পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৪, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৈমুর খান

ছবি
  শ্রীমতীকে  শেষ চিঠি শ্রীমতী, তোমাকেই লিখছি,  দুঃখের দিন, এলোমেলো হাওয়া ভবিষ্যৎ অন্ধকার  তোমাকেই আলো ভেবে সাধনা আমার এখন আর তাড়া নেই  মরে যাওয়াও বাঁচা শ্রীমতী, তোমাকেই বলছি  না পাওয়া পাওয়া জীবনটা শূন্য বলেই গোল যত ইচ্ছে গড়াও  অথবা দাঁড়াও আশারও অন্যনাম যাওয়া শুধু এক চিলতে আকাশ  আকাশের নিচে একটা বাড়ি বাড়িতে একটা গাছ  গাছে দুটি হীরামন পাখি তার ছায়ায় বসে গল্প করা যায় শ্রীমতী, গাছও তো নির্জন কোনো নারী !

কবি মিশ্র এর গল্প

ছবি
আত্মজ অরুন্ধতীর মন আজ বেশ খুশি। বাড়িতে সবাই আনন্দে মেতে উঠেছে। পুচকি এখন ও ঘুমে কাতর। এবার তুলতে হবে। ওর জন্যই এত আনন্দ। একবছরের হয়ে গেল। কোথা থেকে যে দিন কেটে গেল বুঝতেই পারল না। ঠাকুর মশায় চলে এসেছে, বাড়িতে পুজো,মা ডাকছেন, সকাল সকাল স্নান করে সে তৈরি।  সোনার মুখের দিকে তাকিয়ে অরুন্ধতীর আজ পুরনো দিন গুলো সব মনে পড়ছে... তখন যেন দিন রাত সব একই মনে হত। বিয়ের পর পর কোন বেবি ওরা নেয়নি। তাতে অরুনাংশুর ও সায় ছিল। কিছু দিন নিজেদের মতো কাটিয়ে বাচ্চা নেবে। অরুনাংশু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, প্রচুর কাজের চাপ, অরুন্ধতী প্রাইমারি টিচার।  দুজনে দুজনকে আগেই চিনত, কিন্তু সে ভাবে কথা বার্তা হয়নি। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকত। কিন্তু সমন্ধ আসার পর কিছু দিন নিজেদের চেনা জানার পর বিয়ে করেছে। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ই সমন্ধটা এনেছিল। কিন্তু তখন জানত না পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে অরুনাংশুরা। যাইহোক , দুবছর পরে যখন নিজেরা বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দেখা দিল সমস্যা। এদিকে শাশুড়ী মা সারাক্ষণই বলে চলেছেন, একটা বাচ্চা না হলে বাড়ি কি বাড়ি মনে, কি ভাবছ তোমরা. তোমার শ্বশুর মশায় নাই, ছোটু ও বাইরে।আমি কি নিয়ে থাকব। ছোটু আমার ছোট দে

ভবেশ বসু

ছবি
আজ না পুরুষ না নারী  যখন সাদা চাদরে ঢেকে দেবে আমায়,তখনো নাক পাবে না মরা পচা মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ কারা পচে যায় যাদের শরীর এই পৃথিবী জেনে নিতে পারেনি! গন্ধ দাহ হয়ে গেল অনেকেই এভাবে দুরন্ত কাল আজ পরশু,আর কতবার তোমরা শরীর নিয়ে দৌড়াবে কারো মৃত্যু হলে পৃথিবীই নিথর হয়,ফসলের বদলে তুষ হলে আয়ু যায় যেমন চাষীর অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি শিশিরকে বলেছি,দাও আমার পদ্ম ফোটায় কিছু বৃষ্টি। প্রিয় মুখ একটি নয় আমার,চুম্বন দিয়েছি সন্তানে চাঁদফুল প্রিয়ার বলয়ে সৃষ্টির প্রথমে যে রৌদ্র ছিল সেই অন্তহীন সাগরের ঢেউ এখনো পাখিদের মতো শুদ্ধ সবুজ সব ঋতুর মৌসুমি হাওয়া এই আমার মা------চিরযৌবন অক্ষত পূবদিক হতে পিতা নিয়ত উর্ধ্বগামী বলে মরণ হয় না কোনোদিন,জন্মেরই বারবার অমৃত সঞ্চয় হয় ঘুম এখনই ভাঙবে,কেউ দেহ নষ্ট করো না শকুনি মামার কথায় মানুষ জাদুঘরের জীব নয় তোমরা বিভৎস রূপে সাজিয়ে রাখবে ইচ্ছেমতো যুদ্ধে আমি যাবই মাধব। সাদা চাদরে ঢাকা দাও অথবা কালো,আগুন তো মানুষেরই সৃষ্টি,আমি আসার পরই সে এসেছিল  আমারই নির্বাচিত প্রতিনিধি সে ও তার শিকারি  চিনতে পারো,আমি তার অবৈধ সঙ্গমের লালসায় আহত সেই অম্বা,আজ না পুরুষ না নারী।

মাসুমা সুইটি

ছবি
  দমকা হাওয়া  বাতায়নে চুল মেলেছি হঠাৎ বুঝি দমকা হাওয়া ধুলোর ঝড়ে স্নান করালো বকলে তুমি, এবার হলো!!  আমিও তখন মুখ বাঁকিয়ে  বললাম এবার, বেশ করেছি ধুলোর ভয়ে খুলবো না কেশ, এটাই আমায় বলো?  মুচকি হেসে মাথা নেড়ে উড়িয়ে দিলে সকল খেদই- পারবো না যে তোমার সাথে হার মেনেছি এবার হাতটি ধরো।  চুপটি করে কাছে এসে করতলে এই মুখটি ধরে অপলকে রইলে চেয়ে লাজে আমি হই যে জড়সড়।

অর্কদীপ সরকার

ছবি
  প্রিয় তুমি ব্যস্ত থাকতে না চেয়েও ব্যস্ত হয়ে যায়  পেটের ক্ষুধা, রোগদুর্ভোগে টাকা ছাড়া কিছু নাই!!  ইচ্ছে হলেও পারিনা তোমায় অনেক সময় দিতে ভালো রাখতে খুঁজে ফিরি টাকা, গ্রীষ্ম কিংবা শীতে!! অভিমানী জমা তোমার মনে কোথাও আমি অপরাধী বাথরুমে স্নানের মাঝে অনেকখানি কাঁদি!!  এই শহরের রঙিন সন্ধ্যে হয়না আমার দেখা  মোম গলেপড়া মোমবাতিটা আমার মতোই একা!!                                                                                                      ইতি                                          তোমার আমি।                                        

নাজিয়া নিগার

ছবি
আঘাত জানো, একবার ফুলের কাছে গেলাম ভালোবাসার জন্য! ফিরিয়ে দিয়ে বললো- মৌমাছির জন্য জমিয়ে রেখেছি ভালোবাসা তোমায় দিতে অপারগ আমি।  একবার নদীর কাছে গেলাম বললাম, হবে কি একটু ভালোবাসা? নদী বললো- সে তো সমুদ্রের জন্য নির্ধারিত, তোমায় দেবো কী করে? পাহাড়ের কাছে গেলাম। বললাম, এক চিমটি ভালোবাসা দেবে আমায়? পাহাড় বললো- বুকে আছে ঝর্ণা তোমাকে কী করে দিই বলো তো?  আকাশের কাছে গেলাম। আকাশ বললো- মেঘের কাছে দিয়ে রেখেছি মন। বৃক্ষের কাছে গেলাম। করজোরে বললাম ভালোবাসা দাও, বৃক্ষ ভালোবাসা দিলো। কিন্তু ভালোবাসার সমীকরণ মেলাতে পারলাম না! পাথরের কাছে যখন ভালোবাসা চাইলাম, পাথর বললো- ভালোবাসা নেই আঘাত আছে, নেবে?

হুমায়ুন কবির সিকদার

ছবি
    অন্যের  করছ ঘর শুনলাম যখন হয়ে গেছ পর অন‍্যের করছ ঘর  মাহাশূণ‍্যে ভাসছিলাম পৃথিবীটা কাঁপছিল থরথর  বিদ‍্যুৎ চমকালো দেখছিলাম জমকালো নিভলো  জীবনালো। জীবন গল্প রঙিন কল্প মুহুর্তেই হলো কালোজিরা সম কালো। শুকনো কন্ঠ মাটির হাড়ির ন‍্যায় ঠন ঠন হৃদে ধক ধক শব্দ জিভে ছিলনা জল পরানে ছিলনা পরান সব হয়েছিল নিস্তব্ধ  লালিত স্বপ্ন কল্পিত আশা বাসরের বর্ণিল বাতি  নিভে গেলো চিরতরে হলোনা যে আর সাথী  বলেছিলে বিয়ে সামাজিক ভাবে হবে এবং তা জানবে সবাই  মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে হলে কসাই প্রেমকে করলে জবাই। অকপটে বলেছিলে কী এসে যায় তাতে? নিন্দুকেরা কিছু বলবেই পশ্চাতে! কেউ মানবে না, কেউ মানবে তাতে কেন আমাদের ঘর ভাঙবে? ভালোবাসা যা দেয় তার চেয়ে বশি কেড়ে নেয়  কবির এই অমর বাণী শুনিয়েছ বহুবার  অধমের জন‍্য বন্ধ কেন তবে তোমার দুয়ার? অমর বাণী বলা কতই না সহজ মানা ভীষণ কষ্ট  কতশত জীবন এমন আশ্বাসে চিরতরে হয় নষ্ট। কথার ফুলঝুড়ি ছলনার অমর বাণী বুঝিনি কাণাকড়ি নিজ হাতে তাই পরিয়ে দিলে গলে তীব্র যাতনার বেড়ি ।  কীযে দহন যায় না সহন বুঝাবার নাই সাধ‍্য  হৃদয় মাঝে সহসাই বাজে অদৃশ‍্য সে বাদ‍্য। ঠিকানা নাই জানা স্মৃতিরা দিচ্ছে হানা  জানার ইচ

সুরাইয়া শিরিন

ছবি
বন্ধু  বন্ধু!বড্ড -স্পৃহার শক্তি আজ,  হামেশাই পিছু টানছে এ হৃদয়'টা; দুমড়ে মুচড়ে ওঠে, তাচ্ছিল্যে ভরা  ক্লান্ত ভেতরটা। সীমায় পৌঁছার দীনতা,আর চলে না, বন্ধু! বিধাতা হয়ত, আজ কোন  আরজিও শুনে না। জানো  কি? কি এমন, তোকে ঘিরে  আমার দূর্বলতা।  বন্ধু এ কি এলো? ঠাসা কালোবেলা, না হয়ে কেন.. স্মৃতি যাচ্ছে না মুছে ফেলা; কেন?ইন্দু'টা করছে নিপুণ খেলা। সত্যিই! যদি হয়, এসব বিধানে লেখা তবে কেন?অতীত লগ্ন গুলো, আবারও ঊর্ধপাণে দেয়, উৎসাহ -উদ্দীপনা।  বন্ধু! তোর ফুরিয়ে যাক ফেরারিত্বটা, কেটে যাক দেউলিয়াত্ব, যেটা। তবুও দেখা হবে, গল্প হবে, এ নিয়ে কতো বিরহের ছিল বিচ্ছেদের রেস টা।

মিরান

ছবি
প্রত্যয় শ্রাবনের আকাশ, মেঘে ঢাকা তারা, অন্ধকার নিশিতে আমি পথ হারা। দিশাহীন যাত্রী আমি,পথ হারা পথিক, হৃদয় মানসে বেদনার  অগ্নি জ্বালা। প্রতি পদে পদে শ্বাপদ সংকুল জীবন, সংকিত মনে শুধুই শংকার, অশনি সংকেত। উপায়হীন দিকভ্রষ্ট  জীবনে,সহায় সম্বল হারা, এমনি তিমির রাতে,আকাশের অশ্রুঝরা, হঠাৎ শমিত ভেঙ্গে, চমকিত আলোর বিস্ফুরনে ব্রর্জপাতের তুমুল হুংকারে প্রাণে জাগে সাড়া। ওরে দিগভ্রান্ত পথহারা, কিসের এত ভয়, জীবনে আছে যত ভয়,যাতনা সংকটময়। সাহসের সাথে এগিয়ে যাবে, বুকে নিয়ে প্রত্যয় অপশক্তি অসত্য কুচক্রিরা যতই করুক কৌশল, সত্য ন্যায় ও শুভ শক্তিরই হবে জয়।

মুন চক্রবর্তী

ছবি
ইতি রেখাতে  সমুদ্র অভিযানে গেছে মাছরাঙা বাউল মন জীবাশ্ম বেঁচে আছে গভীর তলানিতে আশ্চর্য জলে ডুবরী খুঁজে আনল মুক্ত,বন্ধ শামুকে ঝলমল শুভ্রতা। ঢেউগুলো বৃষ্টির স্বরলিপিতে মানস কুঞ্জ বিলাসী ঘূর্ণির ঢেউয়ে ভেঙে পড়েছে ছাদ,রাজপথে ভিখারীর ছদ্মবেশ সোহাগ সিঁদুর কৌটো ভেঙেছে সর্বনাশা বন্যা সমুদ্র অভিযানে গেছে মাছরাঙা বাউল মন অধিকার জন্মেছে গভীর জলে, পূর্বের সূর্য এনেছে তোলে সোহাগ সিঁদুর,ইতি রেখাতে!মাথায় লালের সৌহার্দ্য।