নিজেকে পাইনি কোথাও দোদুল পার্থ নিজেকে পাবো বলে আমি বহুপথ হেঁটেছি -- হেঁটেছি আমি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। কাঁটানটের বন পেরিয়ে মাধবীলতার কাছে থমকে দাঁড়িয়েছি মৌনতায়, দাঁড়িয়ে থেকেছি আকন্দফুলের বাকল ছুঁয়ে শুধুই নিজেকে পাবো বলে । নিজেকে পাবো বলে পানকৌড়ির ঠোঁটে বসন্ত জমা রেখেছি, কলঙ্কিত যমুনার চোখে এঁকেছি মেঘবতীর প্রণয়, একমুঠো ধূসরতায় আমি খুঁজেছি পৃথিবীর তাবদ উষ্ণতা , তবুও নিজেকে পাইনি কোথাও ! আমার আমিটাকে বাঁধবো বলে হরিণ শাবকের কাছে শিখেছি গতিময়তা, চন্দ্রের কিরণ থেকে একমুঠো সাদা আলোয় ভরেছি চায়ের পেয়ালা, কদমের খসে পড়া রেণুর থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি জীবনের প্রগাঢ় আহবান , তবুও নিজেকে বাঁধতে পারিনি ! নিজেকে পাইনি আমি স্কুল শেষে ঘরে ফেরা মেঠোপথে চৌধুরীদের আমের বনে। পাইনি আমি শাহবাগ মোড়ে দাবি আদায়ের মিছিলে, একতারা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা কৌমুদী বাউলের সুরের মাঝে পাইনি নিজেকে। অথচ নিজেকে খুঁজে চলেছি দুর্নিবার । মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়ে মা মা চিৎকারে গগন কাঁপিয়ে নিজেকে হারাবার পর, আর নিজেকে আজও কোথাও খুঁজে পাইনি !