https://www.facebook.com/111857043746381/posts/374568980808518/
লাইভ কবি ও কবিতা গল্প পাঠে আপনি আসুন ।
মোবাইলে টাইম পাশ, সম্বৃদ্ধ উল্লাস সাহিত্য হাসি ঠাট্টা খুনসুটি বিন্দাস পড়তে হবে নইলে মিস করতেই হবে। মোবাইল +91 9531601335 (হোয়াটসঅ্যাপ) email : d.sarkar.wt@gmail.com
প্রেম ও কিছু কথা
প্রেম করতে কে না চায়। মনের মত মন খুঁজে সত্যিকারের প্রেম করা এক ধরণের শিল্প। যদিও প্রেম করলেও জ্বালা প্রেম না করলেও জ্বালা। মুখে বললেও প্রেমের মানে বুঝতে সারা জীবন লেগে যায়। তাই প্রেমের কোনও নিদিষ্ট বয়স হয় না। পদার্থ বিজ্ঞানে যা আকর্ষণ মানবিক বিদ্যায় তাই প্রেম। পদার্থ বিজ্ঞানে যা বিকর্ষণ মানবিক বিদ্যায় তাই ঘৃনা। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। আবার অহরহ সম্পর্ক ভেঙেও যাচ্ছে। প্রেম মানেই ভালবাসা, অবেগ ও মায়ার সম্পর্ক। প্রেম মানুষকে তার ভেতরের সুপ্ত বৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। সত্যি প্রেমের অনুভূতি অনেক আনন্দের।
প্রেম কাকে বলে
কোন ব্যক্তি বা জিনিসের উপর মায়া,
ভালোবাসা ও আসক্তি বেড়ে যাওয়াই হলো প্রেম। একজন নারী বা একজন পুরুষ তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে যখন একে অপরকে জানার জন্য খুব কাছাকাছি আসে কোনো রকম শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া, তখন তাকে প্রেম বলে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের দুজনের মধ্যে একে অপরকে ছাড় দেবার মন মানসিকতা থাকতে হবে। সাইকোলজিস্ট রবার্ট স্টেনবার্গ প্রেমকে তিনটি উপাদানের মধ্যে ভাগ করেছেন। সেই উপাদানটিকে একটি ত্রিভুজের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করেছেন। তিনটি উপাদান হল- আবেগ অর্থাৎ সঙ্গীর প্রতি যৌন ও রোমান্টিক আকর্ষণ, অন্তরঙ্গতা হলো গভীর অনুভূতি এবং সহানুভূতি যা কিনা শুধুমাত্র সম্পর্ককে রক্ষা করাই নয়, তাকে সসম্মানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
পৃথিবীর আদিকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত, মানব জন্মের ইতিহাস আর প্রেমের ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা। পৃথিবীর প্রথম নর-নারী আদম-হাওয়া পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলেন। এ কারণে আল্লাহর নিষেধ অমান্য করে আদম তাঁর সঙ্গিনী হাওয়ার অনুরোধ রক্ষা করেছেন। এই ভালবাসা যেমন সত্য তেমন শাশ্বত। এছাড়া শ্রী রামচন্দ্রের পতিব্রতা স্ত্রী সীতার প্রেমে পড়েছিলেন রাবণ। এজন্য তিনি সীতাকে অপহরণ করে অশোক কাননে বন্দি রেখে দেহ মনে পাবার সমস্ত কলাকৌশল অবলম্বন করেছিলেন। রাবণের ভালবাসা ছিল একতরফা, তাই এই ভালবাসা আদম হাওয়ার মতো পবিত্র নয়। অপূর্ব সুন্দরী হেলেনের প্রেমে পড়েছিল গ্রিক পুরাণের প্রেমিক পুরুষ প্যারিস। হেলেন তখন রাজা মেনেলাসের স্ত্রী। তাই এই ভালবাসা তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় স্বীকৃত ছিল না। ফলে ধ্বংস হয়েছিল ট্রয় নগরী। একজন পুরুষ হয়ে পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন ইতিহাস বিখ্যাত বীর আলেক্সজান্ডার দ্য গ্রেট। এই প্রেম ছিল নিষিদ্ধ। আজও পৃথিবীর অধিকাংশ স্থানে তা স্বীকৃতি পায়নি। যা পাপ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। প্রেম শব্দটি এক হলেও পৃথিবীতে তার বিস্তার ঘটেছে এমন নানামুখী সম্পর্কের ভেতর দিয়ে। এর মধ্যে কোনো কোনো সম্পর্ক যুগে যুগে মানুষ শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করেছে। আবার কোনো কোনো সম্পর্ক পাপাচার আখ্যায়িত করে প্রেমের পাত্র পাত্রীকে চড়িয়েছেন শূলে।
সাধারণত দুইজন বিবাহিত বা অবিবাহিত নারী পুরুষের মধ্যে যে প্রেম গড়ে ওঠে, পৃথিবীতে প্রায় সকল সমাজে এই প্রেমকে শাশ্বত এবং পবিত্র বলে ধরে নেওয়া হয়। পৃথিবীতে শুধু ভালোবেসে অমর হয়েছে এমন সাহিত্য পুরাণ ও বাস্তব জীবনের উল্লেখযোগ্য প্রেমিক জুটি হল – সাইকি-কিউপিড (গ্রিক); রাধা-কৃষ্ণ (ভারত উপমহাদেশ); লাইলী-মজনু (পারস্য); বেহুলা-লখিন্দর (বাংলাদেশ); প্যারিস-হেলেন (গ্রিক); রোমিও-জুলিয়েট (রোম); ওডিয়াস-পেনেলোপ (গ্রিক); পিরামাস-থিসবি (গ্রিক); পিগম্যালিয়ন-গ্যালাটিয়া (গ্রিক); দেবদাস-পার্বতী (ভারত); ভিক্টোরিয়া-আলবার্ট (ব্রিটেন) প্রমুখ।
আমরা জানি প্রেমে শরীর থাকবেই।
নারী ও পুরুষের মাঝে জৈবিক কারণে হলেও শরীর চলে আসে। কিন্তু প্লেটোনিক ভালবাসা হল শরীরবিহীন প্রেম। অর্থাৎ এই ভালবাসা শরীরী নয়, অশরীরী। এখানে দুই প্রেমিক এবং প্রেমিকার মাঝে কোনো যৌন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয় না। এই শুদ্ধতম ভালোবাসায় কামনা বাসনার কোনো স্থান নেই। এ শব্দটির উৎপত্তি মূলত প্লেটোর ‘প্লেটোনিজম’ মতবাদ থেকে; যাতে বলা হয় এমন প্রকার ভালোবাসার কথা যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসা ডিভাইনিটির দিকে উঠে যাবে। শরীর নামক বস্তুটি থাকবে অনুপস্থিত। এমন নিষ্কাম ভালবাসা, যে ভালবাসা রাজাধিরাজের মতো দু’হাত ভরে শুধু দিয়ে যায়, নেয় না কিছুই। বাস্তবে নারী পুরুষের মাঝে এমন প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে।
প্রেম ভালবাসার নির্দিষ্ট কোনো প্রকারভেদ নেই।তবে যে প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করলাম সেগুলো সাধারনত সংঘটিত হয়ে থাকে ।
১. প্রথম প্রেম: জীবনের প্রথম প্রেম সবার কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকে। প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে। প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই আদতে প্রেম হয়না, সেটা হয়ে থাকে Infatuation। প্রথম প্রেম হতে পারে কোন বাল্য বন্ধু, হতে পারে গৃহশিক্ষক বা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা, হতে পারে বয়সে বড় কোন আপু, হতে পারে কোন ফিল্মের নায়ক বা নায়িকা, হতে পারে পাড়ার কোন হ্যান্ডসাম তরুনী বা বড়ভাই। কারো কারোক্ষেত্রে আবার জীবনের প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম।
২. প্রথম দেখায় প্রেম/Love at First Site:প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ,ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধু আড্ডায়। এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও এ ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য ও দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভুমিকাই বেশি।
৩. বন্ধুত্ব থেকে প্রেম: এই ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক ও প্রেমিকা দু’জনেই প্রথমে বন্ধু থাকে। আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব কালের বিবর্তনে প্রেমে রূপ নিতে থাকে,অনেক সময়ই দু’জনেরই অজান্তে। তবে আশেপাশের মানুষ (বিশেষত বন্ধুকূল) কিন্তু ঠিকই খেয়াল করে। দুঃখজনকভাবে এধরনের প্রেম অনেক সময়ই অকালে ঝরে যায় কোন একতরফা সিদ্ধান্ত বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেকে বন্ধুত্বের এই রূপান্তর মেনে নিতে পারেনা বলে অনুশোচনায় ভোগে – বিশেষত মেয়েরা।
৪. একরাতের প্রেম/One Night Stand:এগুলোকে প্রেম বললে পাপ হবে। ৯০% ক্ষেত্রেই ছেলেরাই এ ধরনের প্রেমের আয়োজক। দৈহিক বাসনাকে পূর্ণতা প্রদান করাই এই প্রেমের প্রধান উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য পূরণের পূর্বে কিছু নাম মাত্র ডেটিং হতে পারে। উদ্দেশ্য পূরণের জনপ্রিয় স্থান: কোন হোটেল, খালি ফ্ল্যাট, সমুদ্রতীরবর্তী কোন শহর। এই ধরনের প্রেমের মূলমন্ত্র হলো: “আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোনোদিন নয়……..”
৫. বিবাহোত্তর প্রেম: এই প্রেম শুধুমাত্র স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায়। বিয়ের ঠিক পর পর প্রথম কয়েক মাস এই প্রেম প্রবল থাকে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পূর্বপরিচিত নয় এমন দু’জনের মধ্যে এ্যারেন্ঞ্জ বিয়ে হলে এই ধরনের প্রেম প্রবল রূপে পরিলক্ষিত হয়। প্রেম করে বিয়ে হলে সেক্ষেত্রে বিবাহোত্তর প্রেমে ভাঁটা পড়ে বলে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে, কবে এর সত্যতা পরীক্ষিত নয়। বিবাহোত্তর প্রেম ফলাতে হানিমুনের জুড়ি নেই।
৬. পরকীয়া প্রেম: বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। পরকীয়া প্রেমের মূল কারনগুলো হলো:ক. সময়ের সাথে সংসার জীবনের প্রতি অনাগ্রহ বা তিক্ততা চলে আসা।খ. শারীরিক চাহিদা পূরণে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসা।গ. শারীরিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অক্ষমতা বা অপূর্ণতা।ঘ. নিতান্তই এ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা, লুকিয়ে প্রেম করার স্বাদ অনুভব করা। মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিলা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।
৭. অপরিণত প্রেম/কম বয়সে প্রেম/না বুঝেই প্রেম: এ ধরনের প্রেম সাধারণত স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় হয়ে থাকে। মেয়েরাই এ ধরনের প্রেমে বেশি পড়ে। তবে ছেলেরাও পড়ে। প্রেমিক প্রেমিকাদের দু’জনই সমবয়সী হতে পারে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেমিক তার চেয়ে বয়সে বড়ও হতে পারে। তবে এ ধরনেরপ্রেমের সাফল্যের হার কম – অর্থাৎ এ ধরনের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় খুব কম ক্ষেত্রেই।
৮. কর্মক্ষেত্রে প্রেম: কর্মসূত্রে দু’জন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। উক্ত দু’জন হতে পারেন কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর দু’জন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রজেক্টে পরস্পরের পার্টনার। অফিসে নতুন জয়েন করেছেন এমন কোন মেয়ের সাথে এরূপ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অফিসের পুরুষ কর্মকর্তাদের মাঝে তাগিদ দেখা যায়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।
৯. মোবাইল প্রেম: বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সুত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক সময় মোবাইলে এভাবে কথা বলে ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমের সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা এ ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়।
১০. ইন্টারনেটে প্রেম: ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোসিয়্যাল মিডিয়া সাইটে (যেমন – ফেইসবুক,মাইস্পেস) দু’জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের একজন বিদেশে অবস্থান করে। এভাবে পরিচয়ের পর ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক। অনেক সময়ই কোন ছেলে মেয়ে সেজে অন্য কোন ছেলের সাথে এমন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আর তাই অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের সম্পর্ক প্রতারণায় পরিণত হয়। পূর্বে এ ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার বেশি থাকলেও বর্তমান সময়ে এসে সাফল্যের হার কম।
১১. ত্রিভূজ প্রেম: এ ধরনের প্রেমকে বলা যেতে পারে একজন মেয়েকে নিয়ে দু’জন ছেলের টাগ-অফ-ওয়ার বা দড়ি টানাটানি। একই মেয়ের প্রতি দু’জন ছেলেরভালোবাসা এই প্রেমের মূলকথা। উক্ত মেয়েকে পেতে দু’জন ছেলেই মরিয়া থাকে। ত্রিভূজ প্রেমের ক্ষেত্রে প্রায়শঃই মেয়েরা মানসিক দ্বন্দে ভোগে – কাকে পছন্দ করবে এই নিয়ে। অনেক সময়ই ছেলে দু’জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা রূপ নেয় মারামরিতে। দু’জন মেয়ে আর একজন ছেলের মধ্যেও ত্রিভূজ প্রেম লক্ষিত হয়। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মারামারিতে নয় বরং রূপ নেয় চুলোচুলিতে।
১২. বহুভূজ প্রেম/Multi প্রেম: একই মেয়ে বা ছেলের প্রতি ২ এর অধিক ব্যাক্তির অনুরাগই মূলতঃ বহুভূজ প্রেম। এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে বা ছেলেটি স্বভাবতই দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্য্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। সবাই তার সাথে প্রেম করতে চায় এই বিষয়টি তাকে ব্যাপক আনন্দ দেয়।
১৩. অসমবয়সী প্রেম: এ ধরনের প্রেমের বৈশিষ্ট্য প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে বয়সের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান। যদিও মেয়ের চাইতে ছেলে কয়েক বছর বড় হলেও তা স্বাভাবিক প্রেম হিসেবে ধরা হয়, তথাপি, যদি পার্থক্য খুব বেশি হয় – যেমন ১২ বছর তবে তা অসমবয়সী প্রেম হিসেবে ধরা হয়। মজার ব্যাপার হলো ছেলের চাইতে মেয়ে এক বছরের বড় হলেও তা অসমবয়সী প্রেম হয়ে হিসেবে ধরা হয়। অসমবয়সী প্রেমকে এ সমাজে বাঁকা চোখে দেখা হয়, বিশেষত যদি মেয়ে ছেলের চাইতে বয়সে বড় হয়। অসমবয়সী প্রেম বিয়েতে রূপ নিলে দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ হয় না বলে একটি মতবাদ এদেষে প্রচলিত আছে, কিন্তু এর কোনসত্যতা পাওয়া যায়নি।
১৪. শারীরিক প্রেম/শরীর সর্বস্ব প্রেম: প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে শরীরি আকর্ষণই এই প্রেমের মূল উপাদান। আবেগ ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
১৫. দুধের মাছি প্রেম/অর্থসর্বস্ব প্রেম: “যতোদিন টাকা আছে, ততোদিন সম্পর্ক” – অনেকটা এই নীতির বলে এই ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। অবশ্যই ছেলেরাইটাকা ব্যয় করে থাকে এসব ক্ষেত্রে। ধনীর ঘরের ছেলেদের পক্ষে এই ধরনের সম্পর্ক বেশিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। তবে মোটামুটি আয়ের ছেলেরা খরচেরঠেলায় অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠে, সম্পর্কও আর বেশিদিন থাকেনা। তখন ঐসব মেয়েরা অন্য ছেলের খোঁজে বেরোয়।
১৬. ঈর্ষাণ্বিত প্রেম: “অমুক ছেলে প্রেম করে, আমাকেও করতে হবে” বা “অমুকের বয়ফ্রেন্ড আছে,আমারো চাই” – অনেকটা এমনতর মানসিকতা থেকে এসব প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেমগুলো অনেক সময়ই সাময়িক হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময়ইবয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড মনের মতো না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া হয়।
১৭. জেদের বশে প্রেম: পূর্ববর্তী বা বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে অনেকটা দেখিয়ে দেয়ার (“তুমি ছাড়াও আমার প্রেম করার লোকের অভাব নেই…….”) উদ্দেশ্যে যাকে সামনে পাওয়া যাবে ধরে তার সাথে প্রেম করাই এ ধরনের প্রেমের মূল লক্ষ্য। মনের মতো লোক পাওয়ার বিষয়টি এখানে নগণ্য।
১৮. চড়িয়ে খাওয়া প্রেম/গাধাখাটুনি প্রেম/ঘানি টানা প্রেম: প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা লাভই এ ধরনের প্রেমের উদ্দেশ্য।ক্লাসের ভালো রেজাল্ট করা মেধাবী ছাত্রটি এ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় শিকার হিসেবে পরিগণিত হয়। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের প্রেমের প্রচলণ বেশি দেখা গেলেওছেলেদেরকেও মাঝে মাঝে করতে দেখা যায়।
১৯. অব্যক্ত প্রেম/না বলা প্রেম: নীরবে এক অপরকে ভালোবেসে গেলেও পরিস্থিতি, সময় বা মনোবলের অভাবে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে কেউই একে অপরকে কোনোদিন বলেনি। অব্যক্ত প্রেম হারানোর বেদনা খুব কষ্টদায়ক, জীবনের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে মনে থাকে।
২০. সুপ্ত প্রেম: একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলছে না, পুরো ব্যাপারটাই লুকিয়ে যাচ্ছে এমন প্রেমই সুপ্ত প্রেম। সুপ্ত প্রেম আজীবন সুপ্ত থেকে গেলে তা পরিণত হয় অব্যক্ত প্রেমে।
২১. চুক্তিবদ্ধ প্রেম: এ ধরনের প্রেম হয় পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে। সাধারণ অর্থে প্রেম বলতে যা বোঝায় তা এই ধরনের প্রেমে অনুপস্থিত থাকে। কোনভবিষ্যৎ থাকেনা এসব সম্পর্কের। মূল উদ্দেশ্য হলো কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যে প্রেম দেখিয়ে কোন বিশেষ স্বার্থ চরিতার্থকরণ। শোবিজ ও মিডিয়ার তারকাদের মধ্যে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।
২২. মিথ্যে প্রেম/অভিনয় প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক বা প্রেমিকার দু’জনের যেকোন একজন প্রেমের অভিনয় করে যায়। যখন প্রেমিক বা প্রেমিকার কেউ একজন ভবিষ্যতের কথা ভাবতে আরম্ভ করে তখন এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। এ ধরনের প্রেমের পরিণতিও যেকোন একজনের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।
২৩. ২য় ইনিংস প্রেম/Old is Goldপ্রেম/Revived প্রেম: পূর্ববর্তী বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে পুনরায় জুড়ে গিয়ে এই প্রেম করা হয়।
২৪. ব্ল্যাকমেইল প্রেম/অনিচ্ছাপূর্বক প্রেম/জোড় খাটানো প্রেম: এটাকেও প্রেম বললে পাপ হবে। জোড়পূর্বক এসব প্রেম করা হয়ে থাকে। এর শিকার হয়ে থাকে মেয়েরাই। পাড়ার বখাটে ছেলে বা বড় ভাই, কলেজের বখাটে ছাত্র, কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কর্মকর্তা বা বস প্রধানত এরাই এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী হন।
২৫. গায়ে পড়ে প্রেম/নাছোড়বান্দা প্রেম: মেয়ে কোন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয় তবুও ছেলে জোড় চেষ্টা চালিয়ে যায় এমন প্রেমে। অনেক সময়ই এমনপরিস্থিতিতে মেয়েরা সরাসরি না বলতে পারে না যার মাশুল তাদেরকে পরে দিতে হয়।
২৬. বিদেশী প্রেম/পরবাসী প্রেম: এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের মধ্যে অন্ততঃ একজন বিদেশী হয়।
২৭. অসাম্প্রদায়িক প্রেম: এ ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে দু’জনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে। সমাজ এ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করেনা। বিশেষতঃ হিন্দু-মুসলমান ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে।
২৮. চাঞ্চল্যকর প্রেম/আলোচিত প্রেম: এ ধরনের প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকা যাই করেন না কন তা মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হিসেবে প্রচার করা হয়। সাধারণত শো-বিজ আর মিডিয়ার তারকা ও সেলিব্রেটিরা এ ধরনের প্রেম করে থাকেন।
২৯. ঐতিহাসিক প্রেম: এইসব প্রেমের কাহিনীর অবসান ঘটেছে অনেক আগেই কিন্তু আজো রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায়। এখনো এসব প্রেমকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।
৩০. ভাড়াটে প্রেম/ভ্রাম্যমাণ প্রেম/Roamingপ্রেম: এ ধরনের প্রেমের প্রেমিক বা প্রেমিকারা বলতে গেলে ভাড়া খাটে। তারা সকালে একজনের গার্লফ্রেন্ড তো বিকেলে আরেকজনের। কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানা নেই। ব্যাপারটা অনেকটা মাসে মাসে মোবাইল হ্যান্ডসেট চেন্ঞ্জ করার মতো।
৩১. প্রেমময় প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক আর প্রেমিকা দু’জনেই একজন আরেকজনের দিকে প্রেমময় ভঙ্গিতে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকেন, হাত ধরে বসে থাকেনকোন রেস্টুরেন্টের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে, সারাক্ষণ I Love You বলে আর শুনেও ক্লান্তি আসে না তাদের। সারাদিন প্রেমের পর মোবাইলে ১২টার পরও কম জান না তারা।
৩২. ঝগড়াটে প্রেম: সারাক্ষণ দু’জনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য। কিছুক্ষণ হয়তো দু’জনে শান্ত থাকে, তারপর আবার কিছু নাকিছু একটা নিয়ে একজন শুরু হয়ে যায়। এ ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয়। ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে। বন্ধুকূল সর্বদা দু’জনের ঝগড়া মিটাতে ব্যস্ত থাকে। মেয়ে তার সখীদের কাছে এই ঘনঘন ঝগড়ার কথা বলে বেড়ায়।
৩৩. সমলিঙ্গীয় প্রেম: আমাদের দেশে এখনো খুব একটা প্রচলিত না হলেও বাইরের অনেক দেশেই এই ধরনের প্রেমের প্রচলণ আছে। দু’জন ছেলের মধ্যে হলে তাদেরকে Gay বলে আর দু’জন মেয়ের মধ্যে হলে Lesbian।
৩৪. অমিল প্রেম/দুনিয়াছাড়া প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে কথাবার্তা, মত, পছন্দ,অপছন্দ কোন দিক দিয়েই কোন মিল থাকেনা, তারপরও কিভাবে যেন সম্পর্ক টিকে থাকে।
৩৫. ‘আজো তোমায় ভালোবাসি’ প্রেম: এই প্রেমে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই। তবুও আজো তারা একে অপরকে ভালোবাসেন। নীরবে চেয়ে যান সেই মানুষটির সঙ্গ যার সাথে একসঙ্গে জীবন কাটাতে পরিস্থিতিই ছিলো একমাত্র ও সবচেয়ে বড় বাধা।
৩৬. ব্যর্থ প্রেম: এবং সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম। এ প্রেম শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়। ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখান দিয়ে। কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আর কখনো কখনো গণধোলাই। অনেক সময়ই ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি হয় করুন। কেউ দেবদাস হয়ে যায়, কেউবা মেয়েদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে ও “দুনিয়ার সব মেয়ে এক” এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। দুর্বল মানসিকতার কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয়।
গুরুত্ব দিতে শেখ
জীবনের আন্ধকারে
হারিয়েছো বারে বারে,
মনেরি সেই এলোমেলো টাকে
কেউ আসেনি গুছিয়ে নিতে
চাওয়া পাওয়ার হিসাব গুলো মেলানো থাক না বন্ধ।
যে যেমন ভাবে ভাবছে তোমায়
ভাবতে দাও,
তুমি খুঁজে নিও বাঁচার মানে
দেখে নিও ধীরে ধীরে
বদলাবে জীবন
না মিলুক ছন্দ।
জীবন টা থাকুক অগোছালো
এক জীবনে সবার আশা পূরন হয় না।
লোকের কথার গুরুত্ব দাও
কম
অনেক মূল্যবান সময় তুমি
নষ্ট করেছো লোকে কি ভাববে এই ভেবে,
অন্যের ভাবনার গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ভাবনা ভাবো
শুধু তুমি তোমার মতো করে
থাকতে শিখে নাও।
সময় করে উল্টেপাল্টে নেও নিজের ভাবনা গুলো,
জীবন টা খুব ছোট
নিজের ভাবনার গুরুত্ব দিতে শেখ।
চাকর
পেটের তাগিদে তোমার প্রাসাদ -
মুছি আমি দুই হাতে ;
মায়ের আদর আমি ও তো চাই,
কোল খুঁজি প্রতি রাতে।
তোমার মত আমারও তো বোন
আঁচলে নয়ন মোছে ;
পথ চেয়ে থাকে ভাইয়ের আশায়-
তাকায় যে আলগোছে।
ছোট্টবেলায় মা বলিতেন -
খোকা বেশ বড় হবে ;
রোজ তোমাদের বকুনিতে সব -
ভুলে গেছি সেই কবে!
সারাদিন বাবা সাহস দিতেন -
"পড়াশোনা করো বাবা, "
বৈশাখী ঝড়ে বাবা চলে গেলো -
এলো অভাবের থাবা।
মায়ের কান্না, লুকোচুরি খেলা -
সইতে পারিনি আমি ;
পড়াশোনা তাই "বিলাসিতা" হলো,
জীবনের চেয়ে দামী।
ছোট্ট বোনের অবুঝ আবদার
ফিরাতে পারি নি তাই ;
তোমার কথায় কষ্ট পেয়ে ও-
নিরবে-ই সয়ে যাই।
সেদিন সাহেব বলিলেন এসে -
বাড়ি যেতে হবে তোর ;
মায়ের হয়েছে বড্ড অসুখ,
তোকে ডেকে রাত ভোর।
মেম সাহেবের বাঁকা চাহুনিতে -
সাহেব গেলেন থেমে,
আড়াল করিলো আসল খবর,
আদর করিলো নেমে।
বলিলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে -
মনযোগে কাজ করো ;
বাড়ি যদি যাও, মেম সাহেবের -
বিপদ হবে যে বড়।
নিশ্চিত খোকা কাজে মজেছিলো,
অসুখ যাবে যে কমে;
সুস্থ হয়ে ই জননী আবার -
কাজে যাবে পুরোদমে।
গতকাল রাতে অভাগিনী বোন -
কান্না জড়ানো চোখে ;
আসিয়া বলিলো, "মা" তো আর নেই দেখতে চেয়েছে তোকে।
কেঁদে কেঁদে বলে -
"খবর দিয়াছি সাহেবের কাছে-
বলেনি হয়তো জানি ;
বড় সাহেবেরা, বড় বলে কথা -
নিরুপায়, তাই মানি" ।
ব্যর্থতার পদাবী
বলতে পারো ছবি যে আঁকব, রং কই
একা একা শব্দ গুলো বিড়বিড় করে কবিতা লিখবো ..
দেবদূত আমাকে একটি কলম দাও চিৎকার করে কান্নার ভাষা বলে যাবো !
কবিতার প্রতি অক্ষরের সঙ্গে মিশিয়ে দিব জীবনের আয়ু খানিকটা দীর্ঘশ্বাস, কয়েক ফোঁটা অশ্রু
আর স্বপ্ন থেকে নিংড়ে আনা রং .. বলতে পারো ছবি যে আঁকব, রং কই ! রোদের রংটুকু, শিশিরের শব্দটুকু আমার পরিত্রাণ, আমার নির্বাণ ..
শিরোধার্য করে রেখেছি দেবদূত ! কবি হওয়া মানেই ব্যর্থ হওয়া, আর কবিতা মাত্রই ব্যর্থতার বশংবদ .. বেদনাময় প্রতিটি ইট আর কংক্রিটের দেওয়াল নির্মাণ !!
স্বপ্ন
এ কেমন ভালোবাসা
কুয়াশার মতো
রোদের স্পর্শে
কোথায় হারায় ?
এ কেমন ভালোবাসা
জোৎস্না আলোয়
স্বপ্ন বিলায় ?
এ কেমন ভালোবাসা
হৃদয় গভীরে
থাকে সে
চোখ মেললে
কোথা পালায় ?
এ কেমন ভালোবাসা
কাছে ডাকলে
আসেনা সে
কপট লোচনে
হৃদয় নাচায় ?
এ কেমন ভালোবাসা
আলিঙ্গনে ডাকি তাঁরে
মিষ্টি হাসিতে
মুক্ত ঝড়ায় ?
এ কেমন ভালোবাসা
যতোই ডাকি
আসেনা সে
বিভোর স্বপ্নে
ছবি আঁকায় ?
আজকাল
রোজ মধ্যরাত পেরোলেই,
যখন কুকুরগুলো তাদের ঘর গেরস্থালির কথা আদান-প্রদান শুরু করে,
ঠিক তখনই রাতের নিঃশব্দ প্রহর হাতড়ে
বিপুল উচ্ছ্বাসে ফোনের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে তোমার লেখা।
আমিও তখন গুণে চলেছি হয়ত প্রহর-
মধ্যরাত ১, মধ্যরাত ২, মধ্যরাত ৩।
রাত বাড়লেই কড়া নাড়েন রবীন্দ্রনাথ, শক্তি,সুনীল।
আরও রাত ঘনালে,গ্রেগরি পার্ডলো কিংবা ম্যাগি নেলসন।
তোমার অস্থির লেখারা ঠিক তখনই গ্রাস করে নিতে চায় আমাকে।
আমি সেই আপাতনিরীহ লেখার পেছনে রাতের দ্রুত কড়া নাড়া টের পেয়ে যাই ঠিক।
দরজা খুলতে ইচ্ছে করে না আজকাল,
কারণ নীলাভ কবিতার গাঢ় ফেনা
আমাকে ইতিমধ্যেই ডুবিয়ে নিয়ে গেছে হয়ত বা
চাঁদের আলোয় ধুয়ে যাওয়া চরাচর থেকে
হিমশীতল জলের অন্ধকারে।
শীত শীত করে আজকাল রাতের দিকে।
কথা বলতে ইচ্ছে করে না।
কি করব বলো?
বর্ষার শেষ বৃষ্টিধারা
মন কেমনের মধ্যরাত দাঁড়িয়ে আছি,
দেখো হাত বাড়িয়ে...!
যায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জল,
স্মৃতি উড়িয়ে...!
হাসনাহেনার গন্ধে বিভোর,
রাতের আঁধার...
আজ না-হয় রইলে তুমি একটুখানি,
তন্দ্রাহারা...!
জোছনা ওযে পাগলপারা,
আমি ছড়িয়ে দিলাম শরীর জুড়ে,
আদর নিলাম,
গাল বাড়িয়ে...!
আজ রাতের হাওয়া সঙ্গী এরা,
সবকিছুরই সাক্ষী রইলো,
বর্ষার শেষ বৃষ্টিধারা !!
সময়
সময়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চললাম,
তবু ভিড়ের মধ্যে কখন কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি!
রোদের দেওয়ালে ভিজে পাতা
আকাশের নীলে মেঘলা ডানায় উড়ছে;
ঈশ্বর দরদী হতে চাইছে অনন্ত বিশ্বাস।
চারদেওয়াল ডাকে আমায় দ্যাখ চোখ মেলে,
সময়ের অভাবে গুটিয়ে রাখা খোলস-
রঙ বুনতে স্বাধীনতা মুল্যবান হয় তবু অর্থ লাগে...
ভিড়ের মাঝে কলমে নদী হোক কখনও।
ভালো নেই ভালোবাসা
তুমি ভাল নেই
ভাল নেই আমিও
আমার শহর ভিজেছে
তোমার কান্নার জলে
আর্তচিৎকারে ভারী হয়েছে
আমার প্রিয় গন্ধ মাখানো বাতাস
তুমি ভাল নেই শুনে
কষ্টে ভরেছে আমার এ নষ্ট মন
চেয়েছি কাছে যেতে
চেয়েছি ভাঙ্গা বুকটা পেতে দিতে
সমস্ত দুঃখ বেদনা আকন্ট পান করে
সুখের ফুলগুলো কুড়োতে চেয়েছি নোংরা দু হাতে...
তুমি ভাল নেই শুনেছি যখন
চাপা কান্নায় ভিজেছে আমার
স্বার্থপর চোখের দুটি কোন...
ভেবোনা কষ্ট পায়নি...
তুমি বিশ্বাস করো...
কিন্তু পারিনি....
বিচলিত মন, অস্থির হৃদয়,উৎকন্ঠিত নয়ন,
থমকে গেছে মুহুর্তেই ভয়ংকর সে অতীত ভাবনায়....
পাছে যে আমি আবার হারিয়ে যাবো
মহা মুল্যবান আত্বসম্মান,ব্যক্তিত্ব নামক ইগো আর নিদারুন সেই অ ব হে লা য়.....
সম্পর্কের তিক্ততা
একটা সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়
তখন সেই মানুষ দুটোকেই সবাই দোষ দেই,
কখনো খুঁজে দেখে না কেন ভেঙে গেল?
একটা সম্পর্ক যখন জন্ম নেই ভালোবাসায়
জন্ম দেয় মায়া,টান,যত্ন,আদর,সোহাগ,
এতো কিছু জন্ম দেয়ার পরেও যখন আলাদা হয়ে যেতে হয় তখন সেই মানুষ দুটোই বোঝে তাদের ভেতরের যন্ত্রণা।
আসলে সম্পর্কে যখন তিক্ততা চলে আসে ঠিক তখনি বিচ্ছেদের ঘন্টা বাজে,
যতক্ষন পর্যন্ত তিক্ততা জন্ম না আসে ততক্ষন বিচ্ছেদের মত বিষয়টা ও আসেনা।
কিন্তু কেন এই তিক্ততার জন্ম??
অবিশ্বাস,সন্দেহ,কেউ কাউকে সম্মান না দেয়া,
কথায় কথায় গালিগালাজ করা, অযথায় হাতাহাতিমার সুইসাইড নাটক।
একে অন্যকে মেরে ফেলার চেষ্টা,
আরও কত কত কারণ তিক্ততার জন্ম দেয়,
ফুলসজ্জার বিছানা থেকে শুরু করে ভালবাসার জন্ম।
সেই বিছানা যখন আলাদা হতে বাধ্য করে
তিক্ত কথার ভাজে থাকে ঘ্রিণার জোয়ার
সেই তিক্ত সম্পর্ক আকড়ে ধরে কতক্ষন অভিনয় করে যাওয়া যায়??
সব সম্পর্ক কি অন্য একটা সম্পর্ককে আকড়ে ধরে বিচ্ছেদের কারন ঘটায়?
কিন্তু না - সেটা শুধুই সন্দেহ থেকেই জন্ম নেয়
সন্দেহের লেশ ধরেই অসম্মান অমর্যাদা অবহেলা
গালিগালাজ মারধর মুর্খের মত আচরন, কালো যাদুর খেলা শুরু করা তীব্র ক্ষতির লক্ষ্যে।
শুধরানোর চেষ্টা করা বাদে বিরত থেকে
বিচ্ছেদের সূচনার জন্ম দেয়,
সত্যি ভালোবাসার সম্পর্ক যখন তিক্ততায় পরিণত হয় ঠিক তখনি বিচ্ছেদের ঘন্টা বাজে।
চিন্ময়ী
এসো চিন্ময়ী, জোছনা কুড়িয়ে নিই দু'হাত ভরে,
জোছনার অলংকারে সাজিয়ে দেবো তোমাকে ভালোবেসে।
খোঁপায় দেবো রঙধনুর রঙ ঝলমলিয়ে উঠবে তোমার পৃথিবী।
চিন্ময়ী কোনো কালের সীমাবদ্ধতাকে মিলিয়ে নিয়োনা প্রিয়,
ছোপ ছোপ কষ্টের দাগে ক্ষত-বিক্ষত হয়োনা,
তাচ্ছিল্যে মাড়িয়ে দিয়ো অপূর্ণতার গোপন বাঁশির লয়।
এসো চিন্ময়ী, শ্রাবণ আকাশকে ভালোবেসো ধুয়ে দেবে কষ্ট, হৃদয় পোড়ানো গন্ধ,অব্যক্ত ব্যথা।
চিন্ময়ী প্রয়োজনে পুড়িয়ে তছনছ করে দেবে তাবৎ জল,স্থলভাগ,ঝলসে দেবেনা কখনো।
এসো চিন্ময়ী, সব পাখি ঘরে ফিরুক,সব পথ হোক অচেনা ক্লান্ত, নক্ষত্রেরা জ্বলে উঠুক নীল চাঁদোয়ায়,হোক জোছনার প্লাবন, শ্রাবণাকাশ প্রলয়ের তাণ্ডব খেলুক,
রাশিরাশি ফুল ফুটুক, সুবাস উন্মাতাল হোক।
নানন্দিকতায় ভরে উঠুক পুরো বসন্ত, বাতাস থেমে যাক,
এসো চিন্ময়ী, এসো ভালোবাসার নৈবেদ্যে যজ্ঞ রাখি।
তুমি হবে হিরন্ময়ী প্রেম।
আমি শুধু ব্যাকুল ভাঙচুরে তোমাকে ছুঁয়ে দেবো,তুমি
ভালোবাসার মোহন মোহরে সুশোভন শুশ্রূষায় ঋদ্ধ হও
শর্তহীন সখ্যতায় তুমি নির্লোভ যোগী।