অরু চট্টোপাধ্যায় এর দুটি কবিতা
কবি চেয়ে কবির বাড়িতে ঘুম ঘুম যেন ঘুমের ভিতর নিজে জেগে আছে, কে কার হৃদয় পোড়ালো,এখনো বৃষ্টি নামেনি! ফুল শুধু একা হেসে গন্ধের ভিতর, রেখে দেয়, এক নদীবুক বাতাস প্রবাহ প্রতিলিপি। ঘুম বলে আমি তার ভাঙাবো না ঘুম, এখন স্বপ্নে ভাসে,পৃথিবীর স্বর,মগ্ন গায়কের, দুলে ওঠে প্রাচীন কবিতার শেকড়বাকড়, বটের ছায়ায় উদাসী পথিক, হাঁটু গেড়ে বসে, চোখের ভিতর, সেতারের মতো এক দেহ শুয়ে আছে, যেন ঠান্ডা জলে,এক ডুব স্নান! আহা! মাঠভরা শস্যের কনা, হরিণের পায়ের মতোই নেচে ওঠে। শান্তি একটা অপার শান্তি শিরদাঁড়া দিয়ে, গাছের শেকড়ে চলে যায়। গাছ ফুল দেবে, সমুদ্র, মুক্তার দেহে রাখবে আলোকিত এক বন্দর, যেন এক সকালের রাগ সেতারের দেহে বেজে ওঠে। অসহায় মানুষের গমন, গল্পের রেখার বিস্ময়ে, ফিরে আসে একান্ত নদীটার তীরে। দিগন্ত ছুঁয়েছে কখন, সব কথামালা, ঘাসের ওপর জ্বলে, প্রদীপের মতো এক আত্মার শিখা।।