পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোফাক হোসেন

ছবি
পুরোনো মাঠের দোলা রক্তাক্ত পায়ে সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে  পুরনো মাঠের গন্ধে আজও  আমার কুয়াশাছন্ন আকাশে  আগুনের ফুলকি জ্বলে ওঠে। কখন যে আকাশের কালো আঁচল  খোলা শরীরে, ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমার শুকনো ভাঙ্গা উঠোন, আর রুগ্ন পলেস্তারা।ব্যথার পেয়ালা থেকে ভেসে যাচ্ছে স্বর্গের পৃথিবী  পুড়ে যাওয়া ঘর। বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত সিঁড়ি ভেঙে  সমস্ত রাত হেঁটে চলেছি নিস্তব্ধ আনমনে ফিরে আসবো নতুন চশমা-টানে। ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া ঘর পড়ে আছে অন্ধকার টেবিলে। 

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ /একএিতো হও

ছবি
  একএিতো হও একই রকম দেখতে আমগাছে দুরকম ফল হয়। একটি ফল টক আর একটি ফল মিষ্টি, কিন্তু ফল যতই ভিন্ন স্বাদের হোকনা কেন সেটা ফলই তো, সেটা কেউ বুঝতে চাই না। এই না বোঝার দরুন সমাজে আজ অশান্তি, রক্তপাত, নিজেদের মধ্যে হানাহানি, বিরোধীতা হিংসা আর কুসংস্কারাচ্ছন্নেই ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ‍্যেতে এর প্রভাব আরো বাড়তে থাকবে। ততক্ষণ বাড়তে থাকবে যতক্ষণ না পযর্ন্ত সমস্ত মানবজাতির মনে মনুষ্যত্ববোধ বিবেক জাগ্রত হচ্ছে।   মানবজাতির মাঝে এই র্ধমবিরোধীতাকে রুখতে পারে একমাত্র ছাএসমাজ তথা যুবসমাজ। কারন চার দেওয়ালের মাঝে যখন শিক্ষা দেওয়া হয় -----সেখানে জাতি, ধর্ম-বর্ণ, নির্বীশেষে সমস্ত জাতির মানব একএিত থাকে। তখন তো এই বিরোধীতা দেখা যায় না। তাহলে,পরবর্তী একটা সময়ে এসে এরা নিজেদের মধ্যে কেনো জাতপাতের ভাগাভাগির দাবি তোলে এবং শান্তির জায়গায় অশান্তিকে টেনে আনে।সমস্ত মানবজাতির কাছে এখন প্রশ্ন হলো আমার এটাই? ওই চারদেওয়ালের মাঝে এই শিক্ষা তো দেওয়া হয়না। আমার মতে এই শিক্ষা পাওয়া যায় সমাজের কিছু অসাধু মুর্খামী মানুষের কাছে। যদি তাই হয় তাহলে তোমার কাছে কি! ওই  চার-দেওয়ালের শিক্ষার কোনো গুরুত্ব নাই? জিজ্ঞাসা করো নিজের মনকে,

মিতা নূর

ছবি
আঁধার নীরবতা কেমন করে সইবো সখি,  কেমন করে বল...? অবাক হয়ে চেয়ে দেখি, বৃষ্টি চোখের জল...! হৃদয় আমার কাঁদে সখি,  প্রাণটা আমার পুড়ে...!  কষ্ট নামের মেঘ জমেছে,  আমার আকাশ জুড়ে...!  চোখের জলে ভিজিয়ে সখি, পদ্ম ফুলের পাতা...!  মন আকাশে মেঘ জমেছে,  আঁধার নীরবতা  !

সালমা তালুকদার

ছবি
  ভালোবাসার জয় কোনো একদিন তোমাকে নিয়ে আমি নিরুদ্দেশের পথে হাঁটবো। পরিচিত লোকালয় বাস,ট্রেনে পার হবো। বিরান কোনো ভূমিতে আমরা দুজন নেমে যাব। যেখানে সবে নবান্নের উৎসব শুরু হয়েছে। বাড়ির বেটা ছেলেরা মাঠে,আর মেয়েরা উঠোনে কাজ করছে। আমরা দুজন হলুদ ধানে পা ভিজিয়ে বাড়ীর উঠোনে পা রাখবো। মেয়েরা আমাদের চোখে তাকাবে।  ওরা বুঝবে, আমরা ভালোবাসার মানুষ। ওরা বুঝবে, আমরা দুজন প্রেমিক নারী পুরুষ। দুটো পিঁড়ি এনে ওরা আমাদের বসতে দেবে। নতুন ধানের ফিন্নি,পায়েস এনে আমাদের খেতে দেবে। আমরা ওদের ভালোবাসার দুটো সবুজ পাতা সহ গোলাপ উপহার দেব। অতঃপর দুজন হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যাব অজানা পথে। ছোট নদীর গায়ে পা দিতেই কোথা থেকে ছোট মাছ এসে, ছোট্ট লেজ নাড়তে নাড়তে আমাদের চেনা পথ চেনাবে।  নদী পার হলে একটি ছোট কু্ঁড়েঘর। বয়সের ভারে নুজ্য হয়ে যাওয়া নারী আমাদের হাতের ইশারায় ডাকবে। বলবে আমি তো তোমাদের অপেক্ষায় ছিলাম। এত দেড়ি কেন করলে তোমরা আসতে! গরম ভাপ ওঠা ভাতের সাথে ভাজা ইলিশ খেয়ে আমরা বসলাম পুকুর ধারে।  তুমি ছিপ নিয়ে বসতেই,আমি কেমন অস্থির হয়ে উঠলাম। তুমি আমাকে বোঝো সব সময়।  সব ফেলে আমার হাতে হাত রাখলে। আমরা কেমন করে দুজনের চোখে

প্রমি জান্নাত

ছবি
  প্রিয় আপনি ভালো আছেন নিশ্চয়ই। কি করা হয় আপনার আজকাল! আমাকে ভাবার অবসর হয় কি? আমি যেভাবে আপনাকে দেখবো বলে চাতক পাখির মতো প্রহর গুণি আপনিও কি তাই? রাতের উজ্জ্বল চাঁদ টা দেখে খোলা আকাশের নিচে শীতল পাটির ছোঁয়ায় আপনার সাথে গল্প মাখতে ইচ্ছে হয়। আপনিও কি তাই ভাবেন? নাকি আপনার রাত কেটে যায় ভুল প্রেমিকার সাথে ফোনালাপে! নাকি আপনি বেঁচে থাকেন কোনো পবিত্র চোখের ভালোবাসার মাঝে ভুল মানুষ হিসেবে! আপনি কোথায় থাকেন জানি না তবে আপনি সবসময় আমার প্রার্থনায় থাকেন। বারবার ভুল প্রেমিকার প্রেমে পরাজিত হয়ে চোখে জল আসা মানুষ টা আমার হোক। শুদ্ধতম ভালোবাসা কে অবহেলায় পায়ে ঠেলে যে পুরুষ সে আমার "আপনি" না হোক।। একদিন হুট খোলা রিক্সায় ঘন্টার পর ঘন্টা শহরের অলিগলি ঘুরবো। বাদাম ভাজা, ভেলপুরি থেকে ফুচকা বিলাসে ভালোবাসা উড়াবো। একদিন আপনার সমস্ত ক্লান্তি শুষে নেব বৈশাখী স্পর্শে। সেদিন টা খুব বেশি দূরে নয় প্রিয়। অপেক্ষায় থাকবেন, আমি অপেক্ষাতে পথ চলি। দীর্ঘসময় পর হয়তো আমরা কাছাকাছি থাকার জন্য আর কোনো কারণ খুঁজে পাব না।  তবুও আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে পারব না। দায়বদ্ধতার অভ্যাসে নয়; কেবল মাত্র ভালোবাসার স্বভাবে।