উপন্যাস টানাপোড়েন ৭৩ 'ধায় যেন মোর সকল ভালোবাসা' মমতা রায় চৌধুরী রেখা খুব তাড়াতাড়ি কাজগুলো সেরে গেল পার্থদের বাড়ি। রেখা গিয়ে দেখছে পার্থ মাসিমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে যাচ্ছে আর বলছে আমি তো আছি মা তোমার চিন্তা কি? মাসিমা মাঝে মাঝে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন আমার শুভ টা আর কোনদিন আসবে না রে? আদর করে মা বলে ডাকবে না? আমার কলিজা আমায় ছেড়ে চলে গেছে ।আমি কি করে বাঁচবো? পার্থ বলছে 'মা আমি কি তোমার কেউ নই? আমি কি তোমার সন্তান নই?' মাসিমা একদৃষ্টিতে পার্থর দিকে তাকিয়ে থাকে আর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তে থাকে। এক সময় পার্থর হাত দুটোকে কাছে টেনে নিয়ে বলেন' বাবা তুই তো আশা ভরসা। তুই তো আছিস বাবা আমার শিবরাত্রির সলতে।' তখন পার্থ বলে 'তাহলে তুমি কি চাও না আমি ভাল থাকি? মাসিমা বললেন 'সব মায়েরা চায় তার সন্তান ভালো থাকুক। পার্থ বলল' আমি কি চাই সেটা তুমি জানো না?' মাসিমার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো। পার্থ বলল' আমি চাই তুমি আবার আগের মত স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে এসো।' রেখা বলল 'পার্থ ঠিকই বলেছে মাসিমা। জানি অত সহজ নয় ।কিন্তু তাহলেও পার্থর কথা
পোস্টগুলি
ডিসেম্বর ২১, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
কবি নূরজাহান শিল্পী ( ইংল্যান্ড ) র কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
স্বপ্নের পৃথিবী জাগাই নূরজাহান শিল্পী ( ইংল্যান্ড ) নিজদেশে পরবাসী অস্থির , মুক্তির স্বাদ পেতে উম্মুখ সতের কোটি আজ । নিপাত যাক পশুত্বের আবাদ , দেশ নিয়ে যারা করে রক্তের চাষাবাদ । বায়ান্নোতে রক্ত দিয়ে জাতি কিনলো মুখের ভাষা । সেই ভাষাতে সত্য বলায় প্রাণ হারালো আবরার । পরাধীনতার শিকল ভেঙে , ভোরের পাখিটা যাক উড়ে। আকাশ খাঁচায় সোনালী রোদ্দুরে। অসাম্যের বিরুদ্ধে জাগুক প্রতিবাদী সুর । চাইনা আজ প্রভাত ফেরির গান। শহীদ মিনারে ফুলের সমাহার । তার পাশে দেখো উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকা কিছু প্রাণ , চাই যে তাদের বাঁচার মৌলিক অধিকার। আহবান করি জেগে উঠো বীর । কালের সাক্ষী হয়ে বলিষ্ট কণ্ঠের। আবার হোক ধ্বনী উচ্চারন । এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম আমাদের বাঁচার সংগ্রাম । অগ্নিকান্ড ,ছেলেধরা ,নুসরাত হত্যা । নেই আজ কোথাও নিরাপত্তা । পেঁয়াজ ,লবন ,সড়ক পরিবহন আইন । বুলবুল ,ক্যাসিনো ,ধর্ষন । তাজা খবরে ভরপুর আকর্ষন । জাতিকে বানিয়ে বোকা , লাল সবুজের ভূখণ্ডে চলছে ধোঁকা । নতুন সূর্যের হোক দেদীপ্যমান সোনালী উদয়। সাম্যের পরমানন্দে জাগুক হৃদয়। স্বপ্নের পৃথিবীকে জাগাই প্রিয় পংক্তিমালায়..
মাহমুদা রহমান /যুক্তরাষ্ট্র নিউ ইউর্ক
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
স্বপ্ন বিলাস মাহমুদা রহমান বেচে আছি নিজেস্ব জগতে যতদিন বাচা যায় ! জীবনের দিনরাত্রি কখনো মনে হয় অনুপম খাচায় ! বড়ো সাধে ঘর সাজাই পূর্নিমার চাদ দিয়ে তোমার এ পৃথিবী সাজাবো আমাকে ঘিরে ! অতি যত্নে পরিপাটি এই কক্ষ গৃহদ্বার গড়েছি কত শ্রম ঘামে এখন করছি চাষাবাদ ! কিন্তু শূন্য বিবর্ণ ধূসর মাঠ সমস্ত নিষ্ফল , বিনা দোষে এ জীবন ধূ ধূ কাটাবন ! নিজেই নিজের হাতে গড়েছি স্বপ্ন নিবাস সাজানো ফুলের টবে না ঠোকে কালসাপ !
শামীমা আহমেদ /পর্ব ৩৬
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত ( পর্ব ৩৬) শামীমা আহমেদ সারাদিন শায়লার আর কোন খবর পাওয়া হলো না। সন্ধ্যায় কল দিয়েও ফোন রিসিভ না করাতে শায়লার শারীরিক অবস্থাটা জানা হলো না। একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে শিহাব বিছানায় গেলো। সারাদিন ভীষণ অস্বস্তিতে কেটেছে। আজ যতকিছু পূর্ব নির্ধারিত এপয়েন্টমেন্ট ছিল শিহাব সব ক্যান্সেল করে দিয়েছিল। শায়লার এমন অবস্থায় শিহাব কোন দিকেই যাবে না। আরো কয়েকবার কল করেও শায়লার ফোনটা বন্ধ পাওয়া গেলো আর সেটাই স্বাভাবিক। অসুস্থ রোগীর ফোন বন্ধ রাখাই উচিত।শিহাবের বেশ অস্থির লাগছিল। কবে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।একটু শায়লার সাথে কথা বলা যাবে।বুঝিয়ে বলা যাবে, তুমি যা ভেবে এতটা আকুল হয়েছো তা তোমার বুঝবার ভুল। এমনি নানান ভাবনায় শিহাবের দু'চোখ বুজে এলো। কখন যেন মনের অজান্তে ঘুমিয়ে গেলো। সকালের রাউন্ডে এসে ডক্টররা জানালেন রোগী এখন বেশ স্টেবল।প্রেসার পালস হার্টবিট নরমালে আছে। শারীরিক সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। ঘুম খাওয়া স্বাভাবিক হয়েছে।ডক্টর জানালেন স্যালাইনটা শেষ হলেই চাইলে আজ দুপুরে বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। রাহাত বাধভাঙা আনন্দে ভেঙে পড়লো। আপুকে বাসায় নিয়ে ফিরবে এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পা
মোঃ হাবিবুর রহমান /১০তম পর্ব
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ইউএন মিশনে হাইতিতে গমন ১০তম পর্ব আবাসস্হলে যেয়ে প্রথমে একটু হোছটই খেলাম, শারীরিকভাবে না হ'লেও মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্হতো হ'লামই বটে। তাই এমূহুর্তে কিছু না ব'লে ঠিক থাকতে পারছিনা। আশা যেখানে গগনচুম্বী- পাওয়াটা যদি হয় তার খানিকটাও কম, সেখানেই জন্মে নিরাশা আর না পাওয়ার যন্ত্রনা, আর তখনই অতৃপ্তিতে ভোগে মানুষ না পাওয়ার বেদনায় আর এই ফাকে টুক ক'রে শয়তানটি এসে বার বার দেয় মনে তখনি কুমন্ত্রনা। ঠিক যেন এমনটি ঘ'টেছিলো আমার সেদিন মনের গভীরে, আশাহত হ'য়ে নিজ পাওনাটা না পেয়ে যথামূহুর্তে-যথাস্হানে। সাতাশটি বছর আগে ভাবুনতো, আমরা গেছি কত শত পাহাড়- পর্বত, সাগর-নদী, বন-জঙ্গল, শহর-বন্দর আর রাজ্য-মহারাজ্য পেরিয়ে তাও আবার কল্পনার রাজ্যে, বলা যায় রূপকথার সেই দেশে আর যে দেশে স্বশরীরে হাজির হ'য়ে একজন বাঙালী হিসেবে থাকা খাওয়ার ব্যাপারে তার বাড়তি কি ধরনের উচ্চাকাঙ্খা থাকতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। থাকার জায়গাটা প্রথম দর্শনেই মনটা যেন পাথরের মত ভারী ক'রে দিলো। ডবল ডেকার সাইজের দোতলা খাট, যেন মনে হ'লো দ্বি
শান্তা কামালী ৪ তম পর্ব
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বনফুল শান্তা কামালী ( ৪ তম পর্ব ) পলাশের আব্বু আম্মুদের নিয়ে গাড়ি চলে গেল। তাদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে গাড়ী জুঁই এর আব্বুর কাছে গিয়ে তার প্রাপ্য নিয়ে বিদায় হলো। ততক্ষণে জুঁইরা বাসায় পৌঁছে গেছে। জুঁই রুমে ঢুকেই সোফায় বসতে যাওয়ার আগেই মাথা ঘুরে পরে গেল। জুঁইয়ের আব্বু আম্মু দুজনেই ধরাধরি করে জুঁইকে সোফায় তুলে বসালেন,ময়না দৌড়ে গিয়ে এক গ্লাস পানি নিয়ে এলো। মনোয়ারা বেগম বললেন জুঁই পানিটুকু খাও অনেকটা ভালো লাগবে , জুঁই আস্তে আস্তে পানিটা খেলো। জুঁইয়ের এই অবস্থা দেখে ওয়াজেদ সাহেব ও মনোয়ারা বেগম খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন! জুঁই বাবা-মার এই দুঃশ্চিন্তা দেখে বললো অনেক দিন বাসাবন্দী হয়ে আছিতো, অনেক জার্নি হয়ে গেছে তাই হয়তো মাথাটা ঘুরে গেল। বাবা-মাকে স্বাভাবিক করার জন্য ছোট বেলার গল্প জুড়ে দিলেন, জুঁই বললো আব্বু তোমার মনে আছে আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন আমার জ্বর হয়েছিল। পরদিন দুপুর বেলা আমার জ্বর বেড়ে গেলে আম্মু তোমাকে ফোন করলে তুমি পাগলের মতো এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেছিলে। বিকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলে, ডাক্তার ভালো করে চেকআপ করে বলেছিলেন, কিচ্ছু হয়নি সামান্য জ্বর দুই দিন ঔ