পোস্টগুলি

মার্চ ৮, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২৫ ময়ূরকণ্ঠী নীল আকাশ ডাকে মমতা রায় চৌধুরী ১৪.০২.২২ সন্ধ্যে ৭.৪০ রেখার বরাবরই নিজের রুম ছাড়া ঘুম আসে না। আলাদা রুমে গিয়ে শুতে হচ্ছে যদিও ,এখন তো এই ঘরটাকেই নিজের করে নিতে হবে ।কিন্তু প্রথম প্রথম তো ঘুম আসাটা খুবই মুশকিলের  ব্যাপার ।তারপর যদি মানসিক শান্তি থাকে তবে তো । যদি অশান্তি রয়েই যায়, সেখানে ঘুম কোত্থেকে আসবে? এখন মনোজ রেখাকে একই রুমে শুতে  হয় ।মনোজের উপায় নেই ।শুতেই হবে। না হলে বসার ঘরে গিয়ে শুতে হবে ,সেটা দৃষ্টিকটু । সেটা মনোজ করবে না। এসব ভাবতে ভাবতেই কিরকম পেটের ভিতর অশান্তি শুরু হয়েছে। একদম ভালো লাগছে  না। কেমন আনচান করছে ,ভেতরে  অস্থিরতা কাজ করছে। মনোজ মায়েদের ঘরে গিয়ে কথা বলছে।  এই যা বমি বমি পাচ্ছে। শীতে লেপ গায়ে থেকে ফেলে দিয়েছে। আর রেখা থাকতে পারছে না । রেখাকে এবার বাথরুমে ছুটতেই  হচ্ছে। তাড়াতাড়ি রেখা বাথরুমে গেল ', ওয়াক ওয়াক করে বমি করছে।  যা খাবার খেয়েছে সব বেরিয়ে গেল শুধু টক টক লাগছে।চোখেমুখে ঠান্ডা জল দিল। বমি করে যেন একটু আরাম লাগলো কিন্তু তবুও ভেতরের অস্বস্তি কাটছে না। আবার শুয়ে পড়ল আবার বমি পাচ্ছে এবার  রেখা আবার উঠ

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২৪ রোদ্দুর হোক অবেলায় মমতা রায় চৌধুরী সময় বয়ে যাচ্ছে। কুয়াশায় ঢেকে গেছে  বেলা ।তাই স্বপ্ন দেখতে ভয় লাগে। কি হবে স্বপ্ন দেখে এই অবেলায়? তবুও পোড়ামন স্বপ্ন দেখে  রোদ্দুর ডাকটিকিট নিয়ে বেঁধে রাখবে তাদের এক আঁচলে। তাই রেখা ভালোবাসার  কাঙাল ।ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চায়।   সকালে উঠে রেখা কাজ করতে করতে এসবই  ভাবছে। তার শাশুড়ি মা  তাকে এখন মেনে নেবে তো? গতকাল এসেছেন ওনারা ।কালকে সেইরকম খারাপ ব্যবহার কিছু করেন নি। যদিও ননদের কথার মধ্যে লঙ্কার ঝাল মেশানো ছিল। কিন্তু রেখা সেগুলোতে মনে রাখেনি। সকাল থেকে নতুন উদ্যমে শাশুড়ি মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শীতকাল শাশুড়ি মার কষ্ট হবে তাই আগেই গিজার চালিয়ে জল গরম করে রেখেছে ,বাথরুমে গিয়ে যাতে ঠান্ডা জল স্পর্শ করতে না হয়। সারারাত একটা উত্তেজনা কাজ করেছে এবার বোধহয় মায়ের ভালবাসাটুকু ফিরে পাবে। রেখার মা তো কবেই স্বর্গে চলে গেছেন। মায়ের প্রতিচ্ছবি শাশুড়ি মার মধ্যে দিয়েই খোঁজার চেষ্টা করছে ।  সকাল সকাল আজ কলিংবেল বাজছে' জয় গনেশ, জয় গনেশ, জয় গনেশ দেবা।' লেখার আজকে নতুন রুমে ঘুম

কবি মহুয়া চক্রবর্তী এর কবিতা

ছবি
নারী মহুয়া চক্রবর্তী   মানুষ হয়ে এলে তুমি                  এই ভুবনে,    তবু তোমার হুঁশ এলো না                      এই জীবনে।        বনের পশু ও বোঝে যখন            নিখুঁত ভালোবাসা     পুরুষ শুধু মেটায় তার                      নিছক পিপাসা।         পথে পথে পুড়ছে দেখো                    নারীর সম্মান,        নিজের জীবন পণ্য করে                        করছে জীবন দান।          নারীকে বিবস্ত্র করে                   ওদের আসে সুখ,         অমন সন্তান জন্ম দিয়ে                            পুড়ছে মায়ের মুখ।                   সে যুগ হয়েছে বাঁশি                     যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না             নারী রাই ছিল দাসী।    এল বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি       কেউ রবে না বন্দী কাহারও-                        বেজেছে ঢাক আজি।           নারী তোমার জন্মদাত্রী                      নারী তোমার গৃহিণী         নারীবিহীন পিতা নামের                                পরিচিতি যে আসেনি।।