পোস্টগুলি

মার্চ ১৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মনি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ( ১৬ তম পর্ব )  মনি জামান রাত শেষে ভোরের আলো ফুটলো চারি দিকে,পাখির কিচিরমিচির ডাক শুনতে শুনতে যেন সকাল হলো,সকালের নাস্তার জন্য জান্নাত আসমাকে ডাকলো ভাবি আসেন নাস্তা রেডি।আসমা ঘরের ভিতর বুঝতেই পারলো না এখন সকাল আটটা বাজে,আসমা উঠলো দাঁত ব্রাস করে চোখ মুখ ধুয়ে খেতে এলো টেবিলে। জান্নাত বলল,ভাবি খেয়ে নিনি আসমা নাস্তা নিয়ে নাস্তা খেলো,খাওয়ার পর বলল,বোন তুমি স্কুলে যাবে না আজ?জান্নাত বলল,হ্যাঁ ভাবি যাবো নয়টায় আমাদের ক্লাশ শুরু আগে ঘরের কাজ গুলো সব সেরে নেই। বাড়ির সব কাজ সেরে জান্নাত স্কুল ড্রেস পরে আসমাকে বলল,ভাবি আমি স্কুলে যাচ্ছি তাড়াতাড়ি ফিরবো আপনি কোথাও যাবেন না।আসমা বলল,বোন তুমি স্কুলে যাও আমি একটু ঘুমাবো আমার খুব ঘুম পাচ্ছে বলেই আসমা ঘুমাতে গেলো তারপর শুয়ে পড়লো শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে,কখন ঘুমের অতলে ডুব দিলো আসমা জানে না, যখন জেগে উঠলো আসমা তখন দুপুর হয়ে গেছে কখন টেরই পেলো না তখনো ও আসমা শুয়ে আছে।জান্নাত কখন ফিরেছে স্কুল থেকে আসমা কিছুই জানে না জান্নাত যখন আসমাকে ডেকে বলল,ভাবি উঠেন গোসল সেরে নেন বেলা অনেক হয়েছে,আসমা উঠে বসলো তারপর ওয়াশ রূমে গি

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৩২ দু'মুঠো বিকেল ছুঁড়ে দাও মমতা রায় চৌধুরী বাপরে বাপ কি এক উষ্ণতা সারা শরীর  জুড়ে ।যেন মনে হচ্ছে শরীরটাকে পুড়িয়ে  দিচ্ছে ।বাড়িতে ফিরে এসে বারবার ওয়াশরুমে গিয়ে ঠান্ডা জলে ছিটে দিচ্ছে শিখা। তবে আজকের বিকেল মনে রাখার মত। শিখাকে দেখে মাধু বৌদি বলল 'হ্যাঁ রে তোদের আজকে অনেক কেনাকাটা হলো না? কোন সাড়া না পেয়ে বৌদি ওপরে উঠে আসল 'শিখা ,শিখা, শিখা।' কেউ কোথাও নেই দরজাটা হাট করে খোলা গেল কোথায়? এদিকে বাথরুম থেকে জলের আওয়াজ আসছে বুঝতে পারল বাথরুমে আছে ।বাথরুমের দরজায় নক করলো 'ঠিক আছিস?' শিখা চোখেমুখে জল ছিটিয়ে দেয়ার চেয়ে মনে হয়েছিল নিজেকে ঠান্ডা জলে একটু ভিজিয়ে নিলে ভালো হয়  তাই শাওয়ারটা খুলে দিয়েছিল শাওয়ারের কলটা বন্ধ করতে করতে বলল  'হ্যাঁ বৌদি?'। 'ঠিক আছে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসবি। খাবার দেব?' 'আজকে আমি কিছু খাব না বৌদি। শিখা মনে মনে ভাবছে এখনো গা টা যেন আনচান করছে।' 'খাবি না মানে? কেন খেয়ে এসেছিস? বাবা, কল্যাণ এখনই তোকে বাইরে খাইয়ে দিচ্ছে। ভালোই তো এরকম ঘুরতে বেরোবি ,বাড়িতে এসে আর কোন রান্নাবান্না

কবি ফারজানা আফরোজ এর কবিতা

ছবি
পথের আত্মকথা   ফারজানা আফরোজ মনের আরশিতে দেখি- সেই চেনা পথ, যেখানে ছুঁয়ে দিয়েছি স্বপ্ন সীমানা। পথ যেন নীরব হয়ে বলছে, নিজের আত্মকথা। অনন্তকাল হেঁটে যেতে পারি, এই পথ দিয়ে। সমান্তরাল পথের বাঁকে- থাকতে পারে চোরাকাঁটা, কিংবা লুকানো চোরাবালি। ধূলো ঝড় কিংবা তুষার ঝড়ের, হাজারো ক্ষণের সাক্ষী এ পথ। ধূসর আর উজ্জ্বল হাজারো স্মৃতি- এ পথকে ঘিরে। চাঁদ,তারাদের মেলা বসেছিল, পাখিরা ফিরেছিল নীড়ে এই পথ ধরে। চিরচেনা সেই পথে, বারে বারে ফিরে আসি। শিশির ভেজা পথটারে, বড় ভালোবাসি । পথের মাঝে আঁকি, জীবনের জলছবি। একদিন শেষ হবে এই পথ চলা, সব কাহিনী হবে চুপকথা।

কবি বাহাউদ্দিন সেখ এর কবিতা

ছবি
নিঃশব্দে আওয়াজ বাহাউদ্দিন সেখ  নিঃশব্দে আকাশে ভেসে উঠবে-                             উথলে পরা মেঘ গুলো, মেঘের ঘর্ষণে ঘর্ষণে সৃষ্টি হবে                    বিদ্যুৎ এর অব্যক্ত আওয়াজ। ধেয়ে আসবে মৃত্তিকার স্তরে প্রলয়, দমকা হাওয়ায় নিয়ে যাবে প্রেমের বিষাণ। সত্য নির্জনতা প্রেম মর্চে মর্চে                  লৌহোর মত ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাবে। প্রেম ভালোবাসা বয়ে নিয়ে যাবে না,                              ধর্ম জাতপাত উচ নিচ তবুও নিঃশব্দে আকাশে ভেসে উঠবে-         অব্যক্ত মেঘের ঘর্ষণে ঘর্ষণে                                  বিদ্যুতের আওয়াজ।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৭

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৬৭) শামীমা আহমেদ  শায়লাদের পুরো বাসায় এখন বেশ থমথমে একটা ভাব।সারাদিনে ভাইবোনের খুবই কম কথাবার্তা হচ্ছে। সেদিন রুহি খালার কথাগুলো পর রাহাতের মাঝে বেশ পরিবর্তন এসেছে। রাহাত ভাবছে,আসলে মুরুব্বীরা অভিজ্ঞ মানুষ। আমরা এখন যা দেখছি সেটা তারা বহু আগেই পেরিয়ে এসেছে। তাইতো সবকিছুর পরিনতি তারা আগেই বলে দিতে পারে। আর আগে থেকে এই সতর্কবার্তায় রাহাত মনে মনে  রুহিখালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। রুহি খালার প্রতিটি যুক্তি পালটা যুক্তি শায়লার ভিতরেও প্রতিনিয়ত আঘাত হানছে। শায়লা খুব ভালো করেই জানে,এই সমাজে মেয়েরা অনাকাঙ্ক্ষিত হয়েই জন্মায়। তাদের জন্মটাকে কেউ আনন্দের সাথে গ্রহন করে না। তবে প্রয়োজনের সময় সেই মেয়েই নিজের সুখ বিলাসকে তুচ্ছ করে সংসারের হাল কাঁধে তুলে নিতে পারে।নিজেকে নিঃশেষ করতে পারে। তবে শায়লা কখনো সেভাবে ভাবেনি। পিতৃহারা সংসারে একটি ছেলে থাকলে যা করতো সে তাই করেছে।  বড় সন্তান হয়ে সে তার জায়গা থেকে দ্বায়িত্ব কর্তব্য পালন করেছে। নিজে নিরাপদে থেকেতো  পিছিয়ে আসেনি। কিন্তু তাকে নিয়ে হিসেবের বেলায় সবাই জোড়াতালি লাগাতে চায়। তার ঘাটতিগুলোকেই সা