পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৪, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শুভ্র ব্যানার্জি

ছবি
শীত শীতের দ্বীপে বৃষ্টি এলে লেপের পাশে ছাতা তিলক কামোদ মধ্যরাতে মলহারেতে গাঁথা। খুব কুয়াশা যেমন মেঘ নকল করে ফোটে আগুন জ্বেলে রাখার কাঠ বৃষ্টি নিলো ঠোঁটে। বিকেলবেলা ক্রিকেট পিচে কাদার চোরাবালি ছুটির দিনে চেয়ারে জল পার্কে বেঞ্চ খালি এমন দিনে খিচুড়ি আর চপের স্বাদ ভালো। একটি মেয়ে কাউকে ভেবে মেট্রো ফস্কালো।

কবি মিশ্র

ছবি
পরকীয়া আমার প্রতি দিনের অভ‍্যাস সকালে গরম চায়ের সঙ্গে সাদা কাপের প্রেম- অব‍্যক্ত চেয়ারে কিছুটা হেলান দিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে যেমন চোখের প্রেম, কেমন যেন একটা আত্মিক যোগ... অমলিন জানলাও চায় আমার আদর খেতে বুলবুলি এসে জানান দেয় টোকা দিয়ে... আমি যখন থাকি না, ওরা কি আমায় অনুভব করে? দরজার পর্দা, খাওয়ার টেবিল, রান্নার গ‍্যাস, ওরা যে আমার প্রতি দিনের অভ‍্যাস... সব অলসতা কাটাতে সুবিন‍্যস্ত‍ বিছানা, সমস্ত রাগ, অভিমান, কান্নার একমাত্র সাক্ষী, আমার আদরের বালিশ, পাশবালিশ ওরা কেমন আছে আমায় ছাড়া ?? ওরা কেউ চলমান নয়-  যেখানে থাকি, সেখানেই সখ‍্যতা হয়,  আলাদা আলাদা ভাবে ওরা কেউ প্রতিবাদ করে না নেই কোন হিংসা, দ্বেষ, অভিযোগ আমার সব অত‍্যাচার সহ‍্য করে... ওরাই আমার প্রকৃত বন্ধু আমার পরকীয়া...

জৈদুল সেখ

ছবি
জ্বলন্ত শূন্যতা লোহায় গড়া রেলিং, বড়ো ইমারত নিঃশব্দ ক্ষুধার্ত জ্বালায় মাথানত অবুঝ শিশুটি বার বার ডাকে ভালোবাসার বিশ্বাসে চাদরে মাথা ঢাকে জ্যান্ত লাশের অজ্ঞাত শিশুর এ প্রহেলিকা পৃথিবীর বুকে যেন আঁচড় মেরে বলে         তোমরা কী কেউ দেখছো জ্বলন্ত শূন্যতা! আম্ফানের অন্ধকারে আয়নার সামনে দেখি চিরনিদ্রায় শায়িত মা, চাদরে মুখ লুকানো শিশুর চাঁদ মায়ের স্নেহের পরশে, নিথর দেহের কানে শিশুটি বার বার বলে মা মা মা ..... একবিংশ শতাব্দীর ক্ষুধার্ত শহিদের ভারতবর্ষ মানুষের জন্য কেবলই উপহাস, লাঞ্চনা আর বঞ্চনা!  দহন জ্বালায় জ্বলছি জ্বলব! প্রতিবাদ করব না?  ক্ষমা করে দিও এ ভারতবর্ষ আমার না!

শুভমিতা বিশ্বাস

ছবি
দুটো হাত   অসুখের ভেতর যে দুটো হাত  ডালপালার মতো ছড়িয়ে থাকে  সেই দুটো হাতেই আমি কোটি কোটি অসুখ চাই  সেই দুটো হাতেই মাথা নীচু করি  শ্রেষ্ঠ আশ্রয়ের জন্য সেই দুটো হাতেই সব অসুখের ওষুধ পাওয়া সম্ভব

মোঃ রুহুল আমীন

ছবি
আমরা মধ্যবিত্ত ধোপা কাচানো শার্ট গায়ে কালি করা স্যান্ডেল পায়ে চশমাটা তুলে ঐ কপালে,  কিন্তু আসল কথাটি যাবেনা বলা, আমরা মধ্যবিত্ত বলে। করতে হবে বাজার ঘাট মানিব্যাগটা গড়ের মাঠ গিন্নির ফর্দ নিলাম তুলে,  কিন্তু সত্য কথাটি পারিনা বলতে, আমি মধ্যবিত্ত বলে। চাল ডাল আর নুন তেল দাম বাড়ে সকাল বিকেল দু'চোখ ভেজে তপ্ত জলে, তবু খাটি কথাটি পারিনা  বলতে, আমি মধ্যবিত্ত বলে। সহধর্মীনি করে প্যান প্যান ছেলে মেয়েদের ঘ্যান ঘ্যান  পড়ে গেছি মহা গ্যাঁড়াকলে,  তবুও মুখ বুঁজে সব সইতে  হয়, আমরা মধ্যবিত্ত বলে।  মাস গেলে পাইনা বেতন ব্যবসাটাও শিকেয় এখন আল্লাহ জানে ক্যামনে চলে,  এ কথাও কাউকে পারিনা  বলতে, আমি মধ্যবিত্ত বলে।

কাজী জুবাইদা

ছবি
বারান্দার ফুলেরা আমার ফুলেরা পাতাতে পাতাতে  লিখছে কি গান কথাতে কথাতে ভাবছে কি কিছু রাখছে মাথাতে? মন তা ধরতে পারে না!           তারা স্বপ্নে দুলে           দুলায় স্বপন। করেনা মিথ্যে বীজের বপন           আমার মতো ব্যাথাতে, ওরা আমার ও ধার ধারে না          আমি দেখি বা না দেখি ভালো বাসি কি না বাসি        তাতে কিছু তো যায় আসে না,        ওরা নিজের মতো নিজেই হাসে আমার হাসিতে হাসে না আমি শুধু ভাবি,          ওরা কি আমায় সত্যিই ভালো বাসে না? আমি কেন তবে ওদের মতো  দিন রাত্তির পেরিয়ে যতো,          ভুল শুদ্ধের ঠিকানা ভুলে ওদের সাথেই বাঁচি না? ওরা ইচ্ছে হলে ফুল ফোটাতে        ইচ্ছে হলেই হুল ফোটাতে জানে, আমার মতো কারো মুখ তো যাচে না। ওরা বারান্দার এক কোণে         রইছে আপন মনে ওরা জন্মাবধি বারোমাস        তবু জমে না দীর্ঘশ্বাস  করে না তো অভিযোগ         নাই কোনো মনোরোগ নাই নিকট নেই দূর  নাই তাল নাই সুর       তবে শুধু নাচে গিয়ে       বাতাসে মৃদঙ্গ বাজায়, আমি ওদের মতো নই,       তাই নীরব হয়ে রই।  অকারণে কল কল ওটা মানুষেরই ছল       সে বোঝেনা,        তবু বোঝাতে চায় তাই নাচে, তাই গায়       এটা সভ্যতার ভরং। আমি ঐ

অলোক দাস

ছবি
ব্যাস্ততা শব্দ চয়নতো আকাশে বাতাসে, তার অস্তিত্য আমরা জানি না, আমরা শুধু ব্যাস্ত ছন্দ সানবন্দে, ওপরওয়ালা আমাদের সবকিছু দিয়ে পাঠিয়েছে, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি, ফল কি হবে জানি না, এটি একটি প্রবাদ বাক্য, আমাদের কোনো আলস্য নেই, আমরা প্রতিনিয়ত ব্যাস্ত - জীবন তো একটাই, আনন্দে বাঁচতে হবে, কবিতা হোক প্রকৃত মানুষের জন্যে, যারা মানুষতো হীন, তাদের জন্য নয়, 

সাইফুল আলিম

ছবি
দর্শনেই ধর্ষিতা দর্শনেতে কতো যে নারী, ধর্ষিত হয় আজ বেপরোয়া চলছে সেথায়  কি মনোরঞ্জন  সাজ । শালীনতার বস্ত্র বিতান নগ্ন ডি জে ফ্যাশনে কুন্ঠিত আজ জাতির বিবেক ইউরোপিয়ান সেশনে । উত্যক্ত আজ হচ্ছে পুরুষ নোংরা চলন স্বভাবে জাতি এখন ধ্বংসের দিকে সুশাষনের অভাবে।  নারী যদি স্বচ্ছ থাকে  শ্রেষ্ঠ মানুষ হবে ধর্ষণ করে পার পাবে না  ধর্ষক কোথায় রবে ।  মা বোন যে সবার আছে হয়ে মধ্যে মনি  আইনের শাসন মানতে হবে যতোই হোক না ধনী।  বন্ধ যদি না করা যায়  ডেটিং,চেটিং ফেক শান্তি কুন্জে ঘটবে তবে ভাঙ্গা গড়ার রেক।

মুনমুন ইসলাম মুনা

ছবি
অতীত কাঠখড়ি যত বার ভাবি তোমায় ভুলে যাবো ঠিক তত বার দেখি তোমার মুখ। অতীত প্রেম বর্তমানকে কাঁদায় বর্তমান কাঁদায় অতীতকে। বর্তমান উপহাস করে বলে আমি ক্লান্ত তোমার অতীত ভুলে যাওয়ার চেষ্টায়।  আর কত,আর কত, অতীতের কাঠখড়ি জ্বালাবে? কয়লায় অতীতের বেদনার ছাই উড়াবে। আমি বলি,খালি ঘরে শূণ্যস্থান পূরণ যে হলো না,তুই বর্তমান ব্যর্থ খালি ঘর পূরণে,তাই তো তোর বুকে অতীত  কাঠখড়ি জমা করি,আর আমাবস্যায় বেদনার ছাই উড়াই।