আসামীর জবানবন্দি
বিজ্ঞ আদালতে একজন মেয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে সি আর মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযোগটি ছিল ৫০০০০০ (পাঁচ লক্ষ টাকা) যৌতুক দাবি করে মারধর করে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয় এবং পরবর্তীতে ধার্য তারিখে আদালতে আসামী স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করার জন্য এ্যডভোকেট সাহেব এর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়। বিজ্ঞ কৌশলির শুনানীন্তে বিচারক সাহেব আসামীকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যে,
তুমি যদি আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দাও তাহলে তোমাকে পুরষ্কার দেওয়া হবে ।
সত্যি বলছেন সার!
জি আজ্ঞে সত্যি বলছি
নাম কি তোমার ?
হেসে হেসে বল্লো - সুমন,
কি করো তুমি ?
ব্যবসা।
তোমাদের বিয়ে হয়েছিল কতো দিন হলো?
এক বছর তিন দিন।
নাম কি তোমার স্ত্রীর?
নদী। সার্টিফিকেটে - তামান্না আক্তার নদী
কাবিন হয়েছে কতো টাকা?
৫ লাখ টাকা।
ডিভোর্স দিয়েছো বিয়ের কতো মাস পর?
তিন মাস পর।
ভরনপুষন এর খরচ দিয়েছো ?
না সার ।
মেয়ের কাবিনের টাকা কখন দিয়েছো?
দেই নাই।
মেয়েকে নিয়ে সংসার করবে না কেন?
মেয়ে ভালো না,
কি খারাপ মেয়ে তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসে?
না সার,স্বাভাবিক ভাবে ভালোবাসতো। তবে অন্য ছেলের সাথে হষ্টিনষ্টি করতো ।
মেয়ের বাবা কি করে?
রিস্কা চালক।
প্রেমের বিয়ে না ম্যারেজ ?
হেসে হেসে বল্লো - লাভ ম্যারেজ।
তাহলে কি তিন মাসে ভালবাসা ফুরিয়ে গেছে? তিন মাসে তো বিয়ে করা বৌ এর ঘ্রান ই যায় না।
একটি মুশকি হাসি দিয়ে......
সার মেয়ে সুন্দর চেহারা দেখিয়ে আরো কয়েকটা ছেলের সাথে রিলেশন করেছে ।
তুমি দেখেছো
না সার শুনেছি।
কোথায় থেকে শুনেছো? কে বলেছে তোমাকে?
অনিকা।
কে সে?
বোন সার, অনিকা আমার ছোট। সে আই এ থার্ড ইয়ারে আছে সার।
খুব আদরের দুলালি সার।
মাঝে মাঝে অন্য বোনের সাথে ঝগড়া করে।
কিন্তু আমাকে খুব ভালোভাসে।
তুমি কয়টি মেয়ের সাথে প্রেম করো।
সাতটি ।
ক