১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সময় উৎসব দেখে

মুন চক্রবর্তী

ফুলের পাপড়ি জানে মন্ত্রের মুগ্ধতা শিখাতে পারেনি ।
জল সঙ্গমে মিশে পেয়েছে চিতা ভস্ম সেই জীবন ।

নীলাচল থেকে গঙ্গার কল্লোলে পদ্মা মেঘনার
ভাটিয়ালি  ৠতুর আড়ম্বরে দিগন্ত মাতিয়ে কবিতা লেখে পাতা সাজাই
গানের তরণী বেয়ে পৃথিবী ঘুরে নিজের ঘর চিনি না ।

মোমবাতির শরীর পুড়ে শান্তির ডাক পাঠাই
শান্তির দূতকেই মেরে খাই
কতো ধর্ম জাত বিচার করে
নিজেকে অবিচারে রাখি ।
পোষ্টমর্টেম দেখে  চোখের জল মুছে নৃশংসতার রক্তে
ভাসাই ।
সময় উৎসব দেখে প্রকৃতির কাছে হাত পেতে অবজ্ঞায় ছায়ানীড় কেটে ফেলি ।
ভূমিকম্পে মঙ্গল শঙ্খধ্বনি
মঙ্গলদীপ হৃদয় থেকে জ্বালিনি ।
আড়ম্বরে যতো উৎসব নগ্ন মিছিলে তপোধ্বনি দেয় ।
বৈরাগ্য  বাউল  ফকির
একতারা দোতারায় সময় উৎসব দেখে জোড়াশাঁকো চুরুলিয়ার প্রস্রবনে
সময় উৎসব দেখে যতো অহংকারে মহান মিলনস্রোত
সময় উৎসব দেখে ক্লান্ত হয়নি সময়
মিলন বাসর সাজে ৠতুর পূর্ণ অবগাহনে
ফিরে ফিরে আসে জন্ম কথা
সময় উৎসব দেখে রামধনু
নক্ষত্ররাজি মৃত্যুরে পিছনে রাখে ।
উৎসব সেজেছে হাজার কবির ভুবন দেখে
সকালের পাখি আজও জীবনের স্বরলিপি গায় ।

আগুন করা সুখ

সুব্রত হাজরা


কীভাবে ভাবতে পারলে -
এতই সহজে তোমার বস্যতা  স্বীকার করে নেব  ?
ভুলে গেছো-
নাকি
ভুলতে চায়ছো সুরেলা দুপুরের সেই সব অভিমান।

এখনও আমার তপ্তঘামে খুঁজে পাবে
ইলেভেনের সেই কিশোরটি ।
যে হার মানতে শেখেনি কোনও দিন
কিন্তু আজ সে হারিয়ে গেছে মহাকালী পাঠশালার পথে
যেখানে সে লিখেছিল পাকুড় পাতায় বার বার তোমার নাম।

নই আমি কোনও জনজাতির হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি, কিংবা শরীরী দিব্য সঞ্চালন।
ধারাপাতের মতো সখ্যতায়
দূরন্ত শিশুর আঁকড়ে পড়া কবিতায় শুধু আপন করেছি মাত্র।

আসুক না বৃষ্টিমুখর রাত
শেষ ভাদ্রের করতলে এনে দেবো তোমার আগুন করা সুখ।

প্রেম একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া 

সামিরুল মণ্ডল

স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ঢেউয়ে আবেগী নৌকাবিলাস
বিবর্ণ হৃদয়ের প্রচ্ছায়ার মতো ম্রিয়মান সঞ্চিত নীরবতা। 
পিপাসু মনে আকুল করা বিশুদ্ধ অভিযোজন
সৃজনেসু প্রিয় বাতাস বয়ে আনে তোমার সোঁদা গন্ধ
চিত্রলিপিতে ফুটে ওঠে সেই উর্বরমুখ।
ঠিক তার বিপরীতে;
অস্তিত্বের অবস্থান খুঁজতে গিয়ে সব অনুভূতি পালিয়ে যায়।
আঁধারের বুকে জ্যোৎস্নারা লুকোচুরি খেলে
তবু অপেক্ষায়...........
ছিন্ন প্রেমের বন্ধনে x,y এর মান খুঁজতে খুঁজতে মনে হয়......
প্রেম একটি রাসায়নিক  বিক্রিয়া।