পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র উপন্যাস "টানাপোড়েন"৪

ছবি
অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করবার মতো আকর্ষণীয়  মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন" পড়ুন ও অপরকে পড়তে সহযোগিতা করুন   । টানাপোড়েন  /  ৪ দ্বন্দ্ব                                     আ জকে বিপাশাকে ব্যাংকে যেতেই হবে। রোজই দীপকের কাছে ঝাড় খেতে হয়। কথা শুনতে শুনতে কানটা ঝালাপালা হয়ে গেল। 'আমি না থাকলে তোমার যে কি হবে? কে জানে? কি করতে লেখাপড়াটা শিখেছিলে? নাকি টুকে পাশ? ' এরকম হাজারোতর অভিযোগ। এজন্য বিপাশা ঠিক করেছে আর দীপকের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না। এবার নিজেকে প্রমাণ করার সময় এসেছে ।সে দেখিয়ে দিতে চায় ইচ্ছে করলে সব পারা যায়। কিন্তু কিছু কিছু সময়  মেয়েরা  সবকিছু  একজন বিশ্বস্ত কারও  ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে দিন যাপন করতে চায়। আর সেটা দীপকের কাছে একটা উপহাসের পাত্র..? শুধু তাই নয় আজকাল ওর বন্ধুবান্ধব সকলের সামনেই যেন কেমন একটা অপদস্ত করতে চায়। একদিন তো ওর বন্ধু বিমল  বলেই ফেলল -'কি যে বলিস না? বৌদি পারবে না কেন? আসলে কোনদিন তো ঘরের বার হয়নি একা একা। হয়তো মনের ভেতর একটা ভয় কাজ করে এজন্য। ' আজকে বিপাশা একটা রেকারিং বই খুলতে গেছে ব

সঞ্জয় আচার্য

ছবি
মনা রাখাল ধুলোতে বাজিয়ে নুপূর চলে গেছে দূর আহা-হা-হা বাঁয়ে বাঁয়ে—মনা রাখালের দুপুর। চৈতি মাঠ তারই শোকে পড়ে আছে অভিমানে ঠিকানা বিহীন ফকিরের মতো এক কোণে। যে পথে মনা  রাখালের ছায়া পেরিয়ে গেছে সেই পথে মেঘের কারুকাজ ভাঙে আর গড়ে। তারই মাঝে এ পৃথিবী চেয়ে থাকে, কান পাতে কবে কোন নিভৃত অবসরে গোরুর ক্ষুরের শব্দ ভেসে আসে সাঁঝের প্রহরে।

aaaabcd

abcd  

অনুবাদক - সজল কুমার মাইতি

ছবি
  এই হোক তোমার বাসনা  মূল রচনা  - খলিল জিব্রান প্রেমের কোন আলাদা বাসনা নেই  প্রেমেই তার পূর্ণতা, প্রেমই অন্তরের বাসনা প্রেমেই তার পূর্ণতা। প্রেমের ধারা ঝরতে থাকে  ছুটে বেড়ায় নদীর বেগে, তার সুরের ধ্বনি  ভেসে বেড়ায় নিশিরাতে। প্রেমের সেই পেলবতা যন্ত্রণা তার অনেক, বিদীর্ন হৃদয় প্রেমে আজ হৃদয়ক্ষরন আনন্দে ও স্বেচ্ছায়। অন্য এক নতুন দিনের মতো ভালবাসায় ডানা মেলে, ভাঙুক ঘুম নতুন উষার আলোয় দুপুর শেষে প্রেমের ধ্যানে মগ্ন শুধু থেকো। দিনের শেষে ফিরে এসে  শুদ্ধ চিত্তে ভক্তিরসে নিদ্রা গ্রহণ, হৃদয়ে থাকুক কেবল  প্রিয়ার স্মৃতি  ঠোঁটে শুধুই সংগীতের স্তুতি। [ খলিল জিব্রানের জন্ম হয় 1883 সালে লেবাননে। তার জীবনের অনেকটা সময় আমেরিকায় কেটেছে। তিনি একজন লেখক ও শিল্পী। আরবি ও ইংরেজিতে তার অনেক সাহিত্যকৃতি রয়েছে। 1923 সালে তার বিখ্যাত রচনা  ' দি প্রফেট' এর জন্য তিনি খ্যাতির শিখরে পৌঁছন। 1931 সালে তার মৃত্যুর মাধ্যমে এক বিরল প্রতিভার অবসান হয়। ] মূল রচনা  Let These Be Your Desires Khalil Gibran

শ্যামল রায়

ছবি
কোন একদিন কোন একদিন তোমাকে ছুঁয়ে দেখবো কোন একদিন তোমার দু ঠোঁটে ঠোঁট দেব দেখবো কতটা গভীরতা আছে আমাকে নিয়ে তোমার অন্তরে। কোন একদিন নদী পেরিয়ে পাহাড় যাব তুমি পাশাপাশি থাকবে হেঁটে যাবো দুজনা , উড়বে আঁচল তোমার আঙ্গুল গুলো শুধুই আমার আঙুলে থাকবে। কোন একদিন মাঠ পেরিয়ে সকাল খুঁজে নেব ঠিক দেখতে পাবো পৌঁছে গেছি ঠিকানায় সেখানে শুধু আমি আর তুমি কোন হিসেব থাকবেনা, থাকবে শুধুই দুজনার ভালোবাসা। কোন একদিন বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে বলবো তুমিতো আমার প্রেমিকা কত স্বপ্ন দেখি, কত ঝগড়া করি আবার সমান্তরালভাবে মিশে যাই ভালোবাসায়।  কোন একদিন নদীর পাড়ে এসে দাঁড়াই জলস্রোত আঙুলগুলোয় ছুঁয়ে দেখি। কোন একদিন তুমি আমার হয়ে উঠবে ঘরের বিছানা গুলো এলোমেলো হবে তুমি সকালবেলায় ডাইনিং টেবিলে এসে বসবে চায়ের কাপে মুখ দিয়ে বলব শুধুই আমরা দুজন শুধুই উষ্ণতার জন্য, ভালোবাসাবাসিতে বাঁচবো।

গোলাম কবির

ছবি
 মানুষের দু'চোখ  ভালবাসলে মানুষের দু'চোখ  কতো আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখে,  তখন কতো কাজ - যা আগে  অসাধ্য মনে হতো একসময়,  তা এখন হাতের মুঠোয়  সূর্যকে ধরে রাখার মতো  অলীক কল্পনা হলেও সহজ মনেহয়।  ভালবাসা পেলে কখনো মানুষের দু'চোখ আনন্দে হেসে ওঠে,  কেউ কেউ তো নিজের যা কিছু আছে  বিলিয়ে দিয়ে দু'চোখে নামায় ভাতঘুম।  দুঃখ পেলে মানুষের দু'চোখে জমে মেঘ,   জমতে জমতে কখনো ভীষণ বন্যা কিংবা  জলোচ্ছ্বাস হয় আবার কারো কারো  দূ'চোখ মনেহয় একদমই পাথর হয়ে যায়।  কারো কারো অন্য মানুষের সুখ মোটেই সহ্য হয়না।  ওর দু'চোখ তখন কেবলই ইর্ষা কিংবা  হিংসার আগুনে দপদপ করে জ্বলে পুড়ে  ছাই হয়ে হয় নিজেই শেষ হয় অথবা হালাকু খানের মতো  মানুষের সবকিছু ধ্বংস করে ।  

মোঃ ইমরান হোসেন

ছবি
প্রশ্ন আমাকে তুমি কি কখনো খুঁজেছ ডুবুরি যেমনি খোঁজে? কতবার করে আমায় পড়েছ পড়ার মতন করে! দেখেছ কি কভু রাতের আঁধারে জমানো চোখের   জল? শপথ করে কি রেখেছ তোমার ছড়ানো কথার দল? হিশেব কাঁথায় নকশা এঁকেছ, দিয়েছ তাসের জোড়া মনে করে দ্যাখো না বলা কথায় কত জনমের ব্যথা! নাচিয়েছ তুমি তোমার চাওয়ায় পুতুল যেমনি নাচে শুনোনি কখনো একলা মানুষ কেমন করে সে বাঁচে! পরাজয় বলে একটি শব্দ বাজে নি তোমার কানে আমাকেই আবার পরাজিত করে, ছুটেছ জয়ের পানে পুরোনো ব্যথায় ছিটিয়েছ নুন, দেখতে চেয়েছ কি হয় আঘাতের বানে বিক্ষত হিয়া, কাঁপেনি তোমার হৃদয়! হৃদ - মন্দিরে জমানো মেঘের বৃষ্টি যখন নামে রেখেছ কি তুমি আমার দেহকে তাল পাতার-ই তলে? কত রাত আমি নির্ঘুম থেকেছি, ভেবেছি তোমার কথা কতটুকু কাল আমার জন্য ছেড়েছ চোখের ধারা! আষাঢ় শ্রাবণে নদীর পাড়ের মানুষ হারায় সবি নদীর জলেতে শান্তি খুঁজেছ চালিয়ে তোমার তরী।

মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ

ছবি
আমাদের দেশ এই দেশেতে জন্ম আমার,এই মাটিতে ঘর এই মাটির দাম হলো,সোনার দামে দাম। এই দেশেতে থাকবো মোরা,রাম-রহিম মিলে মোদের দেখে শিক্ষা নেবে,ভিন্নদেশের লোকে। তুলবো না কথা জাতিভেদের,মিলবো কাঁধে কাঁধে। এদেশের একমুঠো মাটি নিলে,ছেড়ে দেবোনা তাকে।