০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

রেবিন চৌধুরী




উপলব্ধি


দুনিয়ার দস্তারখানায় মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব 

প্রযুক্তির জমিনে কেউকেউ পাগলা অশ্বারোহীর মতো,

চারিদিকে আগ্রাসি দৃষ্টির নগ্নতা

শ্রেষ্ঠত্বের বড়ই আকাল পড়েছে সর্বত্র।

সমাজপতির পকেটে আইনের বাক্স

মুহূর্তে বদলায় নিয়মের বোল,মৃত্যুর দলিলে চোখ বুলানোর সময় কই,

বিবেকের হাড়িতে হালুয়া রুটির ঝুল।

আশার বাতিঘরে আপামরের দীর্ঘশ্বাস আর ভালো লাগেনা,

আত্মার নদীতে সাঁতরে উপায় খোঁজেখোঁজে,বারবার ক্লান্ত হই।

ঝিনুকের বুকচিরে মুক্তার প্রাচীর গড়ার প্রতিযোগীতা বেড়ে চলেছে, 

কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এসব। 

জননীর বিশ্বাস ভঙ্গ করে মীরজাফরেরা উল্লাসে মাতে,

চেতনার কেতন উড়ে দিগন্তে,ভাবতে ভাবতে ফের ডুব দেই

ভেসে উঠি একদম খালি হাতে।

বেদনার সুর সম্রাজ্ঞির পায়ের মল হয়ে কানে বাজে

স্বপ্ন দেখার অধিকার যেন তাদেই পাওনা, 

সীমাহিন সুখের জোয়ারে কানামাছি খেলার ধুম

মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে ঈশ্বরেরও টনক নড়ছেনা। 


ভালোবাসাবাসির ছাইপাশের দগ্ধচুলায় আর ধর্ষণের দাবানলে 

অর্ধনির্মিত ভ্রুণের বিগলিত শরীরের রস পোকামাকড়ের খাবার, 

কোনকালেই পূর্ণবিকাশ ঘটেনি মানুষের মানবতার।

জাগাতে হবেই মানুষের মনুষ্যত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ হয় মগজ।

অতঃপর,উপলব্ধি হলো ভালোবাসাই হবে মোক্ষম 

মানুষ নিজেকে ভালোবাসলেই থেমে যাবে সমস্ত অনিয়ম। 

প্রকৃতপক্ষে মানুষ নিজেকে ভালোবাসেনা বলেই

শোধ,ঘুষকে নিশ্চিন্তে হালাল বানিয়ে নিয়ে

সমাজকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে

নিজেকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করছে।

আত্মমসম্মান একান্তই ব্যক্তির অমুল্য সম্পদ,

মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহারে সম্মান নষ্ট করে নির্দ্বিধায়, 

ক্ষমতাশীনদের ছত্রছায়াকেই নিজের জন্য ভাবে  নিরাপদ।

মানুষ সবাইকে নিয়ে বাঁচার জন্য অপরাধী হয় কিন্তু

নিষ্ঠুর সত্য হলো একসাথে বাঁচতে পারলেও মরতে হয় একাই

কবর ও হাসরের বয়াবহতা জেনেও নিজে পাপ করে পাপী হয়, 

তার কারণ মানুষ নিজেকে ভালোবাসেনা।

পরকালীন সুখ অথবা দুঃখের রূপ নিয়ে

কবরের সঙ্গী হয়ে আত্মার সাথী হয়  একমাত্র আমলই, 

মৃত্যুর স্মরণে বিবেক জাগ্রত হলে মানব জীবনে

গতি ফিরে আসবে শুধু নিজেকে ভালোবাসলেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much