২৫ মে ২০২২

কবি মোঃ সেলিম মিয়া এর কবিতা "নির্বাক পুরুষ "






নির্বাক পুরুষ

মোঃ সেলিম মিয়া 



জন্ম নিয়েছি পুরুষ রুপি 
মানুষ বলে কথা, 
সংসার সুখ হাসি ফোটাতে তাইতো বিলিন ব্যাথা।
দিবা রাত কত গাধার খাটুনি 
ভাসিয়ে সুখের ভেলা!
হাসিমাখা মুখ দেখবো সবার
এটাই পুরুষের চাওয়া।
চাঁপা কষ্ট বধ করেছি হজম করছি গ্লাণি, 
চোখে টলমল জল হাসি মাখা ঠুঁট
আত্ন সম্মান হানি।
কে বুঝবে কষ্টে বিমুখ পুরুষের যাতনা খানি?
সংসারের সকল খরচ বউয়ের আবদার যতো,
পাশের বাড়ির ভাবি নাকি স্বর্গ সুখে রত?
সাদামাটা  ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি ঘর,
লজ্জায় আমায় মাথা হেট 
 তুমি কি বুঝবে নর?
সারাদিন কতো খাটাখাটুনি  অফিস বসের ঠ্যালা,
বাসায় ঢুকতেই বউয়ের প্যাদানি 
নিত্য দিনের চেনা!
সবার শুধু চাই আর চাই বিবেকহীনের মতো,
সংসার সুখে হীনমন স্বামী 
নিরব ভুমিকায় রতো।
ঘাম ঝরানো গন্ধে বিমুখ 
নিজের গতর খানি, 
পারফিউম মেখে বউ জান মোর 
মুহিত ঘর খানি!
চান্দে চান্দে উৎসব মুখর 
গয়না শাড়ির বায়না,
কোত্থেকে আসবে সে সব আমার জানতে চাই না?
রাগ ডর ভয় বউয়ের কদর
প্রিয়তমা এবার থামো,
এনে দিবো চাঁদ হাতের মুঠোয় হাত পাখাটি আনো।
ধিক ধিক করে কাঁপে বুক খানি
বুঝাবো কেমন করে? 
আমিতো পুরুষ সংসার সুখে স্বামী,
অবহেলা অনাদরে!
মেঘে মেঘে দিন ফোরালে বেলা--
জীবন ঘুচাবে পাটে।
কাঁদবে সবাই অঝোরে নয়ন,
অপ্রয়োজনে ভালোবেসে। 
আমি তো পুরুষ নির্বাক পুরুষ, 
নিগৃহীত কপাল দোষে!!!

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭১




উপন্যাস 

টানাপোড়েন  ১৭১

নববর্ষের নবদ্যুতি

মমতা রায়চৌধুরী



"আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে,
শাখে শাখে পাখি ডাকে
কত শোভা চারি পাশে..…।'
রেখা আজকে মন খুলে গান গাইছে ভোর চারটায় উঠে। ফ্রেশ হয়ে আগে গোপালকে ভোগ নিবেদন করলো। তারপর চা, জলখাবার বানিয়ে ফেলল। মিলি আর ওর বাচ্চাদের ও খাবার বানিয়ে ফেলল তার পরে  আজকের নিজেদের খাবার বানানোর সময় হবে না ।গতকাল তো কথা হয়েই গেছিল মনোজের সঙ্গে।মনোজ বলেছিল ' নববর্ষে আমরা' বাইরের খাবার খাব।'
এক হিসেবে ভালোই হয়েছে ভোর ছয়টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু' নারীশক্তি বাহিনীর' ।প্রতি বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো 
হয় । রেখা প্রতিবারই ডিনাই করেছে কিন্তু এবছর একদম নাছোড়বান্দা দুর্গা ।যেতেই হবে। আর সত্যিই তো আর কতবার প্রত্যাখ্যান করা যায় এবার যে করেই হোক যেতেই হবে। তাই কোমর বেঁধে কাজকর্ম সেরে নিয়েছে ।তারপর মাসি এসে যা পারে করবে ।
মনোজকে ডাকতেই বলল 'আমি এখন ঘুমাবো আমাকে ডেকো না ।'
রেখা বলল 'বাহ বেশ তোমাকে আমি নববর্ষের উস করে  বেরিয়ে যাচ্ছি ।ঠিক আছে ।"
রেখা কাছে গিয়ে মনোজের কপালে চুম্বন করল মিষ্টি উষ্ণতায় ভরিয়ে দিয়ে বলল' শুভ নববর্ষ 
আমার কুম্ভকর্ণ।সবকিছু শুভ হোক। ভালো হোক আর আমাদের মধ্যে বিশ্বাস , ভালোবাসার সম্পর্কটা চির অটুট থাকুক।'
মনোজ ঘুমোলে আর কোন ওর হুঁশ থাকে না
 এর মধ্যেই ফোনের কলতান রেখা
তাড়াতাড়ি ফোনটা রিসিভ করতেই, দুর্গা বলে উঠলো 'কি এবারও নিরাশ করবে নাকি?"
 রেখা বলল "একদমই নয় ।"
"কখন বের হচ্ছ ?"
"এই তো শাড়ি পরে তার পরেই তোমার কাছে চলে যাচ্ছি । '
দুর্গা বলল "আমারও হয়ে গেছে ।ঠিক আছে রাখছি ।আমার এদিকে অনেক কাজ করতে হবে তো ।আমিও বের হচ্ছি ।তাহলে দেখা হচ্ছে আমাদের গঙ্গার ঘাটে কেমন ।'
রেখা বলল '।
ফোন রাখতে গিয়ে দুর্গা বলল
" ভালো থেকো , নববর্ষে তোমাকে এটুকুই উইস করছি ।বাকিটুকু আমাদের এখানে এসে হবে কেমন। '
রেখাও বললো 'তুমিও ভালো থেকো।'
ফোনটা কাটতেই রেখা তড়িঘড়ি করে ওয়ারড্রব এর  কাছে দিয়ে শাড়ি চুজ করছে ,কোনটা 
পড়বে ?তার আগে দুর্গাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে কোন ড্রেসকোড আছে কিনা?
 দুর্গা বলেছিল 'না ,না ,কোনো ড্রেস কোড  
নেই ।আমরা দোলের সময়  ড্রেসকোড করে
 থাকি ।যা খুশি পরে এসো ,তবে শাড়ি পরে
এসো । রেখার মনে হলো নীল সবুজ কমিশনের পিওর সিল্ক টাই বেটার ।যতই হোক আজকের দিনটা সবুজের মধ্যেই রাখতে চাইছে। 
মনোজকে আর একবার তাড়া দিল কিন্তু মনোজ কোন কথার সাড়া দিল না বলে রেখা বললো ', শোনো, চা  ফ্লাক্সে রেখে দিলাম ।খেয়ে নিও। আর পাম্প চালিয়ে জলটা তুলে নিও ।আমি বেরোচ্ছি ।রেখা গেট খুলতেই মিলি আর ওর বাচ্চারা ধরল ঘিরে। কিছুক্ষণ আদর করলো তারপর   কিছু বিস্কিট দিয়ে যেই টোটোতে উঠতে গেছে, অমনি ওরা বিস্কুট ফেলে দিয়ে টোটোর কাছে এসে হাজির। কিছুতেই টোটো ছাড়তে দেবে না। টোটোওয়ালা যাইহোক করে যেই স্টার্ট দিয়ে কিছু দূর এগিয়েছে ওরাও পেছনে পেছনে ছুটতে শুরু করেছে। রেখার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল ও পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখছে কিভাবে অসহায়ের মতো ওরা ছুটছে। টোটোতে এক ভদ্রমহিলা ছিলেন ,উনি বললেন 'কিছুদূর গেলেই আর ওরা আসবে না ।ওদের তো আবার এরিয়া ভাগ করা থাকে। তবে বছরের শুরুতেই ওদের মনে কষ্ট দিতে চায় নি রেখা । মনে মনে শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল "ঈশ্বর ওদের ভালো রেখো, সুস্থ রেখো।'
মন খারাপ নিয়ে লেখা গঙ্গার ঘাটে পৌঁছালো।
গঙ্গার ঘাটে পৌঁছাতেই দুর্গা উষ্ণতায় স্বাগত জানালো আর আপ্লুত হয়ে বলল"ভীষন খুশী হয়েছি।"
রেখা বললো" সব অ্যারেঞ্জ হয়ে গেছে?'
দুর্গা রাস্তার দিকে তাকিয়ে বলল 'এমনি সব রেডি হয়ে গেছে ,শুধু গানের মেয়েগুলো রাস্তায় আছে ওরা আসলেই  শুরু করে দেবো।'
বলতে বলতেই গানের মেয়েরা এসে হাজির।
প্রথমে দুর্গা বলল আজকের অনুষ্ঠান শুরু করার আগে নারীশক্তি বাহিনী সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করার কথা আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষিকা শ্রীমতি রেখা চৌধুরীকে অনুরোধ করছি কিছু বলার জন্য।
রেখা বলল 'আজকের অনুষ্ঠানের যারা উপস্থিত আছেন তাদের প্রত্যেককেই শুভ নববর্ষের হার্দিক শুভেচ্ছা, শুভকামনা, ভালোবাসা জানাই আগামী দিনগুলো সকলের ভালো কাটুক ।নববর্ষের নব দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ুক সকলের ভেতরে। জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির মানবতার বিকাশ ঘটুক সকলের ভেতরে। আর নারীশক্তি যেহেতু সকল অনাদৃত ,অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করে থাকে ।তাই সেই সমস্ত মানুষগুলোও  পাক নববর্ষের নব আলোকের সঞ্জীবনী সুধা। তাই নারীশক্তি বাহিনীর প্রতি ও থাকলেও হার্দিক শুভকামনা এগিয়ে চলুক এইভাবে সকলের জন্য কাজ করুক তাদের বার্তা হোক"... প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।'
দুর্গা বললহ্যাঁ সে তো ঠিকই আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে তাই ,আমরা যেন সত্যিই সে সমস্ত মানুষের জন্য কাজ করতে পারি ।তো আজকে অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে উদ্বোধনী সংগীত এর মধ্যে দিয়ে আজকে সারাটা দিন চলবে এই গঙ্গাবক্ষে উন্মুক্ত পরিবেশে আমাদের এই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান ।তবে রেখা তোমাকে ছাড়ছি না ,এরপরে তোমার লেখা কবিতা আবৃত্তি আমরা শুনব।'
প্রথমেই উদ্বোধনী সঙ্গীত শুরু হলো 'এসো হে বৈশাখ। এসো, এসো,
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
দূর হয়ে যাক আবর্জনা
যাক যাক যাক…..।"

পরপর চলতে থাকল অনুষ্ঠান পরবর্তী সূচি ।
এর মধ্যে তিনজন অন্ধ ভাই ওরাও এসে উপস্থিত হয়েছে নববর্ষের আলো ওরা ওদের গান, বাঁশির সুরের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে দিতে চাইছে ।ওরা মনেপ্রাণে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে।রেখার খুব ভালো লাগলো। পরবর্তীকালে ওদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলো যে ওদের পরিবারের ওরা তিন ভাইই অন্ধ কিন্তু ওদের কি প্রতিভা ! রেখা অবাক হয়ে গেল কি অসাধারণ বাঁশি বাজানো !একজন বাঁশিবাদক,একজন বেহালাবাদক ,আরেকজন সঙ্গীত শিল্পী।অসাধারণ আজকের দিনটা খুব ভালো কাটলো রেখার ।পরবর্তীকালে আরো গানের মধ্যে দিয়ে চলল অনুষ্ঠান। এর মধ্যে দিয়ে সুরাইয়া বলে একটি মেয়ে এত সুন্দর ফোক সঙ্গীত করল , যেমনি গান ,তেমনি সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন দারুন লাগলো। কিন্তু রেখা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারছে না ,তিন চারদিন ধরে হাতটা এত যন্ত্রনা। ওখানেই বসে বসে নিজের হাত নিজে মেসেজ করে যাচ্ছে ।দৃষ্টিকটু লাগছিল । উপস্থিত একজন বিখ্যাত শিল্পী দাদা বললেন হাতটাকে বিভিন্নভাবে নাড়াচাড়া করছো কি হয়েছে তোমার হাতে? সবকিছু খুলে বলার পর বললেন ইমিডিয়েট ডক্টরের পরামর্শ নিতে। কথা বলতে বলতেই মেঘ না চাইতে জল এর মত এর মতো 'মিরা দি বলে নারীশক্তি বাহিনীর এক দিদি এসে বলেন 'কী হয়েছে তোমার?'
রেখা  বললো 'আর বলবেন না দিদি, লজ্জা লাগছে কিন্তু আমি যন্ত্রনায় থাকতে পারছি না।'
 দিদি ছিলেন একজন সিনিয়র নার্স ।তিনি বলেন 'দেখি তোমার হাতটা।'
'রেখা হাতটা বাড়িয়ে দিতেই, দিদি, এমনভাবে  আঙ্গুল আর হাতটা ধরে মেসেজ করে দিলেন যেন কোন যাদু বলে সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণা গায়েব। ' 
দিদি বললেন 'চিন্তা করো না ।তুমি, ইমিডিয়েট হসপিটালে যাবে দুই টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ওখানে ভালো ফিজিওথেরাপিস্ট আছে , দেখাবে।'
হসপিটালের কথা শুনে পাশেই এক ভদ্রমহিলা
নাক শিটকালেন আর বললেন ''?
আরো গভীর সুচিন্তিত পরামর্শ দিলেন
"প্রাইভেট হসপিটাল "এর।
মিরাদি কথাটা শুনে শান্ত অথচ দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন,এটা মাথায় রাখবেন হসপিটালেই কিন্তু ভালো ভালো ডাক্তার থাকেন ভালো কলেজ থেকে পাস করে সরকারি হসপিটালে ঢোকেন।'উনারাই প্রাইভেটে যখন প্র্যাকটিস করেন তখন আমরা জানতে চাই কোন সরকারি হসপিটালে জয়েন করেছেন?"
তারপর রেখার দিকে ফিরে বললেন "আমি যা বলছি তুমি শোনো, এখন এখানকার হসপিটালে যা ভাল ভাল ডাক্তার আছে ,আমি যেহেতু  হসপিটাল এর  সঙ্গে যুক্ত তাই আমি ভালো করে জানি।'
রেখা যদিও ভদ্রমহিলার কোথায় সেরকম সায় দিতে পারে নি।রেখান হসপিটাল এর পক্ষেই।
অত নাক উঁচু রেখার নয়।
এসব বলতে বলতেই দুর্গা এসে হাজির আবার এখানে কাজে রেখার স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করার জন্য।
প্রথম দিকটা একটু হকচকিয়ে গেছিল রেখা তারপর বললো ঠিক আছে মোবাইলের ভেতর থেকেই সেভ করা কবিতাটি পাঠ করছে।
কবিতার নাম ছিল 'নববর্ষ'।
অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে পৌঁছে রেখার কবিতা আবৃতি দিয়েই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করবে বলে দুর্গা ঠিক করেছে।
ইতিমধ্যে মোবাইলে সেভ করা কবিতাটি পেয়ে গেছে এবার কবিতা পাঠ করছে"
বছরের অন্তিম লগ্নে
নববর্ষে উঠি মেতে।
দুঃখ হাসি কান্না ভুলে
ভুবন ভোলা বুলি বলে,
যন্ত্রণাগুলো সরিয়ে ফেলে।
আসুক যতই বাঁধার পাহাড়
নিকষ কালো অন্ধকার।
…….
হিংসা-দ্বেষ দ্বিধাদ্বন্দ্ব
ঝেড়ে ফেলেসব মতো দ্বৈত,
পার প্রাণে উঠুকতান
মানবিকতার জয়গান
ধর্ম জাতি ভেদাভেদ ভুলে
শান্তি বিরাজ পৃথিবীজুড়ে
……
পৃথিবীর সব লোকে
ভালো থাকুক বর্ষ জুড়ে।"
কবিতা শেষে দুর্গা বলল আমরা এই প্রার্থনাই করি রেখার কবিতার মত পৃথিবীজুড়ে শান্তি বিরাজিত হোক যার যার ভেতরে মতদ্বৈততা দ্বন্দ্ব আছে সব ঝেড়ে ফেলে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক নববর্ষের নব কিরনের দ্যুতি।

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ"




শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ

 শিবনাথ মণ্ডল


আজকে যাদের দেখছ ছোটো
তারাই দেশের ভবিষ্যৎ 
তারাই দেশের মান বাড়াবে
দেশকে রাখবে অক্ষত।
শিক্ষা দিলে উৎসব পেলে
বাড়বে শিশুর বল
শিক্ষার মধ‍্যেই লুকিয়ে থাকে
মানবতার ফল।
শিশুর মধ‍্যেই লুকিয়ে আছে
সূর্যের মত আলো
শিক্ষা পেলে সেই আলোতে
মুছবে যত কালো।
শিশুর প্রতি যত্ম বাড়াও
শিশুকে কর বড়ো
তবেই অবাস্তবদূর হবে
মুক্তি পাবে জড়ো।।

কবি সোমাশ্রী সাহা এর কবিতা "অধঃপতন"






অধঃপতন
সোমাশ্রী সাহা 


উন্মাদ মানব জাতির জন্য করুণা হয়

অকারণ ছুটে বেড়ানো মানুষের জন্য করুণা হয়

এই বোধ হয়, জীবনের ব্যতিরেকে জীবন
আমাদের স্বপ্নেরা বাঁধা আছে আজও
যেখানে নিয়মিত অনিয়ম হয়...
ওরা কি জানে না?
ওরা কি অন্ধ?
ওরা কি জানা বৃত্তের মাঝেও অজানা?

অদৃষ্টের দোহায় দিই না আর
নির্দিষ্ট সত্যে উপনীত হই 
ওরাও বাজায় ধর্মশিক্ষা, যাদের হাতে ধর্মনাশ...