পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সানি সরকার 

ছবি
শিকড়ে জলের শব্দ  প্রেমের মানুষটির জন্যে এই বুকে পুঁতেছি চন্দন গাছ  মাটির গন্ধ পাখির কুজন  প্রতিনিয়ত নড়াচ্ছে পাতাগুলি ডালগুলি  প্রেমের মানুষটির জন্যে একটি মন্দির  বানিয়েছি এই বুকের মধ্যিখানে  সেখানে সে থাকেন  আমাদের ঈশ্বর থাকেন  আমাদের ঈশ্বর, প্রেমের মানুষটি, আমাদের ইরা ও আমি  শীতের চাদর খুলে ফেলে দেখছি  কতগুলি অগোছালো মানুষের অট্টহাসি ও মিছরির ছুরি  এইসব ছোঁয় না ইদানীং  শোনো সোনা, যাঁরা মাটির ওপর পা রেখে  এই ব্রহ্মাণ্ডের গতিবিধি দেখেন  তাঁদের মুখ বাঁধা থাকবে শক্ত রুমালে  তাঁদের চোখ খোলা থাকবে, হাসবে, কিন্তু  চোখ দু'টি হাসতে হাসতে সূর্যের মতো জ্বলবে  আর  আমার প্রেমের মানুষটি কান পেতে শিখে নেবে  শিকড়ে জলের শব্দ শোনার সহজ সুত্র 

সোমা বিশ্বাস

ছবি
ভালোবাসা থেকে যায়... (কথোপকথন, মুঠোফোনেএকটি ছেলে ও মেয়ে) হ্যালো... কেমন আছো? তুমি!? হঠাৎ? না, আজ খুব ইচ্ছে হচ্ছিল কথা বলতে.. তাই-অনেকদিন পর মনে পড়লো! না ,তা ঠিক নয়- তবে? আসলে ক'দিন ধরে খুব মন কেমন করছে.. সেজন্য ছ' বছর দীর্ঘ বিরতি? তুমি তো ভুল বুঝেছিলে সেদিন... আমি! এখনোও আমি? না মানে আমার রাগও আছে ভুলে থাকার কারণ! তা হঠাৎ ফোন করলে কেন? তোমার কী কথা বলতে কোন অসুবিধা আছে? আমার অসুবিধা, সুবিধায় তোমার কি কিছু এসে যায়? আমি না হয় রাগী, তোমার অভিমান তো এখনও তীব্র! আমার রাগও আমি, অভিমানীও আমি, তুমি কে? আমি কেউ না? হঠাৎ ফোনের কারণটা জানতে পারলে ভালো লাগতো... না, মানে আমি ভালো নেই! ও... কিছু বলবে না? যা করেছ সবই তো নিজের জেদ আর ইচ্ছায়.. আমার কিছু বলার নেই! কিচ্ছু বলার নেই? না...! তুমি মন থেকে বলছো? আমার মনের খোঁজ তুমি কি কখনো রেখেছো; যে আজ বলছো? তুমিও তো আমার খোঁজ রাখোনি! আমি ফোনটা রাখছি, কোন... শোনো একটু কথা বলো, কথা শেষ হয়নি- আমরা আগের মতো বন্ধু হতে পারি না? না, আমার কোনো ইচ্ছে নেই, আর থাকলেও তোমার সঙ্গে না। পারবে এতটা নিষ্ঠুর হতে? আমিতো নিষ্ঠুর ই তুমি জানো না? আমি... আমি তোমা

মমতা রায়চৌধুরী /৬৭

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ৬৭ চিন্তার ভাঁজ   মমতা রায়চৌধুরী                     টা না বৃষ্টিতে প্রাণ হাঁপিয়ে উঠেছে, আজকের সোনা ঝরা রোদ বেরিয়েছে। রেখা সকালে উঠেই ঘরের জানলাটা খুলে দিয়েছে ,সেই সোনা ঝরা আলো জানলা দিয়ে এসে উঁকি মারছে। মনোজ দুচোখ ডলতে ডলতে হঠাৎই জানালা দিয়ে আসা আলোর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে 'অ্যাই ,রেখা। আজ আকাশে নির্মল রোদ উঠেছে । মনোজ গান শুরু করল' ও আকাশ সোনা সোনা,  এ মাটি সবুজ ,সবুজ। নূতন রঙের ছোঁয়ায় হৃদয় রেঙেছে,আলোর জোয়ারে খুশির বাঁধ ভেঙেছে।' রেখা গান শুনে ঘরে ঢুকতেই মনোজ রেখাকে জড়িয়ে ধরল।  রেখা বললো 'কি হচ্ছে ?এগুলো কি হচ্ছে ?আমি বুঝতে পারছি না। ' মনোজ বলল 'প্লিজ, চুপ করো ।এই কদিনে হাঁপিয়ে উঠেছি ।একটু শরীর ঠিক হয়েছে ।কোথায় একটু ওয়েদার ভালো থাকবে ,সে নয়।'  রেখা মজা করে বলল''তাতে কি হয়েছে ?মেঘলা ওয়েদারতে তো অনেক বেশি কাছাকাছি আসা যায় ।মনোজ রেখার চোখে তাকিয়ে মাথা নাড়ালো আর বলল 'হ্যাঁ ,তুমি ঠিকই বলেছ ।কিন্তু তা হলেও অসময়ে এটা একদমই ভালো লাগে না ।দেখো কালকে যখন আমার হৃদয় তোমাকে চাইছিল কাছে পেতে ।তুমি কালকে স্কুলে চলে গ

মোঃ হা‌বিবুর রহমান/৬ষ্ঠ পর্ব

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন  ( ৬ষ্ঠ পর্ব )  মোঃ হা‌বিবুর রহমান বিশ্রা‌মের জন্য য‌থেষ্ট প্রস্তু‌তি নি‌য়ে‌ছিলাম ঠিকই‌ কিন্তু চোখ যেন কাঠ হ‌'য়ে গি‌য়ে‌ছি‌লে‌া তাই শুধুমাত্র ‌চোখ বন্ধ ক‌'রে নি‌জের মন‌কে বুঝ দেওয়া আর‌কি! মানু‌ষের কোন কোন সময় এরকম সময় আ‌সে বিছানার কথা ম‌নে মনে চিন্তা ক'র‌লেই ব‌ু‌ঝি ঘুমা‌নোর আ‌গেই ঘুম এ‌সে যায় কিন্তু বিছানায় যে‌য়ে ঘুম‌তো আ‌সেই না এমন‌কি জ্ঞানীগুণী ব্য‌ক্তি‌দের পরামর্শ অনুসরণ ক‌রে ১০০ থে‌কে উ‌ল্টোগু‌ণে ০ (শুন্য) পর্যন্ত ম‌নে ম‌নে বার বার গুনতে-গুনতে মু‌খে ফেণা তোলার পরও কোনক্র‌মেই ঘ‌ুম আ‌সেনা; কো‌নো কে‌ানো সময় ঘুম যেন এ‌কেবা‌রে নির্বাস‌নে যায় কিংবা ছয় মা‌সের জন্য ব্যা‌ঙের মত একবা‌রে শীত‌নিদ্রায় চ‌'লে যায়। ঠিক যেন এমন‌টিই হ‌'য়ে‌ছি‌লো সে‌দিন আমার।  এরই ম‌ধ্যে আবার বঙ্গ‌দে‌শে ক‌য়েকঘণ্টা আ‌গে ফে‌লে আসা অ‌তি আপনজন‌দের ম‌লিন অবয়বগু‌লো ম‌নের গভী‌রে বার বার ছায়াসদৃশ আ‌বির্ভূত হ‌'য়ে অস্পষ্ট ছ‌বির মত ম‌নের ম‌ণি‌কোঠায় এ‌সে ঘন ঘন কড়া নাড়‌ছি‌লো আর সা‌থে সা‌থে মনটা বিষা‌দে ভ‌'রে উঠ‌ছি‌লো। তখন সেই মুহূর্তে শুধু কেবলই ম‌নে হ‌'চ্ছ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ২৯

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ২৯) শামীমা আহমেদ   উল্কা গতিতে,প্রায় এক নিমেষেই  রেস্টুরেন্ট "থাই এমারেল্ড" এর সামনে এসে শিহাব বাইক থামালো।আর বাইক থামতেই শায়লা ব্যাকসিট থেকে নেমে  হাতের শপিং ব্যাগগুলো আর শাড়ি ঠিক করে নিলো। শায়লা তার হ্যান্ডব্যাগ ও শাড়ির কুচিগুলো ঠিকঠাক করে নিচ্ছিল। শায়লা  বুঝতে পারছে না কেন এভাবে সব কিছু হচ্ছে। তবে সব ভাবনা সে শিহাবের উপর ছেড়ে দিলো।জীবনের কোন একটা সময়ে সাহসী হয়ে উঠতে হয় আর সেটাই থাকে জীবনের  টার্নিং পয়েন্ট। শিহাব বাইকটি পার্ক করে শায়লার দিকে তাকালো। শিহাব একমনে তাকিয়ে রইল।  শায়লাকে আজ অন্যরকম সুন্দর লাগছে। যদিও এভাবে দৃষ্টি  দিয়ে সে কোনদিনই দেখেনি। বরাবরই একজন ভদ্র মহিলাকে  যেভাবে সম্মান জানাতে হয় সেটাই করেছে শিহাব। তবে আজ শাড়িটির রঙটায় শায়লাকে খুব মানিয়েছে।লিপস্টিকও বেশ মিলিয়ে দেয়া।  সাইড ব্যাগটি গোল্ডেন রঙের রোদের আলোয় চকচক করছে।বাহাতে কালো বেল্টের ঘড়িটাই যেন হাতের অলংকার হয়ে আছে।শিহাব এগিয়ে এলো। শায়লা পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায়। শিহাব রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। শায়লা আজ শিহাবের পাশাপাশি হেঁটেই এগিয়ে গেলো। একটা অধিকার জন্মালেই কেবল পাশাপাশি হাঁ

শান্তা কামালী/৩৮ তম পর্ব 

ছবি
বনফুল ( ৩৮ তম পর্ব )  শান্তা কামালী ঠিক এভাবেই জুঁইয়ের ট্রিটমেন্ট চলছে.... কখনো সকালে কখনো বিকালে নিরবচ্ছিন্ন মমতা মাখানো পলাশের  হাতের ছোঁয়ায় রুগী দ্রুত আরোগ্যের পথে।  এই আসা-যাওয়ায় জুঁই পলাশের সম্পর্ক আরো গভীরতায় পরিণত হয়েছে। শুধু গভীরতা নয়,জুঁই য়ের মন যে চায় আরো নিবিড়তা; পলাশ বলে, এখন নয়।তোলা থাক ওড়না ঢাকা রেশমি চুড়ির বাক্সে সেদিনের অপেক্ষায়।  জুঁই য়ের ঠোঁট দুটো কাঁপে অভিমানে। পলাশ ওর হাতের আঙুলগুলো টেনে দেয়,কব্জিতে চুড়ি গুলো নাড়াচাড়া করে রিনঝিন শব্দ করে মন ভোলায়।  এদিকে জুঁইয়ের বাবা-মা দুজনেই বুঝলেন এর চেয়ে ভালো ছেলে খুঁজে বের করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না।  মেয়ের পছন্দের উপর তাদের  নির্ভরতা  ক্রমশ বেড়ে গেলো।   প্রতিদিন সকালে এসে জুঁইয়ের নাস্তা,ঔষধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে সবরকম দায়-দায়িত্ব পলাশই পালন করছে।  একসপ্তাহ পরে একদিন সৈকতের ফোন। পলাশ ওকে সমস্ত ঘটনা জানায়।জুঁইয়ের অসুস্থতার খবর পায় অহনাও। কয়েক দিন পরে  অহনা পাগলের মতো ছুটে এলো,ঘড়িতে তখন এগারোটা  বাজে।এসে নিচে ড্রয়িং রুমে আন্টি আঙ্কেলের সাথে দেখা, অহনা বললো জুঁইয়ে এই অবস্থা আমি আগে জানতে পারিনি। সৈকত আমাকে কয়েকদিন আগে জানাতেই মন

রাবেয়া পারভীন /১১তম পর্ব)

ছবি
স্মৃতির জানালায়  (১১তম পর্ব) রাবেয়া পারভীন                                বু কের ভিতরটা দারুনভাবে তোলপাড় করে  উঠল মাহতাবের। দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইছে।  দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে  ফেলল  সে।  মনে  হলো শবনমের  দৃষ্টি  থেকে নিজেকে  আড়াল করতে পারলেই যেন  বাঁচে। এবার  ঝাঁঝালো  কন্ঠে  শবনম  আবার বলল - চুপ করে আছো কেন ?  জবাব দাও। মাহতাবের  দুই  চোখ ভরে গেল  পানিতে। কি জবাব  দেবে  সে  শবনমের  প্রশ্নের। ওর  প্রশ্নের  উত্তর  দেবার মত কোন জবাব সে খুঁজে  পেলনা। হাত দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায়  সে টের পেল  শবনম  তাঁর  খুব  কাছে  এসে দাঁড়িয়োছে। মাহতাবের  মাথায়  একটা  হাত  রাখল  সে। এই অল্প  একটু স্পর্শ , শবনমের  পদ্মকলির মত আংগুল  ছুঁয়ে আছে  মাহতাবের  চুল। ওর শারা শরীর  থর থর করে কেঁপে  উঠল। শরীরোর প্রতিটা লোম খাড়া হয়ে গেছে। মনে হচ্ছিলো সে  খাট থেকে নীচে পরে  যাচ্ছে । শুধুমাত্র। মাথায় হাত রেখেই  মাহতাবের  পুরো অবস্থাটা  টের  পেল  শবনম।  আস্তে আস্তে  বলল - কেন এত ভীতু  তুমি ?  নিজের জিনিস সাহস করে চাইতে পারোনা ? ফুপিয়ে কেঁদে উঠল  মাহতাব।  ডানে বায়ে মাথা দুলিয়ে বলল   - না শবনম না, সে সাহস আমার নেই। - কেন নে

আমিনুর রহমান জুন্নুন  ( ইংল্যান্ড লুটন শহর )

ছবি
দয়াল আমি একদিন রইবোনারে স্বজন  দুনিয়ার মাজারে দয়াল যে দিন ডাক দিবেন মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে চলে যাব অন্ধকার মাটির ঘরে ভাই-বন্ধু স্বজন ছিলাম মনে রেখে  যেও আমার কবর জিয়ারত করে।  স্বজন সাথী যতন করে বিদায় দিবে কান্না করে মাটির কাজ শেষে  সবাই যাবে আপন ব্যস্ত তরে চল্লিশ কদমে দেবে মাটি চাঁপা  হিসাব নিবেন করাগণ্ডা করে।  দিন দুনিয়ার স্বাদ পেয়ে  যেওনা অবিচার করে ঘর বাড়ি সবই রবে যাইতে হবে আগে পরে হিসাব করে চলরে মন  যাইতে হবে সবই ছেড়ে।  জুন্নুনের অন্তর কাঁপে  দেহের হাওয়া যাবে উড়ে পাড়া পড়শী আসবে  নিতে পালকি করে  থাকে যদি নেক আমল  সাক্ষী হয়ে থাকবে ঘিরে।