২৫ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৯

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 





বনফুল 
( ২৯ তম পর্ব ) 


                                                          জুঁই, পলাশ, অহনা আর সৈকতকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে নিজের  বাসায় ফিরলো, আজকে জুঁই ভীষণ খুশি... 
বাবা-মার সাথে অনেকটা সময় বসে গল্প করলো জুঁই, ঘড়িতে এগারোটা বাজতেই ময়না টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো।
 জুঁই বাবা-মায়ের সাথে  ডিনার শেষ করে গুডনাইট বলে উপড়ে উঠে এলো।

 অনেক ক্ষণ কি যেন আকাশ কুসুম চিন্তা করে দাঁতব্রাস করে ড্রেস চেঞ্জ করে বিছানায় শুয়ে পলাশকে ফোন দিলো।ওপাশ থেকে পলাশের কণ্ঠস্বর শুনে জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো। 
পলাশ প্রশ্ন করছে জুঁই তোমাকে একটু অন্যমনষ্ক লাগছে, জুঁই কথাটা এড়িয়ে গেলো....। 
জুঁই পলাশকে প্রশ্ন করলো তুমি খেয়েছ?
পলাশ বললো হ্যাঁ, তুমি?
 জুঁই ও উত্তর দিলো আমিও খেয়েছি। জুঁই বললো, জানো,আমার না আজ খুব ইচ্ছে করছে লং-ড্রাইভে যেতে। পলাশ বললো, আমরা অন্য একদিন নিশ্চয়ই যাবো আজ নয়। কাল ভোরে সৈকত  ট্রেন  ধরবে, তাই একটু তারাতাড়ি ঘুমাতে হবে। জুঁই তুমি কিছু মনে করো না ।

 সৈকতও ফোনে অহনার সাথে কথা বলছিল, সৈকত বুঝতে পারছে অহনা ভিতরে ভিতরে কাঁদছে....
 সৈকত বললো আমি তো মাস দুয়েকের মধ্যে ঢাকায় আসছি, তাহলে এতো কান্না কিসের! ফোনে তো প্রতিদিনই কথা হবে, মনেই হবে না আমরা দূরে আছি,প্লিজ তুমি স্বাভাবিক ভাবে কথা না বললে আমি কি সকালে যেতে পারবো? অহনা বিষয়টা বুঝতে পেরে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো।ঠিক আছে তুমি ভালো থেকো, এই বলে শুভ রাত্রি জানিয়ে ফোন রাখলো অহনা।
ভোর বেলা পলাশ  সৈকতকে সুর্বণা এক্সপ্রেসে উঠিয়ে দিয়ে এলো। 
রাতে ভালো ঘুম হয়নি বলে পলাশ শুয়ে ঘন্টা দুয়েক ঘুমিয়ে নিলো। জুঁই ঘুম থেকে উঠে পলাশকে ফোন দিয়ে বললো আজ ওরা বাইরে লাঞ্চ করবে,একটায় পলাশকে  পিক আপ করবে।

বেলা বারোটায অহনা একবার ফোন দিয়েছিলো সৈকতকে তখন সৈকত জানালো ও ফেনি পার হয়েছে।



চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much