পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দীপক কুমার মণ্ডল

ছবি
কৃষক বিদ্রোহ আমার দেশের রুক্ষ মাটি যাদের শ্রমে বশ মানে, তাদের কি কেউ রুখতে পারে লাঠি, গুলি, জলকামানে! পিষ্ট যে রোজ শ্রমিক কৃষক শোষণ রথের চাকার তলায়, মরণ জয়ের কঠিন পণে প্রতিরোধের আগুন জ্বালায়। এ বিদ্রোহ নতুন জাতের জাতশত্তুর মালিক, দেশি; কৃষক জানে হাঁড়ির খবর ফকির সাজা ছদ্মবেশী! আমরা সবাই চাষির সাথে তাদের কাছেই সবার ঋণ, পুঁজিপতির চৌকিদারের ঘনিয়ে এল শেষের দিন। যাদের শ্রমে ফসল ফলে খাবার ওঠে সবার পাতে, তারাই দেশের আসল মালিক রাজধানী থাক তাদের হাতে। যারা কৃষক, ফসল ফলায়, পড়েই থাকে গাঁয়ের কোণে, আজকে তারাই রাজধানীতে নতুন দেশের স্বপ্ন বোনে।  

মোঃ হা‌বিবুর রহমান এর লেখা ''সহধ‌র্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা'' (১ম পর্ব)

ছবি
সহধ‌র্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা      (  ১ ম পর্ব  )               এখনঅ‌ব্দি ‌ঠিক কোন বিষ‌য়ে দু‌টো চরণ লিখ‌বো তা ম‌স্তি‌কের খ‌ু‌লি‌তে ঢু‌কে‌নি। ইদা‌নিং আমার বিরামহীন লেখা দে‌খে স্বয়ং আমার সহধ‌র্মিণী সতর্কতা সং‌কেত দি‌য়ে প্রায় প্র‌তি‌দিনই ব‌লেন "যখন সব লেখা ‌শেষ হ‌য়ে যা‌বে তখন কি লিখ‌বে"? অর্থাৎ, তি‌নি বোধ হয় এটাই বু‌ঝা‌তে চান যে, যখন আমার ঘ‌টের কপ্পুর বা স্ট‌কের সব সম্পদ শেষ হ‌য়ে যাবে তখন আ‌মি কি লিখ‌বো এই আর‌কি!                তাৎক্ষ‌ণিক তো একটা উত্তর দি‌তেই হয় তাই তখনই নি‌জের উপ‌স্হিত বু‌দ্ধি‌কে কা‌জে লা‌গি‌য়ে কিছু একটা তা‌ঁকে মনগড়া ব‌লে ফেললাম, তুমি তো তোমার প্র‌শ্নেই অকপ‌টে সমাধানটা নি‌জেই দি‌য়ে দি‌লে এবং আমার হ‌য়ে উত্তরটা ব‌লেই তো দি‌লে যে, যখন আমার সব লেখা শেষ হ‌য়ে যাবে তখন আ‌মি কি লিখ‌বো। সহধ‌র্মিণীকে একটু হালকা ঠাট্টা ক‌রে বললাম, একজন ভদ্র ম‌হিলা নি‌জেই প্রশ্ন ক‌রে আবার নি‌জেই সা‌থে সা‌থে উত্তর‌টিও ব‌লে দেয়, বাহ তু‌মি মজার মান‌ুষ‌তো দেখ‌ছি!                সহধ‌র্মিণী বল‌লেন "তার মা‌নে কি? ত‌ু‌মি এই কথার মাধ‌্যমে আবার কি বুঝা‌তে চাচ্ছ? আ‌মি বললাম সব যখন লেখা

ফারজানা আফরোজ

ছবি
প্রিয় নদী  আমার প্রিয় নদী ঘিরে জোয়ার ভাটার গল্প ছিল। ভালোবাসার নদী নিয়ে ভাঙা গড়ার কাব্য ছিল। আঁকাবাঁকা নদীর বাঁকে স্বপ্ন সেথায় বোনা ছিল। তরী যেথা বাঁধা থাকে সময় যেন থমকে ছিল। দুই নদীর মোহনায় রং তুলির ছোঁয়া ছিল। সেই নদীর জলের ধারায় আমার চোখের আয়না ছিল। নদীর উপর ভাসা মেঘে না বলা সব কথা ছিল। রাতের বেলা নদীর ছায়ায় চাঁদের আলোর হাসি ছিল। পাল তোলা নৌকা মাঝে চঞ্চলা এক মন ছিল। নদী তীরে সাঁঝ বেলায় কাশফুলের দোলা ছিল। নদীর সেই মাঝির গানে বিরহের সুর ছিল। হঠাৎ ওঠা নদীর ঝড়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস ছিল। বয়ে যাওয়া এই নদীতে রংধনুর রং ছিল।

সিরাজুম মুনিরা ময়ূখ

ছবি
আগুন-ফাগুন বুকের ভেতর        ফাগুন ফাগুন ঘ্রাণ,  দেখছি কারোর        আগুন আগুন  চোখ। পুড়ছে পুড়ুক হৃদয়,        জ্বলুক এমন রোজ! আগুন ঝরা ফাগুন বুকে        পাবে আমার খোঁজ!  এই যে আমি আসছি ফিরে        যেমন পাখি ফেরে নীড়ে! আসা-যাওয়ার কারণ তুমি        গাইছি যে গান চরণ চুমি নিজের কাছে নিজেই আমি         হচ্ছি যে সহজ! আমার মাঝেই তুমিও ভীষণ           হারাচ্ছো যে রোজ!

রেবিন চৌধুরী

ছবি
উপলব্ধি দুনিয়ার দস্তারখানায় মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব  প্রযুক্তির জমিনে কেউকেউ পাগলা অশ্বারোহীর মতো, চারিদিকে আগ্রাসি দৃষ্টির নগ্নতা শ্রেষ্ঠত্বের বড়ই আকাল পড়েছে সর্বত্র। সমাজপতির পকেটে আইনের বাক্স মুহূর্তে বদলায় নিয়মের বোল,মৃত্যুর দলিলে চোখ বুলানোর সময় কই, বিবেকের হাড়িতে হালুয়া রুটির ঝুল। আশার বাতিঘরে আপামরের দীর্ঘশ্বাস আর ভালো লাগেনা, আত্মার নদীতে সাঁতরে উপায় খোঁজেখোঁজে,বারবার ক্লান্ত হই। ঝিনুকের বুকচিরে মুক্তার প্রাচীর গড়ার প্রতিযোগীতা বেড়ে চলেছে,  কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এসব।  জননীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে মীরজাফরেরা উল্লাসে মাতে, চেতনার কেতন উড়ে দিগন্তে,ভাবতে ভাবতে ফের ডুব দেই ভেসে উঠি একদম খালি হাতে। বেদনার সুর সম্রাজ্ঞির পায়ের মল হয়ে কানে বাজে স্বপ্ন দেখার অধিকার যেন তাদেই পাওনা,  সীমাহিন সুখের জোয়ারে কানামাছি খেলার ধুম মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে ঈশ্বরেরও টনক নড়ছেনা।  ভালোবাসাবাসির ছাইপাশের দগ্ধচুলায় আর ধর্ষণের দাবানলে  অর্ধনির্মিত ভ্রুণের বিগলিত শরীরের রস পোকামাকড়ের খাবার,  কোনকালেই পূর্ণবিকাশ ঘটেনি মানুষের মানবতার। জাগাতে হবেই মানুষের মনুষ্যত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ হয় মগজ। অতঃপর,উপলব্ধি হলো ভালোবাসাই

তাহসান কামরুজ্জামান

ছবি
ছুঁয়া   আমাদের গল্পের পাতায় কোনো বাস্তবতার ছুঁয়া নেই।  তবে কয়েকশ শতাব্দীর অফুরান অনুভবে গল্পের পাতা এলোপাতাড়ি ভাবে বৃষ্টির ছুঁয়া লেগে রয়েছে।  তুমুল বৃষ্টি ঝরে পড়া দেখলেই মনের আকাশে কংক্রিটের শহরগুলোর কথা খুব করে মনে পড়ে।  বৃষ্টির ছুঁয়াই নির্জীবও নিষ্ক্রিয় পথঘাট গুলো সজীব রূপ ধারণ করে।  গাছপালা ভারি বৃষ্টি বর্ষণে নতুন প্রাণ পেয়ে যায় " সেখানেই সীমাবদ্ধ রিক্সার পেছনের হুডের ছাওনি তুলে" প্রথম ইশায় অনুভূতি প্রকাশের ব্যাপারগুলো বড্ড গাঢ় সম্পর্কের প্রকাশ ছিলো।  আধোআধো বৃষ্টির ছুঁয়াই ভেঁজা ভেঁজা ভাব " সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকা স্মৃতি " কি অদ্ভুত গল্পেই হারিয়ে গিয়েছে বাস্তবতার জীবনচিত্র।  একদিন ঠিক সময়ে মুনাফার বৃত্তিগুলো স্বপ্নের বাগিচায় রূপ দিবো।