পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"৫

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা   ( ৫ ম পর্ব)                       সা ধনা কি বা কা‌কে ব‌লে? সাধনা বা প্রচেষ্টা হ‌লো কোন এক‌টি কাজ সুষ্ঠুভা‌বে সমাধা‌নের ল‌ক্ষ্যে একা‌ন্তে লে‌গে থাকা কিংবা প্রচেষ্টা জারী রাখার নামই হ‌লো সাধনা। তাই সম‌য়ের ঘাট‌তি থাকা স‌ত্বেও একা‌ন্তে লে‌গে থাকার দরুনই হয়তবা দুএক কলম লেখা সম্ভব হয়।  ইদা‌নিং নানান ঝা‌মেলায় দিন কাট‌ছে। সহধ‌র্মিণীর কিছুটা স্বাস্থ‌্যগত জ‌টিলতার সা‌থে নি‌জের অ‌ফি‌সিয়াল ব‌্যস্ততায় যেন একদম হা‌ফি‌য়ে উ‌ঠে‌ছি। ত‌বে যে মহৎ মান‌ুষ‌টির নাম আ‌মি গত প‌র্বে না বলার জন‌্য ঘোষনা দি‌য়ে‌ছিলাম সেই সুহৃদ ব‌্যক্তির একপ্রকার জ্বালাত‌নে এত ব‌্যস্ততার ম‌ধ্যেও বস‌তেই হ‌লো আজ খাতা কলম নিয়ে।  রাত বাড়‌ছে, ঘুমের সময়ও ধী‌রে ধী‌রে হ্রাস পা‌চ্ছে আর এমন এক মান‌সিক দুঃ‌শ্চিন্তা সঙ্গে নি‌য়ে লিখ‌তে ব‌সে‌ছি। কারণ, দুএক কলম লিখ‌তেই হ‌বে আর এ পর্বটি প‌

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস "টানাপোড়েন"৯

ছবি
অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   । টানাপোড়েন (পর্ব- ৯ ) চাপ পরের দিন যখন স্কুলে গেলো রেখা, সেদিন এত চাপ মুখ ই তুলতে পারে নি। 10 ক্লাসের ক্লাস টিচার। মেয়েদের চেকলিস্ট এর সই, তথ্যগুলো সঠিক কিনা সেগুলো ভালো করে যাচাই করে অনলাইনে পুট করতে হবে। এর মধ্যে রিম্পাদি কয়েকবার এসে তাড়া দিয়ে গেছে। কি রে টিফিন করবি তো ,চল?  হ্যাঁ ,এই যাচ্ছি রিম্পাদি। কিছু মেয়ে এত ভুল করছে, ডকুমেন্টস রয়েছে ।তা সত্বেও দেখে দেখে ভুল। এখনো দশটা মেয়ের মত বাকি।  ম্যাম আমি কি কাস্ট লিখব?  হ্যাঁ রে, বন্দনা ।তোর মাথা কি গেছে? তুই কি .st. sc. obc ,না জেনারেল?  ম্যাম ,আমি জেনারেল। তাহলে বোকা বোকা কথা বলিস কেন? সেটাই লেখ।  ওকে ম্যাম।  আর কথায় কথায় ok বলতে হবে না। ঠিক আছে। এতক্ষণে কম্পিউটার থেকে ওঠার সময় হল। রিম্পা দি এসে আবার হাজির। আসলে কালকের ওই রোমিও জুলিয়েটের কথাটা ,এখনো রিম্পাদির মনে আছে । আর যদি প্রেমের গন্ধ পায় তাহলে আর রক্ষে নেই। একদিন শুনতে হবে রিম্পাদি কারো প্রেমে পড়েছিল কি না?গল্পটা যখন জানতে চাইছে, ব

তাহিয়া মাহবুব

ছবি
চোখ   পাওয়া না পাওয়ার যে খেলা এই খেলায় খেয়া পাঠাব বলে বৈঠা খুঁজে খুঁজে কাঙাল হয়ে যাচ্ছি। যেই রোদ্দুরে নীল মিলেমিশে একাকার হত সেখানে উড়ন্ত দূড়ন্ত চিল  কেন এমন ডানা ঝাপটায়? এই পথে যখন কৃষানী হাঁটে, কৃৃষক ধান ভানতে দৌঁড়ে বেড়ায়, সে ঘাম মুক্তার মত  জেগে উঠে না কৃষানীর চোখে? আমি যদি বলি পাখি হব, রোদ্দুর ছোঁব, তুমি দেবে আমায় এক জোড়া ডানা?  দেবে পাখির মত ভরহীন শরীর? যদি বলি নীলে মিলেমিশে আকাশের সাথে  সন্ধি পাতব, যদি বলে ফেলি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে  চিৎকারে মাতব, তবে হবে সেই প্রতিধবনি? যদি বলি কোনদিন আকাশ দেখিনি আমি, তবে তোমার চোখ জোড়া কি  আকাশের চেয়েও কম কিছু? বল? কম কিছু ?

সাফিয়া খন্দকার রেখা

ছবি
নিম্নমধ্যবিত্ত জীবন এবং সঞ্চয়পত্র গতকাল খবরে একটি সংবাদ এসেছে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমে যাচ্ছে। সংবাদটি এ দেশের নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের যাপিত জীবনে অত্যন্ত প্রভাব ফেলেছে।  একজন সামাদ মিয়া পেনসনের কুড়ি লক্ষ টাকা সঞ্চয়পত্র কিনে মাসে আঠারো হাজার টাকা  লভ্যাংশ পান এবং এই ১৮ হাজার টাকায় তার পুরো মাসের প্রেসারের ঔষধ এবং চারজনার সংসারের বাজার খরচ চলতে মুদি দোকানে দেনা হয়ে যায়। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমিয়ে দেয়ায় সামাদ মিয়া ১৮ হাজারের পরিবর্তে ১৩ হাজার টাকা পাবেন। চালের দাম আলু এবং ডালের দাম বেড়েছে কয়েক শতাংশ। এমন সামাদ মিয়াদের সংখ্যা এ দেশে অগণিত, সরকারের উচিত তাদের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ না কমিয়ে যেমন আছে তেমন রাখা অথবা বাজারদর বিবেচনায় কিছুটা বাড়িয়ে দেয়া।

উম্মে হাবীবা আফরোজা

ছবি
অনুভূতির পাঁজর দুঃসাহসী ভ্রমণের পথে, সর্বোচ্চ শিখরচূড়ায় আরোহন করে,  কালের যাত্রার পদধ্বনি শুনতে পাও; অথচ, বিস্মৃতিপ্রদোষে তৃষার্ত আবেগে  সমুদ্রের ঢেউবিলাসী পাখির মত,  ডানাঝাপটানো ঝরা বকুলের কান্না তোমায় ছুঁ'তে পারে না! এই দেখো; কতোটা সংগোপনে তন্দ্রা জাগরণে তোমার অনুভবের পাঁজরের ছোঁয়ায়  জাগাইছে আজ আমার অন্তরীক্ষে  আলোকের শতখানি ঝলকানিময় যে হৃদয়স্পন্দন;  নিরবে, নিভৃতে, নির্জনতার ছাদরে তা আষ্টেপৃষ্টে আগলে রেখেছি আজো যতনে; যেখানে আজ অন্যথা নেই, অন্য কিছু নেই, আছো 'তুমি' নামক অস্তিত্ব  সঞ্চিত ধনরত্ন ন্যায় আমারো  হৃদয় মন্দিরে। তোমাকে ঘিরে রচিত হয়েছিলো যে স্বপ্নগুলো, আজ তা দুষ্টু বেড়িবাঁধের আয়ত্তে বন্দী। সাত সমুদ্র চিৎকারের আর্তনাদে  স্বপ্নরা বয়ে চলেছে দিগন্ত জোড়া  শালিকের পিট চড়ে। জ্বলাঞ্জলী দ্বীপের মাঝে ইচ্ছে ডানা আজ নির্বাসিত, ভাসমান নদীর স্রোতে বিলীন স্বপ্নরা আজ মৃতপ্রায়,  বড্ড অবেলায়, অসহায়, নিরুপায়।