পোস্টগুলি

মার্চ ২৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি সুচিতা সরকার এর কবিতা

ছবি
অন্বেষণ সুচিতা সরকার   লক্ষ্যহীন এলোমেলো রাস্তায়,   আগেও হেঁটেছি বহুবার। কখনও চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষা করেছি একটা সূর্যোদয়ের। কখনও আবার হাতড়েছি অন্ধকার গলির বাঁক,  কিছু নীল জোনাকিদের খোঁজে। নিকষ কালো নিশিপথ আলো করতে, শরীরটাতে আগুন দিয়েছি বার বার।  না! পারিনি আমি। আলোর অভিমুখ খুঁজতে ব্যর্থ হয়েছি প্রতিবার। গাঢ়ত্ব বাড়িয়ে আঁধার ধেয়ে এসেছে আরও কাছে।  তবুও ছাইয়ের স্তূপে দাঁড়িয়ে আজও স্বপ্ন দেখি, একটা নীলপদ্ম শুধু আমার হবে।

কবি তাহেরা আফরোজ এর কবিতা

ছবি
মানুষ   তাহেরা আফরোজ মানুষের ভীড়ে গিয়েছি অনেক, মানুষ দেখেছি  বারবার বিভ্রান্ত হয়েছি,  কে যে কাছের আর কে যে দূরের  এই হিসাব অংকের চেয়েও জটিল  যেমন জটিল জঞ্জাল শহরের বৈদ্যুতিক তার।  মানুষ ভালো লাগে না  মানুষের মুখোশ ক্রমান্বয়ে খসে খসে পড়ে চোখের সামনে  কার দোষ বলো ?  আমার কি দৃষ্টি বিভ্রম হয়েছে ইদানিং ?  চোখের তীক্ষ্ণ চাহনিতে যে চুম্বকীয় শক্তি ছিল  সেও নষ্ট হয়ে গেছে আজকাল  চোখের আলোয় একটা আলোকিত মুখের মূর্তি গড়েছিলাম  সেই মূর্তিও গুড়িয়ে গেছে  অথবা আছাড় দিয়ে গুড়ো করে ফেলেছি।  একটা আলোকিত মুখের সন্ধানে বিজ্ঞাপন দিব  একটি আলোকিত মুখের সন্ধানে নেমেছি আবার  একদম নিখাঁদ গড়া মূর্তির সন্ধানে নেমেছি।

কবি সঞ্জয় কুমার বণিক এর কবিতা

ছবি
প্রতিক্ষা সঞ্জয় কুমার বণিক একটি ব্যাংকের প্রতিক্ষা রিমিটেন্স,আমানত  একজন ধনাট্যের যে কোন উপায়ে ধন সংগ্রহ ছিনতাইকারীর  প্রতিক্ষা কি উপায়ে বেকায়দায় ফেলে ধন ছিনতাই। ঘুষখোরের  ফাইল ঠেকিয়ে অর্থ আদায়- একজন সার্থপরের চিন্তা কি ভাবে ভাল মানুষকে ফাঁসিয়ে নিজের সার্থ আদায়। একজন হিংসুটের  চিন্তা নিজের নাককেটে পরের যাত্রা ভংগ করার একজন শুভাকাঙ্খীর চিন্তা সমাজকে সু্ন্দর পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তোলবার। একজন অনাহারীর চিন্তা দুমুঠো ভাত যদি কেউ সেদে দেয়। একটি নির্বোধ প্রানির প্রতিক্ষা রেষ্টুডেন্টের ভিতর থেকে কেউ  ছুড়ে দেবে একটু খাবার অথবা দুএকটা হাড় । একজন লেখক বা চিন্তাশীলের প্রতিক্ষা কখন এ বিষয়গুলো মানুষের বিবেক সত্যিকারের মানুষ হতে নাড়া দিবে- প্রতিক্ষা শুধু আমার নয় সবার।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪০ এক নারীর পত্র মমতা রায় চৌধুরী ১১,৩.২২ রাত্রি ২২.৩৮ রেখার জীবনটা তিতিবিরক্ত হয়ে গেল। ক'দিন ধরে রেখা লিখে উঠতে পারছে না ,বাড়িতে এত চাপ। স্কুলের চাপ তো রয়েছেই। কিন্তু তার মধ্যেও লেখা থেমে থাকে নি । এখন এ কি অবস্থা হল বাড়িতে যদি সব সময় একটা খণ্ডযুদ্ধ চলতে থাকে , সব সময় মনের ভেতরে টানাপোড়েন নিয়ে কি করে পেরে উঠবে? এবার মনে হচ্ছে কয়েক দিনের জন্য ওকে নিজের দেশের বাড়িতে গিয়ে থাকতে হবে। এ কথা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎই একটা ফোন আসে।রিং হতে থাকে। ফোনের আর্তনাদে তড়িঘড়ি এসে ফোনটা রিসিভ করে বলল"হ্যালো'। "কি ম্যাডাম লেখা কতদূর?" "ও আপনি?' কেন ভূত দেখার মত দেখলেন? না ,তা ঠিক নয়। আর হ্যাঁ  "বেশ কয়েকদিন আমরা লেখা পাচ্ছিনা?" রেখা একটু চুপ করে থাকে। আপনার কি কোন সমস্যা হচ্ছে? রেখা মনে মনে ভাবে নিজের সমস্যা নিজের কাছে রাখাই ভালো ।চার দেয়ালের বাইরে গেলে সেটা সমস্যা থাকে কোথায়? তাছাড়া তার সমস্যার সমাধান নিজেকেই করতে হবে। অন্যের কাছ থেকে হয়তো কোনো সমালোচিত হতে হবে, নয়তো সহানুভূতি দৃষ্টিতে দেখবে। "ম্যাডাম?" "না ,না ,

কবি সুব্রত চক্রবর্ত্তীর কবিতা

ছবি
এক মুঠো শান্ত রোদ সুব্রত চক্রবর্ত্তী সাত সমুদ্র যদি ডুবে যায়  অনন্ত শূন্যের গর্ভে -- নিঃসীমে যদি মিলায়ে যায়  নগর, প্রান্তর, গিরি ; নিঃশ্বাসের সকল বায়ু যদি শুষে নেয় ক্রুদ্ধ সূর্যতাপ। সীমাহীন মহাকাশে সীমাহীন সকল রাত্রি শেষে  একবার দাঁড়াও এসে পৃথিবীর প্রান্তদেশে। একবার আকাশটাকে দেখো , একবার আরশিতে দেখো নিজের হৃদয়  ভেসে ওঠে কারো মুখ ? যুদ্ধ চাও ? ধ্বংস চাও যে ধ্বংস তোমার আমার ? রণোন্মাদ  যুদ্ধবাজের দল --- তোমাদের আকাশেও তো চাঁদ ওঠে , মাটির সবুজে খায় চুমো। তোমাদের বাগানেও তো ফুল ফোটে।  শুনেছ কি ঝরা ফুলের পাঁপড়িদের আর্তনাদ ? চেয়ে দেখো একবার....  তোমার সন্তানদের মুখের দিকে ! চেয়ে দেখো --- ওরাও তো  বাঁচার ঠিকানা খুঁজতে চায় । বারুদের ধোঁয়া মেঘ ফুঁড়ে  উড়তে চায়। ধরতে চায়...  একমুঠো আলোর আকাশ। একমুঠো শান্ত রোদ।

কবি জসীম মাহমুদের কবিতা

ছবি
মুড জসীম মাহমুদ সব গাছের মুড সমান নয়। যে গাছের মুড ভালো তার সাথেই  ভাব আমার। পাতাঝরা লিপির বেদনায় যে বৃক্ষ লেখে বিরহীপত্র তারেই করি আমি গৃহের নিত্যকার   শয়নসঙ্গি সৌখিন আসবাবপত্রের  আলিঙ্গনে !