২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিধান সাহা




সঞ্চয়  


চুক্তি যেটুকু ছিল
সেটুকুই থাক
নতুন কিছু
সংযুক্তির প্রয়োজন নেই

চেনা অচেনার
জীবন পথে
নতুন স্বপ্নের আবেশ
নতুন করে
ছবি আঁকে

এটুকুই চাওয়া
যেটুকু পাওয়া হলো
জীবনের চলার পথে
সেটুকুই থাক

মোহাঃ হাসানুজ্জামান




অপ্রতিরোধ্য


প্রত‍্যাশায় বসে হয়েছি অগ্রসর

যানিনা কোথায় হবে এর শেষ

আত্মবিশ্বাসে পড়েনি ভাটা

তাই আজো আমি স্বতস্ফূর্ত।


মানিনি কোন বাঁধা বিপত্তি

করেছি সব কিছু ধূলিসাৎ

এগিয়েছি অধীর আগ্রহে

যানিনা কবে ফুরাবে এই পথ।


আশা আছে প্রবল বুকে

ধরেছি আমি সৎ পথ

অতিক্রম করব সব বাধা

নিয়তি যদি হয় সহায়ক।


আমার পদতলে সব বজ্রঘাত

তবুও আমার পথে আমি নিশ্চল, 

বুকের মাঝে আছে প্রত‍্যাশা

যানি আমি নিশ্চিত হব সফল।


আমার অন্তরে পরিপূর্ণ মনোবল

সংগ্রামের পথে আমি আবিচল,

থামবোনা আমি হব অগ্রসর

আয়ত্বে আনবো আমার আকাঙ্খিত বিজয়।

মমতা রায় চৌধুরী




 অনন্য একুশ


(১)

একুশ মানে জিয়ন কাঠি,

একুশ মানে বাঙালি মননের বাতি।

একুশ মানে ছাত্র-জনতার

রক্তে সিক্ত অমর স্বাধীনতা।

একুশ মানেই আত্মার লড়াই

একুশ মানেই বাঁচার প্রেরণা।

একুশ মানে ৫২র রক্তে ভেজা

বাক-স্বাধীনতার কাননে কুসুমকলি।

একুশ মানে বাঁচার রসদ,

ভালোবাসার দৃঢ় সংকল্প।

একুশ মানে আগামীর পথ চলা প্রভাত ফেরী,

একুশ মানে তুমি আমি চলতে পারি সারাটা পৃথিবীব্যাপী।


(২)

একুশ মানে বলতে পারি

আমার মুখের ভাষা।

একুশ মানেই বলতে পারি

আমি খাঁটি বাঙালি ঘেঁষা।

একুশ মানে চেতনায় জাগা

দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা।

একুশ মানেই বাঁধতে পারি

ভালোবাসার নির্ভেজাল খাসা বাসা।

একুশ মানেই সোনার বাংলার

কুমোর, ছুতোর ,তাঁতি ,চাষা।

একুশ মানেই প্রাণের ভাষা

অমৃত আছে  তাতে ঠাসা।

এই ভাষাতেই গান গেয়ে

নিতাই গোরা আনল দেশে

ভালোবাসার প্রেমগাথা।

একুশ মানে আমার গর্ব,

একুশ মানে প্রভাতফেরির ,

রঙিন স্বপ্ন দেখার গল্প।


(৩)


একুশ মানে খুঁজে দেখা,

বাহান্নের রক্তে ভেজা,

বাংলা ভাষার কান্না।

একুশ মানে দৃঢ় প্রত্যয়ে

 গর্জে ওঠা বেআব্রু বাংলা 

ভাষার রক্ষা শালীনতা।

একুশ মানে বাংলা ও বাংলা ভাষার বিভাজনীতি  বানচাল করা।

একুশ মানে পায়ের মাটি শক্ত করতে,

হাতে হাত রেখে চলা।

একুশ মানে শপথ নেওয়া,

বাঙালি বাংলা ভাষার হৃদপিণ্ড রক্ষা।

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল




দাগ

অভিশপ্ত বন্দিজীবন,নির্বাক হাহাকার;

মিনতিতে আর্তনাদ,স্মৃতিতে অম্লান;

বারেবারে উপহাস,অগোচরে উচ্ছাস;

ক্ষনিকের আনন্দে,মন মাতানো উল্লাস।


হারাবে হারাবে সবি,যত ছিলো প্রহসন;

রয়ে যাবে চিরদিন,অনুতাপের ক্রন্দন;

অভিশপ্ত বাতাসের,সুবাশিত গন্ধে;

হৃদয়ে জমেছে,ব্যথারি পাহাড়।


জীবনতো একটাই,নাটকের সমাহার;

না পাওয়ার বেদনায়, প্রতিদিন কেটে যায়।

বাঁচার লড়ায়ে আজ,মৃত্যুর যাত্রী;

ব্যথারি তিব্রতায়,হৃয়টা ফেটে যায়।


অভিলাসের লালসায়,জীবনটা পুড়ে ছায়;

এলোমেলো জীবনটা,আঁধারে ঢেকে যায়;

নিয়তির কাছে যেন,লান্হিত সমাহার;

জীবনের জয়গান,সমাধীতে উপহার।


আসুক আঁধার যতো,কেটে যাবে সহসায়;

স্মৃতি শুধু ভেজাবে,চোখের ভাষায়;

রক্তিম হৃদয়ের জাগ্রত নীতিতে,

পথচলা অবিরাম,নিবৃত্ত-বৈপরীত্য।

সাইফুল আলিম

 



একুশের জয়গান


পরমতলা, মুরাদনগর, কুমিল্লা 


রক্ত মাখা শরীর নিয়ে

কাফেলায় ফিরে যায়

একুশ এলেই স্মৃতিরা দাঁড়িয়ে 

বারে বারে কাঁদায়  । 


জীবনের মায়া করেনি কখনো

স্বপ্ন জাতির জন্য 

প্রেম কাকে বলে দেখিয়ে দিলো

স্বদেশ করতে ধন্য। 


মা,মাটি আর  মাতৃভূমি 

জগতে শ্রেষ্ঠ মধুর ভাষা 

মন আনন্দে কথা বলে

কামার কুমার চাষা।


বাকরুদ্ধ করতে চেয়েছিলো 

পাকের উর্দু বুলি

হয়নি সফল,বুলেট নিয়েও

রক্তে ভিজালো ধুলি।


বাংলা আমার মায়ের ভাষা

বাংলা এদেশের প্রান 

বারে বারে আমায়,মনে করে দেয়

একুশের জয়গান।