মুন চক্রবর্তী
ফুলের পাপড়ি জানে মন্ত্রের মুগ্ধতা শিখাতে পারেনি ।
জল সঙ্গমে মিশে পেয়েছে চিতা ভস্ম সেই জীবন ।
নীলাচল থেকে গঙ্গার কল্লোলে পদ্মা মেঘনার
ভাটিয়ালি ৠতুর আড়ম্বরে দিগন্ত মাতিয়ে কবিতা লেখে পাতা সাজাই
গানের তরণী বেয়ে পৃথিবী ঘুরে নিজের ঘর চিনি না ।
মোমবাতির শরীর পুড়ে শান্তির ডাক পাঠাই
শান্তির দূতকেই মেরে খাই
কতো ধর্ম জাত বিচার করে
নিজেকে অবিচারে রাখি ।
পোষ্টমর্টেম দেখে চোখের জল মুছে নৃশংসতার রক্তে
ভাসাই ।
সময় উৎসব দেখে প্রকৃতির কাছে হাত পেতে অবজ্ঞায় ছায়ানীড় কেটে ফেলি ।
ভূমিকম্পে মঙ্গল শঙ্খধ্বনি
মঙ্গলদীপ হৃদয় থেকে জ্বালিনি ।
আড়ম্বরে যতো উৎসব নগ্ন মিছিলে তপোধ্বনি দেয় ।
বৈরাগ্য বাউল ফকির
একতারা দোতারায় সময় উৎসব দেখে জোড়াশাঁকো চুরুলিয়ার প্রস্রবনে
সময় উৎসব দেখে যতো অহংকারে মহান মিলনস্রোত
সময় উৎসব দেখে ক্লান্ত হয়নি সময়
মিলন বাসর সাজে ৠতুর পূর্ণ অবগাহনে
ফিরে ফিরে আসে জন্ম কথা
সময় উৎসব দেখে রামধনু
নক্ষত্ররাজি মৃত্যুরে পিছনে রাখে ।
উৎসব সেজেছে হাজার কবির ভুবন দেখে
সকালের পাখি আজও জীবনের স্বরলিপি গায় ।