পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি জাফর রেজা কবিতা

ছবি
শাড়ি আপনি শাড়ি পরেন না কেনো শাড়িতে আপনাকে খুব মানাবে আর যদি কপালে থাকে একটি লাল টিপ  আরও অনেক- অনেক... বাকিটুকু আর বলতে পারলাম না হয়তো সে বুঝে নিয়েছে।  শাড়ি আমি সেদিনই পরবো যেদিন আপনি থেকে তুমি হবো।  তারপর শুরু হয় আমার অপেক্ষা  ধানসিঁড়ির পাড়ে বসে বসে ভাবি সেদিনের পর থেকে সে কেনো আসেনা ?  নিজেকে প্রবোধ দেই তার আসা না আসায় আমার কি যায় আসে? কিন্তু ভাবনাটা মন থেকে তাড়াতে পারিনা তার অপেক্ষায় থাকি। নাহ্, এবার তাকে তুমি বলেই ডাকবো।  প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে সে এলো পরনে ঢাকাই শাড়ি কপালে লাল টিপ। এতোদিন কোথায় ছিলে ?  কতোদিন তোমার অপেক্ষায় ।  এই জন্যই আসিনি,  জানতাম আজ তুমি বলবে।  কষ্ট যে আমার হয়নি তা নয় কষ্ট আমারও হয়েছে, কিন্তু তোমার তুমি ডাকের জন্য কষ্টটা সামলে নিয়েছি।  আকাশের নিচে ধানসিঁড়ি ধরনীতে মুখোমুখি আমরা দুজন।

মমতা রায় চৌধুরী

ছবি
টানাপোড়েন ৫১ বিরক্ত                                                     হ ঠাৎ রেখার ফোনে ফোন বেজে উঠলো"দুর্গে দুর্গে দুর্গতিনাশিনী মহিষাসুরমর্দিনী জয় মা দুর্গে'। রিং হয়ে কেটে গেল। আচ্ছা জ্বালাতন মূলত এ বাড়িতে এসে একটু ভালো করে ঘুমাতে পারবো না। কাঁথাটা মুড়ি দিয়ে ,আবার শুয়ে পরল।  আবারো রিং হয়ে যাচ্ছে । বাধ্য হয়েই রেখাকে ফোনটা রিসিভ করতে হলো' ।বলল-হ্যালো"। অপরপ্রান্ত থেকে বলল  'দিদি  জামাইবাবু আছে?' রেখা বলল  'কে রে সোমু?' সোমদত্তা বলল"হ্যাঁ দিদি।' ততক্ষণে কাকিমা এসে হাজির। কাকিমা ইশারায় বোঝাতে চাইলেন ,সোমু হলে ,তুই এখানে আছিস বলবি না। রেখা ফোনটা মিউট করে বলল ' কি করে বলব ?এবার তো জানতে চাইবে জামাইবাবুকে ফোনটা দে। তাহলে কি বলবো?' কাকিমা ইশারায় বোঝাতে চাইল' কায়দা করে কিছু একটা বলতে।' রেখা বললে ' কেন রে?": সোমদত্তা বলল 'আজকে কেসের ডেট আছে না?' রেখা এবার হ্যালো হ্যালো করে শুনতে না পাবার নাটক করলো। কাকিমা ওদিক থেকে হাসতে লাগলো। কাকিমা যে সোমুর ওপর ভীষণ বিরক্ত বোঝা গেল। ফোনটা ছেড়ে রেখা কাকিমাকে বলল'এব

আমিনুর রহমান জুন্নুন ( ইংল্যান্ড লুটন শহর )

ছবি
কই রইলায় বন্ধুরে কই রইলায় কই রইলায় বন্ধুরে ও বন্ধু আমারে ভুলিয়া আমি রইলাম বন্ধু তোমার  স্মৃতির চাদর জড়াইয়া। ফুল বাগানে ফুটেরে ফুল  ভমর আসে উড়িয়া আমি রইলাম তোমার আশায়  মনের ভাগান সাজাইয়া। কোনবা দোষে গেলায় তুমি আমায় ফাঁকি দিয়া কথা ছিলো রইবায় তুমি অন্তরে অন্তর মিশাইয়া। চাদনী রাতে কাছে আইসা  গেলায় ভালোবাসিয়া  হাতে খোসবো চন্দন দিয়া কেন গেলায় লুকাইয়া। তোমার প্রাণে রইলাম তাকাই আগুন দাও নিবাইয়া জুন্নুন বলে পাগল মনরে আর দিওনা জালাইয়া।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৯

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল  ( ২৯ তম পর্ব )                                                            জুঁ ই, পলাশ, অহনা আর সৈকতকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে নিজের  বাসায় ফিরলো, আজকে জুঁই ভীষণ খুশি...  বাবা-মার সাথে অনেকটা সময় বসে গল্প করলো জুঁই, ঘড়িতে এগারোটা বাজতেই ময়না টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো।  জুঁই বাবা-মায়ের সাথে  ডিনার শেষ করে গুডনাইট বলে উপড়ে উঠে এলো।  অনেক ক্ষণ কি যেন আকাশ কুসুম চিন্তা করে দাঁতব্রাস করে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে পলাশকে ফোন দিলো।ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর শুনে জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো।  পলাশ প্রশ্ন করছে জুঁই তোমাকে একটু অন্যমনষ্ক লাগছে, জুঁই কথাটা এড়িয়ে গেলো....।  জুঁই পলাশকে প্রশ্ন করলো তুমি খেয়েছ? পলাশ বললো হ্যাঁ, তুমি?  জুঁই ও উত্তর দিলো আমিও খেয়েছি। জুঁই বললো, জানো,আমার না আজ খুব ইচ্ছে করছে লং-ড্রাইভে যেতে। পলাশ বললো, আমরা অন্য একদিন নিশ্চয়ই যাবো আজ নয়। কাল ভোরে সৈকত  ট্রেন  ধরবে, তাই একটু তারাতাড়ি ঘুমাতে হবে। জুঁই তুমি কিছু মনে করো না ।  সৈকতও ফোনে অহনার সাথে কথা বলছি

রুকসানা রহমান

ছবি
কোন এক শ্রাবণে শ্রাবণ নিশীথে কে তুমি অসময়ে এসে দাঁড়ালে শিয়রে আমাকে  আজ যেতে হবে, কি ভাবে হেঁটে যাবো ঐ-শ্রাবণ মাঠে। আজও কি হবেনা তারসাথে দেখা, অথচ তাকে সন্ধান করি, স্পর্শ করি  দেহের ভিতরে প্রতিটি শ্রাবণের বাতাসের জলতরঙ্গ।   বৃৃষ্টি ভেঁজা আচঁলে কবিতা  লিখেছিলে আমার ঈশ্বরী নেমে এলো মর্তে, আলতা রাঙানো পায়ে নূপুরের ছন্দে খোপায় শিউলি ফুল যা কিছু আমার কল্পনা ঠিক তেমনই আমার ঈশ্বরী। কাজল চোখে চোখ রাখতেই সেদিন আকাশ হয়েছিল  আয়নায় পরম প্রেমের দৃশ্যমঞ্চের মিলনের  স্পন্দনের ভিতর নতুন  এক রূপান্তর  অপার মুগ্বতায় শ্রাবণের দিগন্ত সূচনার সৌরভ ছড়িয়ে।   কথা দিয়েছিলো কিন্তু সে আর এলোনা  বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়নি ভালোবাসার সেই আদিম তৃষ্ণা। রেখে গেলো স্মৃতির স্বপ্নের লেখা আচঁলে ,আকস্মিক আঘাত। প্রতিটি বছর ছুটে যাই সেখানে গভীর বেদনার নকশাআঁকি কষ্টের চূড়ায়, বিনম্র ইচ্ছে-দুঃখ যাতনায়। ঐ শোন-গভীর অপেক্ষার সুবিন্যাস্ত শ্রাবণ মাঠে  আজও তার মৃদু পায়ের শব্দ ভেসে আসছে এই অস্হিরতা,দিশেহারা মন শ্রাবণের মহাপ্লাবনে ভেসে যেতে চায়। কে তুমি আমাকে অসাড় করে রেখেছো শয্যায়...? একটিবার যেতে দাও, কথা দিলাম ফিরে আসবো তখন না হয় বাঁশিটি

রাবেয়া পারভীন

ছবি
স্মৃতির জানালায়   ( ৩য় পর্ব)     সংসারে উদাসীনতার জন্য রেহানা  মাঝেমাঝে অভিযোগ করে  বলে  - আপনিতো চিরকাল  নিজের কাজ নিয়ে থাকলেন  আমার দিকে তো আর তাকিয়ে দেখলেন না মৃদু হেসে মাহ্তাব  সে সব কথার জবাব দিয়ে দেন। রেহানা বড় ভালো মেয়ে। সহজ সরল। এমন পতি পরায়না স্ত্রী  খুবই বিরল। কিন্তু তারপরও কি মাহ্তাব সুখি হয়েছেন ?  যখনি রেহানার কথা ভাবেন  তখনি বিদ্যুৎ  ঝলকের মত  তার চোখে ভেসে উঠে অনেক দিন আগে হারিয়ে যাওয়া এক নারীর মুখ। ব্যাথায় টন্ টন্ করে উঠে বুকের বাম পাশটা।  একটা দীর্ঘশ্বাস  পড়ল  সমস্ত  বুক কাঁপিয়ে। শবনম!  এক অসাধারণ নারীর নাম। উচ্চশিক্ষিতা  ব্যাক্তিত্বসমন্না অপরূপ সৌন্দর্য, কি ছিলোনা তার!  চমৎকার গানের গলা।  খুব ভালো কবিতা লিখতো  সে।  প্রতিটা কবিতা কাগজে ছাপতে দেয়ার আগে মাহতাবকে পড়ে শোনাত । মন্ত্রমুগ্ধের মত  তাঁর কাছে বসে কবিতা শুনত মাহতাব আর মুগ্ধ  হয়ে সেই কবিতা পাঠরতা অসাধারণ রমনীর  মুখাবয়বের দিকে চেয়ে থাকত। কবিতা পড়া শেষ হবার পরেও দৃষ্টি  ফিরতোনা। মিষ্টি  লাজুক  হাসি হেসে শবনম বলত - এমন করে তাকিয়ে  আছো কেন ?  কবিতাটা কেমন হয়েছে বলবে না?  কি বলবে মাহ্তাব,  বলার ভাষা যে হারিয়ে যেত। আহা

মহুয়া চক্রবর্তী

ছবি
সাধের বাগানে   আমার সাধের বাগান সাজিয়ে ছিলাম মনের মত করে, ভালোবাসা ও অতি যত্ন দিয়ে একটু একটু করে। সেদিনের কোন সে ঝরের ভুল ঝরিয়ে দিল ফুল যেদিন প্রথম মাধুরী মেলেছিল তার মুকুল। নব প্রভাতের তারা সন্ধ্যাবেলায় হয়েছে পথহারা। সে কি মায়া,  নাকি স্বপ্ন ছায়া , নাকি শুধুই ছলনা তারে বোঝা গেল না ও যে চিরবিরহের সাধনা। তবে কেন সে সাজালো মোরে মিছে মায়ার সাজে আমি যে আজও একা আপন ভুবনে বসে আছি পাওয়া না পাওয়ার মাঝে। আমি কি শুধুই যাব স্রোতে ভেসে দুর দয়াহিন দেশে। জানিনা দিন অবসানে কোনখানে পাবো ঠাঁই। বিধাতার নিঠুর বিদ্রুপে নিয়ে এলো চুপে চুপে হৃদয়হীন মানুষগুলোকে আজ দেখি  নানা সাজে নানারূপে। সেদিন আমার দুঃখ জোয়ারের জলস্রোতে ধুয়ে নিয়ে যাবে মোরে এই সব লাঞ্ছনা হতে। কৃপা কণা দিয়ে আর ফিরে দেখোনা দীর্ঘশ্বাসের মাঝেও কখনো আর  আমায় মনে রেখো না। যেদিন চলে যাব সরে তখন চিনবে মোরে অবহেলা আর ছলনা দিয়ে  সেদিন আর আমায় বাঁধতেত পারবে না।

শামীমা আহমেদ

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  ( পর্ব ১৯) শামীমা আহমেদ  শাওয়ার থেকে বেরিয়ে শিহাব দ্রুত তৈরি হয়ে নিলো।সারাদিনের কাজের ম্যাপটা একবার এঁকে নিলো মনে মনে। শায়লার সাথে দেখা করা, হসপিটালে যাওয়া, কুরিয়র অফিসে গিয়ে আবার বাসায় ফেরা তারপর গুলশানে যাওয়া। আপাতত দিনের প্রথম ভাগে যা যা করণীয় তার ছক কেটে মাথায় বসিয়ে নিল ।শিহাব কোন কিছুই ঝোঁকের মাথায় করে না।খুব ধীর স্থিরভাবে ভেবে চিন্তে করে। রিশতিনাকে নিয়েও তার কোন তাড়াহুড়া ছিল না কিন্তু কিভাবে কি ঘটে গেলো!  আজ তাই  পরিস্থিতি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলো। পোষাকের ব্যাপারে ভীষণ চুজি শিহাব, বাইকে লং ড্রাইভে যেতে হলে ধুলাবালি এড়াতে জিন্সের ভারী শার্ট প্রেফার করে। শার্ট আয়রন করাই ছিল। সাথে ব্ল্যাক প্যান্ট। আজ কেডস পরতে মন চাইছে। সাদা নীল কম্বিনেশনের নতুন এডিডাস কেডস প্যাকেট থেকে বের করে নিলো। হায়! নয়টা বেজে গেছে! শিহাব চট করে তৈরী হয়ে এক ঘড়া পারফিউম ঢেলে  দ্রুতই ছুটলো গন্তব্যের দিকে। আয়নায় তাকানোর সময় নেই।শিহাব রুম লক করে নীচে নেমে এলো। পথটা শায়লার চেনাই ছিল ।রিকশা একটানে চলে এলো।শুধু শায়লার মনের ভেতরের অস্থিরতা উৎকন্ঠা সামনের সবকিছুকে অদৃশ্য করে রাখল