পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মোঃ সেলিম মিয়া'র কবিতা "প্রাপ্তি"

ছবি
প্রাপ্তি মোঃ সেলিম মিয়া  নিশ্বাসে বিশ্বাস নাই  দম ফোরালেই শেষ?  দমের পিছেই ছুটছি সবে  রঙমেলায় বেশ। কেউবা ছুটছি টাকার পিছে  কেউবা খ্যাতি জস, কেউবা আবার ভোগ বিলাসে  মদের নেশায় ধস। কেউবা আবার ঘুমের ঘুরে  কাটিয়ে দিচ্ছে দিন,  রঙিন চোখে স্বপ্ন বাসর প্রদীপ  আলো ক্ষীণ।  কেউবা আবার পেশি শক্তি  দাপিয়ে বেড়ায় মাঠ, কথায় কথায় হিংস্র থাবা  আশা ধুলিস্যাত। আশায় আশায় ছুটছি সবে  দম ফুরিয়ে শেষ,  সাদা কাফনে শূন্য হাতে  ফিরছি না ফেরার দেশ। সাড়ে তিনহাত জুটে মাটি  নাইযে সেথায় আলো? সারাজীবন কামিয়ে পাপ  প্রদীপ নিভে গেলো। প্রাপ্তি সুখের উল্লাসে তাই  জম দুত কালো!

কবি মোঃ সেলিম মিয়া'র কবিতা "সময়ের ঘড়ি "

ছবি
সময়ের ঘড়ি   মোঃ সেলিম মিয়া দিবস পেড়িয়ে আঁধার ঘণ আঁধার পেড়িয়ে দিন, সময়ের গতিতে সময় পেড়িয়ে    যাবার প্রস্তুুতি নিন। শুরু হলো জীবন সেদিন  নেংটা কালের খেলা, কেটে গেছে কতো সময় মেঘে মেঘে দিন বেলা! কালো চুল হয়েছে ধূসর  চামড়ায় ধরেছে ভাঁজ,  সময়ের ঘড়ি সঠিক সময়েই  হিসেব রেখেছে আজ। চোখের পলকে কেটে গেছে সময়  বিদায়ের হাতছানি,  যৌবন পেড়িয়ে পৌর এখন   সরষের ফুলদানি!  জীবন গড়ার হিসেব কষেই  জীবন হয়েছে পার, সময়ের ঘড়ি ভাগ্যের চাকা  থেমে গেছে কাজ কারবার!  চোখের সামনে ভাসছে সাগর  তপ্ত মরুভূমি,  সারাটি জীবন কামিয়ে পাপ  কেমনে পেরোবো আমি? পাপের পাল্লা হয়েছে ভারি  পূন্যের কিছু নাই,  পড়ন্ত বিকেলে শেষ প্রহরে  ফিরে এলো হুস তাই ?  আমি নিঃশ্ব আমি রিক্ত  বিধাতার চরণে ঠাঁই, পাপের পাল্লা পাহাড় সমান ক্ষমা কেমনে পাই? বয়সের ফেরে সেই শিশু আমি মাজুর এক পিতা? দয়ার সাগর দয়াল তুমি  ছিটকে ফেলোনা একা! হাসরের মাঠে শেষ বিচারে  পাই যেন তোমার দেখা!

কবি মো:সেলিম মিয়া'র কবিতা "মা জননী"

ছবি
মা জননী মো: সেলিম মিয়া  মা জননী নয়নের মণি  সত্যি যেনো ভাই,  মায়ের মতো সত্যি আপন  ত্রিভুবনে নাই।  শিশু কালে দুগ্ধ পানে কান্না ভুলন স্মৃতি,  মায়ের কোলেই কাপড় নষ্ট  খাওয়ার ছলে রীতি।  ধৈর্য্য মায়ের অসীম সীমা কষ্টের নিস্তার নাই, মা জননী থাকেন বেঁচে  সন্তান সুখে তাই।  সকল সুখ বিলিন করে সন্তান সুখে কাতর,  এমন মা বেঁচে থাকুন স্বর্গ সুখে যতন। শিশু কালে হাতটি ধরে হাঁটার সাহস স্মৃতি,  মায়ের মতো মা জননী থাকতে নাহি ভীতি! হাপুস গুপুস দুধ মাখা ভাত  খাইতে যতো বায়না,   গল্পের ছলে খাইয়ে দিতেন  ভুলিয়ে দিয়ে গয়না।   সন্তান এখন মানুষ হয়ে গাড়ি হাঁকিয়ে ছুটে,  মায়ের খোঁজ নেবার মতো  নাহি সময় জুটে! মানুষ নামের কুলাঙ্গার কিছু   মস্ত শিক্ষিত লোক,  এমন সন্তান ধিক্কার জানাই জাতি সুশিক্ষিত হোক। সকল মা বেঁচে থাকুক সারাজীবন ভর,  এমন স্মৃতি না হয় যেনো মা জননী পর! মায়ের মুখে হাসি ফুটোক জন্ম জন্মান্তর!!!

কবি দেবব্রত সরকার এর কবিতা "নির্মোক"

ছবি
নির্মোক দেবব্রত সরকার  যা কিছু শিখেছি তোমার দান অন্ধ চোখে যে  আলোর শীষ সমাজের চোখে নিত্য বান কবিদের কাছে আমিই বিষ। প্রথমিকার কাছে হারিয়ে বুক বিশ্বাস শুধুই অন্ধ দ্বার চেয়েছে কৃষ্ণ রাধার সুখ অথচ দেখেছি হাহাকার তুমি হতে পারো রাজনীতি কিন্তু ছলায় আবেক বধ মানুষের বুকে গড়েছ ভীতি মঞ্চে বলেছ আমিই সত 

কবি দেবব্রত সরকার এর কবিতা "নির্মোক""

ছবি
নির্মোক দেবব্রত সরকার  যা কিছু শিখেছি তোমার দান অন্ধ চোখে যে  আলোর শীষ সমাজের চোখে নিত্য বান কবিদের কাছে আমিই বিষ। প্রথমিকার কাছে হারিয়ে বুক বিশ্বাস শুধুই অন্ধ দ্বার চেয়েছে কৃষ্ণ রাধার সুখ অথচ দেখেছি হাহাকার তুমি হতে পারো রাজনীতি কিন্তু ছলায় আবেক বধ মানুষের বুকে গড়েছ ভীতি মঞ্চে বলেছ আমিই সত !

কবি দেবব্রত সরকারের কবিতা "প্রেম করেছে খোঁজ"

ছবি
প্রেম করেছে খোঁজ দেবব্রত সরকার আর কতটা হওয়া যায় লাল যতটা ঠিক হবেনা তুমি চোখে তার চেওয় অনেক বেশি জাল বলকু ভালো নাইবলুক লোকে আমিতো বলি নির্ভেজাল কথা যার উপর ভরসা করে রাগ  মনের মধ্যে অপূর্ব বোধ গাঁথা বল আমাকে কোথায় লেগে দাগ মুছে দেওয়া উচিত ছিল স্বাদ মনের কথা আটকে গেছে রোজ মন বলেছে আমার হৃদে নাদ তোমার রূপে প্রেম করেছে খোঁজ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস টানাপোড়েন ২০৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ২০৫ মনোজের টেনশন মমতা রায়চৌধুরী কাল  সকাল সকাল স্কুলে যেতে হবে ওখান থেকে কলেজের অনুষ্ঠান ,তাই খামোখা মেজাজ বিগড়ে লাভ নেই ।শান্ত মনে ঘুমোতে যেতে হবে। তবে একটা কথা ঠিক এরা যত আমার সাথে লড়াই করবে আমার উপন্যাসের চরিত্র ততবেশি কার্যকরী হবে, কাহিনীর ঘনঘটা থাকবে । এ রা বুঝতেই পারছে না ,আখেরে আমারই লাভ হচ্ছে। তবুও এত তীর্যক বাক্যবাণ সত্যি বুকে বিঁধে যায়। কালবৈশাখী ঝড় দেখে তো প্রথমে ভয়ই লাগে এরপরই তো পৃথিবীতে বৃষ্টির ঝরনা হয়ে নেমে আসে। পৃথিবী শস্য-শ্যামলা হয়ে ওঠে , ধরিত্রীবাসী ও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তীব্র দাব, দগ্ধ থেকে। তাই রেখা ভাবল না ভয় নয়, বরং ধৈর্য ধরতে হবে। "ওরে মেঘ দেখে তুই করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে"। "আমাকে  সান্তনা দেবার একটাই পথ যে পৃথিবীতে সব মানুষ সমান হয় না। ধৈর্য ধরতে হবে ফল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। "ধৈর্য ধরো রেখা, ধৈর্য ধরো। মা বলতেন "সবসময় সৎপথে থাকবি সঠিক কর্ম করবি, দুঃখ বেশি আসবে, কিন্তু লাভ তোরই হবে?" এসব ভাবতে ভাবতেই আলমারিটা গুছাচ্ছিল  আর মনোজ এর উপর খুব রাগ হচ্ছিল। মনোজ আলমারি থেকে যে জিনিসটা নেবে সেট

সত্যের পথে ব্যথা

ছবি
সত্যের পথে ব্যথা দেবব্রত সরকার দুঃখ গুলোকে টাঙিয়ে রেখেছি গঙ্গানদীর তীরে তোমার মুখেতে শেষবার আমি দুঃখ দিয়েছি তুলে  তোমাকে তাকিয়ে দেখছে তখন হাজার মানুষ ঘিরে আমি হাড়গুর ভেঙে লুটিয়ে রয়েছি শয়্যার স্কুলে সকলের মাঝে চেয়ে তুমি ছিলে আকাশের দিকে একা  আমার বুকের মাঝেই তোমার মুখটা ভিজিয়ে রাখা কতবার তুমি ছুট্টে গিয়েছ নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে কষ্টগুলো সাজিয়ে গোপনে হেসে গেছ সম্মুখে দেখা  কেঁদেছ কষ্টে বুঝতে দাওনি একাই নিয়েছ শোয়ে এটাই তোমার চুপচাপ থেকে নিয়তির ঘরে বাসা সত্যের জোয়ারে তোমার দর্শন আমার হৃদয়ে বয়ে ফিরে এসো তুমি আবার জুড়াবো তোমার কোলেতে মাথা 

কবি দেবব্রত সরকারের কবিতা

ছবি
  হলুদ প্রেম প্রীতি দেবব্রত সরকার হলুদ রঙের জামা ছুঁয়ে আছে রোদ চোখের পলকে তুমি নিলে প্রতিশোধ আকাশ কখন থেকে চেয়ে আছে একা দেখেছো তোমার হৃদে প্রেম প্রীতি লেখা এসব আপন করে নিতে পারো যদি যেমন মনের আশা চোখে টল নদী হারিয়ে সবটা গেলো আজ ভাবা হলে পাবার এমন কিছু নেই কেন বলে  চোখের সামনে থেকে দূরে চলে গেলে মনের পর্দায় দেখা তুমি চলে এলে অবাক করেছে মন স্নেহবাসা দিয়ে তোমার চোখের জল বুক যায় নিয়ে এটাই আমার শেষ ভালোবাসা স্মৃতি অনেকে ভরসা করি রেখে প্রেম প্রীতি। কপিরাইট কবি দেবব্রত সরকার এর কবিতা