পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফেরদৌসী খানম রীনা 

ছবি
বিজয় মানে বিজয় মানে সবুজের মধ্যে লাল একটি পতাকা, বিজয় মানে বিশ্ব মাঝে  বাংলাদেশ মানচিত্র আঁকা।  বিজয় মানে স্বাধীন দেশ আনন্দ মনের মাঝে, বিজয় মানে দোয়েল,কোকিল ডাকে সন্ধ্যা  সাজে। বিজয় মানে মায়ের চোখে  ছেলে হারানো জল, বিজয় মানে ছেলে হারিয়েও আছে যেন মায়ের বল। বিজয় মানে বাবার কাঁধে আদরের ছেলের লাশ, বিজয় মানে অশ্রু মোছে বোন হয়েছে তার সর্বনাশ। বিজয় মানে পরাধীনতা থেকে মুক্তির গান, বিজয় মানে মুক্তিযোদ্ধার রাখলো দেশের মান। বিজয় মানে মুক্ত -স্বাধীন দেশ সুন্দর পরিবেশ, বিজয় মানে স্বাধীন চেতা বাঙালি অনিমেষ।

মমতা রায়চৌধুরী/ ৭১

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ৭১ তরতাজা প্রাণ ঝরে গেল মমতা রায়চৌধুরী বাপরে বাপ আগুন লেগেছে যেন বাজার দরে। বাজার থেকে ফেরার পর রেখার মাথাটা গরম হয়ে গেল। সাধারণত মনোজ ই বাজার ঘাট করে। আজ ছুটির দিন যদিও মনোজই চেয়েছিল বাজারে যেতে কিন্তু রেখা বেরোতে দেয় নি ।সবেমাত্র এত বড় একটি রোগের কোপ থেকে উঠলো। কি করে ওই বাজারে আবার ওকে যেতে দেয়? এই ভাবনা থেকেই গেছিল বাজারে করতে ।পার্থর  শরীর খারাপ ,নইলে ওই করে দিচ্ছিল। তাহলে সাধারণ মানুষ কি খাবে? দুই হাতে বাজারের ব্যাগ নামিয়ে বকবক করছিল। মনোজ ঘর থেকে শুনতে পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে বলল' কি হলো ?কার সঙ্গে কি জন্য বকবক করছ? রেখা মাক্স টা খুলে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত পা হাত ধুয়ে টেবিল থেকে এক গ্লাস জল ঢকঢক করে খেলো তারপর হাত ছেড়ে বলল আর বোলো না বাজার নিয়ে কথা বলছিলাম আপন মনে। মনোজ বলল-কেন কি হয়েছে বাজারে? রেখা বলল মূল্যবৃদ্ধি বাজারে আগুন লেগেছে দেখলাম। তবে জানো তো একটা ব্যাপার আমার একটু সন্দেহ লাগলো। মনোজ বলল 'কি ব্যাপারে,?' রেখা বলল' বাজারে আজকে দেখলাম  যে কাঁচা আনাজ এর দাম জিজ্ঞেস করছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা

শান্তা কামালী/৪৩ তম পর্ব

ছবি
বনফুল ( ৪৩ তম পর্ব )  শান্তা কামালী জুঁই কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে যায়।মনে বুঝি তার ইচ্ছাপূরণ না হওয়ার বেদনার জ্বালা। পলাশ বললো আন্টি বললেন, অহনা আর সৈকত নাকি কালকে সন্ধ্যা বেলায় আমি চলে যাবার পরে তোমাকে এসে দেখে গেছে, আমাকে বলোনি তো ? তোমাকে আর কিচ্ছু বলবো না, তুমি আমাকে একটুও।  জুঁই য়ের চোখ ভিজে যায়।পলাশ তার পকেট থেকে রুমাল বের করে চোখ মুছে দিয়ে বলে, পাগলী। আমার কি জুঁই ছাড়া আর কোনো বেলী,মালতী রজনীগন্ধা আছে না-কি, যে তোমাকে ছাড়া.... কথা শেষ হওয়ার আগেই জুঁই দুম দুম করে দু-চারটে কিল লাগিয়ে দেয় পলাশের বুকের মধ্যে। পলাশ হা হা হা করে হেসে আবারও বলে পাগলী। এবারে জুঁই ও হেসে ফেলে।  কিছুক্ষণ এভাবে কেটে যায়। পলাশ বলে, ডাক্তার তো বলেছেন,সামনের জুম্মা বারে তোমার ট্রাকশান নেওয়া বন্ধ করে দেবেন। তারপর তুমি যতো খুশী কিল মারতে পারবে।আর আমারও ভিসা ততোদিনে হয়ে যাবে।তারপর, ফ্লাইটের টিকিট পেলেই । জুঁই পলাশের দুটো কাঁধে শক্ত করে ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে, এই শোনো না, তুমি আমাকে রোজ ভিডিও কল করবে তো ? পলাশ বলে, নিশ্চয়ই করবো। কতোবার করবে, বলো? যতোবার সময় পাবো,ততোবারই করবো।তোমার সাথে ছাড়া আর কারোর সাথে তো তা-না হ

লুৎফুর রহমান চৌধুরী রাকিব ( ইংল্যান্ড ) 

ছবি
ঠোঁট   তোমার ঠোঁটের আগায়  বিন্দু বিন্দু জল  জল টুকু শুষে নিতে মনটা হয়েছে পাগল।  তোমার ঠোঁট দু'টি যাহা বলতে চায় আমি ছাড়া অন্য কেউ  বোঝা ভীষণ দায়। কাঁপা কাঁপা ঠোঁট লাল হয়ে যায় রঙিলা বাঁশীর কাছে ধরা দিতে চায়। তোমার ভিজা ঠোঁট  যেন মিষ্টি ফল আমার ঠোঁটে ঢেলে দিও একটু রসের জল। চিরল চিরল ঠোঁট কাজল কালো চোখ তুমি ছাড়া শূন্য  এই অভাগার বুক। কালো তিলের ঠোঁট  যাদুর মতো টানে  কি যেন লুকিয়ে আছে মায়াবী ঠোঁটের কোণে।

শামীমা আহমেদ /পর্ব৩৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত  (পর্ব৩৪) শামীমা আহমেদ  ----ফোনে শায়লার খবরটা পেয়ে কথা বলা শেষ করে শিহাব বেশ অস্থিরতায় ভুগতে লাগলো।শায়লা এখন শিহাবের বিল্ডিংয়ের ঠিক পেছনের হাস্পাতালটিতেই আছে।শিহাবের ইচ্ছে করছে এক ছুটে শায়লার কাছে চলে যেতে । শায়লার হাত দুটো ধরে  নিজের উপর সমস্ত দায় নিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে শায়লা আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে।আমার বুঝা উচিত ছিল আমাকে নিয়ে কতটা  গভীরে তোমার ভাবনা,কতটা  নির্ভরতা আস্থা। শায়লা আমি অনুতপ্ত, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।আর কোনদিন এমনটি হবে না।শিহাব অস্থিরতায় ঘরের ভিতর শুধু এদিক ওদিক  পায়চারী করছে।সে এখন কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। এইতো বাসার খুব কাছেই হস্পিটাল,চাইলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সে শায়লার কাছে চলে যেতে পারে।কিন্তু শায়লার পরিবার পরিজন বিষয়টি কিভাবে নিবে?  আমাদের সমাজে কোন বিবাহিত মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকাটা সহজভাবে দেখা হয়না। তাছাড়া সেতো শায়লার কোন স্কুল কলেজেরও বন্ধু না।কীভাবে পরিচয় দিবে নিজেকে।তারাও নিশ্চয়ই শিহাবের প্রতি সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবে। উফ! শিহাবের মনে হচ্ছে সে খাঁচায় বন্দী একটা পাখি।কেবলি ডানা ঝাপ্টে চলেছে।তাকে ভালোবাসার পরীক্ষায় শায়লা কিন্তু ঠি

সেলিম সেখ

ছবি
নদী               নদী নদী নদী চিনতে আমায় যদি, দিতাম পাড়ি তোমার সাথে কান্তর মরুছাড়ি। চলতাম বয়ে তোমার সঙ্গে মনের আনন্দে,  আসলে বাধা কাটিয়ে যেতাম তোমায় সঙ্গে নিয়ে।  আমি বইছি হিমবাহ থেকে জল সঙ্গে নিয়ে,  পার করেছি তিনটে গতি মোহনায় আগমনে। আমি বইছি কতশত নুড়ি কাকর বালি,  জমা করে মোহনার বুকে গড়েছি বদ্বীপখানি।  আমার আছে শাখা নদী আছে উপনদী, ওরাই করে জলের যোগান ওরাই করে জল খালি।