১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পবন বর্মন

প্রদীপ

            প্রদীপ তোমার বিয়ে দেবে
   সিঁড়ি পেতে দেবে ভালোবাসা অবধি


                ছুড়ে ফেলা আলো
           কুড়িয়েছে কালো মিয়েটি

          মিয়েটি আঙুল হয়ে উঠছে
            সেই আঙুলে ধরতে চায়
                     তোমার স্বপ্ন
                   তোমার আলো

                         মেয়েটি
                    ভিতরের শব্দে
        গেঁথে ফেলা বন্দুক তুলে রাখে
         বালিশচাপা রাখে তার বয়স

                           তুমি
   গলে যাওয়া রাস্তায় একটু হেল্প করো



জৈদুল সেখ

ভাষাহীন ভালবাসা

শিশিরের সৌন্দর্যে সকলে স্নান করতে পারে না,
দুহাত ভরে মাখতে পারেনা তার স্নিগ্ধতা
সকলের মধ্যেই ভালবাসা থাকে
কিন্তু তার ভাষা হৃদয় থেকে অনূভব করতে কেটে যায় দীর্ঘ সময়!

তাই তো চাতকের মতো এখনো ভাবি
ঝর্ণার স্নিগ্ধতা পেতে যে গোলাপ পাঠিয়েছি
তার অপেক্ষা এখনো  নিমফলের মতো শ্লেষপূর্ণ
হয়তো নিবেদন ছিল ঠিক কিন্তু ভাষা ছিল সুবাসহীন।

আসলে ভালোবাসার চেয়ে ভালো ভাষার বড়ই অভাব।

দীপক আঢ্য

ক্ষত 

গভীর ক্ষতকে এড়িয়ে চলি সযত্নে
বেঁধে রাখি, আরও আঘাতের ভয়ে
পাশ কাটাই। ধীরে সন্তর্পণে

ব্যস্ততার সময় কেমন বৃদ্ধ হয়ে ওঠে
মানসিক পঙ্গুত্ব গ্রাস করে স্থিরতা
কেবল বিস্বাদের সময় চলে অনবরত

বিকেল আসে,
ক্ষতরা টনটন করে - ব্যথা মাপি মনের গভীরে
ক্রমশ আমিই 'আঘাত' হয়ে উঠি...

জাস্টিফিকেশনের মাত্রা পার হয় দিগন্তের সীমা
ক্ষতর বাঁধন  খুলি
গলাগলি করে আছে যন্ত্রণা আর ভালোবাসা!

লাকী খান

আহত 

তোমার ভালবাসা না থাকলে
অস্তিত্ব-ই বা কী ?
যেন মরীচিকার দিকে এগিয়ে চলা l
চোরাবালি রাস্তাজুড়ে -
দ্যাখো তৃষ্ণা ভরা ভেজা শরীর
বালির সাথে লেপ্টে আছি আমি l
তোমার প্রেম বাতাসে মিশে গেছে
আবেগের দহনে বরফ হয়ে জমে গেছি l
বর্ষায় তুমি কদম ফুলের মত লাল
আবেগের দরজা ভেঙে দাও l
আমার ভীষণ মাথা যন্ত্রণা
কেন আমি বারবার প্রেমে পড়ি !
তারা যে আমাকে ঠকায়,
তোমার চোখের নাচন আমার মণ চুরি করেছে
একটা চোরের মতন l
খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াও
বৃষ্টি হয়ে ঝরবো তোমার উপর l

সোহেল রানা (ফকির)

সংবাদ 

সবুজ গিলে নীল পৃথিবী
সান্ত্বনা দেয় রাতের তারা ।
আকাশ ঘিরে মেঘ সারথি
অন্ধরাতে জীবন মরা ।

বৃষ্টি হলেই জাগে সত্ত্বা
সূর্য ডাকে সবুজ ভোর ।
গিলতে থাকে ইচ্ছে হত্যা
তোমার আমার গায়ের জোর ।

জ্যোস্না হাসির চেতন উল্লাস
মায়াবী রাত নিদ প্রহরী ।
প্রবাহমান মৃদু বাতাস
প্রেমের শোকের কোজাগরী ।

উপড়ে নিবে ধরণীর কোল
ছুঁড়ে দিবে ক্রুর আর্তনাদ ।
সৃষ্টিকর্তার শ্বাশত বোল
খেয়াল খুশির হলুদ সংবাদ ।

মুন চক্রবর্তী

বারবার ফিরাও যদি

নাভি গর্ভ হতে ফিরাও যদি অস্থিত্বের সংকটে
একটু একটু করে প্রতিজ্ঞার লেলিহান তুলি ।
সিঁদুরের আঁড়ালে বৈদিক মন্ত্রের ছাই উড়িয়ে শ্মশানে মাতৃ আরাধনা ।
নাভি গর্ভ হতে ফিরে তাকাই  সূর্য সম তেজে
অস্থিত্ব রহিত মাতৃ রূপেন সংস্থিতা ।
বড় বেশি প্রলোভনের প্রয়োলব্ধতা খুঁজে
নিজেদের চরম বিপর্যয়কে ধর্মের নামাবলতী জড়িয়ে

উচ্চারিত মন্ত্রের একাংশে আত্ম প্রবঞ্চনা বহুরূপী সমাজ ব্যবস্থায়
বীরঙ্গনা নাভি গর্ভ হতে প্রখর দীপ্তি গন্ডুষে পান করে ।
প্রকৃতির অপূর্ব বেলাভূমিতে আলিঙ্গনে ফিরে জননী রূপে
ভূমিষ্ট জননী থেকে ।

জয়ন্ত দত্ত

চোর পুলিশখেলা

কাতারে কাতারে লোক চলেছে।চোর দেখতে।
চোর ধরা পড়েছে পাড়ায়।আমিও দৌড় লাগাই।কৌতুহল নিয়ে পৌঁছে যাই ভিড়ের কাছাকাছি...

সমবেত চড়, ঘুসি,সিগারেট ছ্যাকা--থ্যতলানো নাক মুখ ,রক্ত গড়িয়ে রাস্তায়।চারিদিকে বিচরণশীল উৎসুক ভারিক্কী মুখ!
ভাবতে থাকি ---ঐ থ্যতলানো মুখের চোয়ানো
রক্তের অবিকল ---ফাইল চুরি কথা,আমানত চুরি ব্যথা ---আরও আরও চুরি---পুকুর চুরি তক!!

কাকলী দাস ঘোষ

আকুতি 

ধর কোনদিন যদি
ভোর সীমানায় পাখীর গানে গানে ,
হারিয়ে খুঁজি তোমার চোখে পদ্মপুকুর শিশির ,
তুমি কী আমায় ফিরিয়ে দেবে বন্ধু ?
মিনতি শোন দিও না ফিরিয়ে
সাগর কুমারী আমি ,
আমার চোখেই ফিরবে তোমার
ভালবাসার নীর l