পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শুভমিতা বিশ্বাস

ছবি
বাঁধাশব্দ আলো আঁধারে এমন আমি গল্প লেখার ভূত  তাই, শব্দ দিয়েই গড়ছি এখন   ঈশ্বরেরই দূত আমি পাগল হয়ে পৃথিবী ঘোরাই, রাজা সাজি নিজে  আমি উৎসবের বাজি পোড়াই চোখের জলে ভিজে ! 

ওয়াহিদা খাতুন

ছবি
তাহাজ্জুদে বসেছি আজ প্রভুর দরবারে   তাহাজ্জুদে বলেছি আজ প্রভুর দরবারে, শান্তি তুমি কবে দেবে বলো আমারে? দুখে ভরা আমার জীবন সইতে পারিনা, বিনাদোষে অপরাধী মানতে পারছি না; চোখের জলে নালিশ দিলাম আজকে তোমারে! তাহাজ্জুদে বলেছি আজ প্রভুর দরবারে।। মেনে চলি তোমার ভয়ে তোমারি বিধান, সময় কাটাই তোমার ধ্যানে পড়ি পাক কোরান ; শয়তানেরি পাঁকে পড়ে জ্বলছি আমি হায়, প্রভু তুমি বলে দাও আজ বাঁচার কী উপায়? কেনো বলো দিলে আমায় পাপের সংসারে? তাহাজ্জুদে বলেছি আজ প্রভুর দরবারে! শান্তি তুমি কবে দেবে বলো আমারে? রচনাকাল:-৩১/০৯/২০২১ ভোর ৫ টা। 

আবদুস সালাম

ছবি
  স্মারক স্তম্ভ  দিশাহীন প্রান্তে নতমস্তকে দাঁড়িয়ে গুনছে প্রহর আর্তনাদ এখন উলঙ্গ শিশুর নিত্য কথা আলোর নিচে তাবু গেড়েছে অন্ধকার প্রতিবেশীর লাশে  ভরাট হয় কবর ধ্বংসের উল্লাসে রসদ জোগায় উলঙ্গ ভারতবর্ষ   ঊর্ধ্ব বাহু নিয়ে ভিজতে থাকে বিরামহীন জীবন  ফিবছর স্বাধীনতা এলে জনগণ নতমস্তকে স্মরণ করে বীরগাথা  বীরেরা আলোর নিচে  শোনায় আর্তনাদের কাহিনী   বিকৃত ইতিহাস ডানা মেলে ওড়ে   সংবিধানের জলসায় তারস্বরে ধর্মসংগীত বাজে  আমরা  নেচে  উঠি স্মারক স্তম্ভের মাথায় শকুনেরা সভা করে

মেরী খাতুন

ছবি
রোজনামচা      সাদা উর্দি পরা সুসজ্জিত গার্ড  মালদার স্টেশনের একবগ্গা রেলঘাটির উঁচু জানলা থেকে  মুখ বাড়িয়ে আছেন। স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুহূর্তে সুনিশ্চয়তায় সবুজ নিশানায়  ট্রেনকে জানান উষ্ণ অভ্যর্থনা। সারাদিন কত শত ট্রেন আসে এই নিরপরাধ স্টেশনে, আর তত বারই তিনি কর্তব্য সামলে তাকিয়ে দেখে  জীবনের কতরকম সাজ পোশাক। শিশুর দুরন্ত হাত ধরে সামলাচ্ছেন মা মোবাইলে সশব্দে কথা বলছে এক বাঙালি, জানলার পাশে বসে দাঁতে ঠোঁট কাটাচ্ছেন অন্যমনস্ক তরুণী।  একটা চৌদ্দ কি পনেরো বছর বয়সের লিকলিকে ছেলে হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে জানালায় জানালায়, আর তার নিশ্বাসে ভেসে চলা রক্ত এক ডালি বাদামের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে ঠোঙায় ঠোঙায় হচ্ছে  কারো কারো আঙুলের ডগায় ভালোবাসার শব্দ। একটা বৃদ্ধ আর জবুথবু লোক এঁই ডিম,এঁই ডিম বলে  হেঁকে বেড়াচ্ছে। তখন ডিম কেনার আর সময় নেই কারোরই  ট্রেন চলে ধীর থেকে দ্রুত গতিতে---- স্টেশনের পাশেই তাঁর দু'কামরায় কোয়ার্টারে, কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন তিনি, উঠোনে টাঙানো ছেঁড়া-ফাটা জামা-কাপড়; রান্নাঘরে এক মুঠো চাল নিয়ে রান্নায় ব্যস্ত তাঁর রোগা গৃহিনী।  রাতের খাবার খেয়ে ছেঁড়া কাপড়ের পুরনো কাঁথা বিছানো বিছানায় দুজনে শ

মুফতী কামরুল ইসলাম

ছবি
  হায়রে মানুষ    একটু ছিল বয়েস যখন ছোট্ট ছিলাম আমি আমার কাছে খেলাই ছিল কাজের চেয়ে দামি। উঠোন জুড়ে ফুল ফুটেছে আকাশ ভরা তারা তারার দেশে উড়তো আমার পরাণ আত্মহারা। জোছনা রাতে বুড়িগঙ্গা তুলতো যখন ঢেউ আমার পিঠে পরীর ডানা পরিয়ে দিতো কেউ। দেহ থাকতো এই শহরে উড়াল দিতো মন মেঘের ছিটার ঝিলিক পেয়ে হাসতো দু’নয়ন। তারায় তারায় হাঁটতো আমার ব্যাকুল দু’টি পা নীল চাঁদোয়ার দেশে হঠাৎ রাত ফুরাতো না। খেলার সাথী ছিল তখন প্রজাপতির ঝাঁক বনভাদালির গন্ধে কত কুটকুটোতো নাক; কেওড়া ফুলের ঝোল খেয়ে যে কোল ছেড়েছে মা’র তার কি থাকে ঘরবাড়ি না তার থাকে সংসার ? তারপরে যে কী হলো, এক দৈত্য এসে কবে পাখনা দুটো ভেঙে বলে মানুষ হতে হবে। মানুষ হওয়ার জন্য কত পার হয়েছি সিঁড়ি গাধার মত বই গিলেছি স্বাদ যে কি বিচ্ছিরি।   জ্ঞানের গেলাস পান করে আজ চুল হয়েছে শণ কেশের বাহার বিরল হয়ে উজাড় হলো বন। মানুষ মানুষ করে যারা মানুষ তারা কে ? অফিস বাড়ির মধ্যে রোবোট কলম ধরেছে। নরম গদি কোশন আসন চশমা পরা চোখ লোক ঠকানো হিসেব লেখে, কম্প্যুটারে শ্লোক। বাংলাদেশের কপাল পোড়ে ঘূর্ণিঝড়ে চর মানুষ গড়ার শাসন দেখে বুক কাঁপে থরথর। ‘হায়রে মানুষ র