২৮ আগস্ট ২০২১

দুর্গাদাস মিদ্যা


 

দোদুল্যমানতা 


 উড়ন্ত পর্দার মতো দুলতে থাকা এই জীবন

কখন যে ঝুপ করে ঝরে পড়ে মাটিতে! 

আত্মানুসন্ধানে রত থাকা মানুষ যদি চলে যায় মাটির মায়া ছেড়ে তবে বড় ভয় হয়। 

তবে কি মাটি এতই বিষময় হয়েছে দিনে দিনে। 

নাকি চিনে নিতে ভুল হয়েছে

জীবনের ধারা তাই এতো হাহাকার শোনা যায় মাটির দাওয়ায়। 

কী ভীষণ দোদুল্যমান মনে হয় এ জীবন!

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ


 

  স্বাধীনতা কি?


স্বপ্ন আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেখেছিল তাই ১৯৪৭সালে ১৫ই আগষ্ট অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রনেছিলেন তারা স্বাধীনতা।স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ ও হয়েছিল।কিন্তু স্বপ্ন ভাঙার চর জাগেনি সর্বত্র।মুক্তি হয়নি কলমের ভাষার।বাংলা ভাষা মুক্তি পেলেও মুখের ভাষা,মনের ভাব প্রকাশে মানুষ পিছিয়ে পড়েছে।মানুষ কার্বনে ঢাকা যে কাগজে স্বাধীনতা কথাটি লিপিবদ্ধ করেছিল তার অনুরুপ কাগজে ধরা দেয়নি। ধরা দিয়েছে শুধু মানুষের মুখে।ধরা দিয়েছে শুধু মানুষের ইচ্ছায়।মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে।সার্বভৌমত্ব পেয়েছে।তবে অর্থপূর্ন স্বাধীনতা পায়নি।আমরা মুক্তির অর্থ বুঝেই মুক্তি চেয়েছিলাম।

তবে অর্থপূর্ন মুক্তি পায়নি।স্বাধীনতা শব্দের অর্থ যদি শুধু একটা পরিচয় হয়,তাহলে জাতির কাছে আমাদের নতুন কোনো প্রত‍্যাশা নেই।কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ বলতে যদি মানুষের মৌলিক চাহিদার অধিকার আদায়ের অর্থ হয়,তাহলে বলতে চাই ঘুষবিহীন চাকরি চাই,চাঁদা না দিয়ে শান্তিতে ব‍্যবসা করতে চাই।আমার যে রোগ হয়েছে শুধু সেই রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে চাই।শাহবাগে গলা উঁচিয়ে ক‍্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ পরাধীদের ফাঁসি চাই এবং ত্রকথা বলার পরও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা চাই।যোগ‍্যতার বলেই চাকরি পেতে চাই।যোগ‍্যতার বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই।আমি আমার জমিতে ফলানো ফসলের ন‍্যায‍্য মজুরি চাই।আমি আমার মতো করে কথা বলতে চাই।

দিলারা রুমা ( ইংল্যান্ড )



যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

ততোক্ষণ কাজের শেষ নেই

শেষ নেই ব্যস্ততার। 


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

ডান ডাকে বাম ডাকে 

বাঁকে বাঁকে অস্থির! অস্থির!


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

স্বজনের অভাব নেই সুহৃদের অভাব নেই

অভাব নেই বিরহ অসুখের 

আবছানি মায়াজাল দিয়ে থাকে 

এইতো সময়।


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

কতজনেই ডাকে দুনিয়ার মৌচাকে 

সুর তুলে গায় গান 

মান আর অভিমান। 


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

ভাবনারাও জড়িয়ে রাখে 

গ্রীষ্ম বর্ষা বৈশাখে। 


যতোক্ষণ চোখ খোলা থাকে 

ধান শালিকের মাঠ সবুজের হাট 

কাছে টানে 

নদী সাগরের জল জ্যোৎস্নার সিঁথানে। 


চোখ বুঁজে গেলেই সব দূরে যায় 

দূরে যায় সব,

হায়! অস্তবেলা উড়ে যায় উড়ে যায়

থেমে যায় রব।

মাসুদ রানা


বরণ 



কোন দিন খুব ভোরে

দরোজার কলিংবেল টিপে

আমাকে জাগিয়ে দেয় তোমার পিয়ন

তার হাতে থাকে 

আমার সারা রাতের মধুর স্বপ্ন মাখা

তারকা খচিত নীল খাম

আমি তার গলায় 

শিশির ভেজা শিউলি ফুলের মালা দিয়ে 

তোমার হাতের লেখা চিঠি  বরণ করি


কোন দিন ঠিক মাঝ রাতে 

তুমি সারা গায়ে জোছনা মেখে

অন্ধকারে এসে আমার বারান্দায় দাঁড়াও 

আমার দিকে অপলক চেয়ে চেয়ে 

মিটি মিটি হাসো অনন্ত কাল

আমি চাঁদের বুকে চুমু খেয়ে 

শার্টের বোতাম খুলে 

তোমাকে বরণ করি 

শিবনাথ মণ্ডল



শরৎ-এর পরশ 


এসেছে শরৎ ভাদ্র মাসে

  শিউলী ফুলের গন্ধ

পাকাতাল পড়ছে ঝড়ে

নেচেছে তাই নন্দ।

             আশ্বিনে পূজোর আনন্দ

                     কচি ধানের দোলা

              দিনরাত্রি চলছে শুধু

                      মেঘ বৃষ্ঠি খেলা।

দক্ষিণ হাওয়ায় দোলা দেয়

            মুকুট পরা কাশ

সাদা মেঘ ঢেকে দেয়

        ঐ নীল আকাশ।

              বিকেল বেলা সোনালী রোদে

                     মেঘের পাহার ভাষে

              শরৎ এলো বোঝা গেলা

                       ভাদ্র আশ্বিন মাসে।।