পোস্টগুলি

আগস্ট ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সিদ্ধান্ত খুকু

ছবি
চেতাবনী ফাঁদ দূরের পাহাড় আমায় ডাকছে আবার-- চলো যাই আকাশের উচ্চতায়, কুয়াশার মতো মেঘ যেন ছুঁয়ে যায় চোখের পাতায় ! চারপাশে বৃষ্টিস্নাত সবুজের হাতছানি, সময়ের বাঁশি বাজে চিরচেনা সুরে ! ভয় হয়---বেঁচে ফেরা হবে তো আবার ? জানো তো , ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘেও ডরায় ! ঝরনার উচ্ছলতা বিবাগী মন ছুঁয়ে দেয়, ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কোন সুখের মোহনায় ! তবুও আশায় বাঁচি-- সব প্রেমে তো আর তঞ্চকতা নেই ! দুচোখ স্বপন; ঢাকাই শাড়ি ললাটে সূর্য !

ফারজানা আফরোজ

ছবি
ক্ষনিকের অতিথি সৃষ্টি যেন স্রষ্টার পুতুল খেলা রাজ্যে,দেশে দুনিয়া জুড়ে পৃথিবীর এই রঙের মেলায় অভিনয় করি নতুন সব চিত্রনাট্যে। নাটাই বিহীন ঘুড়ির মত উড়ছি পৃথিবীর পথিক হয়ে হাঁটছি সবে অনেক হেঁটেও পথগুলো যেন অচেনা। কভু আশঙ্কায় কাটে জীবনের প্রতি ক্ষণ নিস্তব্ধতার ছন্দে,অদ্ভূত নীরবতায়, বাঁশরী সুর শোনা যায় সমীরনে। অতৃপ্ত মন নিয়ে হেঁটেছি ভ্রমের পথে জীবন পর্দায় কত যে ছবি অঙ্কিত। হঠাৎ স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায় নতুন স্বপ্নে হই পুনরায় বিভোর- তীর হারা তরীর মত ঘুরি হঠাৎ কখনো পেয়ে যাই কিনারা। ধূসর বর্ন  ফিরে পায় তার রং সময় বয়ে চলে আপন ধারায়। অতীত নীরবে বলে অচল হয়েছি আজ ভুলে গেছে সবে আমাকে অনেক দূরে আছি না ফেরার দেশে এ ভূবনে সৃষ্টির আশা যাওয়া চলে বারো মাস। আজকে যা স্মৃতি কালকে হবে তা ইতিহাস জোয়ার ভাটার নিত্য খেলা ধরনী মাঝে জীবনের রহস্যের চাবিকাঠি বিধাতার হাতে আমরা হলাম ক্ষনিকের অতিথি পৃথিবীর তরে।

রায়হান চৌধুরী

ছবি
  কাঠপেন্সিল আমি তো জানি এখানে বেশিদিন নয় মায়ার হিসাবনিকাশ, ভালোবাসার লেনদেন মুছে যাবে সব, হবে নিঃশেষ যেদিন আসবে জীবনের শেষ ট্রেন।  আমি জানি আমি এখানের নয় পথ হারিয়ে ফেলা পতিত মুসাফির, আমাকে ফিরতে হবে শেষ ট্রেনে যেখানে যাওয়ার কথা, যা চিরস্থির।  যাত্রাকালে মেখে দিও সুগন্ধি পরাগ জমা রেখো অযাচিত চোখের জল, যে মায়া আমি পাই নি কোনোকালে তা দেখাবে না যখন আমি নিষ্প্রাণ অচল।  কেউ নয় আপন, কেউ নয় পর যে আছে যেমন, যত প্রিয়জন জীবনের গল্পে দাঁড়ি বসলে, সব কিছু থেকে যাবে, সব কথা লেখা থাকবে শুধু আমার স্থান হবে অন্ধকার কবর।

আহমাদ সোলায়মান

ছবি
এই শহরে এই শহরের প্রেম বাঁচে না প্রসবকালেই মৃত্যু হয় এই শহরের অন্ধকারে রাত্রিগুলোর করুণ ভয় এই শহরের উচু দালান হৃদয়গুলো করছে জয় এই শহরের মানুষ যারা সবাই গভীর পরাজয়। এই শহরের নিয়ন বাতি ঠিক হৃদয়ের অনুরূপ এই শহরের কুকুরগুলো রাত্রি হলেও থাকে চুপ। এই শহরের প্রেমিক বুকে স্মৃতি পঁচার গন্ধ খুব এই শহরের ঠোঁটে ঠোঁটে পাতা আছে মৃত্যু টুপ। এই শহরের শব্দগুলো বুক ফাঁটানো কথা কয় এই শহরের আলো-বাতাস মহামারির বন্ধু হয় এই শহরের অন্তরের লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে রয় এই শহরের রাত্রিগুলো লক্ষ তারার বন্ধু নয়। এই শহরের এমন দশা খুব পুরনো এমন নয় যখন তুমি বদলে গেছো তখন থেকে এমন হয়।

তরুণকুমার পাল

ছবি
বিঘ্নিত সাধন   সমীরে কুঞ্চিত কেশে তরঙ্গ খেলিছে হেমাঙ্গী রূপের ঝর্ণা কেগো তুমি নারী মায়া আঁখি আকর্ষণে ছুটে চলি পিছে হৃদয় গভীরে দাও প্রেমের সঞ্চারি, শিফন আঁচরেস প্রায় অনাবৃতা স্তন  বর্ষা ভেজা অঙ্গে তব সজ্জিতা ফাগুনে ভাবাবেগে চিত্ত সিক্ত জাগে উদ্দীপন  মন চায় পুড়িবারে খুশবু আগুনে -  কেন জাগে প্রেম মনে হয়না রোধন  চিত্তে কেন অস্থিরতা কোথা জগন্নাথ- আত্মসাধন তবে কি হবে না শোধন, দয়া করো ভক্তে তব দাও মরে সাথ, অমৃত অম্বিষ্টে যেন কাটে বিঘ্ন যত- সভক্তি রমণী প্রতি হোক মাথা নত।।