কিছুই আছে। যখন সে যায় চলে, ভাবি মনে তলে তলে। এরকম কেন,হয় যে আমার, নুতন করে তাই,ভাবি আবার। ভাবি অনেক আছে কথা, বলতে হবে এবার সেটা। কিন্তু যখন হয় দেখা, বলতে পারিনা কোনই কথা। কোনটা বলবো,কি করে বলবো, না কী কেবল,ওর কথাই শুনবো। আবোল তাবোল কী রে বলি, গন্ডগোল সব হয়ে যায় খালি। সময় এভাবে কেটে যায়, বুঝতে পারিনা,সে কি ভাবছে আবার।

ফাহমিদা ইয়াসমিন ( ইংল্যান্ড )

ছবি
  কল্পকথা ও বাস্তব পাঠশালা আমার কল্পণার ঘর তুমি। যেখানে নীল আকাশ ছাদ  আর সবুজ ঘাস হতে পারে স্বর্গসংসার।জগতের সব প্রেমগুলো জোগাড় করে গাঢ় টিপসই দেব প্রকৃতির পরতে পরতে। যেখানে তুমি আর আমি  আমি আর তুমি দুজনে দুজনার  এটাই হবে আমাদের সংসার। তোমার সাথে থাকাই আমার আনন্দ,হোক সেটা ধুসর মরুভুমি  অথবা গহীন অরণ্য  তোমার হৃদয় মাঝে শুয়ে থাকব অনন্তকাল।তুমি শুনতে পারবে আমার হৃদস্পন্দন আমি তোমার অনুভব বুঝে যাব প্রাকৃতিক স্পর্শে । রাতটা  পার করে দেই  প্রিয়  তোমার সাথে কথা বলে বলে তুমি যা বল মনে হয় সবগুলো কথায় মধুরবচন। মিলেমিশে থাকব একাকার তুমি আর আমি তোমার হৃদয়কুঠুরির  প্রতিটি স্তবকে লেখা থাকুক আমাদের প্রতিচ্ছবি লিখে রাখো আমি তোমার। হৃদয়ে লিখে রাখা কল্পকথাগুলো বড়ই মধুর।আহা যদি এমন হত তাহলে মিশে যেতাম বাস্তবের পাঠশালায়।

সৈয়দা আইরিন পারভীন

ছবি
মানুষ ভালোবাসা যাপণ করে আর প্রেম রচনা করে। সৈয়দা আইরিন পারভীন আমাদের অনেকের ধারণা প্রেম মানেই শুধু দুইজন কপোত কপোতীর হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখের কথামালা। আসলেই কি তাই ? প্রেমপঞ্চভূত। প্রেম একটা তীব্র অনুভুতি ও অনুরাগ। আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবাকে দেখতাম ষ্টীল এর আলমিরা খুলে নিঃশব্দে কি জানি দেখতেন। সেই মূহুর্তে আমরা কোন ভাই বোন বাবার সামনে গেলে বাবা বিরক্তবোধ করতেন। হঠাৎ বাবাও একদিন মারা যায়। তারকিছু দিন পর যখন ভাই বোনরা মিলে ষ্টীল এর আলমিরাটা খুলি তখন দেখি আমার মায়ের হাজারো স্মৃতি চিহৃ থরে থরে সাজানো।যেই ভালোবাসা আমার বাবা যাপন করেছিল এবং মৃত্যুর এক যুগের  ও বেশীসময়  সেই স্মৃতি বুকে নিয়ে মধুর প্রেম রচনা করেছিল। প্রত্যেক বাবা মা তার সন্তানকে খুব ভালোবাসেন। নিজের জীবনটাও দিতে কার্পন্য করে না। সন্তানের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা আদর সোহাগ তা কিনা বাৎসল্য প্রেম। পিতামাতার প্রতি সন্তানের থাকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ, আবেগ, অনুভুতি। আর এই ভালোবাসায় শান্ত প্রেম। প্রভুর প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও আনুগত্য থাকে তা দাসত্ব প্রেম। আর সখ্য প্রেম সেতো অবারিত বিশাল আকাশ। বন্ধুত্ব যা কিনা কিছুই মানে

সোহেল রানা

  মৃত্যুর ডাক    বারবার তোমাকে চেয়ে থাকি পশ্চিমের আকাশের ।  হৃদয় শত বেদনা অনুভব করেও, সহ্য হয় না।  চোখের সামনে কত দেখলাম, স্বাদ গ্রহণ করে চিরতরে হারিয়ে গেছে ধরণীর বুক থেকে।   মৃত্যকে আলিঙ্গন করার মতো ক্ষমতা বিধাতা দিয়েছে মোরে।  প্রিয়জনের শোকে শকাহত হয়ে পাথর হয়েছে হৃদয়।  বিধাতার সৃষ্টি কত সুন্দর , কোনো উপমা নেই।  জগৎ মাঝারে  সকলকেই অনেক কিছু দিয়েছ।  যেতে হবে তবুও মন খারাপ হয়ে যায়।  কত মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে হঠাৎ চিরতরে হারিয়ে ।  মৃত্যু তুমি ডাক দিচ্ছ বহুরূপী হয়ে।  তবুও তুমি প্রিয়, তোমার কথা সারাক্ষণ হৃদমাঝারে রইবে।

মমতা রায় চৌধুরী

  ভালো থেকো মাত্র দুটি শব্দ ভালো থেকো, অথচ গভীর আবেদন। ভালো থেকো তুমি, ভালো থাকবো আমি, ভালো থাকুক সবাই। এই গভীর প্রত্যয় নিয়ে, হাতে হাত রেখে, হিংসা-দ্বেষ ভুলে। আগামী সুন্দর পৃথিবী উপহার থাকুক সবার।

পূর্ণিমা ভট্টাচার্য ( টুকুন)

  ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসা কখনো কি দিন দিয়ে হয়? সে যে বড়ো একান্ত আনমনে রয়। পূর্বরাগ, অনুরাগ ,অভিসার পরে,  ভালোবাসা হৃদয়েতে আসে ধীরে ধীরে। গোধূলির রঙেতে ভালোবাসা লুকিয়ে, পলাশের লালিমায় ভালোবাসা ছড়িয়ে।  বৃষ্টি ভেজা চুল বেয়ে ভালোবাসা ঝড়ে, গরমেও কাঁপুনি দেয় ভালোবাসার জ্বরে। জলতরঙ্গ হয়ে বাজে ভালোবাসার শব্দ, কখনো সে পাহাড়ের ন্যায় দৃঢ় নিস্তব্ধ। জোয়ারে ভেসে যায়, ভাটায় সে টানে, অরন্যে ফিসফিসিয়ে বলে কানেকানে। সাগরের বেলাতে পড়ে সে লুটিয়ে, জোৎস্নার আলো বেয়ে ওঠে যে লতিয়ে। ভালোবাসা ধমনীর রক্ত স্রোতে বয়, দিন দিয়ে কখনো কি ভালোবাসা হয় ??           

এম, এইচ, বাসিত ( ইংল্যান্ড )

সখী ভালোবাসা দিয়ে সখী একটু বাঁচতে দাও মোরে ভলোবাসা নিয়ে সখী একটু মরতে দাও মোরে, তোমার গোলাপী অধরের অমিয় সখী  একটু সেবন করতে দাও মোরে তোমার সাগর দুটি চোখে সখী একটু ডুবতে দাও মোরে, তোমার দৈব-শীতল আঁচলে সখী একটু বাসতে দাও মোরে তোমার প্রণয় শিখায় সখী একটু পুড়তে দাও মোরে, তোমার অপেক্ষায় সখী  একটু ক্ষয় হতে দাও মোরে তোমার আলিঙ্গনে সখী একটু ফোটে উঠতে দাও মোরে,  তোমার মাধুর্যে সখী  একটু অন্ধ হতে দাও মোরে  তোমার যৌন-সুবাসে সখী একটু উন্মাদী হতে দাও মোরে, ভালোবেসে সখী অমর হতে দাও মোরে।

শিপ্রা দেবনাথ (টুলটুল)

  নিস্তেজ     উঠোনের শিউলি গাছটায় রুক্ষতা ভর করেছে গুমসুম ঘরে জীবনের বর্ণপরিচয় আগুনে ঝলসায়, প্রিয় কুলিক নদী সেও কোমলতা হারিয়ে ঘন কমলা রং ধারণ করেছে, দুচোখে বন্যা নিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। উইপোকায় কাটা জীবনগুলো কেমন  ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে চলছে, ভাত ফোটার গন্ধও ওদের মনকে আর নাড়া দিয়ে যায় না, সূর্যের বুক ওমহীন নিস্তেজ আবেশী নরম ঠোঁট জোড়া এখন খরখরে, তাতে বসন্তের আবেদন নেই।

হাকিকুর রহমান

  কেন জানি জ্যোৎস্না উধাও হলো, সাথে করে নিয়ে গেলো তমসাকে- বালি ঝুমকোটা কে জানি কানে চড়ালো, শূন্য হাসি হেসে, ভীরুপায়ে কে এসে দাঁড়ালো চৌকাঠের কোণে। রূপালী চাঁদ, সেতো চিত্রকরের ক্যানভাসেই শোভা পায়। ন্যাড়া বেলতলায়, কিম্বা দারুচিনি বনের ধাঁরে, কেউ কি কারো জন্যে অপেক্ষায় থাকে? ঠুনকো যুক্তি দিয়ে, কিসের স্মৃতিকে ধরে রাখা! ওদিকে শানকিতে, জল ঢালা ভাতগুলো লেজকাটা কুকুরটা লোপাট করে দিলো, আর আমি তমসার নীচে দাঁড়িয়ে, সেক্সপিয়ারের গীতিকাব্য আউড়িয়ে ফিরি। তবুও কেন জানি, শুনতে পাই উপবাসী পথশিশুটা বলেই চলেছে, “এক মুঠো অন্ন দেবে!” আমার কাব্য লেখা হয়নাকো আর।

ড,সৈয়দ আজিজ।

ছবি
মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করো মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করো  কবে খেয়েছিল পেট ভরে ভাত? তার সন্তানদের সাথে নিয়ে,  যাকে ভ্যানে তুলে নিয়ে গেছে  দায়িত্বশীল পুলিশ কাল রাত,  ট্রেন থেকে বিনাটিকিটে যাত্রার দায়ে  যে ছাই বিক্রির জন্য রোজ ভোরের ট্রেনে চড়ে আসে  ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায়  বিকেলের ফিরতি ট্রেনে আবার  ফিরে যায় তার কুঁড়েঘরে,  জিগ্যেস করো যখন তাঁর স্বামী  তিনটি শিশু বাচ্চা রেখে  যৌতুকের দায়ে তাড়িয়ে দিয়ে ছিল  ভেঙে পাঁজরের শুকনো হাড়  তখন কি ব্যবস্থা নিয়ে ছিল  মহা দায়িত্বশীল পুলিশ? কী ব্যবস্থা নিয়ে ছিল সরকার? নিজেকে জিজ্ঞেস করো? তিনটি বাচ্চার জন্য তাঁর  বেঁচে থাকার আছে কি কোনো মানবাধিকার!

শ্যামল রায়

ছবি
  জীবনেরে খোঁজে  জীবনের জন্য জীবনের মানে খুঁজছি দিগন্তের নীল  আকাশে কিংবা সকল মানুষের মাঝে  খুঁজেছি জীবন, শুনেছি  জীবনের নানান প্রতিমুহূর্তের কথা  এখনো খুঁজে যাচ্ছি মানুষের মাঝে জীবনের খোঁজ। একাকার করব সকলেই আমরা মানুষ  নিজের জীবনের একটুকরো সুখকে; যদি সুখ ভেবে নিতে জীবনের মানে হয় তাহলে হয়তো সুন্দর হবে এ জগত। তবু আমরা মনুষ্যত্বের জন্য জীবনের মানে খুঁজি। কখনও বা নীল আকাশের অস্তিত্ব কে ধরে রাখতে চেয়েছি বার বার , খুঁজে নিতে জীবনের মাঝে সকালের ঠিকানা------- দিগন্তের নীল আকাশে খুঁজেছি জীবন,  জীবনের খোঁজে তোমরাও দু হাত বাড়াও এস বেঁচে যেন থাকি ডাল-ভাতে জাতপাত ভুলে মানুষেমানুষে----। জীবনের খোঁজ হোক শুধু এখানেই!

সমিত মণ্ডল

ছবি
  ফুড়ুত উড়ে যা চড়ুই পাখি,চড়ুই পাখি ফুড়ুত উড়ে যা রামধনু রং মাখা চড়ুই আমার সারা গা। গাঁয়ের ধারে খালে বিলে পদ্ম শালুক ফোটে  মায়ের আদর লেগে আছে  আমার নরম ঠোঁটে। মনের উড়ান লিখছি আমি মেঘের ভেলায় চড়ে  ভুলিয়ে রাখার খেলাপাতি অবহেলায় পড়ে। চড়ুই পাখি,চড়ুই পাখি  ফুড়ুত উড়ে যা মায়া-রোদের স্বপ্নগুলো  লুটোপুটি খা। মাখামাখি রামধনু রং আমার সারা গা চড়ুই পাখি,চড়ুই পাখি  ফুড়ুত উড়ে যা!

সাইফুল আলিম

ছবি
কুয়াশার চাদরে শীতের কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো পৃথিবী।  সূর্য মামাকে গিলে খেয়েছে প্রতিটি প্রভাতী ভোর। সবুজ মাঠে শিশির কনা জমে আছে গাসের ডগায়। উষ্ণতার মোরগ উন্মোচনে আগুনের তাপ নেয় সাজ সকালে বৃদ্ধ,যুবক ও শিশু, সমবেত ভাবে। শীতের আমেজে মগ্ন পল্লীর নানাবিধ শ্রেণির মানুষ।  উৎসবে মেতে উঠে আজেই এই সৃজনশীল মুহূর্ত।  রাতের আধারে জোৎস্নারা উঁকি মেরে তাকায় না। ধুলায় উড়ানো  বালিকনার ন্যয় কুয়াশায় ঢেকে আছে পথঘাট। কম্বলের নিচে ফুটবলের ন্যয় গোল হয়ে আছে বৃদ্ধারা।  ,কিশোর কিশোরীর শরিলে যেন যৌবনের সিদ্ধ জলের ধোঁয়া বের হয়, তবুও যেন পৌষের সীত।বাহার কিংবা আত্ম বড়াইয়ের কিছু নেই।  এইটা প্রিয়ার কাছে বীর  হবার  কিছুই নয় সময়ের সাহসিকতার আসল পরিচয়,  নিজেকে সঠিক সময়ে খাপ খায়িয়ে নেওয়া।  তাই সীতের ঘন কুয়াশার কাছের সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে সুস্থ থকাই অধিকতর শ্রেয়। আমিও তার ভিন্ন মাত্রার কোন গনিত  সুত্রের সমাহার নই। যেমনটি চাঁদের জোৎস্নাকে ঢেকে রাখে ঘনমেঘ, কিংবা কুয়াশার তুষার বৃষ্টি,  তেমনি চাদরে ঢেকে আছে উষ্ণতার রক্ত মাংসের গড়া কোমল শরীর কোন এক বিনিদ্র রজনীতে।

হামিদুল ইসলাম

ছবি
বার্তা এখন কে কার কাড়ে রাতের ঘুম                শঙ্কিত মন হঠাৎ কোথা থেকে কী হয়ে যায়       অম্লান হৃদয়ের উপবন ।। জঙ্গলের রাজত্বে আমাদের বাস                  আমরা বেকুব গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা খুন করে গণতন্ত্র         রক্তাক্ত প্রতিটি রোমকূপ ।। ধীরে ধীরে পেরিয়ে যায় নৈঃশব্দের রাত          জলে ভাসে আরশিনগর বিন্দু বিন্দু ঘামে যুগে যুগে সিন্ধুর জন্ম           যুদ্ধে জড়িত গ্রাম শহর ।। অন্নদাতারা প্রতিদিন রাস্তার উপর        কোথায় দেশের স্বাধীনতা  আমরা নিত‍্য ঐক‍্যের হাত রাখি হাতে           দিই রণ দামামার বার্তা ।।

ওয়াহিদা খাতুন

ছবি
রৌদ্রস্নানে মাথার উপর কোমল আলোর বিলি খেতে খেতে সর্বাঙ্গে দামাল সূর্যের স্পর্শে মেতে উঠলাম রৌদ্রস্নানে! কবে ভিজেছি সেই মাঘ নিশিতের আঁচলাবৃত সূর্যে; আরো একবার বসন্তের প্রাক্কালিন কুয়াশার উষ্ণ ঘ্রাণে --ডিম-কুসুম সূর্যের নরম শয্যায়-- মাঘের সুড়সুড়ি মাখা রৌদ্রের পরশে শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুখ-ঘুমের ছাওনি ছেয়ে গেলো মজ্জায়--! আমার রেটিনা বেয়ে গড়তে লাগলো সেই মিষ্টি আলিঙ্গন! গভীর সুখ কম্পনে এলিয়ে দিলাম আমার দেহ,তনু,মন; এ কোন নৈসর্গিক স্পর্শে বিলীন হলাম; সূর্যমুখী হয়ে আরো একবার সূর্যস্নানে হারালাম!

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
স্মৃতির অন্তরালে আসন্ন আরো একটি নির্ঘুম রাত্রি মস্তিষ্কে তার স্মৃতির জ্বালাতন শুস্ক চোখে হয়েছি অশ্রু হীন বিষন্ন মনে ওস্ঠাগত প্রান। দুঃখের সাগরে ভাষছি ক্রমাগত প্রত্নলিপি তার একেছি বুকে স্মৃতি তে জড়িয়ে বাঁচতে চাই আমি থাকতে চাই আমি বীরঙ্গনার বেশে। সুখের অন্বেষায় নই আমি চিন্তিত  স্মৃতি দংশন করে বার বার, নির্জন বনে আমি ঘুরছি ক্রমে বুকে গাথা শুধু প্রতিচ্ছবি তার। গোপন আবেগে রয়েছি জড়িয়ে এ-যেন এক বিষন্ন অভিযান, হৃদয়ের অন্তরালে কেন শুধু সে নির্জনতায় বন্দি কেন শুধু আমার প্রান ? অভিসারের অন্তিম-অপেক্ষায় এসেছি সবে যানিনা পাব কিনা সেই সন্ধিক্ষণ, ক্লান্তি-হীন মৃত্যু মিছিলে হাটবোনা আমি বিরামহীনতাই আসবে অশান্তির নির্ঘুম।

প্রেমাংশু শ্রাবণ

ছবি
অন্য জীবনের স্বাদ এমন মায়াবী আলো দেখিনি আগে। চোখে রহস্যময় বিভ্রম লাগে।  যুবা সূর্য -সতেজে,দশদিক ঝলমলিয়ে হেসে ওঠে -- উচ্ছল যুবতীদের মতন, ঝলমলে প্রজাপতি পাখা। ঝিঁঝি -ফড়িং এর লেজে সুঁতো বেঁধে ছুটে চলা দুরান্ত   বালকের মতো মাঝে মাঝে আসে দমকা হাওয়া, এই বেশ---- সত্য হোক চাওয়া। সত্য হোক সকল প্রত্যাশা। প্রকৃতি পুরুষ আর মহৎ ভালোবাসা। হাতে হাত রেখে, নদীর তরঙ্গ গুনতে গুনতে  চলো খুঁজি-- অন্য জীবনের স্বাদ।

অলোক দাস

ছবি
পৃথিবী   পৃথিবী আমারে চায় অবিরাম I ভোরের আকাশে উঁকি দেয় সূর্য I কিছু আলো নিয়ে নেয় পৃথিবী I কে যেন বলে এবার জাগো I পুবের জানলাটা খুলে দাও, দাও দরজাটাও খুলে I দেখো নয়ন মেলে নতুন দিন I পাখিদের কোলাহল, ঘাসের ওপর শিশির বিন্দু, সবুজের ছড়াছড়ি I বসন্তের আহ্বানে ফুলের মেলা I প্রেম সেতো চিরদিন I এমনি কোরে শুরু হোক পথ চলা I উদাস হয় মোন I এ যেন এক নদী I পাহাড় হতে ভেসে আসে জলকণা I কতো গ্রাম, শহর ভেদ কোরে মিশে যায় সাগরে I এ এক অনবদ্য !

স্বপন কুমার ধর

ছবি
  একান্তে যখন তার পাই না দেখা, লাগে কেবল ফাঁকা ফাঁকা। যখন সে কাছে থাকে, মনে হয় যেন,সব কিছুই আছে। যখন সে যায় চলে, ভাবি মনে তলে তলে। এরকম কেন,হয় যে আমার, নুতন করে তাই,ভাবি আবার। ভাবি অনেক আছে কথা, বলতে হবে এবার সেটা। কিন্তু যখন হয় দেখা, বলতে পারিনা কোনই কথা। কোনটা বলবো,কি করে বলবো, না কী কেবল,ওর কথাই শুনবো। আবোল তাবোল কী রে বলি, গন্ডগোল সব হয়ে যায় খালি। সময় এভাবে কেটে যায়, বুঝতে পারিনা,সে কি ভাবছে আবার।

I

 I

H

 H

G

 G

F

 F

E

 E

D

 D

C

 C

B

B

A

 A