উপন্যাস
টানাপোড়েন ১২৫
ময়ূরকণ্ঠী নীল আকাশ ডাকে
মমতা রায় চৌধুরী
১৪.০২.২২ সন্ধ্যে ৭.৪০
রেখার বরাবরই নিজের রুম ছাড়া ঘুম আসে না।
আলাদা রুমে গিয়ে শুতে হচ্ছে যদিও ,এখন তো এই ঘরটাকেই নিজের করে নিতে হবে ।কিন্তু প্রথম প্রথম তো ঘুম আসাটা খুবই মুশকিলের
ব্যাপার ।তারপর যদি মানসিক শান্তি থাকে তবে
তো । যদি অশান্তি রয়েই যায়, সেখানে ঘুম কোত্থেকে আসবে?
এখন মনোজ রেখাকে একই রুমে শুতে
হয় ।মনোজের উপায় নেই ।শুতেই হবে। না হলে বসার ঘরে গিয়ে শুতে হবে ,সেটা দৃষ্টিকটু ।
সেটা মনোজ করবে না।
এসব ভাবতে ভাবতেই কিরকম পেটের ভিতর অশান্তি শুরু হয়েছে। একদম ভালো লাগছে
না। কেমন আনচান করছে ,ভেতরে অস্থিরতা কাজ করছে। মনোজ মায়েদের ঘরে গিয়ে কথা বলছে।
এই যা বমি বমি পাচ্ছে।
শীতে লেপ গায়ে থেকে ফেলে দিয়েছে।
আর রেখা থাকতে পারছে না ।
রেখাকে এবার বাথরুমে ছুটতেই হচ্ছে।
তাড়াতাড়ি রেখা বাথরুমে গেল ', ওয়াক ওয়াক করে বমি করছে। যা খাবার খেয়েছে সব বেরিয়ে গেল শুধু টক টক লাগছে।চোখেমুখে ঠান্ডা জল দিল।
বমি করে যেন একটু আরাম লাগলো কিন্তু তবুও ভেতরের অস্বস্তি কাটছে না। আবার শুয়ে পড়ল আবার বমি পাচ্ছে এবার রেখা আবার উঠলো আবার বাথরুমে গেল।
আবার বাথরুমে গিয়ে ওয়াক ওয়াক ওয়াক করে বমি করল। এবার অনেকটা বমি করেছে।
এ বাবা এ কি এবার তো পায়খানা পাচ্ছে।
তাড়াতাড়ি জামা কাপড় ছেড়ে ল্যাট্রিনে গেল।
মনোজ কোন কারনেই একটা আওয়াজ পেয়ে ঘরে এসে দেখল রেখা নেই। মনোজ ভাবলো নিশ্চয়ই বাথরুমে গেছে রেখা।
বাথরুম থেকে এবার আবারো ওয়াক ওয়াক এর আওয়াজ পেল।
সন্ধিগ্ধ চিত্তে মনোজ ভাবল
'ঠিকই শুনেছে। তাহলে কি রেখা বমি করছে?'
মনোজ বাথরুমের দরজার কাছে গিয়ে দরজা নক করে বলে
"রেখা, রেখা, রেখা।'
'কি হলো আওয়াজ দিচ্ছ না কেন ?
কি হয়েছে ?
তুমি কি বমি করছ?'
বাথরুম থেকে উত্তর দিল ' শরীরটা কেমন করছে।'
"সেকি কখন থেকে?'
"অনেকক্ষণ থেকে।'
'বললে না ?ডাকতে তো পারতে,,?'
"হ্যাঁ, পারতাম ।তুমি তো গল্প করছিলে তাই ভাবলাম….।"
Ok
'কিন্তু শরীর খারাপ হলে তো ডাকতে হবে না?'
'এখন কেমন বোধ করছ?'
'পটিও করলাম।'
'এ বাবা ,ক' বার করলে?
"চারবার হয়ে গেছে।'
"সে কি জ্বর আছে?'
"না।'
"থ্যাংকস গড।'
" বাথরুম থেকে বেরোতে পারবে তো?'
এরমধ্যে আবার রেখা ওয়াক ওয়াক করে বমি করল।
"হ্যাঁ।
ঠিক আছে। আস্তে আস্তে বেরোও।
এতক্ষণ কষ্টের মধ্য ও মনোজের এই কথার জন্য রেখার মনটা ভাল হয়ে গেল। এ যেন তৃষ্ণার্ত হৃদয় এক পশলা বৃষ্টির শ্রাবন'এর ঘনঘটা ।
রেখা শুধু কি চেয়েছে একটু ভালোবাসা, একটু ভালোবেসে কথা বলা ব্যস। আর কি চাই?'
মনোজ আবার দরজায় নক করল' রেখা, রেখা ,রেখা. আ. আ. আ
বেরোচ্ছে না কেন? খুব খারাপ লাগছে।
শরীরটাও উইক লাগছে।
দরজা খোলো।'
রেখা দরজা খুলে দিল।
মনোজ এসে রেখার হাতটা ধরল।
উফফফ এক ঝটকায় যেন রেখার শরীর ভালো হয়ে গেল। পরম বিশ্বাস ভালবাসার হাতটাই
সারা জীবন খুঁজে গেছে রেখা।
ওদিক থেকে ওর শাশুড়ি মা আর ননদ বলছে 'দেখো তোমার ছেলের কান্ড দেখো গে।'
" কেন রে কি হয়েছে ?'
"দেখলাম তো রেখাকে বাথরুম থেকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ঘরে। যতসব আদিখ্যেতা।'
রেখার কানে সব কথাগুলো এসে পৌঁছাচ্ছে কিন্তু রেখা এসব কোন কিছুই ধরতে চাইছে না ।
মনোজের দিকে তাকিয়ে আছে।
মনোজ বলল 'কি হল? তুমি এভাবে তাকিয়ে আছ কেন ?'
"তোমাকে দেখছি কত দিন পর…।'
"তুমি আমাকে কতদিন পর দেখলে?'
"হ্যাঁ ,সেরকমই ।মনে হয় প্রায় এক যুগ পর।' মাঝে মাঝে তুমি যে কি বল না ?আমি কিছু বুঝতেই পারিনা তোমার কথা।'
ছাড়ো ওসব। চলো ওষুধ খাবে। ডাক্তারকাকাকে ফোন করছি । তারপর ওষুধ খাইয়ে দিই।
শোনো আজকে রান্না বান্নার দিকে যেতে পারবে না।
মিলিদের রান্নাটা দেখছি আমি চাপিয়ে দিচ্ছি।
রেখা ভাবছে কোন মনোজকে দেখছে । পানকৌড়ির মত টুক করে ডুব দিয়ে যে ভালোবাসা নিমিষেই মিলিয়ে গেছিল বলে মনে হয়েছিল ।তার হিসেব নিকেশ কষতে কষতে মনে হয়েছিল জীবনে নিট ফল জিরো এসে
দাঁড়িয়েছে ।কই না তো সেরম কিছু না। তাহলে কি সে মনোজের মনটাকে বুঝে উঠতে পারছে
না ।তার ভেতরে কি শুধুই চলছে
টানাপোড়েন ?কি জানি? জানি না।
কি হলো কিছু বলছো না ।
"আজকে স্কুলে যাবার কথা ছিল । '
"স্কুল এ যেতে হবে না।"
ওদিকে কলিং কে বেল বাজাচ্ছে' জয় গনেশ, জয় গনেশ, জয় গনেশ দেবা'গান হয়ে যাচ্ছে।
আবার কলিংবেল বাজছে ।
মনোজ এবার চিৎকার করে বলল কেউ কি দরজাটা খুলতে পার না? দিদি, একটু দরজাটা খোলো না ,দেখো না কে আসলো?'
মনামী গিয়ে দরজাটা খুলল অনেক বিরক্তি নিয়ে 'কাজের মাসী কাজে এসেছে,। মনোজর ঘরে এসে দিদি বললো" তোদের কাজের মাসি
এসেছে ।'
"ও আচ্ছা, দরজাটা ভেজিয়ে দে।'
কাজের মাসি একটু অবাক হয়ে গেল রোজ বৌমা দরজা খোলে । আজ কি হল ?জিজ্ঞেস করলো বৌমার কি কিছু হয়েছে?
রেখার ননদ মুখটা বাঁকিয়ে বলল 'কি হয়েছে জানি না।যাও তুমি গিয়ে দেখো।'
মাসি গজগজ করতে করতে আসলো। একটা কথা সহজ ভাবে জিজ্ঞেস করলে, এরা উল্টো উল্টো জবাব দেয়। কিরে বাবা।
'বৌমা ,ও বৌমা।'
রেখা ঘর থেকে আওয়াজ দিল
" হ্যাঁ, মাসি এসো।'
রেখার ননদ আবার বলল' যে রকম ক্লাস সেরকম ক্লাসের সঙ্গেই তো পড়বে, তাই না গো মা?
কি জানি দেখি তো গিয়ে সত্যি সত্যি কিছু হয়েছে কিনা?
চল দেখে আসি?'
'তুমি থামো তো মা। আমরা এসেছি করে খাওয়াতে হচ্ছে না, কাজের অজুহাত আর কিছু না।'
'কি হয়েছে বৌমা?'
'মাসি হঠাৎ করে শরীরটা এত কষ্ট হচ্ছিল, অস্বস্তি হচ্ছিল ,কয়েকবার বমি হলো ।প্রচুর বমি হয়েছে আর পটিও হলো।'
মনোজ এসে ওষুধ খাইয়ে দিল।
'ঠিক আছে তোমায় উঠতে হবে না তুমি বসো।'
'চা করতে হবে তো মাসি?'
'না চা করতে হবে না ।আমি খাব না চা ।আগে সুস্থ হও।'
তুমি না খেলে কি হবে, বাড়ির লোকজনের জন্য তো করতে হবে।'
'আরে নিজে বাঁচলে বাপের নাম। তুমি আগে সুস্থ হও ।উনারা করে নেবেন।'
রেখার ননদ কান পেতে শুনছিল।
মনামী গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে লাগলো 'মা কাজের মাসি অব্দি দেখো কিরকম বলছে গো?'
ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা মন আমি তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল। রেখার শাশুড়ি তো একেবারে ভস্মে ঘি ঢেলে দিয়েছে।
রেখার শাশুড়ি ননদ চলে আসলো রেখার ঘরের সামনে। তারপর কাজের মাসি কে উদ্দেশ্য করে বলল'
' বাড়িটা কার বুঝতে পারছি না তো?
তোমার এত বড় আস্পর্ধা মাসি,?'
মাসি তো একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে হতভম্ব হয়ে বলল
'কি করলাম আমি আবার।'
রেখার শাশুড়ি তো একেবারে রণচন্ডী মূর্তি ধারণ করে বলল
'তুমি একটু আগে কি বলছিলে চা করা নিয়ে।'
কাজের মাসি খুব শান্ত গলায় বলল' ও এই কথা। আমি বললাম বৌমা অসুস্থ আমার জন্য চা করতে যাবে সেজন্য বারণ করেছি। কি এমন বলেছি?'
'আর কিছু বলনি আমাদের চা করা নিয়ে।'
কাজের মাসী বললো ও হ্যাঁ আর আর একটা কথা বলেছি যে 'তুমি অসুস্থ থাক ,বাড়ির লোক করে নেবে ।কি খারাপ কথা বলেছি ?দেখতে পাচ্ছেন না বৌটা অসুস্থ। আমরা পরের লোক হয়ে বুঝতে পারছি আর আপনারা বুঝতে পারছেন না?'
রেখার শাশুড়ি তো একেবারে বলে উঠলো
'হায় হায় হায় ঝিকে মেরে বউকে শেখানো। ((গালে হাত দিয়ে রেখার শ্বাশুড়ি বললো।) তারপর ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলল
'মনু এ বাড়িতে থাকতে পারবো না রে, হায়, হায়, হায় । বাড়ির বউ কাজের বউ সব এক হয়ে যদি আমাদের সঙ্গে এভাবে লড়তে থাকে,আমরা কি করে পারব বল?'
মনোজ বাথরুম থেকে বেরিয়ে বলল'
' কি হয়েছে ?
তোমরা এরকম হা-হুতাশ কেন করছো?
একটু চুপ করতে পারোনা মা ।সবসময় তোমাদের মুখে যা আসে তাই বলে যাচ্ছ ।'
তুই আমাদেরকে বলছিস আর এতক্ষণ যে কাজের বৌ আমাদেরকে কত কথা বলল।'
রেখা কাজের মাসিকে বলল মাসি তুমি গিয়ে কাজ করো যাও।'
এখান ননদ বললো সকাল থেকে এক কাপ চা ও পেলাম না।
'আজকে আর চা খাওয়া হলো না বোধহয়।'
মনোজ দিদিকে বলল 'তুই একটু কর না
দিদি ।দেখছিস তো ওর শরীরটা খারাপ।'
'আমি চা করব?
"কেন বাড়িতে চা করিস না।'
"হ্যাঁ, বাড়িতে করি কিন্তু এখানে এসে করব। 'তাহলে চা না খেয়ে বসে থাক।
রেখা বলল 'ঝগড়া করো না তো ,ভালো লাগছে না আমি যাচ্ছি চা বানাতে।'
রেখা উঠে রান্না ঘরের দিকে যাবার চেষ্টা করল।
মনোজ বললো' তুমি উইক আছো। তুমি কি করে এখন চা করবে ?একটু রেস্ট নাও।'
রেখা আস্তে আস্তে রান্নাঘরে গিয়ে গ্যাস জ্বালিয়ে জল বসিয়ে দিল । অন্যদিকে মিলি আর তার বাচ্চাদের জন্য ভাত বসিয়ে দিল।'
মাঝেমাঝেই পেটের মধ্যে মোচড় দিচ্ছে আর বমি পাচ্ছে।
কাজের মাসি একফাঁকে রান্না ঘরে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে বলল,_ বৌমা তুমি উঠে আবার এই রান্না ঘরে ঢুকেছ?'
এক গাল হেসে বললো 'কী করবো মাসি বলো?'
তুমি কিন্তু চা খেয়ে যাবে মাসি।'
'তোমার বাচ্চাগুলো তো চেঁচাচ্ছে গো।'
কটা বিস্কিট দিয়ে দাও না ওদেরকে।
'আমি দেব? কেন তুমি ভয় পাচ্ছ তোমাকে তো চিনে গেছে। এর আগের দিন খেতে দিলে না?'
'ঠিক আছে, দাও দিয়ে দিচ্ছি।'
রেখা ৮-১০ ব্রিটানিয়া বিস্কিট মাসির হাতে দিল।
মাসিকে দেখে বাচ্চাগুলো আরো চেঁচাতে লাগলো। মাসি আদর করে করে ডাকছে' তুলি, পাইলট, এই নাও বিস্কিট খাও।
রেখার ননদ বলল' মাগো মা কান্ড দেখে মরে
যাই। কুকুরের জন্যএত আদিখ্যেতা।'
রেখা চা করে নিয়ে মনোজ, শাশুড়ি মা আর ননদকে দিল।
এমন সময় মনোজের ফোনে ফোন আসলো। মনোজ ফোনটা রিসিভ করে বলো হ্যালো'
'হ্যাঁ রে কেমন আছিস?"
"কে রে সুরো?'
'ছিলাম একঅধম কোন এক সময়।
তোরা তো একেবারে অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছিস?'
'কেন কেন?'
কেন আবার দেখা তো হয়ই না। ফোন করতেও ভুলে গেছিস আজকাল।'
'ও তাই ?আর তুই বুঝি খুব ফোন করিস?'
'ফোনটা কে করলো শুনি?'
'ঠিক আছে। শোন আজকে রেখাকে পাব?'
"কেন কি হয়েছে বল না?'
শিখার বিয়ে ঠিক হয়েছে। তোদেরকে কিন্তু এক সপ্তাহ আগে আসতে হবে toআগেই বলে
দিলাম ।কোন অজুহাত আমি শুনবো না।'
মনোজ যেন আকাশ থেকে পড়ল ।অতি আশ্চর্য হয়ে বলল
"এক সপ্তাহ আগে?'
হ্যাঁ আমার যেমন বোন তোরও তো তেমনই বোন।'
'সে তো ঠিকই।'
" তাহলে কোন কথা নয় ফেব্রুয়ারি মাসের 28 তারিখে বিয়ে।'
'কার সাথে বিয়ে হচ্ছে?
'কার সাথে আবার। আমার শালার, শালার সঙ্গে।'
'ও কল্যাণের সঙ্গে।'
' হ্যাঁ রে ,খুবই ভালো ছেলে।'
'কল্যান বরাবরই ভালো ছেলে। তারপর কলেজের প্রফেসর বলে কথা। খুব ভালো হয়েছে।'
'এই সমন্ধ টা তো অনেক আগেই দিয়েছিল। শিখা কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না। যাই হোক এবার পুজোতে গ্রামে গিয়ে কল্যাণের সঙ্গে শিখার আলাপ হওয়াতে, দুজনারই ভালো লেগেছে।'
'ভালো খবর।'
'রেখাকে একটু ডেকে দে।'
'রেখার শরীরটা একটু খারাপ আছে রে সুরো।'
"কি হয়েছে রে?'
"কাল রাত থেকে বেশ কয়েক বার বমি
করেছে ।পায়খানা হয়েছে।'
"সে কিরে! ওষুধ খাইয়েছিস?'
"তাহলে একটু রেস্টে থাকতে বল।'
'আর রেস্ট রান্নাঘরে ঢুকে বসে আছে।'
'বড্ড বাড়াবাড়ি তোর । ওর হাতের রান্না না খেলে তো পেট ভরে না।'
"বাড়িতে দিদি,মা এসেছে না?'
'ও শোন, বিয়েতে কিন্তু তাহলে দিদি আর মাসিমা কেও নিয়ে আসবি কেমন?'
আর শোন, থাক আজকে রেখাকে ডাকতে হবে
না ।আমি অন্য সময় আবার ফোন করে
নেব ।ভালো থাকিস সবাই।'
'তোরাও ভালো থাকিস।'
'ফোন কেটে দিল।'
এরপর মনোজ রান্নাঘরের দিকে গেল।
রেখাকে দুটো গোলাপ ফুল হাতে দিয়ে বলল 'হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে।'
রেখা তো একেবারে অবাক। কাকে দেখছে? চিনতে পারছে না মনোজকে? মাঝে মাঝে কেন তাহলে রেখার সাথে এরকম করে?'
মনোজ বেশিক্ষণ ওয়েট করল না শুধু বললো' 'অবাক হয়ে গেছ, আমি ভুলে গেছি ভাবলে?'
রেখা হতভম্ব হয়ে গেল
আর ভাবলো কেন তাহলে এরকম হয়। মনোজকে যেন চিনতে পারে না মাঝে মাঝে।
ভ্যালেন্টাইন্সডের কথা আসতেই রেখার মনে আবার পানকৌড়ির এর মত উঁকি দেয় স্বপ্নীলের কথা। সে এক অন্যরকম ভ্যালেন্টাইন্স কাটিয়েছে।
সে যেন ময়ূরকণ্ঠী রাতের নীল আকাশে তারাদের ঐ মিছিলে ভেসে গেছিল ।
মনোজ কি পারবে রেখাকে নিয়ে ময়ূর কণ্ঠী নীল আকাশে তারাদের মাঝে হারিয়ে যেতে?
এর মধ্যেই ভাবনার ছন্দপতন ঘটায় মাসির ডাকে 'ও বৌমা, বৌমা আমি আসছি।'
রেখা হেসে বলে' হ্যাঁ ,মাসি এসো।'