ব্যালকনি
খুব যত্ন করে তে তলার ব্যালকনি টা সাজিয়ে ছিলাম গাছ গাছালি দিয়ে । উদ্দেশ্য ছিল আমি আর আমার স্ত্রী সুমনা রোজ সকাল বিকেল বসে চা খেতে খেতে সূর্য উদয়াস্ত দেখবো। এখন সে ব্যালকনি আমাকে গিলে খেতে আসে ।কিছুতেই ওদিকে চোখ মেলতে পারিনা।
এখনো বাতাসে কান পাতলে ওখান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় সুমনার শেষ কথা গুলো শুনতে পায় -- আমাকে ক্ষমা করো, আমি তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি !
আমি ক্ষমা করতে পারিনি নিজেকে! কারণ সন্তান না জন্মানোর সমস্যা টা ছিল আমার।
অভিশাপ
আমার ঘরে ঘুল ঘুলির মধ্যে দুটো পাখি বাসা বেঁধে ছিল। হামেশাই খড় কুটো, পালক ,এটা ওটা ছড়িয়ে ঘর নোংরা করতো। একদিন রাগের বশে বাসা টা ছুঁড়ে ফেলতেই দুটো, ডিম মাটিতে পড়ে ফেটে গিয়েছিল।এরপর আর ওরা আসেনি। অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলাম।
বিয়ের দশ বছর পর আমার স্ত্রী কে ডাক্তার সমাদ্দার যখন মাথা নামিয়ে বললেন -- আমি দুঃখিত, আপনি কখনো মা হতে পারবেন না !
তখন আমার ,এক মুহূর্তে সেই ফাটা ডিমের কথাটি মনে পড়ে গিয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much