পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পেরেছ কি তুমি

ছবি
কবি মিশ্র তুমি কি পেরেছ , কৃষ্ণা তৃতীয়ায় তোমার মনের কথা বলতে- তুমি কি পেরেছ, গভীর অমাবস্যায় স্পর্শে জানিয়ে দিতে তোমার ভালোবাসার কথা- পেরেছ কি তুমি, নতুন ভালোবাসার কাছে আমার ভালোবাসাকে তুচ্ছ করতে, তুমি কি পেরেছ, নিশীথ রাতে প্রেয়সীর অঙ্গের নিপাট ভাঁজের কথা অবলীলায় ভুলতে, তুমি কি পেরেছ, শঙ্খচিলের ডানায় মেঘবালিকার দেশে পৌঁছে যেতে।। জানি, তুমি পার না- আর কি পার না তুমি- তোমার সমস্ত ভালবাসায় আবার ভরিয়ে দিতে  আমাকে, আমার অব‍্যক্ত ভাষা বুঝে নিতে পার না - দিতে পার না তোমার দৃঢ় আলিঙ্গনে বেঁধে আমার সমস্ত যন্ত্রণা গুঁড়িয়ে দিতে- পার না- হৃদয়ের ব‍্যাকুলতার কান্না বুঝে নিতে- জানি, তুমি পার না -- পারবে না কোনদিন তোমার অহংকার, তোমার উদাসীনতা, তোমার অবহেলা সবই আমার চেনা-

কুসুম, আপনাকে

ছবি
সানি সরকার যে-কোনো রূপকথাই আদপে কোনো ছেলে ভোলানো গল্প নয় কোনোভাবেই নয়, আপনিও জানেন আমাদের মধ্যিখানে একটি বৃত্ত থমকে আছে তার ভেতর কিছু শিশুর মতো মৌনতা - কখনো পক্ষীরাজ ঘোড়াটি শব্দ করে, লাফিয়ে লাফিয়ে ওঠে পাহাড় ডিঙিয়ে যায়... সহজপাঠ খুলে বসে আমাদের টিনটিন, আপনি তার সহজ মা আপনি তার বর্ণপরিচয় কত দ্রুত ভুলে যান কমলালেবুর গল্প আস্তে আস্তে গুঁটিগুলি ভেঙে ফ্যালে ফুলেদের রাণী প্রজাপতি... ফুলেদের রাজা প্রজাপতি... আমরা এভাবেই একদিন রূপকথার ঝিলটির সামনে আসি কে সেই যাদুকর, আপনি কী চেনেন তাঁকে, আপনি কি তাঁকে দেখতে পান আপনি তাঁর নামে আজও পূজো দেন দূর্গা মন্দিরে দৃঢ় ঘণ ধূসরের ভেতর একটি হরিণ ঘড়ির সঙ্গে দৌড়ে যায় আপনি তার দৌড়ের দিকে অপলক চেয়ে থাকেন কুসুম আমি তার কেন্দ্রের দিকে চেয়ে থাকি এক অস্পৃশ্য মেরুন দুপুর

নির্জন রাতের কবিতা

ছবি
 সোমাশ্রী সাহা এই নির্জন রাতে ভেসে আসে কবিতারা  যেন ভেসে আসায় কত সুখ  আমিও কী ক্রমশ ডুবে যাই নীরবে  তারপর শুরু হয় , সোনালী দিনের ব্যস্ত উৎসব  আমিও ভিড়ে যায় সেই ভিড়ে --- এই তো দ্যাখো , আমিও নিস্তেজ নই এখন  ছুটছি এদিকে , ওদিকে , আর  ভেঙে ফেলছি একটি একটি দেয়াল ... এই মুহূর্তেই খুঁজে পেতে হবে তাঁকে  যে হারিয়ে গিয়েছে , সূর্যাস্তের আগে   

স্বপ্নসিঁড়ি

সময় উৎসব দেখে

ছবি
মুন চক্রবর্তী ফুলের পাপড়ি জানে মন্ত্রের মুগ্ধতা শিখাতে পারেনি । জল সঙ্গমে মিশে পেয়েছে চিতা ভস্ম সেই জীবন । নীলাচল থেকে গঙ্গার কল্লোলে পদ্মা মেঘনার ভাটিয়ালি  ৠতুর আড়ম্বরে দিগন্ত মাতিয়ে কবিতা লেখে পাতা সাজাই গানের তরণী বেয়ে পৃথিবী ঘুরে নিজের ঘর চিনি না । মোমবাতির শরীর পুড়ে শান্তির ডাক পাঠাই শান্তির দূতকেই মেরে খাই কতো ধর্ম জাত বিচার করে নিজেকে অবিচারে রাখি । পোষ্টমর্টেম দেখে  চোখের জল মুছে নৃশংসতার রক্তে ভাসাই । সময় উৎসব দেখে প্রকৃতির কাছে হাত পেতে অবজ্ঞায় ছায়ানীড় কেটে ফেলি । ভূমিকম্পে মঙ্গল শঙ্খধ্বনি মঙ্গলদীপ হৃদয় থেকে জ্বালিনি । আড়ম্বরে যতো উৎসব নগ্ন মিছিলে তপোধ্বনি দেয় । বৈরাগ্য  বাউল  ফকির একতারা দোতারায় সময় উৎসব দেখে জোড়াশাঁকো চুরুলিয়ার প্রস্রবনে সময় উৎসব দেখে যতো অহংকারে মহান মিলনস্রোত সময় উৎসব দেখে ক্লান্ত হয়নি সময় মিলন বাসর সাজে ৠতুর পূর্ণ অবগাহনে ফিরে ফিরে আসে জন্ম কথা সময় উৎসব দেখে রামধনু নক্ষত্ররাজি মৃত্যুরে পিছনে রাখে । উৎসব সেজেছে হাজার কবির ভুবন দেখে সকালের পাখি আজও জীবনের স্বরলিপি গায় ।

আগুন করা সুখ

ছবি
সুব্রত হাজরা কীভাবে ভাবতে পারলে - এতই সহজে তোমার বস্যতা  স্বীকার করে নেব  ? ভুলে গেছো- নাকি ভুলতে চায়ছো সুরেলা দুপুরের সেই সব অভিমান। এখনও আমার তপ্তঘামে খুঁজে পাবে ইলেভেনের সেই কিশোরটি । যে হার মানতে শেখেনি কোনও দিন কিন্তু আজ সে হারিয়ে গেছে মহাকালী পাঠশালার পথে যেখানে সে লিখেছিল পাকুড় পাতায় বার বার তোমার নাম। নই আমি কোনও জনজাতির হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি, কিংবা শরীরী দিব্য সঞ্চালন। ধারাপাতের মতো সখ্যতায় দূরন্ত শিশুর আঁকড়ে পড়া কবিতায় শুধু আপন করেছি মাত্র। আসুক না বৃষ্টিমুখর রাত শেষ ভাদ্রের করতলে এনে দেবো তোমার আগুন করা সুখ।

প্রেম একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া 

ছবি
সামিরুল মণ্ডল স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ঢেউয়ে আবেগী নৌকাবিলাস বিবর্ণ হৃদয়ের প্রচ্ছায়ার মতো ম্রিয়মান সঞ্চিত নীরবতা।  পিপাসু মনে আকুল করা বিশুদ্ধ অভিযোজন সৃজনেসু প্রিয় বাতাস বয়ে আনে তোমার সোঁদা গন্ধ চিত্রলিপিতে ফুটে ওঠে সেই উর্বরমুখ। ঠিক তার বিপরীতে; অস্তিত্বের অবস্থান খুঁজতে গিয়ে সব অনুভূতি পালিয়ে যায়। আঁধারের বুকে জ্যোৎস্নারা লুকোচুরি খেলে তবু অপেক্ষায়........... ছিন্ন প্রেমের বন্ধনে x,y এর মান খুঁজতে খুঁজতে মনে হয়...... প্রেম একটি রাসায়নিক  বিক্রিয়া। 

বিয়োগফলের বত্রিশ আনা জীবন

ছবি
বিশ্বজিৎ লায়েক ভাবছি নিজের কথা লিখব। হয় না। লেখার সঙ্গে ঢুকে পড়ে চাল, গম, চিনি। বি.পি.এল. এর মানুষ। পোড়ামাটির জীবন ও মানুষজন। মিডডে মিলের ভাত। ভাঙা স্কুলঘর। সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীর ক্যাবলা, দোমড়ানো মুখ। আর্দ্রতা ও কৌতুহল। আকাশে চাঁদ উঠলে নাচতে ইচ্ছে করে। কানে গুঁজে নিতে ইচ্ছে হয় পাখির পালক। সম্ভব হয় না। ঘর বন্ধ করে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। পারি না। মেসবাড়ির জানলা বন্ধ করলে পাশের খাট থেকে চিৎকার করে বিশু, ' দেখছিস না, বিড়ি ধরিয়েছি! স্যাভোকেশন হবে।' আমি বিড়ির ধোঁয়ার দিকে ঈষৎ প্রেম প্রেম চোখে তাকাই। ঈষৎ জুলজুল চোখে তাকাই। বিপরীত  ইচ্ছের প্রবল দড়ি ধরে টানে কেউ। তাকের উপর রাখা ডিওলিন চোখ গোল গোল করে তাকায়। আমি ফাটা বেলুনের মতো চুপসে যাই। অতনু ফোন করে। বলে, 'খবরটা শুনে সেই থেকে আমার খুব খারাপ লাগছে। কেন এমন হল বলো তো!' কী হল ভাবতে থাকি, ভাবতেই থাকি। ভাবনার আর গাছ, পাথর থাকে না। ১৯ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর মনে হয়, 'সেকি! অমন তো কিছুই হয়নি। হ্যাঁ, হতে পারত। কিন্তু হয়নি।' বাংলা বাজারের জলবায়ু অঙ্কুরোদগম সহায়ক। দ্রুত মাটি ফুঁড়ে চারাগাছ। ডালপালা গজায়। গোঁফদাড়ি গজায়।

আজ

ছবি
সুশান্ত মন্ডল বিমুর্ত আজ বিগলিত               অশ্রুর বিদ্রুপে। হীনতায় হীন উদ্দ্যম            পরাজিত তুরুপে।। কর্ন পর্দা ছিন্ন আজিকে           ধ্বনীত অট্ট হাঁসিতে। প্রতিবাদী কন্ঠ রুদ্ধ  তাই             ভীরুতার ফাঁসিতে।। কান্নার ক্ষীন রব              প্রবাহীত বায়ুতে। অন্তহীনে ভাসিছে কেবল           হ্রিংসার ধরনীতে।। নিয়ত বৃদ্ধিমান            এই প্রগতীর সমরে। মনুস্বত্য শর্তহীনে          সমায়ীত  স্বার্থের কবরে।। মানুষের হাতে মনুষ্য-প্রাণ             আজ লুন্ঠীত অবাদে। হালহীন সমাজ তরী           ভাসিছে ধর্মীয় প্রবাদে।।

জাফর রেজা

ছবি
ইতিকথা একদিন তোমাকে বলে দেব আমার ধূসর জীবনের কথা; বলে দেব, কত পথ পাড়ি দিয়ে এসেও ক্লান্ত আমি পাইনি তোমার দেখা, কতবার তোমার পিঠে ছড়িয়ে থাকা মেঘ কালো চুল গুলো ছুঁতে চেয়েও পারিনি ছুঁতে, কতবার তোমার চোখে চোখ মিলাতে গিয়েও পারিনি মিলাতে, কতবার তোমার হাতে হাত রাখতে চেয়েও পারিনি রাখতে, কতবার তোমাকে নিয়ে লেখা অজস্র কবিতা শোনাতে চেয়েও পারিনি শোনাতে, কতবার শুধু একটি শব্দ বলতে গিয়েও পারিনি তোমাকে বলতে। একদিন তোমাকে বলে দেব আমার ধূসর জীবনের ইতিকথা।

বৃষ্টির বাগানে ফুটে চোখ

ছবি
হুমায়ুন গালিব বৃষ্টির বাগানে ফুটে আছে চোখ অনন্তকালের  ঝরনায় শুধু ঝরে কোনো সরোবরে  মিলনের আকাঙ্খায় জোছনা নামে মগ্নতায়, গোপন হাহাকারে সোনালি নদীর ধারে স্বপ্নের ঘরে রুপালি জল ভেসে যায় তৃষার্ত হৃদয় পাড়ে।

দহন

ছবি
স্বরূপ মণ্ডল ঠাণ্ডা দখিনা বাতাসো পোড়ায় কখনো  সে দগ্ধতা জেনেছি আখ্যানে সূর্য যেভাবে ঘোরে পৃথিবীর আঁচলে সেভাবেই খেয়েছি পাক তোমার মোহান্ধে বিশ বছর এতটা বিষ হয়ে গ্যালো হেরো ভূত হয়ে— ছুটে বেড়ায় ছোটে প্রেতাত্মা পিতার অন্ধতায় শরীরী পরাভব লাট্টু হয়ে লুটায় ধুলায়

ঝিনুক বৃত্তান্ত

ছবি
শারমিন সুলতানা রীনা কবি, চুম্বনে জেগে ওঠে ঠোঁটের বিনিদ্রতা তবু ক্লান্তিতে বুজে আসে পাপড়ি.... অহংকারী পতঙ্গ হয়েও  এক পশলা শিশিরে  ওপাশ  থেকে ভিজিয়ে দিলে বালুচর। ঝিনুক বুকে বালুকনায় জন্ম দিয়ে যাবো যে মুক্তো। যদি ফিরে যাই মৃত্যুর ওপাড়ে ধুসর বাসনায় এ মুক্তো তোমারই প্রাপ্য...

ছাই

ছবি
         সুধাংশুরঞ্জন সাহা  করিডোরে দাঁড়িয়ে তুমি শাসন কর প্রহর ! তোমার নিক্ষিপ্ত তীর আমাকে  আহত করে। আমার শরীরে শুয়ে আছে একটি বিষাক্ত সাপ । সে চলে যেতে চায়  সমুদ্র  অথবা  অরণ্যে ।  দৃশ্যপট বদলে বদলে যায়  ....... তোমার সীমানা ছাড়িয়ে দূরে যেতে চেয়েছি কিছু একাকিত্ব কুড়িয়ে  আনব বলে । পারি নি । নিরিবিলি রাতে ফিরে এসেছি একা । কয়লা পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে নির্ঘাত । এখন আর  আগুন জ্বলে না কোনভাবেই ।

একটি প্রতিবাদি কবিতা

ছবি
দুর্গাদাস মিদ্যা জীবন যেখানে হুমকির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন সেখানে বাঁচার জন্য অস্ত্র খুঁজে নিতে হবে। মাভৈঃ মাভৈঃ মন্ত্রে জেগে উঠতে হবে পুর্নবার। এইযে এতো অন্যায় অত্যাচার, মুখ বুজে কতকাল সহ্য করা যায় আর? কেন আজ আমরা এতো ম্রিয়মান, কোথায় সেই বিদ্রোহের গান আমাদের গলা থেকে! কেন বেঁকে গেল প্রগতির পথ, যে পথ একদিন উজ্জ্বল করেছিল, উজ্জ্বল করেছিল জীবনের অগ্নিরথ । নিবে গেল কেন চিরকাঙ্ক্ষিত দীপ, তাই আজ দিকে দিকে এত অন্ধকার। অত্যাচার। বিচার আচার সব জলাঞ্জলি দেখি মলমলি সেই- সব নরখাদকদের যারা কখনো জানে না মানবিকতার মূল্যবোধ। আর কি আসবে না সেই জোয়ার যে জোয়ারে ভেসে গেছে একদিন শাসকের অন্যায় অত্যাচার ?

সৃজন

ছবি
জয়ন্ত দত্ত আজ নয় কাল-- মেঘ কাটবে রোদ উঠবে ভেবে যাচ্ছি অথচ দিগন্তে মেঘের তামস-চাদর ! তবু এরই মাঝে -- ভিজে-একসা নরম মাটিতে শিকড় চলেছে গভীরে...

   কাকলী দাস ঘোষ

ছবি
নিখোঁজ আমার পরিতৃপ্তির মাপকাঠিটা খুঁজে পাই নি ;  রাস্তা পার হয়ে নদী ছুঁলাম , নদী পার হয়ে সাগর ;  উপত্যকা পার হয়ে পাহাড় ছুঁলাম , পাহাড় পার হয়ে আকাশ ;  পরিতৃপ্তির মাপকাঠিটা তবুও খুঁজে পাই নি তো l গিয়েছিলাম খবরের কাগজের অফিসে , গিয়েছিলাম নামী গোয়েন্দার কাছে ;  না -কেউ খুঁজে দিতে পারে নি আমার পরিতৃপ্তির মাপকাঠিটা ;  আর খুঁজব না -ক্লান্তি আমার বলে দিয়েছে , আমার অক্লান্ত চাওয়াগুলো হারিয়ে ফেলেছে  আমার পরিতৃপ্তির মাপকাঠিটা l     

পূর্ণিমা ভট্টাচার্য (টুকুন)

ছবি
তোর সাথে তোর সাথে আজ ভিজবো আমি ঘাসে ঢাকা ওই সবুজ মাঠে , তোর সাথে আমি ভিজবো শুধু একলা রাতে নিঝুম পথে ৷     রাখবে ঢেকে আবডালে তে     বাদল ধারা জাপটে ধরে ,     বারি বিন্দু পড়বে মুখে     ভাসিয়ে নেবে প্লাবন তোরে ৷ ইচ্ছে করে ভিজবো আমি শেওলা ধরা খোলা ছাদে , পিছলে গিয়ে পড়লে পরে ধরবি যে তুই শক্ত হাতে ৷    এই শ্রাবণের পাগল ধারায়    শুধু তোকে ছুঁতে যাই ,    রিম ঝিম ওই নৃত্য তালে    ভিজতে ভীষণ চাই ৷৷

দীপ্তি চক্রবর্তী

ছবি
অ ন্তর্লীন রোদ্দুরের শিরদাঁড়া গড়িয়ে নামছে ঘন কালো মেঘের দল নিক্ষেপ যেখানে বহুদূর সেই পলাশ রংয়ের মাদকতা আলগোছে ছিনিয়ে নিয়েছে কামার্ত অসুরেরা সমতলের চাতুর্য একপাশে রেখে আমি পিতল ঝরা বিকেলের শোভায় লীন হতে চেয়েছিলাম অক্টোপাশের পায়ে জড়িয়ে রয়েছি অযুতবর্ষ গভীর সমুদ্র যেখানে শীতলতা ছড়ায় আমার এই নশ্বর জীবনের অন্তে সেখানেই পৌঁছে যাবো তখন দুই হাতের অঞ্জলি ভরে নেবো অন্তিমতার ঘ্রাণ

সাইফুল আলিম

ছবি
মেঘ - বৃষ্টির অভিমান ঘন কালো মুখটা তাহার এই অম্বরে ঢাকে এদিক ওদিক ছুটছে সেথায় নীল গগনের ফাঁকে । পুরো গগনে কোথাও খুঁজে পাইনি মিষ্টি হাসি কাশ বনেতে ফুল ফোটে না দুঃখ রাশি রাশি। ভোর আকাশের সূর্য হাসি গোমরে গোমরে কাঁদে ভর দুপুরের আলোর প্রদীপ পড়লো মেঘের ফাঁদে । মিহি জোৎস্নার আলোর ছোঁয়া মেঘ রাখিলো বেঁধে আর করো না অভিমান তুমি বৃষ্টি  সুধাও কেঁদে। রাত্র নীশির তারার খেলা যায় না দেখা আজ তোমার ভয়ে আর হাসে না গোলাপ, গন্ধরাজ। দিনের পর দিন চলে যায় রাতের পরে রাত গোমরা হয়ে থাকলে তুমি আসবে না প্রভাত। সাক্ষী গগন ভুগছে মানব নান্দনিক এই কান্নায় এই পৃথিবীর আবাস ভূমি ভাসছে জলে বন্যায় । শ্রাবণ মাসের জমকালো মেঘ একটু তুমি হাসো মান অভিমান ভুলে গিয়ে আমায় ভালোবাসো। আর কতো দিন এমনই রবে গোমরা করে মুখ বৃষ্টি নামক অশ্রু ঝরুক পাও যদি আজ সুখ। মান অভিমান আর কতো কাল রাখবে বুকে ধরে মানব জাতির জীবন তরী ভাঙ্গে কেমন করে। মেঘ ☁ তুমি রাগ করো না আমায় ভালবাসো বৃষ্টির জলে স্নান করাবো এই না কাছে আসো।

শারমিন সুলতানা রীনা

ছবি
স্মৃতি রাত্রির বিষন্ন অন্ধকারের গায়ে ইচ্ছে করে উড়িয়ে দেই কর্পূরের মতো সমস্ত স্মৃতি। নিদ্রাহীন দীর্ঘতম রাএির রোলিং ধরে চোখের কার্নিস বেয়ে জল হয়ে দাড়ায় যে ছায়া গাঢ় নিস্তব্ধতা ভাঙে তার মৌখর্যে। গ্রীস্মের অগ্নিতে পোড়া শরীরে বিন্দু বিন্দু ঘামের মৌ মৌ গন্ধে দারুণ মৌতাতে মুহূর্তে শুষে নেই সবটুকু নির্যাস। রাএি জাগা দুঃস্বপ্নের চাদরে মোড়ানো কোন স্মৃতি তবে ঝেড়ে ফেলতে চাই মাকড়সার জালের মতো? হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি বিবেকের কাঠগড়ায় দাড়ানো আসামী.. জানি না এর উঃ মৌনতার কাছে হেরে যাই। অতঃপর স্মিত হাসিতে মুখ খোলে ছায়া.. স্বেচ্ছায় বুকের কপাট খুলে যাকে আটকে রেখেছো তাকে ভুল বলে কেন সরে যেতে চাও বিরোধী অভিমানে? আগুন নিয়ে খেলা করার তীব্র বাসনা ছুড়ে দিতে চাও কোন আক্ষেপে? চেতনার করাঘাতে নতজানু আসামী বেড়িয়ে আসি মৌনতার বৃত্ত থেকে। একচ্ছত্র সাম্রাজ্যে যখন দৈত টান,সংবিধানের কড়াকড়ি, কাঁটাতারের বেড়াজাল... সাধ্যতিত প্রত্যাশা পুড়িয়ে দেয় স্বাচ্ছন্দের বাড়ি ঘর, বিবর্ণতায় ঢেকে যায় সোনালী সকালের সব উপমা? বেলা অবেলা বলে জানিনা কিছু, আনার কলি নয়,নয় রাই বিনোদিনি তোমাকে ভালোবেসে কেবলই হতে চেয়েছি বনলতা

আপনিও লেখা পাঠান

হ্যাঁ ! সাহিত্য সংস্কৃতি আমাদের সামাজিক অঙ্গনে মিলনত্তর দর্শন I যা সকলেরই সম অধিকার !প্রতিভা সবার আছে নিজ নিজ ভাবনার নিরিখে আত্মগোপন করে ! আসুন আপনাদের আমাদের না হয়ে হয়ে উঠি সকল সকলের হয়ে এক কণ্ঠ উচ্চারিত করি ! গল্প কবিতা র মধ্যে তুলে ধরি প্রেম প্রতিবাদ দুঃখ হাসি কান্নার আনন্দ ! লেখা পাঠান 9531601335

দেবব্রত সরকার

ছবি
আমি আমি তোকে ভালবাসি খুব ! আমি ছাড়া কেও নেই তার ! এই আমির অপূর্ব সুখ ! এ আমির জিত নয় হার ! আমি মানে বড় এলেবেলে ! আমি মানে সব ক্ষেত্রে গাধা ! আমি মানে মেয়ে নয় ছেলে ! এই আমিটা বড্ডো বোকা ! এখন সে আমি মানে সব ! আমিতেই গেল রাজ্য দেশ ! আমিতেই হোক কলরব ! অমিতেই বেঁচে আছি বেশ ! আমিরও আমিত্ব আছে ! আমি পারি আমি গড়ি সব ! আমি ওরা শব্দতে গেছে I আমি মানে সব পর পর !