পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অলোক দাস

ছবি
হাওয়া বদল  বহুক্ষণ অপেক্ষায় ছিলাম ও জানতাম "হবেই দেখা সিন্ধু " ।   দেখা হয়নি সিন্ধু।  আজ ভোরে দক্ষিনের দরজা খুলে দেখি -  চারপাশে ঘাসের ওপরে সারি সারি শিশির বিন্দু।   আকাশ তো স্থির  একই জায়গায় যুগ যুগ ধরে I সূর্য একই স্থানে স্থির চিরদিন।   আমাদের চারপাশে সবই বিদোমান।  তাই দূরে যাবার প্রয়োজন কেন?  তবুও আমরা যাই দূরে, একই মাটি ও একই আকাশ।   শুধু পরিবর্তন, যাকে বলে "হাওয়া বদল "।  এখন জীবন পাল্টাচ্ছে অতি দ্রুত। বুঝে নিতে হবে সবকিছু - কারণ আমি আমার মোতো। 

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৩০

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।                                      টানাপোড়েন '  (পর্ব ৩ ০ )                                                    সেরা জুটি                                               ন বমীর দুপুরের খাওয়া -দাওয়ার পর্ব শুরু হয়ে গেল বেলা বারোটা থেকে ,।গ্রামের লোকজন প্রচুর এজন্যই বোধহয়। মাধুরী,সরজু, সুরঞ্জন ,আশিষ সবাই মিলে বেশ আড্ডা জমিয়েছে।  কিন্তু শিখার মনের ভেতরে একটা খচখচানি রয়ে গেছে ।কি হলো হঠাৎ কল্যানদার? হঠাৎই কেন অন্য মনস্ক, মনটা যেন মনে হলো ভালো নেই। সেই যে দুজনে একসাথে অষ্টমীর পুজোর পর বেরোলো ।তারপরে বাড়িতে এসে কল্যানদা নিজের রুমে ঢুকলো।শিখা কিছুই বুঝতে পারছে না। জানলার ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শিখা এসবই ভাবছে। মাঝে মাঝে দাদা বৌদিদের হাসি -ঠাট্টা ,মজার কথাগুলো কানে আসছে।  হঠাৎই বৌদিভাই বলল  'কি ব্যাপার কল্যাণের কি কিছু হয়েছে? দেখতে পাচ্ছি না? ' সবাই এর ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। মাধু সরজুকে বললো 'ও বৌদি, কল্যান কোথা

শুরু হলো কাজী ইনাম এর ধারাবাহিক গল্প "একরাত্রি" ২য় পর্ব

ছবি
এই সময়ের অন্যতম স্বনামধন্য উপন্যাসিক কাজী ইনাম এর চতুর্থ উপন্যাস এর প্রস্তুতি চলছে এখন   একরাত্রি   শুরু হলো  ধারাবাহিক গল্প  ।   " স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকায়  " পাঠকদের কাছে অনুরোধ লেখাটি পড়ে লেখক কে উৎসাহ প্রদান করুন আরো ভালো কিছু পাবার আশায়।                                                                                একরাত্রি                                                                                    ( ২ য় পর্ব )                                                 বি চ্ছেদ মৃত্যুতেও সে ভারি অবিকার থাকতে পারে ।        আরিফ আর সপ্নাকে পড়তে বসা নিয়ে সারাদিনে রাবেয়া একটা কথাও বলেনি। অন্যদিন তারা রাবেয়াকে ব্যতিব্যাস্ত রাখে। লেখাপড়া শিখে ছেলেমেয়েরা একদিন অনেক বড় হবে এমন কোনো স্বপ্ন রাবেয়ার নেই। তারপরও পড়ার টেবিলে তাদের না দেখলে কেমন অস্থির লাগে। ছেলেমেয়েদের পিছে দৌড়াতে গিয়ে সে তার যৌবনচিত কমনীয়তা আর কন্ঠের মাধুর্য অনেকখানি হারিয়েছে। রাবেয়ার তাতে আফসোস  নেই। সংসারসমুদ্রে সে পড়েছে । এখানে কত লক্ষ্মীই তো প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তাদের রূপ-লাবন্য জলাঞ্জলি দেয়।  রাবেয়া না ফিরে  তাকা

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"১৫

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                                        উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                                 (পর্ব ১৫ ) রাত প্রায় দশটা,বাজে তৃষ্ণা ডিনার সেরে বারান্দায় এসে বসলো,আকাশে হালকা মেঘ, ঝাপসা হয়নি রাতের আকাশের তারার ঝিলিমিলি স্পষ্ট নয় হয়তো কোথাও চাঁদ উঠেছে তবুও হালকা আলোর আভাস মন জুড়ে ছড়িয়ে আছে। ফোনটা বেজে উঠলো তৃষ্ণা-অপু দেরি করলে যে? অপু- অভিমান হয়েছে বুঝি? তৃষ্ণা- আমার বয়েই গেছে। চিন্তা হয় দিনকাল ভালোনা তাই। অপু- যাক তাহলে চিন্তা করো খুশি হলাম,সহজে তো কিছু বলোনা, পেট খালি হবার ভয়ে। তৃষ্ণা-ভালো হচ্ছেনা অপু ফোন রেখে দিবো কিন্ত। অপু- মোনালিসা রাগ করতে হয়না। বাসায় বড় চাচা এসছিলো ডিনার করে গেলো একটু আগে। তৃষ্ণা-আমি কি,কৈফিয়ত চেয়েছি। অপু- আাকাশের,মতন তুমিও আজ হালকা মেঘলা হয়ে

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১১ তম পর্ব

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                  বনফুল                                                                                                      ১১ তম পর্ব                                                       গা ছের ছায়ায় বসে বেশ খানিকটা সময় গল্প করে কাটলো দুজনের.. …   জুঁই বললো এবার চলো ক্লাস শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই।  দুজনেই উঠে পাশাপাশি হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে উপরে গেলো।পলাশ চলে গেল তিনতলায়, আর জুঁই দোতালাতেই থেকে গেলো। জুঁইয়ের ক্লাস রুম দোতলায়। দুজনেই প্রায় একই টাইমে নেমে এলো, জুঁই হাঁটতে হাঁটতে ড্রাইভারকে গাড়ি গেটের সামনে নিয়ে আসতে বললো, পলাশকে বললো আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে যাব।দুজনেই গাড়িতে উঠে বসলো। টুকটাক কথাবার্তা হলো দুজনের মধ্যে। এজিবি পয়েন্ট এসে গাড়ি থামতেই পলাশ নেমে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো। বাসায় পৌঁছাতে ঘড়িতে আড়াইটা বেজে গেল। হাতমুখ ধুয়ে কিছু সময় মা বাবার সাথে গল্প করতে চাইলো বাবা বললেন চলো খেতে খেতে কথা বলা যাবে। এই বলে তিনজনই ডাইনিং টেবিলে বসলো

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
আমিত্ব  এই মায়ার শহরে ভালোবাসায় সাজিয়ে নিয়েছি নিজেকে নিজের মতো করে। মেঘেদের কাছে জমা রেখে শতো অভিমান নিত্য বিভোর আমি ভালো আছি করে যাবো ভান।  আক্ষেপের কোলাহল ছেড়ে চলে যাবো বহু দূরে  বেঁধে নেব নতুন সুরে।  মন বাড়িতে এসো যেটুকু সত্য আছে তা ওই আমিত্বের বৃত্তে। এক টুকরো শান্তির অন্বেষণে কানে  গুঁজেছি তুলো চেনা পৃথিবী চিনছি নতুন করে। আমার মনের ক্যানভাসের প্রান্তিক সীমানাও পারোনি তুমি  কবু ছুঁ'তে। পিছে ফেলে সব পিছুটান  বেসুরেই গাইব গান তবুও ফিরবো না তোমাদের নীড়ে। আমাকে বুঝোনি,আমার আমিকেও খুঁজোনি, যেদিন থামবে কোলাহল, থামবে জীবন গাড়ি,সবার সাথে ভাব ছেড়ে করবো সেদিন আড়ি। দূরের বাতাসে নাকি ঘ্রাণ বেশি  আমি সেই ঘ্রাণ হবো, গভীর রাতের জোছনা হবো, ভাসবো বৃষ্টির জলে, যখন শহর জুড়ে বর্ষা আসে নেমে। আমাকে জানতে হলে,আমাকে যে পড়তে হবে, আমার প্রিয় আমিত্বটাকে।