পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৭, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মধুমিতা রায়

ছবি
  অপেক্ষা   প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে একটি মেয়ে। তিরিশ বছর আগেও ছিল আজও দেখলাম সে দাঁড়িয়ে। কেমন করে হয়! চোখে তেমনি অপেক্ষা আঁকা তেমনি ছটফটানি শরীরী বিভঙ্গে তেমনি হঠাৎ আনমনা। তিরিশ বছর পরেও প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি কিচ্ছু বদলায়নি, সংখ্যাদের টুকরো টুকরো করে সে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে অপেক্ষায়।

পরাণ মাঝি

ছবি
জয় হোক সব-ই তার নীল আকাশে কত তারা খসে যায় চোখের পলকে অষ্টাদশী চাঁদ ডুবে গেলেও ডেকে যায় তেমন ঝলকে। যাকে ভালোবেসে করি হৃদয় বিনিময়  ব্যাথাতুর এ ভাঙা হৃদয় -- সেটাই সব চেয়ে বড় সত্য। হোক না পতন তার  যুগ যুগান্তর ধরে ভাবি জয় যেন হয় সবই তার।

মোফাক হোসেন

ছবি
এমন করে বলো না! এমন করে বলোনা আমি পারবো না নীড় হারা পাখি আজ‌ও ওড়ে ছায়ার বুক চিরে নদী তীরে, শবের খোঁজে। চাঁদ ডানা মেলে জড়িয়ে ধরে পৃথিবী রাত জাগা সূর্যের আড়ে, গন্তব্য স্থানে ছুঁটে চলে ট্রেন ফুটন্ত ভাতের শহরে....... এমন করে বলোনা, আমি পারবো না! পরিযায়ী শ্রমিকের রক্ত স্নাত পথ ভেঙে  জলের উঠোনে বিষণ্ণ রোদ আছড়ে পড়ে। পুরোনো বিছানা নতুন করে বিছিয়ে শুবে আহত ইতিহাসের কলঙ্কিত পাতায়, এমন করে বলোনা........।

আবদুস সালাম এর দুটি কবিতা

ছবি
দেশ প্রেমিক কথা বলতে ভয়ে মরি দলে দলে মহল্লায় শকুন নামে স্নান সেরে নিচ্ছি বিষন্ন রোদে আমরা নগ্ন হতে চাই এরপরে আর কিছু আছে? ডুবন্ত পৃথিবীর আবেগ আন্দোলিত হয় চোখের সামনে খেলা করছে রক্তাক্ত  ভারত মৃত্যুরং এর টিপ পড়েছি কপালে মৃত্যুতরঙ্গের ওপর ভেসে আসছে দীর্ঘ শ্বাস রং এর উৎসব প্রত‍্যাশা আবদুস সালাম হেমন্তের কুয়াশায় লেপ্টে আছে ব‍্যর্থ কথা চিলের ডানায় লেখা তার রক্তাক্ত  আহ্বান অতীত কথা বুনে চলেছে পরিশ্রমী শালিক জীবনের ধার গেছে ক্ষয়ে শিশিরজল ভরে চলেছি ক্লান্ত থালায় বাঁকা চোখে তাকিয়ে দেখি রাতের যন্ত্রণা ছেঁড়া মানচিত্রের উপর পড়ে আছে জীবনের আহ্লাদ পাঁজর ছিঁড়ে লিখে দিলাম ভালোবাসার চিঠি 02/11/2019

সোহেল রানা'র গল্প

ছবি
  শিক্ষিত বেকার যুবক  (উৎসর্গ- নুসরাৎ জাহানকে) আজ  পিয়ার বিয়ে। পিয়া পড়নে আছে বিয়ের সাজানো গোছানো নতুন বেনারসী শাড়ি। হাতে রুলি ও কাঁচের চুড়ি। আমার দেওয়া চুড়ি ও আংটি টা তার  হাতে ও আঙুলে নাই। এখন শুধু নতুন মানুষের সব নতুন জিনিস পড়ে খুব ভালো লাগছে। তার থেকে বেশি ভালো লাগতো পিয়া  যদি আমাকে ভুল না বুঝে, আমাকে বিয়ে করে – আমার হয়ে থাকতো। “এখন শুধু পথ চেয়ে আছি পিয়া তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, ফিরে এসো পিয়া “।   আরে  মামা খবর কি? কিছু খবর নাই রে, কেন মামা? আর বলিস না ম্যামের ক্লাস করতে করতে একটা নতুন মেয়েকে ক্লাস করতে দেখলাম। মেয়েটা তোর সাথে ভালো মানাবে, প্রেম- টেম কর। না মামা আর প্রেম, বেশিরভাগই মেয়ে যতক্ষণ প্রয়োজন আছে ততক্ষণ ভালোবাসবে, তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিবে। চা খেয়ে চায়ের কাপটা যেমন ছুঁড়ে ফেলে দেয়, তেমনই ফেলে দিবে। মামা এটা বিশ্ববিদ্যালয় নোটস নেওয়ার জন্য তোমাকে জানের থেকে বেশি ভালোবাসবে। চলো ক্যান্টিনে কিছু খেয়ে আসি।  পিয়া ওইদিকে দেখ দুটো ছেলে বসে আছে ছেলেটাকে চিনিস,আরে আমি তো নতুন কি করে চিনবো বল, চল তোর সাথে পরিচয় করিয়ে দি,না রে পরে করে নিবো। কোনটা ওই মোটাটা,না র

রিনাৎ সুলতানা

ছবি
ধাপ্পা  সোনার অঙ্গ জড়াইছো মনু  পরের বসন দিয়ে,  ভাবখানা এমন, ভাজা মাছ ও খাওনা যে উল্টিয়ে! উঠতে বসতে সূর্য দেখো  আকাশ পেলে কই,  সব ভুলে আজ পেতেছ মনু চাঁদের সাথে সই।   তোমার দেশের লতায় পাতায়  কতই না ফুল ফোটে! ছলচাতুরী করেই তবে তোমার  কপালে অন্ন জোটে!  মেঘবালিকা, জ্যোৎস্না দেখাও  নেইযে কিছু বাকি,  যতই দেখাও আকাশ, বাতাস সবই তোমার ফাঁকি।   জাতপাত কি পিঠে থাকে  লেখা পোষ্টারে? জন্তুর মতো মুখটা তোমার কুৎসিত অন্তরে।  সুযোগ পেলেই জায়গামতো  লাগিয়ে দিবা কদু,  পাব্লিকে তোমার সবই বোঝে  সাজতে এসোনা সাধু।

মোঃ রুহুল আমীন

ছবি
মাথায় পড়ল বাজ হাটে আইছি বিসাতি কত্তি       খতে নিয়ে হাতে পকেটে আছে তিন শ টাহা       কি হবেনে তাতে? বউ কয়ে দেছ মিলা কিছু     আনবা কিনে আজ সেসব কুতা শুনে আমার     মাথায় পড়ল বাজ। নব্বই টাহা পেঁজের কেজি     ঝাল একপোয়া ষাট পঞ্চাশ টাহায় আলু কিনে     পকেট গড়ের মাঠ। এহন মাছ কেনব কি দিয়ে      জিরে মশেল্লা নুন ওষধ পত্তর না কিনলি তো     হয়ে যাবানে খুন। বউ যাবে কাল বাপের বাড়ি     মাইয়ে যাবে সাথে ছাবাল যাবে কোচিং কত্তি    কি দিবানে হাতে। যে কায়দায় বাড়ে চলেছ     জিনিস পাতির দাম এসব কুতা ভাবদি গেলি     ছুটতেছ গার ঘাম। আমরা যারা গরিব মানুষ     কামই অনেক কম আয় আর ব্যায় হিসেব করে     আটকে যাতেছ দম। =============================

এম মাহবুবা মিজান পুর্নিমা

ছবি
নষ্ট দেয়ালে কষ্টের প্রতিচ্ছবি তোমার শরীর থেকে ভেসে আসবে  কবি ও কবিতার গন্ধ, রাজপথ হতে ভেসে আসবে শোকের গানের ধ্বনি শহরে ভেসে বেড়াবে-নষ্ট দেয়ালের কষ্টের প্রতিচ্ছবি।  পৃথিবী যখন ঘুমিয়ে যাবে নির্জনে তুমি একাকীত্বের দরজা ভেঙে ফিরে আসতে চাইবে  ভয়ে ভয়ে খুঁজবে আঁধারে রাত্রি নিশিতে একা একপক্ষ ঘুমন্ত নগরীতে কার কাছে যাবে ?  তোমার কান্নার শব্দে ছেয়ে যাবে আকাশ চাঁদ ঢেকে যাবে আকাশের মেঘাচ্ছন্নতায় আকাশও কেঁদে ফেলবে হঠাৎ।  তোমার ভালোবাসা ফিরে আসবে না আর ঢের কাঁদলেও না; ভালোবাসায় চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে শহরের অলিগলি ফুটপাত।  সময় বেসময়ে শুধু কাঁতরাবে নীরবে আবেশে জরানো ভালোবাসা আর তোমায় ডাকবেনা ভালোবাসার কাছে হেরে নিস্তব্ধ হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে মন! শুধু রাজপথ, ফুটপাত,শহরের অলিগলি,টিএসসি চত্বর আর প্রিয় ক্যাম্পাসের  নষ্ট দেয়ালে কষ্টের প্রতিচ্ছবি রয়ে যাবে।

হাকিকুর রহমান

ছবি
পিতঃ কোথায় খুঁজিবো তোমারে হে পিতঃ কোথায় খুঁজিবো তবে, রয়েছো তো তুমি সারা বাংলা জুড়ে হৃদয়ের অনুভবে। প্রভাত রবির স্বপ্নে বিভোর সারা দিনমান জুড়ে, রক্ত শপথের পতাকা উড়িছে বঙ্গ বেদীর চূড়ে। স্বপন দেখিয়া কত যে জননী করেছেন কোল খালি, ত্যাগিয়া সেই সূর্য সেনারা ভরেছেন ফুল ডালি। তোমারই অমর সেই বাণী শুনি দামাল হয়েছে দেশ, লড়েছে সকলে জীবন বাজি রেখে পৃথিবী হেরিলো অনিমেষ। ফল্গুধারায় ভরিলো বাংলা বিজয়ের উৎসবে, বাহিরিয়া এলো আলোর ঝর্ণা চেতনার গৌরবে। রয়েছি বসে হেথা শুনিবার তরে তব চরণের ধ্বনি, শতবর্ষ পরে ফের জ্বলুক দীপশিখা শুনি তার আগমনী।

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
আমার মা 'মা' শব্দটি উচ্চারণে আনে  এক অনাবিল প্রশান্তি।  'মা'-এর মধ্যে নিহিত আছে  আদি সৃষ্টির শক্তি।  আর  আমার মা আমার কাছে সর্বংসহা ধরিত্রী  ত্যাগ তিতিক্ষার অপার প্রতিমূর্তি । আমার মা  আমার কাছে প্রশস্ত আকাশে  প্রস্ফুটিত নক্ষত্র রাজি যার দ্বারা দূরীভূত হয়  মনের অলিন্দে ঘনীভূত  অন্ধকার চোরাবালি।  আমার মা  আমার কাছে প্রবাহিত স্রোতস্বিনী যা সিক্ত ও নির্মল করে  মনের প্রতিচ্ছবি।  আমার মা  আমার কাছে জ্ঞানের প্রথম পাঠশালা  যার দ্বারা তৈরী করে  ন্যায় নীতি আর্দশের কারখানা।  আমার মা  আমার কাছে এক অনন্ত জ্যোতি  যা দিশা হারা মনের  বন্ধু -সখা ও ভালোবাসার প্রতীক।  আমার মা  আমার কাছে প্রানের আশ্বাস  ও মনের আনন্দ দায়ক শক্তি  যা নিরুৎসাহ চিত্ত কে  করে অপার শক্তিশালী। আবার তিনিই আদ্যাশক্তি মহামায়া  সকল অসুর দলনী শক্তি।  'মা' - এর অশেষ গুণ মহিমা  অবর্ণনাতীত । কারন তিনি হোন সকলের বীজমন্ত্র।  তাই বিশ্ব মাতৃ দিবসে, তোমার প্রতি রইল অশেষ  হৃদয়োৎসারিত শ্রদ্ধার্ঘ্য।