পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব১১১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১১ স্বস্তি মমতা রায়চৌধুরী নিম্নচাপের জন্য শুরু হয়েছে বৃষ্টির ঘনঘটা রেখা খেয়াল করলো মনের ঘরের জানালা গুলো  যেন সব আর্তনাদ করতে শুরু করেছে  বেশ জোরেই হাওয়াটা দিচ্ছে ।দেয়াল থেকে ক্যালেন্ডার খুলে পড়ল ,ঘরের বই খাতাগুলো নেচে উঠল মুহূর্তের মধ্যেই কেমন গুড় গুড় করে মেঘ ডেকে উঠল। সামনের কৃষ্ণচূড়া গা ছের মাথাটা যেন পাখির মতো নাচচ্ছে ,এপাশ থেকে ওপাশে। রেখা জানলাগুলো এক এক করে বন্ধ করতে গেছে। নারকেল গাছ গুলো জিমনাস্টিক দেখিয়ে চলেছে। রেখা নিজের ঘরের জানলা বন্ধ করে মনোজের ঘরের দিকে উঁকি দিলো এবং দেখতে চেষ্টা করলো জানলাগুলো বন্ধ করেছে কিনা? রেখা আপনমনেই বিড়বিড় করে বলতে লাগল কী আশ্চর্য এখনো জানলা বন্ধ করেনি।মনোজ কিন্তু কোনো উত্তর করল না। এর মধ্যেই লোডশেডিং। রেখা ঘরের মধ্যে ঢুকে যেন নাকানি-চুবানি খেতে শুরু করল বাধ্য হয়ে বলল' কিগো শুনতে পাচ্ছ না?' মনোজ বলল-কি বলছ? রেখা বলল 'ও বাবা তুমি কোন গ্রহে গেছিলে গো ?এতগুলো কথা বললাম কিছু শুনতে পাওনি? এদিকে দেখ হাওয়া দিচ্ছে জানলাগুলো এত জোরে আওয়াজ হচ্ছে। আর মন্টু ডাক্তার কে ফোন করেছিলে? মনোজ বলল 'হ্যাঁ করেছিলাম ।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১০ চিন্তার ভাঁজ মমতা রায় চৌধুরী বাড়িতে ঢুকেই রেখা মনোজের ঘরে হট টকের আওয়াজ শুনতে পেল। কখনো বলছে তোমাদের এত দিয়েও তোমাদের মনের আশা পূর্ণ করতে পারলাম না। কখনও কি  আমার কি নিজস্ব কোন আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে না ?আমার ভালো লাগা থাকতে পারে না ?আমি কার সাথে ভালো থাকবো, সেই সঙ্গী নির্বাচন করার ক্ষমতা আমার থাকবে না? কেন বলতে পারো প্রতি পদে পদে আমাকে এত কথা তোমরা শোনাও।' রেখার কাছে সব কিছু যেন মুড়িঘন্ট হয়ে গেল। রেখা ভাবছে 'কার সাথে কথা বলছে?' কোথায় সারাদিন ক্লান্ত হয়ে ফিরলাম একটু বাড়িতে এসে খোশমেজাজে থাকবো। কালকে আবার অনুষ্ঠান  আছে স্কুলে। তার কিছু স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে  হবে । চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। এর মধ্যে যদি বাড়ির একজন লোক সবসময় হটটক করতে থাকে। সেখানে কি ভালোভাবে কাজ করা যায়? রেখা এসব ভাবতে ভাবতেই ওয়াশরুমে দিকে যায় ,যাবার সময় লক্ষ্য করে মনোজের ঘরের জানালার নীল পর্দাগুলো যেন হাওয়ায় দুলছে। ওয়াশরুমে যেতে যেতেই রেখার পা মনোজের ঘরের কাছে এসে একটু থমকে দাঁড়ালো। রেখার আওয়াজ পেয়ে বাচ্চাগুলো চিৎকার শুরু করেছে। রেখা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে একবার হ

মামাতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১০৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০৯ দায়িত্বের বেড়াজাল মমতা রায়চৌধুরী যেমন মাথাটা ব্যথা করছে ঠিক তেমনি গলাটাও জ্বালাচ্ছে,খুসখুসে কাশি হচ্ছে। রেখা ভাবল বাড়িতে গিয়ে গরম জলে লবঙ্গ, লবণ ফেলে,কারগিল করতেই হবে। ওদিকে বড়দিকে আবার ফোন করতে হবে। কি দরকার ছিল আমাকে দেবার। এবার দায়িত্বটা অনিন্দিতার হাতে তুলে দিলেই  পারতেন। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে অটোস্ট্যান্ড পৌঁছালো।  বিধান এগিয়ে এসে বলল ' ও দিদি, চলুন।' রেখা বলল 'ও বিধান ,আছো?' বিধান অটোওয়ালা বলল'হ্যাঁ দিদি একটা ঝামেলা হয়ে গেল। না হলে আমি আগেই চলে  যেতাম ।আপনার সঙ্গে হয়তো দেখা হতো না।' রেখে একটু উৎসুক হয়ে বলল 'ঝামেলা কেন  গো ?কি নিয়ে ঝামেলা?' বিধান বলল' আর বলবেন না দিদি, আমারই লাইন ছিল ,আমি একটু অটোটা রেখে গেছিলাম একটু খেতে ,তার মধ্যে অন্যজনা লাইন দিয়েছে এই নিয়ে। তা দেখলাম ঠিক আছে যা। তুই আগে যা বাবা ।আমি না হয় পরেই গেলাম।' রেখা হেসে বললো 'সত্যি তোমাদেরকে এই নিয়েও ঝামেলা পোহাতে হয় ,হ্যাঁ।' বিধান বলল' ঝামেলা করলে  ঝামেলা । এ তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।' রেখা বললো' তা ঝামেলাটা কে করলো ও

মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক ১০৮উপন্যাস

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০৮ সুখানুভূতি মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজকাল কোন কিছুতে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় না রাগ, অভিমান, ক্ষোভ এসব সে মেনে নিয়েছে ।এগুলো নিয়ে সে যত বেশি ভাববে তার মনের কষ্ট তত বাড়ে। কি দরকার? যারা তাঁর প্রতি বিরক্ত ,যারা তাকে নিয়ে বেশি রাগ অভিমান দেখায় ,সে তাদের প্রতি এগুলো করা ছেড়েই দিয়েছে। ভালোবাসার মানুষটিই আর তার ভালোলাগার প্রতি কোন গুরুত্ব নেই। তাহলে কার কাছে প্রত্যাশা? বাবা-মা তো কবেই মারা গেছে। আছেন কাকু কাকিমা। তারাও সবসময় আমাকে নিয়ে ভাবেন। রেখার মনে হল  ট্রেন থেকে একটা ফোন করি কাকিমাকে। ব্যাগ হাতড়ে হাতড়ে ফোনটা বের করলো। ডায়াল করল নম্বর। ফোন বেজে গেল।  কটা বাজে ,কাকিমা ফোন ধরছে না ?ওরে বাবা সাড়ে ছয়টা বাজে, নির্ঘাত ঠাকুর ঘরে গিয়ে বসে আছে। একটু পরে করছি ফোন। উপন্যাসের নেক্সট পর্ব টা নিয়ে ভাবি, কাজে দেবে। এরমধ্যেই জায়গা নিয়ে দুই ভদ্রমহিলার মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। এক ভদ্রমহিলা বলছেন 'জায়গাটা কি আপনার শ্বশুর মশাই কিনে রেখে গেছেন?' আর এক ভদ্রমহিলা বলছেন " হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ , আমার শশুর মশাই কিনে রেখে গেছেন। উঠুন জায়গাটা ছাড়ুন। আপনার

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা

ছবি
দৃষ্টি হীনকে দৃষ্টি দাও   শিবনাথ মণ্ডল যারা জন্মগত অন্ধ তারা দেখেনি সুসজ্জিত পৃথিবী তাদের মনে ফুটে ওঠে কত জলছবি। চোখের সামনে থাকতেও সবিই  অদৃশ‍্য জন্মে দেখতে পেলোনা চোখে এত সুন্দর বিশ্ব। যাদের দৃষ্টিআছে জানেনা তারা দৃষ্টি হীনের ব‍্যাথা অসহায় মানুষদেরজন‍্য দেহদান করার সবাই দাও কথা। যারা দেখতে পায়না চোখে অসুস্থতায় অন্ধ অনুভব করে শুধু পায় নানা গন্ধ। এত ব‍্যাথা বুকে নিয়ে বেঁচেআছে যাদের প্রাণ তাদেরজন‍্য কেন পারিনা দিয়েযেতে মরণের পরে দেহ দান। মৃত দেহখানি নষ্টকরার আগে সমাজকে করেগেলে দান গোটা বিশ্বটা এক দিন হয়েযাবে সর্গের সমান।।