পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরী /৬৮

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৬৮ সামাজিক ব্যাধির বলি মমতা রায় চৌধুরী                         গ তকাল স্কুল থেকে ফিরে এতোটাই ট্রায়াড লাগছিল রেখার যে ভালো করে ভেন্দুদের বাড়ির খবরটা নিতে পারে নি, চৈতির মার কাছ থেকে। আসলে এতদিন পর স্কুল আর এত চাপ ছিল। আবার বাড়িতে এসে মনোজের দেখভাল, মিলি তার বাচ্চাদের দেখভাল ,সঙ্গে বাড়ির কাজ কম্ম ।কাজের মেয়েটা তো কাজে আসছে না। আজ ছুটির দিন তাই কাজ করতে করতেই মনে মনে ভাবছিল আমরা মেয়েরা কতটা স্বাধীনতা লাভ করেছি। সমাজ বদলায়। বিজ্ঞানের অভিষেক হয়। বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিজ্ঞানের বিজয় অধিকার। মানুষ ছুটে চলে গ্রহ গ্রহান্তরে ।তবু প্রদীপের তলাতেই অন্ধকার ঘন হয়। অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অনগ্রসরতার কালিমাও বেড়ে চলে ।সমাজে উপেক্ষিত হয় নারীর মর্যাদা। তাই একবিংশ শতাব্দিতেও নারীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় ।আজও লক্ষ লক্ষ নারীর স্বপ্ন অকালে শেষ হয়ে যায়। পুরুষ শাসিত সমাজের অবহেলায়, অবজ্ঞায় এখনো হাজার হাজার শিশু কন্যার জীবন অন্ধকারে ই। আজ ও নারী লাঞ্ছনার শেষ হয় না। হয়তো  মেয়েরা বহু ক্ষেত্রে অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে।কিন্তু তারপরেও সমাজের কাছে অবস্থিত সমালোচনার সম্মুখীন হ

রাবেয়া পারভীন /শেষ পর্ব

ছবি
স্মৃতির জানালায় (শেষ পর্ব) রাবেয়া পারভীন স্যারের শোবার  ঘরের দড়জার সামনে গিয়ে  দড়োজায়  টোকা দিল  মাহতাব। ভিতর থেকে স্যার আওয়াজ  দিলেন - -  কে ?  ভিতরে  এসো !   মাহতাব ভিতরে ঢুকল। খালাম্মা  খাটের  উপর  মশারী খাটাচ্ছিলেন । খাটের পাশে চেয়ারে  বসে  স্যার  পান  চিবুচ্ছিলেন। মাহতাবকে  দেখে খাট থেকে নেমে এলেন খালাম্মা । মাহতাবকে জিজ্ঞেস  করলেন - কি বল্লো  শবনম ? এই দুটি সরল পিতা মাতার  সাথে  না সূচক কথাটা বলতে  ইচ্ছা  করছিলো না তার । তারপরেও  ভয়ে ভয়ে বলল - এই  বিয়েতে  শবনমের  মত নেই  খালাম্মা স্যার  খুব অবাক হয়ে  বল্লেন   - কেন  কি হয়েছে ? মুখ ভার  করে খালাম্মা উত্তর  দিলেন - কি  জানি কেন  শবনমের  খুব মন  খারাপ। ঠিক করে  ভাতও  খেল না তাই  মাহতাবকে  পাঠিয়েছিলাম  ওর মত জানতে। এখন  বলছে  বিয়েতে  ওর মত নেই। স্যার  মাথা  নীচু করে  করে কি যেন  ভাবলেন  তারপর বললেন - আচ্ছা  ঠিক আছে  এখন  ঘুমাতে যাও, কাল সকালে  দেখা যাবে কি ব্যাপার। যাও মাহতাব  গেস্ট রুমে বিছানা করা আছে , শুয়ে পড়োগে। স্যারের ঘর থেকে বেরিয়ে  শবনমের ঘরের সামনে দিয়ে  যাবার সময়  দেখল  শবনম  আলো নিভিয়ে  ঘরের দরোজা  বন্ধ  করে   দিয়েছে। সে স

শান্তা কামালী/৩৯ তম পর্ব 

ছবি
বনফুল ৩৯ তম পর্ব  শান্তা কামালী পলাশ ফিরে এসে জুঁই য়ের পাশে চেয়ার টেনে বসলো। রুমাল বের করে ঘাম মুছে জুঁই কে বললো। অনেক গুলো জায়গা থেকে ই অফার পেলাম। আমার ভালো লেগেছে  মাল্টা ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্সের অফার টা।কিন্তু.... প্রবলেম একটা আছে।  কি প্রবলেম, বলো...।জুঁই জানতে চায়। সেটা পরে বলছি,আগে তো তোমার ইচ্ছে টা জানতে হবে।  আমার ইচ্ছে মানে?  মানে বিদেশে পড়তে যেতে দেবে কি-না? তোমার মন খারাপ হবে কি-না? তারপর তো অন্য কথা।  অফ কোর্স তুমি বিদেশে পড়তে যাবে,আমার আব্বু তাই চায়।তুমি তোমার ক্যারিয়ার তৈরী করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, আমিও চাই। আর তোমার মন খারাপ?  সেটা তো হবেই,কি আর করা যাবে, নিয়ে তো যেতে পারবে না।আমাদের তো এখনো....  না থাক সেই সব চিন্তা। আমাকে দিনে ছ'বার করে ফোন দেবে,আর সেটা অবশ্যই ভিডিও কল। পলাশ হা হা করে হেসে ওঠে। জুঁই বলে হাসছো,তুমি বুঝতে পারছো না, তুমি কতো দূরে থাকবে, আর আমার কি চিন্তা হবে না ?   হবে তো,কিন্তু তাহলে ক্লাস কখন করবো,আর স্টাডিজ টাইম কতটা পাবো,সেটা ভাবো।তারচেয়ে বরং সারারাত ভিডিও কলে গল্প করবো, আর....  হ্যাঁ, তারপর সারাদিন শরীর খার

সালমা খান

ছবি
নিশুতি রাত    নৈশ্য আগুনে বিপর্যস্ত নগরী বসে আছে ছায়া শরীরের খুঁটি ধরে অনন্ত কাল। কুয়াশা মাখা শীতের রাতে আগুন তাপের মিঠে ছোঁয়ায়, ফিনফিনে শীতল হাওয়ার শান্ত দোসর ধরে ধরে আমার শহরে শীত এলিয়ে পড়েছে বুকের ভিতর থরে থরে এখন  বৃদ্ধ , টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির ফোঁটা কার হাতে নোয়ায় খসে পড়ে ধূমকেতুর লেজ।  শব্দে গাঁথা হয় অপরুপ মোহনকথা, আমার প্রেমিকার বুকে আমার হাতের ছাপ  যন্ত্রনার শব্দ হয় না ,ইচ্ছে হলেই ছুঁতে পারি না কাঁশফুল,  শুধু জানালায় তাকিয়ে আছি  শুধু একটা অনুভব বয়ে চলা ব্যাগভর্তি মন কেমন , শীতের নিশুতি শহরটা এখন কেমন ? হঠাৎ দমকা হাওয়ায় নিভল আগুন। ঝড়ের সাথে অশনি সংকেত অকম্মাৎ হেমন্তের টর্নেডোতে তছনছ উড়ে গেছে হেম শিমুল তুলার মতো। অপ্রস্তুত হলো গত বর্ষার ফসলি জমি বুক। সবুজবর্ণের নৈসর্গিক শহর ঝিরিঝিরি ,  যন্ত্রনায় সবুজ পাতাদের করুন নৃত্য , টুপটাপ শিশির ভেজায় নরম ডালে হিমে কাতর। শুকনো গাছের পাতাগুলো বেদনা নিয়ে এলোপাথারি উড়ে যাচ্ছে  , শুকনো রাস্তায় লাইটপোস্টে লুটিয়ে পড়েছে অদৃশ্যে।  মিহি জোছনায় পরী কি সুন্দর করে  ডানা খুলে নাচতো। বরফপাথর গলে জামা পড়া পরীরা  এখন শোভাবর্ধন করছ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৩০

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৩০) শামীমা আহমেদ  চোখে মুখে একরাশ কষ্টবোধ আর থমথমে একটা ভাব নিয়ে শায়লা শিহাব দুজনে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এলো। যেমন পাশাপাশি হেঁটে দুজনে ঢুকেছিল এখন ঠিক  সেভাবেই বেরিয়ে এলো। মাঝের সময়টাতে যেন দুজনার মনে বয়ে গেলো এক টর্নেডো ঝড়। সে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো শিহাবকে ভেবে শায়লার শত যত্নে গড়া স্বপ্নবাগান। শায়লার ভেতরে যেন এক বিশাল পাহাড় ধ্বস হয়ে গেছে। আর শিহাবও অনুচ্চারিত এক  বোবা পাহাড়। ভেতরে শত ব্যথা কষ্টের বোঝা নিয়েও অটল অজেয় পর্বত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন। শায়লা দাঁড়ালো,  শিহাব পার্কিং থেকে হেলমেট পড়ে বাইক নিয়ে এগিয়ে এলো। শায়লা স্থির হয়ে এক দৃষ্টে তাকিয়ে রইল। শায়লা এই ভেবে ভীষণ  অবাক হচ্ছে যে কত সহজ করেই শিহাব সবকিছুর ইতি টেনে দিলো। শায়লা তার  জীবনের জন্য এটা বুঝে নিলো যে, আমরা যেখানে স্বপ্নতোরণ সাজাই আসলে সেটা শুধুই একটা কল্পনার ভাবাবেগ।বাস্তবতার সাথে  তা  একেবারেই বৈশাদৃশ্য। শিহাব বাইক থেকে নেমে শায়লাকে এক ঝলক দৃষ্টি দিয়ে লুকিয়ে দেখে নিলো। পরক্ষনেই নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,, চলো তোমাকে নর্থ টাওয়ারে নামিয়ে দিচ্ছি।তোমারতো কেনাকাটা বাকী। কিন্তু শায়লার ভেতরে যে

রুকসানা রহমান

ছবি
আমাকে  সাথে নাও অরুমিতা, আমি এসেছি,সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে ফিরে কেমন সারপ্রাইজ দিলাম বলোতো ? নয়টি মাসের অপেক্ষা পিছিয়ে যাবে,রুকু থেকে সেজদায়। তোমার অবিশ্রান্ত ভেঁজা চোখ বন্ধ কেন লাজে ? এই ওঠোনা চোখতো খোলো,ও অনেক অভিমান ? জানি তোমার নিঃসঙ্গ জীবনে ভালোবাসার স্বপ্নে বিভোর রেখেছি, স্বপ্ন আমিও দেখেছি কেবল সময় দিতে দেখা করতে ও পারিনি,কেবল দুজনায় ছিলাম একই আমি-তুমি, বিধাতার উপহার । দেশকে বাচাঁবো বলে যুদ্ধ  করতে যেয়ে দুরত্ব বেড়েছিলো, তুমিই ছিলে আমার অনুপ্রেরনা মনের আড়াল তো হয়নি কখনো। ভেবেছিলে নয়টিমাস পর যখন পাক শয়তানদের থেকে কেড়ে নিয়ে বিজয়ের  উঠবেনা,বেশ এবার বুকে তুলে নিয়ে ঘুম ভাঙাবো একি ! তোমার,দেহটা এতো শীতল কেন?এভাবে কেন ঘুমাচ্ছো,জাগো,তাকাও দেখো আমি এসেছি।  অরুমিতা কথা বলো,আমি সত্যি ভাবিনি,বুঝিনি কাজের ব্যস্তটায়,সময় দিতে না পারার জন্য,এতোকষ্ট নিয়ে দগ্ধশীতল শান্তচূড়ায় বসে অপেক্ষার প্রহর কেবলই গুনেছো। তবে কি,আমি ভালোবাসার ব্যর্থতার অভিশাপ বহনকারী, আর তুমি সব সার্থকতা নিয়ে গভীর মৌনতায় ডুবে থাকবে। আমরা দুজনায় একই সত্তার ছিলাম প্রণয়ের সৌরভে,হয়তো সময়ের আবরণে গর্বিতমন তুমি আছো, থাকেবে ভেবে কাজকে প্