পোস্টগুলি

এপ্রিল ১৮, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মহুয়া চক্রবর্তী এর কবিতা "পরিচয়"

ছবি
পরিচয় মহুয়া চক্রবর্তী   আমি কে কিবা আমার পরিচয় সারাজীবন ভেবেই মরলাম  কি আছে আমার বিষয়-আশয়। এই মানবজমি জ্ঞানের অভাবে  অজ্ঞানেতেই রয়ে গেল তিল তিল করে এবার  যাবার সময় যে ঘনিয়ে এলো। যতই আমি আমার আমিকে  খুজেঁ মরি শত মানুষের ভিড়ে ততোই আজ একাকিত্ত এসে ভিড় করে আমার মনের ঘরে। আমি যেন এক আঁধারের পথে  হেটে চলেছি বহুকাল ধরে আজ আর কেউ সঙ্গী নেই  আমার হাতদুটো ধরবার।  নিজের অহং ত্যাগ করো একটি বার ভাবো টাকা-পয়সার রূপের ছটা কিছুইতো স্থায়ী নয় একদিন এই মানব দেহ মাটিতেই বিলীন হয়।  মানুষ হয়ে এই পৃথিবীতে জন্মেছিলেম আমি আজ মান আর হুশ ভুলে আমার আমি'তে মত্ত হয়েছি আমি।  জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো এবার নিজের মনের মাঝে, প্রভুর নাম স্মরণ করো ও মন তুমি সকাল সাঁঝে। তবেই তুমি হবে পার এই ভবসিন্ধু হতে এক টুকরো সাদা কাপড় ছাড়া কিছুই যে যাবেনা তোমার সাথে।

মমতা রায় চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫৬ সমস্যা মমতা রায় চৌধুরী বাড়িতে ফিরে রেখার তখনো ঘোর কাটেনি। উত্তেজনা টা যেন রয়েই গেছে। মনোজ বলল'উফ কি ভালো খেলাম রিম্পাদির বাড়ি।' রেখা কোন কথার উত্তর দিচ্ছে না বলে মনোজ আবার বলল'কি ভালো খেলাম বলো রিম্পাদির বাড়ি?' হ্যাঁ, রিম্পা দি এরকমই। 'বড়ো আন্তরিক তাই না?' 'একদমই তাই।' 'মানুষটাই অন্যরকম।' রেখা হঠাৎ করে জানলার কাছে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে উঠলো "ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে..।' বাববা ,রাত্রিতে তুমি হঠাৎ  গান শুরু করলে যে?' 'মনেতে পুলক তাই মশাই।' 'ও তাই?'বলেই মনোজ রেখার দিকে এগোতে লাগলো। রেখা বলল' ভালো হবেনা কিন্তু। ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকো।" মনোজ বললো কেন কেন কি সুন্দর ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে, ঝরঝরে মেজাজ, খেয়ালী মন বলেই রেখাকে বাহু বন্ধনে জড়াল। রেখা বলল-'হঠাত তোমারই  বা মনে এত প্রেম জেগে উঠল কেন?' মনোজ হেসে রেখার গাল দুটোকে ধরে একটু আদর করে দিয়ে বলল'বসন্তের মধুমাস না তাই?' 'হ্যাঁ ,হ্যাঁ বুঝেছি।' 'বসন্ত চলে যেতে বসেছে বুঝেছ মশাই।' 'সে যাক। তবে আমাদের কা

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা "মায়ের কোল"

ছবি
মায়ের কোল সেলিম সেখ ওই দেখো খোকন সোনা মায়ের কোলে বসে, বলছে সে অনেক কিছু আপন-মনে খুশে। মিষ্টি মধুর চেহারা তার জুড়াতো মায়ের কোল, মা হীনা আঁখিতে তার আসতো দুখের জল। মায়ের কোলে মাথা রেখে পেত সে চিরসুখ, মা যে নেই এখন রয়ে গেছে তাই দুখ। দুঃখ ভরা জীবন নিয়ে  চলে সমুখ পানে,  মা হীনা জীবন যে তার  দুর্বিষহ তা জানে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৩

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৩) শামীমা আহমেদ   খুবই অনিচ্ছা সত্বেও শিহাব দোতালার হাসান সাহেবকে তার ঘরে প্রবেশের জন্য স্বাগত জানালো। যদিও এই মূহুর্তে শিহাবের মনের সবকিছু ভীষণ এলোমেলো  হয়ে আছে তবুও সামাজিকতা মেনে হাসান সাহেবের সাথে কিছু কথা চালিয়ে যেতে হবে। বিল্লাল খাবারের ট্রে  ডাইনিং টেবিলে রাখলো।  হাসান সাহেব বিল্লালকে তার  খাবার নেয়ার জন্য বাসায় যেতে বললে বিল্লাল বিদায় হলো। এবার শিহাব, হাসান সাহেবকে উদেশ্য করে বললেন, এসবের কী দরকার ছিলো ?  আর আমি একা মানুষের জন্য এত খাবার ! এবার যেন হাসান সাহেব তার মনোবাসনা প্রকাশের একটা মওকা পেলো। খুবই বিগলিতভাবে বললেন, না,  না,এ আর এমন কি।আজকের সামান্য আয়োজন। প্রতিদিন তো আর এমনটা হয়না। সামান্য আয়োজন ! শিহাব অবাক হলো, এই যদি হয় সামান্য আয়োজন তবে অসামান্য বলতে কী বুঝবো ? শিহাব শুনেছে, হাসান সাহেব একটা ওষুধ কোম্পানীতে চাকরী করেন।স্বল্প বেতনভোগী হলেও নানান হাসপাতাল আর ডাক্তারদের সাথে তার দারুন সখ্যতা।সবার সাথেই কমিশন পাইয়ে দেয়ার আর নিজের পকেটে ভরার লাইনঘাট তার ভালই জানা। ছেলেকে একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াচ্ছে যা ভীষণ ব্যয়বহ