পোস্টগুলি

জানুয়ারী ১২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা

ছবি
উদীয়মান সূর্য   রুকসানা রহমান প্রত্যাশার আশায় দীর্ঘশ্বাস নয়,সভ্যতার ঝরণা ধারায় মনস্তাপের খেলায় বেঁচে থাকা কাঁধে স্মৃতির বোঝা  আর ধর্মান্ধতার ভিতর হেঁটে যাওয়া, তাম্রতামাশার ঘুড়ির লাটাই নই।  ঈশ্বর আপনি ওকি চান ?  প্রাচীন নারীর মতো ব্রাকেট  বন্দী হয়ে, জানতে হবে লাউ,চিংড়ি, রুই - ইলিশের জটিল সমীকরণ ?  এই আত্মা খোঁজে আকাশ ছুঁয়ে,  মাটির গন্ধ নিয়ে  শব্দ বর্ণের রহস্য !  ভাগ্যরেখায়  ত্রাণ বিতরণের মতো সঁপে        দিবোনা  সম্পদ  নিশুতি খেয়ালি রাতে ? আমি ভেসে যাবো জোয়ারে,মধ্য গ্রীষ্মের সূচনায়...  পোড়া বসন্তের হাটে-বাজারে,অপবাদ গ্লানি, গোপন ব্যথা,পঞ্চভুতের নগ্ন উপহাস অগ্রায্য করে দুঃসাহসী দ্রঢ়ীয়সী  শূণ্যতার  নেকাবের ভিতর  অদ্ভুত স্বপ্নরা ডাকে, ভাঁজখোলা পাহাড়ে উদীয়মান সূর্য, টিউলিপের গন্ধ বিলায় আমি সেই - মন তিয়াসী তীর্থযাত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের শব্দ অপেক্ষা অনন্ত জংশন !

মমতা রায় চৌধুরী /৯০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৯০ খেয়ালী যেন মমতা রায় চৌধুরী ঘুম ভাঙার পর অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে ছিল রুপসা। আজকাল এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে শুয়ে  নিজেকে একটু আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। কেমন যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল কিছুই মাথায় ঢুকতে চায় না ।কোথাও কিছু ফাঁকা আছে কিনা সেই মন পাখিটাকে ধরে নিয়ে কল্পনায় নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা করছিল। হঠাৎই ভেতরের ঘরে ফোনটা বেজে ওঠে। বাজতে বাজতে কেটে গেলো ।আবার বাজতে শুরু করলো। বেজেই চলেছে। একটু বিরক্তই হলো এত সকালে কে ফোন করেছে! শব্দটা ক্রমশ তীক্ষ্ণ হচ্ছে ।ফোনটা তুলছে না কেউ। ঝর্ণা কোথায় গেল? বিরক্তি নিয়ে রুপসা বিছানা থেকে উঠে বসল। নিজের অজান্তেই দেয়াল ঘড়িটার দিকে গেল ।ঘড়িতে তখন ৬.১০। ঝরনাটা তাহলে কোথায় গেল? ও কি  কোন কাজে বাইরে গেছে? ওদিকে নদীও ফোন ধরছে না।' হাউসকোটটা গায়ে চাপিয়ে বিরস মুখে ফোনটা তুলে বলল 'হ্যালো।' ও প্রান্ত মুহূর্তের জন্য নীরব। তারপর বলল'আমি সমুদ্র বলছি।' রুপসা বলল' ও তো এখনও ঘুম থেকে ওঠে নি। কিছু প্রয়োজন আছে?' সমুদ্র নদীর বন্ধু। বেশ কয়েকবার বাড়িতে এসেছে। খারাপ লাগেনি। ছেলেটি সহজ-সরল। সব সময় চেষ্টা করে

কবি ফাতেমা হক মুক্তামনি

ছবি
অচেনা মেয়ে    ফাতেমা হক মুক্তামনি একদিন আমি ভুল পথ ধরে একা একা হাঁটবো হাঁটতে হাঁটতে তোমার বাড়ির উল্টো পথ ধরে  চলে যাবো অনেক দূরে, অন্য কারো বাড়ির পথে। যেতে যেতে আমি অতীতের সবকিছু ভুলে যাবো, ভুলে যাবো আমি  পিছনে ফেলে আসা পুরনো দিনের সব কথা। একদিন আমি সকলের কাছে খুব অচেনা হবো আমার পরিচয় আড়াল করে আমি অন্য গাঁয়ের অচিন পড়শি হবো। সেখানে আমি আমার নাম দেবো "অচিন মেয়ে"।  আমাকে তোমরা কেউ কোথাও খুঁজে পাবেনা কেউ জানাতেও পারবেনা  আমি অচিন গাঁয়ের, অচিন মেয়ে হয়ে  কোথায়, কেমন আছি। আমি জানি  একদিন তোমরাও আমাকে একদম ভুলে যাবে  কেউ আর এখনকার মতো শিওরে রাখবেনা আমার লেখা বইপত্র।  অযথা বারান্দায় বসে বসে কেউ আর পড়বেনা, আমারই লেখা অসংখ্য  কবিতা। মুঠোফোনে আমার লেখা গান বাজিয়ে আনমনা হয়ে, কেউ আর থাকবেনা দক্ষিণের  জানালায় দাঁড়িয়ে।  কেউ আর ক্ষণেক্ষণে আমাকে ডাকবে না  সেই চেনা নাম ধরে আমার দেয়া রুমাল, বুকপকেটে রেখে  কেউ আর বলবে না,  তুমি এখন কোথায় আছো? আমি জানি  একদিন আমি কালের যাত্রায় ভেসে ভেসে সকলের কাছে ধূসর স্মৃতি হয়ে রবো।  আমার শূন্যস্থানে শিকড় গেড়ে বসবে অসংখ্য জানা-অজানা পাহাড়ি বা সমত

কবি সোলেমান রাসেল এর কবিতা

ছবি
দুঃখিত মৃত্যু'তে সোলেমান রাসেল  যদি দুঃখিত মৃত্যুতে হয় অপবাদ  যাতনার শোকে দাও দেহখানা পুড়ে, জন্ম সুর চিহ্নে যদি কালো দাগ লেগে  সন্ধ্যার গহীনে দাও কালো নাম মোড়ে। যদি বিসর্জন হই সন্ধ্যার তারায়  তারা হয়ে বেঁচে থাকো আলোক সাড়ায়। যদি মুখ ফুটে বলি মিছিলের শ্লোক অভয়ের পাঠ করি সত্যের আশায়, হলদের ঐ পাতা ঝরি-- বসন্তের ডাকে  বৈশাখী তুফান হও নির্ভীক ভাষায়।  যদি অভিযোগ হয়, কোনো একরতি  জ্বালো না কখনো আর সে মোমের বাতি।  যদি আগমনি হয়, প্রতিবাদে ফেরা  ক্ষুধার্ত জীবন হবো- রিক্সার চাকা'য়,  রক্তের গন্ধ শুকায়ে ঘাম ফোটা ঝড়ি জেগে ওঠো মানচিত্র স্বপ্নিল আঁকায়।  যদি ফুল সম ফুটি কুঠির মিনারে  গুণ হয়ে বেঁচে থাকো- বারাক দীদারে।  যদি কাষ্ঠে ফাঁসি হয়, মজলুমি কণ্ঠে  জল্লাদের তৃষ্ণা ছুবো- রশি করে প্রিয়, পথ হয়ে এঁকে যাই যুগান্ত মুক্তিতে শহিদের রক্ত ছুঁয়ে স্বীকারোক্তি দিও।  যদি বুটের আঘাত চেপে ধরে বুকে- জল হয়ে ঝড়ে যাবো আকাশের চোখে।

শামীমা আহমেদ / পর্ব ৫৩

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৩) শামীমা আহমেদ  ওপ্রান্ত থেকে রিশতিনার স্বর ভেসে এলো ---শিহাব তুমি কি আজ আসবে না?আমি তোমার অপেক্ষায়।  ----আমিতো আসার কোন প্রয়োজন দেখছিনা।কেন অযথা  অপেক্ষা করছো? ---তাহলে তোমার জীবনে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে? ---যেটা দুস্প্রাপ্য সেটার আশা ছেড়ে দেয়াই ভালো।আর তুমিতো জানো আমি খুব গোছানো একজন মানুষ।  ---হ্যাঁ,সে আমি জানি আর এও বুঝতে পারছি,তোমার জীবনে এমন কারো আগমন ঘটেছে যে তোমায় এতটা শান্ত রেখেছে। ---তোমার জীবনও নিশ্চয়ই শূন্য হয়ে রয়নি?আর আমার জীবনে যাই ঘটুক,আমার সন্তান আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান! সন্তানের কথা বলাতেই রিশতিনা যেন আরো কিছু জানতে আগ্রহী হয়ে উঠলো!  আমাদের ছেলে দেখতে কার মতো হয়েছে? কি নাম রেখেছো তোমরা? শিহাব খুবই বিরক্তভরা স্বরে উত্তর দিলো, আচ্ছা রিশতিনা,আমি এখন রাখবো। অনেক কাজ পড়ে আছে।বাই। রিশতিনাকে আর  কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে শিহাব দ্রুতই কল কেটে দিলো। রিশতিনা একেবারেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো শিহাব তাকে এড়িয়ে চলতে চাইছে।অথচ তার জন্য কতইনা ভালোবাসার প্রকাশ ছিল একসময়! অবশ্য এতটা ভালবাসার সঠিক মূল্যায়ন সে করতে পারেনি।পরক্ষণেই রিশতিনা ভাবলো,আমিওতো কম

মনি জামান

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি  সন্ধ্যা ছিল ৩ য় পর্ব  মনি জামান খোলা মাঠ মাঝখান দিয়ে একটি সরল রেখা যেন চলে গেছে ট্রেন লাইন,চারিদিক গাছের সারি যেন ওদের সাথে ছুটে চলছে। গ্রামের পর গ্রাম যেন অতীত হয়ে যাচ্ছে,ঝিরি ঝিরি বাতাস নিলয় আর মেবিনের চুল গুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে,বিকেল হয়ে গেলো কখন টের পাইনি ওরা দু'জন,মাঝে মাঝে ট্রেনের ঝাকুনি ওদের কে নাড়িয়ে দিচ্ছে। মেবিন নিলয়ের গা ঘেঁষে বসলো,নিলয় বাম হাতে মেবিনের গাড়ের উপর হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরছে,ওরা আজ এত কাছাকাছি যে আগে কখনো এভাবে একসাথে হয়নি।সূর্য অস্ত যেতে আর বেশি সময় নেই,ট্রেন ছুটছে গন্তব্য কক্সবার। ধীরে ধীরে সূর্য ডুবার আয়োজন সম্পন্ন করছে কিছুক্ষণ পর সূর্য ডুব দিলো,আস্তে আস্তে সন্ধ্যা গ্রাস করছে দিনকে,অন্ধকার নেমে আসলো। দুরের গ্রাম গুলোয় মিটি মিটি আলোর মিছিলে যেন পরিণত হয়ে গেল মহুর্তে,এ যেন এক অপূর্ব আলোর দ্যুতি ওদের চোখ দুটোকে আটকে রেখেছে,মাঠের দুপ্রান্তে গ্রাম আর গ্রাম এমন ভাবে কখনো দেখা হয়নি মেবিন আর নিলয়ের। আজ দুরের মিটি মিটি আলো গুলো গ্রামের পর গ্রামকে করছে যেন স্বর্গ রাজ্য, মেবিন নিলয়কে জড়িয়ে ধরে আবেগ ঘন হয়ে বলল,নিলয় আজ এত ভালো লাগছে কেন বল