আমাকে সাথে নাও
অরুমিতা,
আমি এসেছি,সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে ফিরে
কেমন সারপ্রাইজ দিলাম বলোতো ?
নয়টি মাসের অপেক্ষা পিছিয়ে যাবে,রুকু থেকে সেজদায়।
তোমার অবিশ্রান্ত ভেঁজা চোখ বন্ধ কেন লাজে ?
এই ওঠোনা চোখতো খোলো,ও অনেক অভিমান ?
জানি তোমার নিঃসঙ্গ জীবনে ভালোবাসার স্বপ্নে
বিভোর রেখেছি, স্বপ্ন আমিও দেখেছি কেবল
সময় দিতে দেখা করতে ও পারিনি,কেবল দুজনায়
ছিলাম একই আমি-তুমি, বিধাতার উপহার ।
দেশকে বাচাঁবো বলে যুদ্ধ করতে যেয়ে দুরত্ব বেড়েছিলো, তুমিই ছিলে আমার অনুপ্রেরনা
মনের আড়াল তো হয়নি কখনো।
ভেবেছিলে নয়টিমাস পর যখন পাক শয়তানদের
থেকে কেড়ে নিয়ে বিজয়ের
উঠবেনা,বেশ এবার বুকে তুলে নিয়ে ঘুম ভাঙাবো
একি !
তোমার,দেহটা এতো শীতল কেন?এভাবে কেন ঘুমাচ্ছো,জাগো,তাকাও দেখো আমি এসেছি।
অরুমিতা
কথা বলো,আমি সত্যি ভাবিনি,বুঝিনি কাজের ব্যস্তটায়,সময় দিতে না পারার জন্য,এতোকষ্ট নিয়ে
দগ্ধশীতল শান্তচূড়ায় বসে অপেক্ষার প্রহর কেবলই
গুনেছো।
তবে কি,আমি ভালোবাসার ব্যর্থতার অভিশাপ বহনকারী, আর তুমি সব সার্থকতা নিয়ে গভীর
মৌনতায় ডুবে থাকবে।
আমরা দুজনায় একই সত্তার ছিলাম প্রণয়ের সৌরভে,হয়তো সময়ের আবরণে গর্বিতমন তুমি আছো, থাকেবে ভেবে কাজকে প্রাধান্য দিতে যেয়ে
অবহেলা করেছি ভেবেছো ?
দেখো অরু,দেখোনা তোমায় বুকে জড়িয়ে চক্ষের জলে তরজমা করছি নতুন জীবনের আয়াত।
তুমিহীন শূণ্যতা,বেঁচে থেকেও মৃত্যুসম আমি...
আমি,যে তোমার ভালোবাসার আর্কষণে বন্দি,
সব স্বপ্ন তোমার চন্ঝলতার আঁচলের ছায়াথেকে
ডুবে যাবে সমস্ত পৃথিবী।
অরুমিতা,
দেখো,দেখোনা অরু,
তোমার পছন্দের রয়েল,ব্লু শাড়ির আঁচল জুড়ে কবিতা
লিখেছি নিজ হাতে,খোঁপায় পড়াবো বেলি,ফুলের মালা,কন্ঠে ফুলের হার,কানে ঝুমকো,ঐ-চরণ যুগল
রাঙাবো আলতায়।
ওঠোনা,প্লিজ ওঠো !
এখন আমার হাতে,হাত রেখে যাবে তোমার,সেই
প্রিয় নদীটির কাছে,আমার কাঁধে মাথা রেখে দেখবে
সূর্য ডোবার পালা।
এখনো যায়নি ফুরিয়ে,স্মৃতিময় সময়গুলো,স্বপ্নের
বাসনার ভিতর প্রকৃতির ললাটে হয়নি লেখা,
প্রেমের গল্পকথা।
তুমিতো আমার তৃষ্ণাতুর প্রেয়সী, যার,সুরভিত দেহের
ভাঁজে, ভাঁজে বুনেছিলাম কত যে কাব্যের ঝংকার।
কেন, কেন তুমি আজ গভীর ঘুমে,অচেতন ?
আমার,জীবন থমকে দিয়ে দুরে সরে,গেলে
ভুলের আগুনের দীর্ঘ লেলিহান স্রোতে ভাসিয়ে ?
সত্যিই তুমি আর কোনদিন জাগবেনা অরু
এ তুমি কেমন তুমি বলোতো...?
বেশ আমিও এভাবে তোমাকে বুকে জড়িয়ে বসে,থাকবো,কারসাধ্য আছে কেড়ে নেবে
যতক্ষন আমার দেহে প্রাণ আছে।
প্লিজ অরু
আমাকে সাথে নাও, তোমার সাজানে প্রণয়ের নান্দনিক সেই অনন্তের ঘরে...
সাথে নাও প্রিয়তমা,আমাকে সাথে নাও...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much