পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

bvn

LOVE

কবি শুভমিতা বিশ্বাস এর কবিতা

ছবি
সে কি জানে? শুভমিতা বিশ্বাস ঘর ভর্তি লোকের মাঝেও  যার দিকে তাকালে, নিমেষেই অভিমান বুঝতে পারি তাকে আমি নিজের প্রতিটা অঙ্গ ভাবি। সে কাদলে মনে হয়, পৃথিবীর সব নদীর জল  আমার বুকে এসে ধাক্কা মারছে আর সে হাসলে, স্বর্গের চেয়েও ওপরে উঠে যাই আমি! বাজার,দোকান,রাস্তায় একটু একা হলেই  তার ভাবনা আমার ভিতর রিনঝিন করে ঝরে যায়... তার শূন্যতাকে, আমি এক মুহুর্ত বইতে পারিনা সে কি জানে?

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৮

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৮) পরিষ্কার  স্থানে পাবে মুক্ত ঘ্রান রেখা আজ শীতের সকালের প্রথম আলোর স্পর্শ সারা শরীরে মেখে নিল। শ্বশুরবাড়িতে ব্যস্ততায় সূর্যের প্রথম আলোর স্পর্শ মাখার সুযোগই হয় না। আজ রেখা ভীষণ খুশি। মনের গভীরে এত খুশির মাঝে শুধুই উঁকি - নীল সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে  ইচ্ছে করছে, সারা মনটাকে নীল নীলাভ করে নিতে। এমন সময় শুনতে পেল ভোলা কাকা চেঁচিয়ে বলছে'ছোট বৌদি, ছোট বৌদি ,আজকে আমাদের গ্রামে না চাঁদের হাট বসেছে?' কাকিমা বললেন 'কেন রে কি হয়েছে? কোথায় বসেছে?' ভোলা কাকা বলল 'আরে বাবা, আমাদের মিলনের দোকানে।' কাকিমা অবাক হয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে খুন্তি হাতে বললেন  'কার দোকান ?মিলনের দোকান!' ভোলা বললো ' তাহলে আর কি বলছি তোমায়?' ছাদ  থেকে তরতর করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে রেখা সব শুনছে। কাকিমা বললেন  'কেন  রে মিলন কি করেছে?' রেখা মনে মনে ভাবল এই ভোলা কাকা হচ্ছে এবিপি আনন্দের রিপ

মমতা রায়চৌধুরী। ৬০

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন ৬০ চিন্তামুক্ত আজ সকাল থেকেই শরীরটা কেমন ম্যাচম্যাচ করছে মনোজের। মাথা তুলতে কষ্ট হচ্ছে। আজ রেখা যদি পাশে থাকতো? আজ খুব রেখার কথা মনে হচ্ছে। বাপের বাড়ী গেছে বলে আমাকে ভুলেই গেল। হঠাৎই  ফোন বেজে ওঠে। মনোজের ইচ্ছে করছে না ফোনটা তুলতে। আবার ফোন বেজে উঠল। এবার মনোজ বিরক্তির সঙ্গে ফোনটা রিসিভ করে বলল 'হ্যালো'। অপরপ্রান্ত থেকে কণ্ঠ ভেসে আসলো ' কি করছো?' মনোজ বুঝতে পারল রেখার গলা নয়, কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো। শরীরটা ভালো নেই বকবক করতে আর ইচ্ছে করছে না। শণি যেন মনোজের পেছন ছাড়ছে না। অপরপ্রান্ত থেকে আবার বলল'কি ব্যাপার উত্তর দিচ্ছ না যে?' মনোজ বললো ' কি উত্তর দেব?' তিথি বলল 'যা জিজ্ঞেস করলাম।' মনোজ বললো 'শুয়ে আছি।' তিথি বলল' কি ব্যাপার অফিস যাও নি।' মনোজ বলল  'না'। তিথি বলল  'যাক ,তাহলে

মমতা রায়চৌধুরী ৫৯

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন (৫৯) স্মৃতিমেদুর দিন গোধূলি বেলায় নদীর ধারে চারিদিকে সবুজের সমাহার ম্লান সূর্যের আলো জলের উপর পড়ে নানা রকম চিত্র অংকিত হচ্ছে ।আপন মনে রেখা চলে গেল সেই নদীর ধারে ।যেখানে শৈশব, বাল্য ,কৈশোর কেটেছে সেই স্মৃতিমেদুর জায়গায় গিয়ে বসেছে আজ রেখা। কত না বলা কথা রয়ে গেছে মনের অজান্তে। আজ বলতে ইচ্ছে করছে আকাশ বাতাস নদীকে সাক্ষী রেখে । নদীর ধারে বসে আপন মনে পাদুটোকে জলে ডুবিয়ে দিয়ে জলকেলি করতে করতে ভাবছিল ভুল করেছে বর্তমানের কথা বর্তমানে বলতে হয় ।কালকে বললে তার কোন মূল্য থাকে না ।শোনার লোকও থাকে না। মনের গভীরে শুধু থেকে যাবে প্রিয় মানুষকে বলার না বলা কথা। পরক্ষণে রেখা ভাবছেন কেন এসব ভাবছে রেখা। স্বামীর সংসার জীবনে ভালোই আছে। তবে তার মনে কি কোন ক্রাইসিস রয়েছে ,যার জন্য আজ বারবার তার শৈশব বিজড়িত গ্রামে এসে পুরনো দিনের কথা বেশি করে মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ব

মমতা রায়চৌধুরী। ৫৭

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" টানাপোড়েন (৫৭)  'জিহুড়' বাপরে বাপ আজকের বিকেলটা যা কাটলো। রেখা কিছুতেই ভুলতে পারবে না। মনের ক্যানভাসে সারাজীবনে আঁচড় কেটে যাবে। বাড়িতে ফিরে এসে কাকুর কাছে বসে বসে রেখা এসবই ভাবছিল।  হঠাৎই কাকু বললেন  'কি রে ননী ? আজকে তো তোর গ্রাম ঘোরা হল না।' রেখা বলল  'দূর কাকু, তুমি ছাড়ো তো ।আজকে কাকিমা যে কাজটা করেছে ,সত্যিই প্রশংসনীয়। স্যালুট জানাই কাকিমাকে?' কাকু বললেন  'কেন রে ,তোর কাকিমা কি করেছে এমন?' রেখা বললো ' কি করে নি সেটা বলো?' কাকু বললেন  'তাহলে বল শুনি?' রেখা বলল ' ডিটেলসে বলব না ।শুধু এইটুকু জানো কাকিমার মতো নারী যদি এইরকম গ্রামে আরো দুজন চারজন থাকে বা প্রতি বাড়িতে থাকে তাহলে কিন্তু সেখানে অন্যায় কাজ কিছুতেই হতে পারবে না ।মানবিকতার চরম বিকাশ ঘটবে, মনুষ্যত্ব অপমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচবে?' কাকু বলল

gcn

LOVE d

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৬

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৬) মানবিকতা মীনাক্ষী কাকিমার রণরঙ্গিনী মূর্তি দেখে রেখা আশ্চর্য হয়ে গেছে। কাকিমার ভেতরে রেখা শুধুই অপার স্নেহ ভালোবাসা আর ক্ষমার এক মহা সমুদ্র দেখতে পেয়েছে ,সেখানে যে প্রতিবাদী, মারমুখী মূর্তি লুকিয়ে থাকতে পারে ?আজকের লালদার  হাত থেকে বুলু জেঠিমাকে বাঁচানোর এরকম সহৃদয়তার, মানবিকতা র প্রকাশ ।সত্যিই প্রশংসনীয়। কি আশ্চর্যের ব্যাপার কাকিমা বুলু জেঠিমাকে যা বলছে তাই শুনছে। একটু খাবার নিয়ে কাকিমা বলু জেঠিমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে কাছে গিয়ে বললেন''আমার লক্ষী দিদি 'এই খাবারটুকু একটু খেয়ে নাও।'বুলু জেঠিমা কি করুন দৃষ্টিতে কাকিমার দিকে তাকালেন ।তারপর মাথা নেড়ে না করতে লাগলেন।কাকিমা বললেন' কেন তোমার খিদে পায় নি?'বুলু জেঠিমা মাথা নিচু করে থাকলেন। কাকিমা আবার বললেন  'তোমার খিদে পেয়েছে একটু খাও।'বুলু জেঠিমার ভাব ভঙ্গিতে মনে হল খিদে পেয়েছে ।কিন্তু সাহস পাচ্ছেন না খেতে।একবার এদ

ccfb

LOVE

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা

ছবি
   এ কটা পাখির জন্য এই রাত   একটা পাখির জন্য এই রাত এই মাত্র হুইসেল বাজিয়ে যে বাসটি বেরিয়ে গেল অন্ধ দাঁড়কাক, অর্ধমৃত কাচের সিঁদুর আর নোংরা গলির খানাখন্দে পড়ে থাকা পানের পিক তার তোয়াক্কা করে না আসলে সব আলো কুরেকুরে  অন্ধকার গিলতে থাকে আর প্রতিটা অন্ধকারের গভীরে সকাল বিকেল সন্ধ্যে নিয়ম করে ফুঁসে ওঠে                 চিরন্তন দোজখ।

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
রক্তিম সূর্যের দেশ ধরেত্রির বুকে বিশ্ব মানচিত্রে আঁকা স্বাধীন এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। উন্নত শির লক্ষ প্রাণের স্মৃতিসৌধের স্বাধীন এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। বীর শহিদের আত্মত্যাগের শহিত মিনারের স্মৃতিস্তম্ভের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। অমুর একুশ,৭১-এর ফাগুন রাঙা ফুল শিমুলের, শাপলা ঝিলের সজ্জিত এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। ইলশে মজা পান্তা ভাতের, বর্ষবরণ হাল খাতার, নবান্ন উৎসবের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। মুক্ত বাতাসে উড়ন্ত লাল সবুজ পতাকার এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। ময়ুর পঙ্খী হাওয়ার পাল তোলার নৌকার নদীর দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। দোয়েলের মুখে মিষ্টি সুরের গানের এই দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ। পূব আকাশে উদিত রক্তিম সূর্যের উজ্জ্বল রঙের এই দেশ, আমার প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

শামরুজ জবা

ছবি
দীর্ঘশ্বাস   পড়ে আছে আকাশ একা সীমানাহীন অন্ধকার, নীরব-নিথর মাটির বুকে শব্দবিহীন হাহাকার।  ব্যথার ফাঁদে বন্দিনী চাঁদ বুকের ভাঁজে দীর্ঘশ্বাস, সবুজ ঘিরে ফুল- ফসলে কুহেলিকার উপহাস।  ঝরছে পাতা শাখা থেকে কেউ রাখে সেই খবর, কত হাসি চোখের পাতায় কান্না জলে দেয় কবর।  এই পৃথিবী চলছে শুধুই স্বার্থবাদের ব্যঞ্জনায়, মহাকালটা সাঁতার কাটে রক্ত নদীর মোহনায়। যাচ্ছে তবু কালের চাকায় সময় ছুটে ঊর্ধ্বশ্বাস, নিঃসঙ্গতায় বুকের ভেতর আমার জমে দীর্ঘশ্বাস।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৫

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে...   টানাপোড়েন ( ৫৫ ) সমানুভূতি 'আ.আ.আ. মেরে ফেলল'-পাশের বুলু জেঠিমাদের বাড়ি থেকে  চিৎকারটা আসছে। রেখা ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল। হন্তদন্ত হয়ে ছাদ থেকে নেমে এসে ডাকতে শুরু করলো,  'কাকিমা, কাকিমা ও কাকিমা?' কাকিমা রান্নাঘর থেকে গলা বাড়িয়ে বলল  'কি হল রে ননী।' রেখা বলল 'তুমি এখনো রান্নাঘরে?' কাকিমা বললেন  'আর বলিস না সাড়ে তিনটে বাজে। এখনো তো লক্ষী আসলো না?' রেখা বলল'তাই বলে তুমি এখন বাসন মাজতে বসবে?' কাকিমা বললেন'না মেজে উপায় আছে? সকাল হোলেই তো বাসনের দরকার হবে।' রেখা বলল ' তাহলে তুমি আমাকে বলতে পারতে?' কাকিমা বললেন'না ননী ,তোরা শ্বশুর বাড়িতে কত কাজ করিস। বাপের বাড়িতে এসে একটু রেস্ট নিবি না।' রেখা বলল  'যদি মেয়েরা বড় হয়ে মায়েদের কাজেই না লাগে ,তাহলে কি ভালো দেখায়?' কাকিমা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে  চিবুক  ধরে আদর করে বললেন  'লক্ষী মেয

এপার ওপার ইছামতী

ছবি
২৮ নভেম্বর  ২০২১ মহাবোধি সোসাইটি হলে  উদযাপিত হলো এপার ওপার ইছামতী পত্রিকা  শঙখ ঘোষ  সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠান।  প্রধান অতিথি ছিলেন কলকাতা  বিশ্ববিদ্যালয়ের  স্বনামধন্য  অধ্যাপক  ড. সনৎকুমার  নস্কর।  সভাপতিত্বে ছিলেন লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির  প্রতিষ্ঠাতা  চালক শ্রী সন্দীপ দত্ত  মহাশয়।  এবারের পত্রিকা  সংখ্যাটি ২০২১ বৈশাখ  ও শারদ যুগ্ম সংখ্যা। কবি শঙখ ঘোষ  সম্পর্কিত অজস্র  প্রবন্ধ এবং গল্প কবিতা আনমনে পর্যায়ের লেখায় সমৃদ্ধ। অনুষ্ঠান টিও অত্যন্ত মনোজ্ঞ ছিলো। মুখ্য সম্পাদক শ্রীমতী চৈতালী ব্রহ্মের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে  কবিতাপাঠ  আবৃত্তি গানে ভরে উঠেছিলো এই সন্ধ্যাটি।  পত্রিকাটি এরপর পাওয়া যাবে ধ্যানবিন্দু কলেজ স্ট্রীটে। এছাড়া এই ফোন নম্বরে ফোন করলে কলকাতা ও কলকাতার বাইরে কুরিয়ার ও হবে। 

আইরিন মনীষা

ছবি
নিঃসঙ্গতা  আজ কতদিন হয়ে গেলো  একাকীত্বের সাথে আমার নির্লিপ্ত বসবাস যেখানে ধুসর বিবর্ণ আকাশের হাতছানি  এভাবেই বেদনায় আশাহত অন্যায্য সহবাস।  রঙ্ধনুর সাত রঙ আজ বড়ই ফিকে যেখানে আর রাঙেনা আমার অধরা স্বপ্নের পালক, একসাথে পথ চলার সেই আকাঙখিত আশার প্রতীক্ষায় নিঃসঙ্গতার পথ চলায় আমিই আমার চালক।  নগ্ন পায়ে শিশিরের সাথে স্পর্শ  যেখানে ছিলে তোমার অবাধ বিচরণ,  বিমুগ্ধ নয়নে আমার হাত দুটি ধরে হাঁটতে শিহরণে যেথায় তোমাতেই চাইতাম বাঁচতে।  বাদল দিনের রিমঝিম ছান্দিক বারিধারায়  কি দারুণ এক সুখানুভুতি হাতছানি দিতো, যেথায় আমার আরাধ্য হারানো দিনের গান বাজতো গ্রামোফোনে যেথায় আমার মন কেড়ে নিতো। বসন্তের মাতাল সমীরণে সেই উদ্দীপনা  এখনো আমায় কাছে টানে একান্ত একাকীত্বে ভুলা কি যায় তারে মধুময় স্মৃতি মাখা ক্ষণ আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গী তব বিরহী বিস্মৃতির   সম্ভিতে।

bxcv

LOVE

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩২

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"    বনফুল ৩২ পর্ব জুঁই বাসায় ফিরে হাত মুখ ধুয়ে বাবা-মায়ের  সাথে ঘন্টা খানেক বসে কথাবার্তা বললো। ওয়াজেদ সাহেব মেয়ের খুশি দেখে ভিতরে ভিতরে নিজেও খুব খুশি হলেন । ঘড়িতে দশটা বাজতেই জুঁই ময়নাকে ডেকে বললো খাবার পরিবেশন কর।ময়না ওভেনে সব খাবার গরম করে পরিবেশন করে বললো আপা, খালাম্মা খালুকে নিয়ে টেবিলে আসেন।বাবা-মার সঙ্গে খাওয়া শেষ করে গুডনাইট বলে জুঁই উপরে উঠে গেলো।  নিজের কিছু কাজকর্ম সেরে পলাশকে ফোন করলো জুঁই। ওপাশ থেকে পলাশ বললো আই মিস ইউ..... জুঁই।  সেম টু ইউ...বলে  জুঁই বললো আজ আর বেশি কথা বলবো না, ঘুমাবো....।  আমি ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তুমি চিন্তা করতে তাই ভাবলাম ফোন দিয়ে ঘুমাতে যাই।  পলাশ বললো থ্যাংকস জুঁই, গুডনাইট। জুঁই ও বললো গুডনাইট।  ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে সৈকত। সব বন্ধু বান্ধবরা এসে ভীড়  করে মিষ্টি এবং অন্যান খাবার খেয়ে যে যার বাড়িতে চলে গেলো। বাড়িতে মেহমানরা থাকার কারনে সৈকত আর ফোন দিতে পারেনি অহনাকে। ভীড়  কমার সাথে সাথেই সৈকত নিজেন রুমে ঢুকে অহনাকে ফোন দিলো। স্য

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা-শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ২২) শামীমা আহমেদ  শায়লার সাথে পরিচয়ের পর থেকেই শিহাবের মনে কেমন যেন একটা পরিবর্তন হয়ে যায়।কোলাহল হৈ চৈ বন্ধু আড্ডা পার্টি কিছুতেই আর ভাললাগাটা আসেনা। নীরবতাই বেশি উপভোগ করে। কেমন যেন সঙ্গীহীন জীবনে একাকীত্বের কষ্টটা পেয়ে বসেছে।একটা না পাওয়া বোধের অনুভুতি সারাক্ষন  ভেতরে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। শিহাব বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে।হঠাৎ করে শায়লা যেন তার হৃদয়ের শান্ত দীঘিতে কিসের আলোড়ন তুলে দিলো! ঘুমন্ত মনটাকে জাগিয়ে তুললো। সে তো ছিল একরকম।সব স্মৃতি ঢেকে রেখে স্বাভাবিক জীবনে চলছিল। কিন্তু আজকাল ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলোও মনের অনুমতির কাছে ঘুরপাক খেতে থাকে।কতদিনের অভ্যস্ত জীবনযাপনে কেমন যেন পাল্টে যাওয়ার হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। দিনরাত্রি  অন্যরকম একটাভাবনায় ডুবে থাকা। যেখানে বারবার শায়লার মুখটাই ভেসে উঠে! ঘুরে ফিরে শায়লার কথাগুলোই কানে বাজে। রিশতিনার সাথে হাতে গোনা কিছু দিনের জীবনযাপন। রিশতিনার সবটুকু বুঝে উঠার আগেই সে হারিয়ে যায়।তারপর বহুদিন আর কোন মেয়েই তার ভাবনায় আসেনি।জীবনের উপর এমন ঝড় বয়ে যাবে তা কখনো শিহাব ভাবেনি।মা, ভাবীর শত চেষ্টাও তার মনকে ভুলাতে পারেনি।কিন্তু শায়লার

রাবেয়া পারভীন

ছবি
স্মৃতির জানালায়  ( ৫ ম পর্ব) মেয়েটি উচ্চকন্ঠে ডাকল, - বাবলু এই বাবলু ডাক শুনে একটি আট নয় বছরের ছেলে এসে ঘরে ঢুকল।ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বোঝা গেল ছেলেটি  মেয়েটির ভাই। কাছে এসে ছেলেটি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল   - কেন ডেকেছো আপা ? - কাজেম কো বলো আমাদের কে চা নাস্তা দিতে। -আচ্ছা বলে বলে ছেলেটি বেরিয়ে গেল। মাহতাবের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল - আব্বা এলে যে আপনার কথা বলব,  আপনার নামটাই তো জানা হলোনা। আবার ঢোক গিলে মাহতাব -আমার নাম মাহতাব উদ্দীন।  - আমার নাম শবনম।  আপনি কোথায় থাকেন ?   -বকসীবাজার  মেসে থাকি। -গ্রাম থেকে এসেছেন বুঝি ? -হ্যাঁ  - কে কে আছেন  বাড়ীতে ? - বাবা  আর দুই বোন। -আর মা ?   - মা নেই ,  অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বলতে গিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো মাহতাবের। এতক্ষনে তাঁর মনে হলো বুকও বুঝি শুকিয়ে  যাচ্ছে। আস্তে  করে বলল -আমাকে  এক গ্লাস  পানি দিবেন ?  - এক্ষুনি আনছি। শবনম উঠে পানি আনতে গেল  এবং ফিরে এলো কাজের ছেলেটিকে সাথে  নিয়ে। ছেলেটির হাতে নাস্তার ট্রে। শবনম  ট্রে  টা নিজের হাতে নিয়ে মাহতাবের সামনে  টি টেবলের উপর রাখলো। কাজেম কে বলল  - কাজেম তুই শিপলু বাবলু কে  ডেকে নিয়ে  আয়

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৫৪

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কথা  নিয়ে  কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   "   চলবে... টানাপোড়েন (৫৪) মনজানলা                                                                           বৃ ষ্টিটা কমাতে একটু হাঁফ ছেড়ে যেন রেখা বাঁচল। অথচ এই বৃষ্টির জন্য এক সময় আকুলি- বিকুলি করতো। এখনো মাঝে মাঝে মন আনচান করে।অনেকদিন পর গ্রামে এসে এই বৃষ্টি যেন সবকিছু মেচাকার করে দিচ্ছে। মনে পড়ে একবার বৃষ্টির সময় ঘোষদের বাড়িতে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দুই বোনের পুজো হত মানে কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী পূজোর সঙ্গে সঙ্গে সরস্বতীর ও বন্দনা হ'ত । ছেলে মেয়েদের ভিড় জমত। এ রকমই একবার সরস্বতী পূজার অঞ্জলি দিতে ঘোষ বাড়িতে গেছিলো রেখা।সেখানে অন্যান্য ছেলেদের মতো নীলুও গেছিল। নীলু তো যাবেই ,যেখানে রেখা গেছে। বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই বৃষ্টি ।বড় আমগাছটার নিচে আশ্রয় নিয়েছিল দু'জনা। সেদিন যেন মনে হচ্ছিল বৃষ্টিটা না থামলেই ভালো হয়। নীলু বলেছিল ' হ্যাঁ ,রে ।তুই তো ভিজে গেছিস? তোর ঠান্ডা লেগে যাবে। এক কাজ কর তুই আমার শার্ট টা

fgzgg

LOVE

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩১

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"    বনফুল ( ৩১ তম পর্ব )                                                                জুঁ ই পলাশ শহর থেকে একটু দুরে আশুলিয়ায়....  অনেক নিরিবিলি দেখে একটা গাছের নিজে বসলো । জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া কীভাবে এতো দিন থাকব জানিনা, পলাশ বললো জুঁই এতো কোথায় মাত্র দুই বছর!  জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া একেক  দিন মনে হয় একেকটা বছর.......! পলাশ জুঁইয়ে হাত ধরে বললো জুঁই তুমি এখনি এতো চিন্তা করছো কেন?  আমরা প্রতিদিন ফোনে কথা বলবো তো নাকি! তবুও জুঁইয়ের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে....  পলাশ আস্তে করে জুঁইয়ের মাথা বুকে ধরে চোখের পানি পলাশের হাত দিয়ে মুছে দিয়ে বললো জুঁই তুমি যদি এতো অবুঝ হও তাহলে আমি এদেশের কোনো ভার্সিটি থেকে এমবিএ করে নেব,তোমাকে কোনো রকম কষ্ট দিতে পারবো না। পলাশের মুখে এমন কথা শুনে জুঁই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো, কি যে বলো আমার কোনো কষ্ট হবে তুমি বিদেশ থেকেই  এমবিএ করবে, তুমিইত বললে প্রতিদিন আমরা ফোনে কথা বলবো.... পলাশ বললো হে বলবো তো। জুঁই পলাশের বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ব