পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি বিশ্বজিৎ মণ্ডল এর কবিতা

ছবি
বিগ্রহ বিশ্বজিৎ মণ্ডল অনিচ্ছায় কতবার চলে গেছি, উপবনে.... তোলপাড় পাথরপরি জানিয়েছিল, আমাদের সংলাপ ভুল স্বীকার করেই বলি,আদপে প্রেমিক নই তোমার ডানার করতোয়া রং দেখে ভুল মেপেছি____ভিক্টোরিয়া... আসলে সতেরো বছর আগে হারিয়ে ফেলা সুগন্ধি  রুমালের খোঁজে ,আজ আমি পাথর পাহারাওয়ালা...

রুকসানা রহমান

ছবি
দু'চোখে যে অন্ধখনি যতই তুমি থাকো দুরে, ছায়ার মতন জড়িয়ে আছো আমার সাথে  নিশুতরাতে চাঁদের ভিতর, সেদিন কি আর ছিলো তোমার ভালোবাসা   নেশা-পেশার সাজানো এক যজ্ঞবেদী...! তবু কেন মন খারাপের জানালাতে দাঁড়াও এসে নিত্য নতুন আয়না হয়ে...!?  যতই তুমি অবহেলায় তুচ্ছ করো, আবেগী সব কথার স্মৃতি বিনাসূতোয় কষ্ট কাহন মালা গাথি গহীন রাতে থমকে দিয়ে আলগোছেতে খোঁপায় জড়াও সোহাগ ভরে স্বপ্নে এসে। লতায়- পাতায়  বাতাস যখন খেলায় মেতে, যায়  চলে যায় অবহেলায়, তাকে তখন বাধঁতে পারে...! আমিও যে চাই ভুলতে তোমায়, চাইলে কি আর যায় ভোলা যায়,ততই তুমি আঁকড়ে ধরো। কোথায় তুমি, ছায়া হয়ে কান্না ভেজা জলে দেখি ভাসতে ভাসতে যাও হারিয়ে।  সেইতো কবে মনে আছে, নদীার জলে সন্তরণে আকুল হয়ে ঢেউয়ের সুরে সুর তোলাতে কাজল  আখিঁর পাতায় পাতায় কী মমতায় গভীর ভাবে ওষ্ঠ ছুঁয়ে, হারিয়ে যেতে রীতিনীতির দুয়ার ভেঙ্গে।  অমৃত সেই নেশার ঘোরেই,বলতে শুধু আমার তুমি, তুমি আমার                                      জলজ দেহে কি মহিমায় আকঁতে ছবি অনুরাগের স্পর্শকতায়। আমি কেবল রয়ে গেলাম আজও শুধু তোমার হয়ে এখনও কি  ব্যাস্ত ভীষণ, কি এসে যায় আমার কষ্টে!  সব কিছু তো তোমার কাছে..

মমতা রায় চৌধুরী/৭৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৭৪ একান্ত মনোভূমি মমতা রায় চৌধুরী রেখা সকাল থেকে একটা মনের ভেতরে আলাদা একটা প্রশান্তির জায়গা খুঁজে নিতে চাইছিল। ওদিকে পার্থর মা মানে মাসীমা আগের থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ধীরে ধীরে ফিরছেন সে দিক থেকে একটু টেনশন মুক্ত আবার এদিকে মনোজ ও  ধীরে ধীরে ক্রমশ উন্নত পর্যায়ে পৌঁছাছে স্বাস্থ্যের দিক থেকে, সে দিক থেকেও মনে একটা আলাদা ভালো লাগার জায়গা তৈরি হয়েছে। শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে লাগছে ,তাই এক মুঠো সোনালী রোদ্দুর যেন চাই চাই।তাই ছাদে উঠে আসা। কিন্তু একা একা ভাল লাগছে না ছাদে পায়চারি করতে।  দোলাচলতায় নিচে নেমে এসে ভাবল ' কি ব্যাপার ,আজকে মিলির বাচ্চাগুলোর কোন সাড়াশব্দ নেই কেন?'  একটু উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করল। রেখা দেখল "আরে ওরা তো একটার উপর আরেকটা এভাবে শুয়ে আছে। ওদের তো বস্তা পেতে দেয়া হয়েছে। তার পরেও ওদের ঠান্ডা লাগছে।'  দুধ রুটি খাওয়ার সময় হয়েছে  বলে রেখা সামনের গেটের ছিটকিনিটা যেই না খুলেছে,  ক্যাচ শব্দ কানে যেতেই তিনটে বাচ্চা ছুটে চলে এসেছে। এসেই লেজ নাড়তে শুরু করল আর ওদের ভাষায়' ভোউ ভৌউ..উঃ করতে লাগলো'। কিন্তু লিলিটা বেরোলো

শান্তা কামালী

ছবি
বনফুল (৪৬পর্ব)  শান্তা কামালী সৈকত অহনাকে পৌঁছে দিয়ে এসে ডিনার শেষে বললো খালাম্মা আমি কালকে ভোর বেলায় ট্রেন ধরবো। ভোর পাঁচটায় বাসা থেকে বেরোবো, আপনি আবার কোনো রকম কষ্ট করে নাস্তা বানাতে যাবেন না। আমি ট্রেনে উঠে নাস্তা করে নেব। পলাশের আম্মু বললো আরেকটা দিন থেকে গেলে হতো ভালো বাবা।সৈকত বললো খালাম্মা আমাকে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সব গুছিয়ে আসতে হবে, যত তাড়াতাড়ি যেতে পারবো, আমার জন্য ভালো হবে। পলাশের আম্মু বললেন, আচ্ছা বাবা.....।  প্রায় ১০ ঘন্টা জার্নি করে পলাশ মাল্টা এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেকিং শেষ করে, একটা ক্যাব বুক করে ভার্সিটির হোস্টেলে এসে পৌঁছলো। গাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে রুমে ঢুকে দু'জন রুমমেটের সাথে  পরিচয় পর্বে জানতে পারলো একজন ইন্ডিয়ান। ভালোই হলো,মালপত্র এক সাইডে গুছিয়ে রেখে ওয়াশ রুমে ঢুকে শাওয়ার করে এসে দশ মিনিট রেস্ট নিয়ে ব্যাগ থেকে  কিছু খাবার বের করতে যাবে তখনই ইন্ডিয়ান রুমমেট রাহুল বললো, আমরা আছি আর তুমি কি না ড্রাই ফুড খেয়ে থাকবে এ আবার হয় নাকি! চলো আমাদের সাথে খাবে, পলাশ ভদ্র ছেলের মতো  ওদের সাথে বসে খাবার খেলো।তবে হঠাৎ অন্য দেশের খাবারের স্বাদ খুব একটা ভালো লাগেনি.....  তবু

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৩৭

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৩৭) শামীমা আহমেদ  রাহাত আরো একদিন অফিস ছুটি বাড়িয়ে নিল। একটি কর্পোরেট অফিসে রাহাতের এটাই প্রথম জব চলছে। তা প্রায় বছর দুই হয়ে এলো। ছুটি নেবার মত কখনো এমন কোন সিরিয়াস বা ইমার্জেন্সি  প্রয়োজন পড়েনি। এবারই প্রথম আপুর জন্য ছুটি নেয়া।  শায়লার জন্য রাহাত  অন্তত এটুকু করতে পেরে নিজের উপর কিছুটা দায়িত্ববোধ হালকা করলো। আপুর রুমটা ঠিকঠাক করে দিতে হবে। একটি  ইলেকট্রনিক্স শোরুমে কথা বলে  রাহাত ঘরে বসেই  একটা ছোট এসি শায়লার রুমের জন্য অর্ডার করে দিল। ওদের কোম্পানির লোক এসে সেটা সেট করে দিয়ে গেলো। শায়লার রুমের লকটা ঠিক করা হলো। রাহাত এবার বেশ উঠেপড়েই লেগেছে। শায়লার মনে যেন সবসময় একটা নিরাপত্তাবোধ কাজ করে রাহাত সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করবে। সবশেষে দুজন লেবার গোছের লোক আর বাসার দাড়োয়ান নিয়ে আপুর রুমের জিনিদপত্রগুলোর একটু জায়গা পরিবর্তন করে দিলো। শুধু শায়লার আপত্তিতে রুমের খাটটা সরানো হলোনা। খাটটা ঠিক জানালার পাশে আছে। শায়লা বিছানায় শুয়ে শুয়ে জানালার পর্দা সরিয়ে আকাশ দেখে,পাখি দেখে মেঘ, বৃষ্টি,  চাঁদ দেখে, রাতের আঁধার দেখে, দিনের উজ্জ্বল  আকাশ থেকে ! রাহাত ভাবলো আপুর রুমে

জাবেদ আহমেদ

ছবি
চাঁদের কণা ধরায় না জানি এই আদরের লিলায় কোন উত্তাল সাগরে আমি ডুবি নাজানি! কবির কলমে কেন বারবার তোমার অপরুপ মুখখানি।  এই কেমন অনুভূতির খোয়াবে খোলা চোখে শুধুই তোমারে দেখি! না জানি কোন পাষন্ডের রাজ্যে আমি আছি না জানি ! সবুজে ঘেরা অবণ্যের মাঝে বনলতার সন্ধানে আমি না জানি । কত দুর্গম গিরিখাতের পাড়ি দিয়ে তোমার আশায় বাধি নীড় নীড়পাতায় না জানি! কত অসীম তোমার দুরত্ব না জানি ! আমার শৈশবের দেখা নন্দিনী 'র মত কেন তুমি নাজানি কোন দুঃদর্শ যুদ্ধের সমুক্ষে আমি নাজি কোন কিয়ামতের নমুনা তুমি নাজানি।ওগো চাঁদের বুড়ি এক টুকরো ঝড়ে পড়েছ কেন ধরায় না জানি।

মোঃ হা‌বিবুর রহমান/১১ তম পর্ব 

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন  ( ১১ তম পর্ব )  মোঃ হা‌বিবুর রহমান আজ লেখার শুরু‌তেই মন‌কে বললাম, "হে ‌মোর মন আর কত পর্ব পর্যন্ত তু‌মি খুড়ি‌য়ে খুড়ি‌য়ে চ'লবা? মন ব'ল‌লো এইভা‌বে যায় যত‌ দিন। ম‌নের ভিত‌রে অন্য মন‌টি ব'ল‌লো, আর কত‌ দিন? অ‌নেক‌ তো লিখ‌ে‌ছো, এবার এ যাত্রায় দেওনা কিছু সময় ক্ষ্যামা? অপর মনটি ব'ল‌লো, কই আর এত‌ দিন, চলছে চলুক না কেন, এ‌কেবা‌রে শেষ ক‌রো মিশন আব‌ধি। মিশন শে‌ষে ফির‌তি ফ্লাইট দি‌য়ে টা‌নো ই‌তি; যেখান থে‌কে তুমি ক‌'রে‌ছি‌লে শুরু সেই ব‌ঙ্গদে‌শের রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জা‌তিক বিমান বন্দর নামে খ্যাত স্থান‌টি‌তে ফি‌রে এ‌সে হও ত‌ু‌মি ক্ষান্ত।  অন্য মন‌টি বল‌লো, মন্দ নয় যেন প্রস্তাবটি, একেবা‌রেই যেন খাসা, কিন্তু এত সময় পা‌বে তু‌মি কোথা? স‌ত্যিই তো দে‌বে কি  কেউ আমায় অমূল্য সময় ধার? কার অন্ত‌রে আ‌ছে এত দয়া, কে আমায় দি‌বে অ‌তি মূল্যবান ‌সেই সময়টি ধার? কা‌জেকা‌জেই অব‌শেষে নিলাম সিদ্ধান্ত, শেষ ক'র‌তেই হ‌বে যে‌কোন প্রকা‌রেই আজ। আর যেই কথা যেন সেই কাজ। কে‌টেশে‌টে একদম ক'রলাম শর্ট, ফেইস বু‌কের এক বন্ধু ব‌লেছি‌লেন মো‌রে, হয় যেন অ‌তি স

অলোক দাস

ছবি
লিপি       মানব ও মানবী সম্পর্ক মানেই বিধিলিপি I  সম্পর্ক তৃতীয় নয়নের খোঁজে - যা মেলে না,  তাই তৃতীয় সম্পর্কে মিলে যায় I  যা অচিনকে চিনে নেয় I  অব্জ্ঞা, আঘাত না পাওয়ার বেদনা থেকেই I  আপেল কেড়ে নেয় তৃতীয়া নয়ন I  হয়তো এটাই প্রকৃতির ধৃষ্টতা I  এ এক জটিলতা I  শ্রীস্ট্রিকারিও জানেন না, এ তৃতীয়া নয়নের চতুরতা I

সেলিম সেখ

ছবি
   শীত গ্রীষ্ম অতিবাহিত হয়ে আসলো যে শীত,  তাইতো আজ ধরেছি মোরা সাম্যের সেই গীত।  শীতের ওই দখিন হাওয়ায়  কেঁপে ওঠে মোদের বুক, প্রাণীরা সব যায় যে বাসায় থাকে না মনের সুখ। শীতের সকালের রোদ লাগেজে ভারী মিষ্টি, সন্ধ্যাবেলায় কাঠের আগুনে যায় যে সকলের দৃষ্টি। শীতের ওই মোটা পোশাক পরেছি মোদের অঙ্গে, বেরিয়েছি যে শীতের রাতে ভয় নেই কাঁথা আছে সঙ্গে। শীতের ওই খেজুর রস যেই পড়েছে পেটে সকালে,  হাড় কাঁপানো শীতের দিনে  প্রাণ যায় যেন অকালে।  শীতের সকালে খাওয়ার শেষে ছুটে চলি আগুনের কাছে, হাত পাখানা সেঁকে নিয়ে মনরে বলি লেপ-কম্বল আছে। শীতের নিশি কাল রাতে চলি যখন আমি একা, রাস্তা থাকে পুরো ফাঁকা পাইনা যে কারো দেখা। শীতের সকালের ঘন কুয়াশায় যায় না যে কিছু দেখা,  কুয়াশা থেকে ধোঁয়াশা হয় হল যে মোদের শেখা।  শীতের সব শাকসবজি সবুজ করেছে মাঠ কে,  শীতের ওই শাকসবজি ভরিয়ে তুলেছে হাট কে। শীতের দিনের সকালের সেই  ধুকি পৌষ পিঠার কথা,  ভুলিবো কেমনে সেই স্বাদ মনে আছে যে গাঁথা।  তাইতো বলি ওরে ভাই করিও না শীতকে হেলা,  গ্রীষ্মের পর শীত আসে এত ঋতুর সব খেলা। 

কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য

ছবি
                নতুন দিনের প্রতীক্ষায়                সাঁঝের পাখি ফিরছে বাড়ি           সন্ধ্যা হয়ে এল,          সারাদিনের ক্লান্ত রবি                             অস্তাচলে গেল--------          পথিকেরা ফিরছে ঘরে          ফিরছে পশুর পাল,           বাসায় ফিরে রাত কাটিয়ে          বেরোতে হবে কাল ,        উঠবে আবার নতুন সূর্য্য         আসবে নতুন দিন         জাগবে মনে আশার আলো        কেউ হবে না ক্ষীণ ।।