পোস্টগুলি

নভেম্বর ৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতা আমার ঘরের ভেতর ঘর , বোধের নিবিড় অনন্ত প্রহর

ছবি
তিন বোনের দুই বই  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : পেশা সাহিত্যচর্চায় অন্তরায় হয় না, যদি ইচ্ছে শক্তি প্রবল থাকে। এমন উদাহরণ অহরহ দেয়া যায়, নেশা ও পেশাতে সামঞ্জস্য রেখে অতীতেও অনেকে সাহিত্যচর্চায় নিবিড় সংযোগ অক্ষয় রেখেছেন, এইসময়ও তার ব্যতিক্রম নয়। আসলে এই দুইয়ের মেলবন্ধন তৈরি হলে লেখকের ভেতরে প্রাণ ও সাংস্কৃতিক গতি সঞ্চার হবে এটাই স্বাভাবিক । ভারতীয় সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগত এমনিতর দিক নির্দেশ করে এসেছে।           মঞ্চে গুণীজনদের কাব্যবাস ,"কবিতা যখন মনের গভীরে কথা বলে " , মোবাইলে উঠে আসা দর্পন।                              তি ন বোন। দু'টি বই। গত ২ নভেম্বর, ২০২১ মঙ্গলবার সন্ধে ছিল এমনই এক মনোজ্ঞ। প্রাণের সঙ্গে প্রাণের মেলবন্ধন ঘটালেন তিন তরুণ কবি।                             সীমা সোম বিশ্বাস, একজন কবি। পেশাগতভাবে এক সময়  একটি বিশেষ কলেজের অধ্যাপনা করেছেন কবি । এখন তিনি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা ।  শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাহিত্যের মেলবন্ধন ঘঠিয়েছেন সীমা সোম বিশ্বাস।  বোঝা যায় সাহিত্যের সঙ্গে যোগ অকাট্য। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের এই শিক্ষিকার লেখালেখির শুরু সেই ছোটবেলা থেকে। বেলঘরি

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" ৩৬

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন ( ৩৬ ) এক চিলতে আলো                                                     রে খা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে ।কি করবে? এখন কি করা উচিত? কার পরামর্শ নেবে? এরমধ্যে ফোনটা বেজে উঠল ক্রিং ক্রিং ক্রিং। রেখা ফোনটা রিসিভ করতেই  'হ্যালো' অপর পক্ষ  বলল 'দিদি, আমি সোমদত্তা  বলছি।' রেখা বলল 'হ্যাঁ বল।' সমু বলল' তোর কি শরীর খারাপ?' রেখা বলল ' হ্যাঁ'। সমু বলল ' ডাক্তার দেখিয়েছিস?' রেখা বলল ' ডাক্তার দেখাতে যাই নি ।ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তোর জামাইবাবু ওষুধের ব্যবস্থা করেছে। সোমু বলল  'ঠিক আছে ।রেস্ট নে ,ভালো থাকিস। তবে একটা কথা আছে,আজকে আমাদের কোর্টে ডেট আছে ।জামাইবাবু  আসতে পারবে?' রেখা বলল 'ওর শরীরটা বোধহয় ঠিক নেই ।এখনো তো শুয়ে আছে ।ঠিক আছে। বলে দেখব।' সমু বলল   'আজ হেয়ারিং আছে একটায়।'ঠিক আছে। ছাড়ছি।' রেখা  ফোনটা ছেড়ে মনে মনে বলল  'যত আদিখ্যেতা অন্যের

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২১

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।  উদাসী,মেঘের ডানায়                                       (পর্ব ২১ )                                               ঘু ম ভাঙলো তৃষ্ণার চড়ুইপাখিদের কিচির মিচির সুরে উঠে এসে বারান্দায় দাঁড়ালো। সকালটা কি আশ্চর্য নির্মল মিষ্টি অনুভূতির আবেশ ছড়িয়ে রেখেছে শরৎ এর ভোর। একটু পরই ভোরের সিগ্ধতার ফাঁক গলে সোলালী থালা জানাবে এই আমি আসছি। তাড়াতাড়ি ঘরে এসে বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার সেরে সালোয়ার কামিজ পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হালকা মেকাপ করে আলাইনার দিলো ওর চোখেরমনিটা লাইট ব্রাউন কিছুটা সময় থমকে দাঁড়িয়ে  নিজেকে দেখতে দেখতে বললো দেখ তৃষ্ণা শরৎএর সিগ্ধতার মতোন আবেগী হয়ে উঠছো কেবল শেষ পর্ষন্ত ভালোবাসার হাতকড়ায় বন্দিহয়ে পরিতৃপ্ত। ধীরে চলো তৃষ্ণা আর পিছনে ফেরা নয় তুমি জেগে উঠেছো ভোরের নির্মল সিগ্ধতার মতন। মায়ের ডাকে চমকে উঠে বললো - আসছি মা।  ব্রেকফাষ্ট করে  অফিসে যারার সময় মাকে আদর কর

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"১৭

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "  বনফুল                                  ১৭ তম পর্ব                                            প লাশ ফোন রাখতেই সৈকত বললো, দোস্ত কি ব্যাপার?  বিষয়টা তো বুঝতে পারলাম না! খুলে বল দোস্ত।  পলাশ সব বলবো দোস্ত খেয়ে এলাম এইমাত্র, একটু রেস্ট নিতে দে।  ওদিকে জুঁই পলাশকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে....। পলাশ বললো দোস্ত একটু আগে যার ফোন এসেছিল ওর নাম জুঁই, ফার্স্ট ইয়ারে ভার্সিটিতে এ্যাডমিশন নিয়েছে, প্রথম দিনই ওর সাথে দেখা হয়,অবশ্য কথা হয়নি। পরের দিন পরিচয় হলো, এর কিছু দিন পরে আমাকে প্রোপজ করে জুঁই, ওকে না করার সাধ্য আমার ছিলো না, হয়তো আমিও ওকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তাইতো জোরালো ভাবে না করতে পারিনি। বাকি কথা পরে হবে।  এবার ঘুমা, আলাপ পরিচয় ও সব হবে...।  পলাশ ও সৈকত দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছে।  সকাল নয়টায় ঘুম ভাঙ্গলো জুঁইয়ের। বাবা-মা দুজনেই ওর জন্য নাস্তার টেবিলে অপেক্ষা করছে। দ্রুত ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে এলো জুঁই। বাবা-মা দুজনের সাথে নাস্তা শেষ করে একটা কফি খেলো। তারপর জুঁই তার ম

তালুকদার ইমরোজ

ছবি
মৃত্যু লোকটির আত্মহত্যার খবরে পাড়ার লোকজন নানারকম মুখরোচক গল্পে ঘুমন্ত পাড়াকে-  প্রায় জাগিয়ে তুলল,গরম করে ফেললো; কেউ বলল,'লোকটি ডুবে ডুবে দীর্ঘদিন ধরেই জল খাচ্ছিল,ভালো মানুষের ভান ধরেছিলো।  আসলে চূড়ান্ত ভালো বলে কিছু নেই'। যে লোকটি নির্ঝঞ্ঝাট ছিলো,কারও সামান্যতম ক্ষতি যে করেনি,যে মানুষের কষ্টে এগিয়ে আসতো, যার হৃদয়টা ছিলো ছোট্ট শিশুর মতো,যাকে পঙ্কিলতা স্পর্শ করেনি,সে এখন সবার মুখে মুখে- নিষিদ্ধ সংগমের মতো ঘৃণায় উচ্চারিত মানুষ। অথচ আত্মহত্যার বহুবছর পূর্বেই লোকটি যে মারা গিয়েছিলো,সে খবর আমরা কেউ রাখিনি।

নাজিয়া নিগার

ছবি
রেনেসিয়ান শিল্পের জানালায় কাকতাড়ুয়া.... রাজনৈতিক মঞ্চে নাচে নটবর। সত্যের পেখম তুলে উড়ে যায় নিরন্ন গাঙচিল। শিল্পকে খুঁটে খায় শিল্পের প্রলেতারিয়েত। শিল্পীর চোখেমুখে অস্ফুট স্বগতোক্তি নিপীড়িত শিল্প যেন যৌন-প্রতিকের কফিন! দেয়াল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া একদল উটপাখি প্রাচ্যের চৌকাঠ পেরোয়। আমাদের শিল্প পরে রয়;কুটির শিল্পের যাদুঘরে শিল্পীরা পরে রয় মৃত সেলুলয়েডের ভাঙাচোরা অলিন্দে। শিল্পের মুখাবয়বে আল্পনা এঁকে যায় এক গোত্রের রেনেসিয়ান। ওদিকে শকুনের দল বসে করে শিল্পের বড়াই।

ফারজানা আফরোজ

ছবি
ডুয়েট কবিতা বিদায় বেলায় কাব্য-এই সুন্দর দুপুর হয়তো বা নাও আসতে পারে।হতেও পারে এটাই শেষ দেখা।তোমার ভালো লাগা আমার থেকে ছিল ভিন্ন।দুই জনের মন যে আলাদা। কবিতা-তুমি ভালোবাসতে মেঘলা আকাশ।আর আমি শ্রাবণের বৃষ্টি।আমি ভালোবাসি সমুদ্র আর তুমি পাহাড়। কাব্য-তাইতো তোমার আমার মাঝে এত অমিল।পৃথিবীটা দেখি আমার চোখে আমার মত।তুমি দেখো তোমার মত। কবিতা-আজকাল তোমার কি হয়েছে বল তো কথাবার্তায় কষ্টের রং। কাব্য-অনেক কিছু বদলে যায়।তোমার আর আমার মধ্যে অনেক ব্যাবধান।দুজনের পথ আলাদা হয়ে গেছে। কবিতা-তুমি কি জান আকাশের শেষ সীমান্ত কোথায়?এই পথে আর কি কখনো দেখা হবে? কাব্য-না।শুধু জানি তুমি অনেক অভিমানী।তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসো।নাকি অন্য কাউকে। কাব্য-ভালোবাসি।তবে এই ভালোবাসা অবাস্তব।ভুলে যেও আমাকে।দূরে থাকলেও বন্ধু হয়ে  থাকবে চিরকাল। কাব্য-এই পথে আবার কখনো হয়তো দেখা হবে।চলে যেতে হবে অনেক দূরে।আপন ঠিকানায়।দূরে থেকেও কথা হবে।মনে রেখো‌ কেউ আছে তোমার পাশে। কবিতা-ঠিকানা না দিলেও ঠিকানা খুঁজে নিব কোন দিন।দেখা হবে হঠাৎ করে।ভালো থেকো।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৮

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ৮ )     শামীমা আহমেদ                                                        চা য়ের মগ হাতে  নিয়ে শায়লা বারান্দায় চলে এলো।সকাল হয়েছে। ছুটির দিন তাই শহরবাসী একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছে। প্রতিদিনের মত ছুটোছুটিটা নেই।অবশ্য শায়লার এখন প্রতিদিনই ছুটির দিন।চাকরীটা ছাড়ার পর এখন জীবনের দিনগুলো অন্যরকম কাটছে।নিজের দিকে তাকানোর ফুসরত মিলেছে! কথায় বলে সুখ দুঃখ পালা করে আসে। এখন শায়লাদের পরিবারে সুখের সুবাতাস বইছে।শায়লা প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। রাহাত একটা ভালো চাকরী করছে।মায়ের দেখভাল, চিকিৎসা নিয়মিত হচ্ছে।দুঃসময়ের কষ্টটাকে যদি মাটিতে পুঁতে রাখা যায় তবে সময়ের পরিক্রমায় তা সুখবৃক্ষ হয়ে সুখের ডালপালা ছড়িয়ে দেয়। শায়লাদের সুখবৃক্ষ এখন রাহাত।আজ ছুটির দিনে সে একটু বেলা করে উঠবে।কর্পোরেট জবে যেমন হ্যান্ডসাম স্যালারী তেমনি কাজের বিস্তৃতি। তাতে কি? কথায় বলে---পেটে খেলে পিঠে সয়। তাছাড়া এতে লিভিং স্ট্যান্ডার্ডটা রাতারাতি বদলে যায়।যা একটা সরকারী চাকরীতে সারাজীবন লেগে যায়। হঠাৎ শায়লার রাতের কথা মনে পড়তেই মোবাইলে চোখ চলে গেলো।খুব দ্রুতই ফে