পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৫০

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " ।  টানাপোড়েন ৫০ উদাসী মন তারে খোঁজে                                                                   হ ঠাৎই শীতের সকালে বৃষ্টি শুরু হল। ভোর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে নিম্নচাপের জন্য। রেখা যেন আজ 16 বছরের তরুণী সেই আগের মতই বিছানায় পড়ে রয়েছে ,কিছুতেই উঠতে ইচ্ছে করছে না। আজ কোন তাড়া নেই, কারোর জন্য চিন্তা -ভাবনা নেই। শুধুই একান্তে নিজেকে জানা। উদাসী বাউল মন টাকে খুঁজে বেড়ানো।তাই জানলার কাছে মাঝে মাঝে গিয়ে মনে হচ্ছে  বৃষ্টি হাতে নিয়ে অনাবিল আনন্দ অনুভব করতে।  এমন সময় কাকিমা এসে ডাকছেন ' ননী, ননী, ননী?' রেখা বলল ' কি কাকিমা?' কাকিমা বললেন 'তোর ফোন বাজছে?' রেখা আলস্য জড়িত কন্ঠে বলল ' এত সকালে কে ফোন করছে?" মনে মনে ভাবল মনোজ ফোন করল ,নাকি রিম্পাদি এই দুজন ছাড়া  আর কে ফোন করার আছে? এমন সময় আবার ফোন বেজে উঠলো। ফোনটা রিসিভ করতেই কণ্ঠ ভেসে আসলো 'হ্যালো রেখা ,আমি বড়দি বলছি'

গোলাম কিবরিয়া শরীফ

ছবি
সম্ভ্রম  কোন ও এক রাতে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠা জংলার বাঘ.....  মেতে ওঠে লালসায় -  ওকে ভিক্ষা দাও।  নিরবতা যখন ভীতি ছড়ায় - আলোটা তখন শেকলে বন্দী,  জোনাকীর ক্ষীন প্রচেষ্টা - তামাশার সাথে করে সন্ধি ..... ঠিক তখন ই মুগ্ধ  তুমি প্রানবন্ত, উচ্ছল ছলনায় - নিজেকে বোঝাও  - "ভালো আছি বেশ! " জ্বলজ্বলে মশাল হাতে,  উত্তাল দেশপ্রেমিক - সীমানায় আছে,  শুধু কালো ধোঁয়া ... আলো  নিভে গেছে সেই কখন!  অন্ধকার, ঘুটঘুটে অন্ধকার ... তবু প্রচেষ্টা নিরন্তর - মেহেদী রাঙানো কোমল হাত - ধরে আছে ব্যানারের লাঠি!  মায়াভরা প্রেমিকের  সুদৃঢ় হাত - ছেড়ে দিয়েছে সেই কবে!   সে তো বিজ্ঞাপনের পন্য - জানেনা সে নিজেও!  তবু যায়..নিরালায়,   চুক্তি হয়, চুপিসারে।  ভালো থেকো, প্রিয় বোন - স্বেচ্ছার অভিসারে ....

রুকসানা রহমান

ছবি
সতী দাহ  উত্তুরে হাওয়া তখনো যৌবন ছোঁয়নি তবু লাল বেনারশি আর সিঁথীতে সিঁদুর পড়ে চলে যেতে হলো অচেনা সংসারে। যৌবনের কড়া নাড়তেই, সাদাথান আর ঘটি ভর্তি জলের ধারায় ধুয়ে দিলো সব সিঁদুর। তারপর প্রস্তুতি নিতে হলো সহপমরণের। ধর্মের নামে চলে নারী হত্যার মহাজজ্ঞ সতীত্ব রক্ষার নামে জীবন্ত তুলে দেয় জলন্ত চিতায়। মানুষ তো নই ছিলাম যেন পুরুহিত তন্ত্রের দাসী  ওরা মানুষ হওয়ার আগেই পুরুষ হয়ে ওঠে, ধার্মিক হওয়ার আগে পুরুহিত সাজে। নিষ্ঠুর-নির্মম প্রথার বলি হতে সাজালো বিধবাকে লালশাড়ি আর সিঁদুর পড়িয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেলো গঙ্গার পাড়ে, যেখানে সাজানো চিতায় স্বামীর মরদেহ, ওখানে ছুঁড়ে ফেলা হবে লেলিহান আগুনের কুন্ডে জীবন্ত শরীর। তখনই তোমাকে খুব মনে পড়ছিলো মা, আর চিৎকার করে ডাকছিলাম তোমায়,  মা দেখো, তোমার আদরের মেয়ে বিয়ে নামক দাসত্বের বলি, জীবন্ত পুড়ছি আমি আর আমার নারীত্ব। বাচঁতে বড় ইচ্ছে করে মা, এখনো হয়নি যাওয়া মল্লিকা বনে, মেঘচুলে জড়াইনি শিউলির মালা। তুমি শুনবে না জানি, পৌঁছুবেনা অস্ফুট স্বর, তবু তোমার নামের জপ করি। হয়তো,সেদিন ঈশ্বরের চোখে ছিলো জল। তাইতো নির্মম-নির্দয় আর নিষ্ঠুর প্রথার অবসান করতে ঈশ্বর পাঠালেন এক মান

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ২৮

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল শান্তা কামালী ( ২৮ তম পর্ব )  তিথি আর শিমূল সৈকত আর অহনার জন্য চা,মিষ্টি নিয়ে এলো। ওদের  বাবা মা'য়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো পলাশ। তারপর ঘর থেকে পোশাক চপাল্টে এসে ওরা বেরোতে যাবে,এমন সময় গাড়ি নিয়ে এসে হাজির জুঁই। পলাশের মা জুঁই কে বুকে জড়িয়ে ঘরে এনে একটু মিষ্টিমুখ করালো,তিথি ও জুঁই কে খুব আদর করে বললো, ভাইয়া তোমার অনেক নাম করেছে  কিন্তু পরিচয় আগে হয়নি,খুব ভালো লাগছে তোমাকে। আবার এসো। ওরা গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো। একটু পরেই ওরা পৌঁছে গেলো জুঁইদের বাড়িতে।  জুঁইয়ের আব্বু আম্মু পলাশ কে খুব আপ্যায়ন করে ঘরে নিয়ে বসালেন। তারপর, মিষ্টিমুখের পালা শেষ করে কফি খেতে খেতে জুঁইয়ের আব্বু পলাশ কে বললেন, টিভি তে লাইভ দেখলাম।খুব ভালো লাগলো, গর্ব হচ্ছে তোমার জন্য। একটা কথা তোমাকে জিজ্ঞেস করছি,যদি  দেশের থেকে ও ভালো বিদেশি ভার্সিটির সুযোগ আসে,তুমি কি রাজি আছো? পলাশ বললো সে-তো অতি উত্তম হবে, কিন্তু.....  কোনো কিন্তু নয়,তোমার ইচ্ছে টাই বড়ো ব্যাপার। সেটা তোমার আছে কি-না, সেটা বলো। পল

এস, কামরুন নাহার

ছবি
আনন্দে আজ মন ভাসে আনন্দে আজ মন ভাসে গো সুখের নেশায় চোখ হাসে,  আর মন হাসে,  দৃষ্টি গোচর হয় বুঝি আজ লাল সবুজের ও'ই চাষে। আনন্দে আজ মন ভাসে গো, মন ভাসে! আনন্দে আজ মন ভাসে। দুঃখ দুয়ার খুলে রাখি  বজ্রধ্বনি লুন্ঠিতে,লুন্ঠিতে আসবে যত আসুক বাঁধা ছুঁড়ে দেব তীরের ধাঁধা,  আত্মশক্তির বিশ্বাসে।  আনন্দে আজ মন ভাসে  গো মন ভাসে! আনন্দে আজ মন ভাসে আলো-আঁধারীর মেঘের স্রোতে টাপুর-টুপুর বৃষ্টি আসে। হৃদয় গহীন পাড় ধ্বসে যায় স্বপ্ন ভাঙ্গা নিঃশ্বাসে বুক  ফিনকি ছোটে খুন হাসে আনন্দে আজ মন ভাসে গো মন ভাসে! আনন্দে আজ মন ভাসে। রক্তে ভেসে সিক্ত মাটি  ধুলোর পথে জল ছিটায়,  রিক্তবক্ষ অমানিশার মাঝেও  নেয় দুঃখ শুষে,  কষ্টগুলো পাঁজর ভাঙ্গে  মর্যাদাহীন বিশ্বাসে। আনন্দে আজ মন ভাসে গো  মন ভাসে,   আনন্দে আজ মন ভাসে। রাঙ্গা প্রভাত ঊষার দুয়ারে, বন্দীশালা অগ্নিতে,  দাহ নিয়ে চোখ দু'টো আজ পুড়ে মরে রাত্রিতে ও-ই লাভার স্রোতে গা-ভাসে। তাই আনন্দে আজ মন ভাসে  গো মন ভাসে, আনন্দে আজ মন ভাসে ।

আলমগীর হোসাইন

ছবি
সুরভী খুজেঁ  যন্ত্রনার বাষ্প দাহে তোমার সুরভী খুজেঁ কষ্টসাধ্য পথের দিশা মিললেও ধন্য হবো বিষাদের ছায়া হতে দুরের অজানা  পথের মৃত্তিকার মসৃণ ধুলোয় মিশে সাথে রবো। কঠিনথেকে কঠিনতর হয়ে উঠে প্রেমী মন হতাশায় বিবেকহীন হয়ে পড়ে যখন তখন বাচাঁর স্বপ্ন সখের বসতি নড়বড়ে দেখে বেমালুম ভুলে যায় জীবনের সকল মানেই। কতো স্বপ্ন ভাঙার গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কে কার খবর রাখে মিছে মায়ার এ ভবে তোমার কাহিনীও মিশে যাবে দুর  আকাশে ব্যর্থ এ প্রেমী অনন্ত অপেক্ষায় ডুবে যাবে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১৮

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ১৮ )     শামীমা আহমেদ                                                  আ পু, আম্মার রিপোর্টগুলো আজ নিয়ে এসো।আর আমাকে কল দিয়ে জানিও। ডাইনিং টেবিলে এ চায়ের কাপ হাতে তাড়াহুড়োয় রাহাত কথাটা শায়লাকে জানালো। শায়লা টেবিলের ওপ্রান্তে গভীর চিন্তামগ্ন।কি জানি রাহাতের কথা তার কানে পৌছুল কিনা!  রাহাত অফিসের জন্য তৈরি হতে নিজের রুমে চলে গেলো।সকাল আটটায় গাড়ি নিচে চলে আসে। না অফিস থেকে কোন গাড়ির ব্যবস্থা  নেই। কয়েকজন কলীগ মিলে একজন কলীগের গাড়ি শেয়ার করে।সেই কলীগ একটু সেক্টরের ভেতরের  দিকে থাকে।একে একে তিনচারজন কলীগকে সে তুলে নেয়।খুব সুন্দর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ওদের মাঝে। আসলে এরা সবাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।জীবনে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজ এই অবস্থানে। একটা উন্নত জীবনের জন্য কতই না পরিশ্রম রাতজাগা পড়াশুনা।প্রতিযোগিতায় নিজের শক্ত অবস্থান করতে দিনরাত্রিকে এক করা।ওরা কেউই ওদের অতীত ভুলেনি।কারো কারো জন্য অ

রাবেয়া পারভীন এর ছোট গল্প" স্মৃতির জানালায়"(২য় পর্ব)

ছবি
স্মৃতির জানালায়  ( ২য় পর্ব) তিনি তাঁর কৈশোরে যৌবনে আজকের এই সফলতার স্বপ্ন দেখতেন  এবং মনে মনে দৃঢ় হতেন যে লক্ষে  একদিন পৌছাতেই হবে। অথচ  তাঁর ছেলেরা  কাজের প্রতি যেন কোন আগ্রহই নেই। না চাইতেই  সব পেয়ে পেয়ে  ছেলেগুলি এমন হয়েছে। হঠাৎ গাড়ী চলতে শুরু করতেই  চমক ভাংলো মাহতাব সাহেবের। যানজটে আটকে থাকতে  থাকতে অস্থির  লাগছিল ।  পিছনের সীটে  বড় ছেলে মোহন মুখ ভার করে  বসে আছে। মোহন যে গাড়ীতে বসে আছে  সেটা এতক্ষন মনেই ছিলনা মাহ্তাবের। তিনি  পিছন ফিরে  মোহনকে দেখলেন। কয়েকদিন  ধরেই  দেখছেন  ছেলেটা খুব মুখ ভার করে থাকে। অফিসের কর্মচারীদের উপর খুব  হম্বি তম্বি করে। কি হয়েছে  ছেলেটার ?  মোহন কি  দাম্পত্য  সমস্যায়  ভুগছে ? কি জানি হতেও  পারে। কিন্তু পিতা হয়ে  পুত্রকে কি তিনি এ কথা জিজ্ঞেস  করবেন ?  নাহ্ এসব নিয়ে কোন প্রশ্ন  তিনি ছেলেকে করতে পারবেন  না। চিরকালই তিনি সন্তানদের সাথে  যথেষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। ছেলেরা তাকে যথেষ্ট  ভয় করে।  এটুকু ভয় না থাকলে ছেলেরা তাঁকে মান্য  করবে কেন ? নানা রকম ঠুনকো পারিবারিক  সমস্যা  নিয়ে ভাববার তাঁর সময় নেই । তাঁর অন্য  অনেক কাজ আছে। আজীবন তিনি  কাজের মধ্যে ডুব