পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"১৩

ছবি
                                          টানাপোড়েন  ( ১৩ )                                                          সমস্যা সন্ধ্যে থেকে এত টানা বৃষ্টি চারিদিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না ।ট্রেনে আসার সময় রেখা দেখতে পেয়েছিল জল থৈ থৈ করছে ।মাঠ সাদা হয়ে গেছে।ট্রেন থেকে নামার সময় রিম্পাদি দরজার কাছে এগিয়ে এসে লাগেজটা নিয়ে বললো  'সাবধানে যাবি ।তোর তো আবার একটুতেই ঠান্ডা লাগার ধাত আছে।' রেখা শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানায় আর মলিন হাসে বলল ,'তুমিও সাবধানে যেও। ' ট্রেনটা ছেড়ে দিল যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা গেল রেখাকে তাকিয়ে থাকল রিম্পাদি ।রেখার অবস্থাও একই হাত নেড়ে নেড়ে।'ট্রেন বেরিয়ে গেলে দেখি অটোর খোঁজে গেল। কিন্তু কাছেপিঠে কোথাও একটা অটো পাওয়া গেল না ।একটু এগিয়ে গিয়ে অটোয়ালাকে জিজ্ঞেস করল  'যাবেন?' অটোওয়ালা  'কোথায়? (বিরক্তি ভরে)ভেতর থেকে গলাটা বাড়িয়ে।' রিম্পা কথা না বলে সরাসরি অটোতে উঠে পড়ল, আর বলল   'বুদ্ধ পার্ক।'  অটোওয়ালা বলল 'আমি যাবো, কি যাবো না ,না বলে আপনি উঠে পড়লেন দিদি।' রেখা বলল  'দেখতেই তো পাচ্ছেন ভিজে গেছি দাদা।চলু

দেবাশিস সাহা

ছবি
ডাকনাম   ডাকনাম ধরে ডেকে উঠলো জন্মগ্রাম।এখন যৌবন সূর্যাস্তের দিকে।একমাত্র ধুলাউড়ি জানে হাফপ্যান্ট, হাফ প্যাডেল আর তোতন এর গল্প।বাগানের রাস্তাটা এখন এডাল্ট।কোমর জড়িয়ে চলে যায়।পিছনে পড়ে থাকে পেট্রোলের পোড়া গন্ধ।সেই গন্ধ  দিয়েই চিনতে পেরেছিলাম ফরিদের লাশ।জীবন থেকে মৃত্যু গহবরে যাবার শর্টকাট পথ আত্মহত্যা। বন্ধু লোফফা ক্যাচ তুলে দিয়ে চলে গেলো।রেখে গেলো অংক খাতা।খাতা ভর্তি কাটাকুটি জীবন।

জাফর রেজা'র ছোট গল্প "ক্ষণিক বসন্ত "৩

ছবি
স্বমহিমায় লিখে চলেছেন নতুন ধারাবাহিক লেখক জাফর রেজার  ছোট গল্প  " ক্ষণিক বসন্ত  "  মতামত দিন  আপনাদের  একটি  কমেন্ট লেখকের ১০০ লেখার  সমান মূল্যবান।                  ক্ষণিক বসন্ত                                                                            ৩ য় পর্ব    কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড ঠান্ডা পরছে, তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে, এর মধ্যে আবার আমার গাড়ি খারাপ,  গ্যারেজে পরে আছে তাই অনেকটা পথ হেঁটে  বাসে উঠতে হয়। কপালে নরম হাতের স্পর্শে  ঘুম ভাংল, দেখলাম বুলা আমার পাশে বসে, ওর একটি হাত আমার কপালে, আপনি কখন এলেন,  দরজা খুলে দিল কে ?  -মন্টু ভাই। মন্টু  আজ কাজে যায়নি। মন্টুকে একটু ডাকবেন। না,  ওনাকে ডাকার প্রয়জন নেই উনি ঘুমাচ্ছে। বুলা আজ কি বার, সোমবার, আপনি কাজে যাবেন না, অফিসে বলে দিয়েছি আজ আসবনা, কেনো ?  বুলা বেশ অভিমান নিয়েই বললো আপনি কেমন মানুয,  আজ ৩ দিন আপনি জ্বরে পড়ে আছেন, আমাকে একটা খবর দিলেন না। আপনার মোবাইল অফ, আমি যে কতবার কল দিয়েছি , শেষে দেখতে এলাম আমাকে না বলেই চলে গেলেন কিনা, ফোনে না পেয়ে আমি যে কি ছটফট করেছি, আপনি এমন কেন ?  বুলা আপনাকে দেখে আমার খুব ভাল লাগছে, মনে হয়

মোঃহা‌বিবুর রহমান এ‌র লেখা "সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা"৮

ছবি
ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর  অসাধারন  সৃষ্টি।  লিখতে সহোযোগিতা করুন  লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা সহধ‌র্মিণীর হুঁ‌শিয়ারী বার্তা                                                                                                 ( ৮ ম পর্ব)                                               পৃ থিবী‌তে হ‌রেক রক‌মের সম্পর্ক বিদ‌্যমান আ‌ছে। মা, বাবা, ভাই, বোন, চাচা, চাচী, ফুফা, ফুফু, ছে‌লে কিংবা মেয়ে ইত‌্যা‌দি। সম্পর্কগু‌লি স্ব স্ব ক্ষে‌ত্রে ইউ‌নিক বা অনন‌্য। ত‌বে প্রধান সম্পর্ক হ‌লো দু‌টি।তাহ‌লো আপন ও পর। স্ত্রীর সা‌থে স্বামীর সম্পর্কটি ব‌র্ণিত কোন ক‌্যাটাগরী‌তে পড়‌বে তা বলাটা স‌ত্যিই মু‌স্কিল।  হয়ত এভা‌বে বলাটা অত‌্যু‌ক্তি হ‌বে না যে, একজন স্ত্রী আর একজন স্বামীর মধ্যে সম্পর্ক হ‌লো স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। এ সম্পর্কটি আপ‌নের চে‌য়েও আপন এবং অ‌তি মধুর। এজন‌্যই হয়তবা স্ত্রীকে বলা হয়ে থা‌কে সহধ‌র্মিণী বা ই‌ং‌রেজী‌তে বলা হয় (better half)। স্বামী হি‌সে‌বে স্ত্রী বা সহধ‌র্মি

রাবেয়া পারভীন এর ধারাবাহিক ছোট গল্প "কালো ক্যনভাস"

ছবি
 আজ থেকে শুরু  হলো নতুন  ধারাবাহিক " ক্যানভাস " লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন   লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম এই লেখার আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।      কালো ক্যানভাস                                                     ( ১ ম পর্ব)                                         নী লার  মনটা খুব ফুরফুরে  হয়ে আছে। আজকে সে একটা সরকারী কলেজে  প্রভাষক হিসেবে যোগ দেবে। বেশ সময় নিয়ে শাড়ী বাছাই করছিলো । প্রথম দিন কোন শাড়ীটা পরবে। খুব সাধারণ কিন্তু ব্যক্তিত্বপূর্ণ  হতে হবে। শেষ পর্যন্ত হালকা নীল  চওড়া রুপালী পাড়ের একটা শাড়ী বেছে নিল সে। সাথে সাদা রংগের একটা ব্লাউজ । চোখে  কাজল ঠোটে  হালকা গোলাপী  লিপষ্টিক।  সাজগোজ শেষ হবার পর নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়নায় দেখল কয়েকবার। মুচকি হেসে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচাল নীলা। " কি মাস্টারনী  কেমন লাগছে ? " তারপর জোরে হেসে উঠল। নীলার মা  চা নিয়ে এলেন মেয়ের  জন্য। হাসির শব্দে  জিজ্ঞাসু চোখে  মেয়ের দিকে তাকালেন, " কিরে!  নীলা একা একা হাসছিস কেন ?  মায়ের দিকে চেয়ে 

গুলশান আরা রুবী

ছবি
প্রবাস জীবন প্রবাসের জীবন যাপন- যেন সাহারায় রাত্রি যাপন ! স্বপ্নগুলো গুড়া গুড়া হয় অসহনীয় অসমতার মতন।  প্রবাসের জীবন যাপন- উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে, সর্বস্ব হারানো মানুষের মতন!        কত উদীয়মান কবি লিখেছে এ বঞ্চনার ইতিহাস! কবিতায় উপজীব্য করেছে, প্রবাসীর করুন ক্রন্দন।  কত শিল্পী এঁকেছে- প্রবাসীর মনে লুকায়িত! জন্মভূমির প্রতি লালিত স্বপন।  কত সুরকার-গায়ক- কণ্ঠে ধরেছে প্রবাসীর বিরহ! আত্মীয়দের হতে দূরে থাকা শোক।  রাষ্ট্র ভেবেছে কি শুদ্ধতায়- ত কষ্টের প্রবাসের ডলারে! প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক।  দূর প্রবাসে বসে ভাবি একাকী-       ফিরে কি পাবো নবযৌবন! যে প্রেম রয়েছে মনে সঙ্গোপনে, বুঝবে কি আমার আপনজন।  তামসিক যতই গাঢ় হোক- কুয়াশা ও মেঘের মতো ডুবে আছি অবিরত...! ঐ লাল সবুজের বুকে।  প্রবাস জীবনে নেই অবকাশ- রয়েছি নীরবে নিভৃতে ধ্যানে!    আসস্ত কর মোরে জন্মভূমি,   তুমিই প্রথম প্রেম,বাকি সব  বনলতা !  প্রকৃতি সত্য কি? প্রেমময় সুন্দর অখণ্ড ক্ষুদ্র এ জীবনের স্বাক্ষর রেখে যাব! চিরভাস্বর করে লাল     সবুজের জন্য।  তবেই স্বার্থক হবে প্রবাসের       জীবন  যাপন।  সবাই বলবে ধন্য ধন্য।

এন,এন,মুন

ছবি
অব্যক্ত অনুভূতি   প্রকৃতিতে প্রভাতরাগ বিরাজমান  বিস্মিত, পুলকিত মানব মন। নতুন ফুলের প্রস্ফুটন, চারদিকে ভ্রমরের গুঞ্জন।  ঘাসগুলি লম্বা,স্নিগ্ধ কোমল  প্রকৃতির কার্পেট, সবুজ  শ্যামল। অতঃপর উত্তরীবায়  সব বিবর্ণ হয়ে যায়। ক্ষ্যপা আগুন তাদের পোড়াতে পারে যদিও বসন্তে তারা পুনরায় জন্মাবে। স্বপ্নেরাও  আত্মিক তাড়নায় নিজ গতিপথ পাল্টায়। আমি বিপর্যস্ত বুড়ো ঈগলের মতো স্বপ্নিল জগৎ সাজাতে ব্যস্ত। আজও খুব কষ্ট পেলে এ মন তোকে খুঁজে ফেরে। তুই আজ দূর আকাশের তারা অলক্ষ্যেপথ দেখাও,দাও পাহারা  সময়ের ছলনায় পরবাসী  আমরা  অব্যক্তই থেকে যায় অনুভূতিরা।

সুবর্ণ রায়

ছবি
বিপ্রতীপে  সম্পর্ক কত  সমান্ত রাল রেখা  এঁকে এঁকে জীবন চলা।  ঘাত ও প্রবাহে  বহে চলা নদীর  স্রোত যেমন।  বিপ্রতীপে কে কার  ঠিকানাহীন সাকিন সন্ধানে  হারিয়েছে সময় তাতে বেলা বাড়ার  হিসাব ছাড়া নেই  অন্য কোনো সন্তাপ।

মাধুরী বিশ্বাস

ছবি
ডানা মেলেছি                             ভিসুভিয়াসের চূড়ায় আমি পা রেখে দাঁড়াব, পাল ভাঙ্গা নৌকায় তুফান খুঁজে বেড়াব, দেখব কি হয় ?  তোমার তো ভাবার কথা নয়। তুমি আমায় নিয়ে ভাবছো কেন ? সে অধিকার মাঝ গঙ্গার জলধারায় অস্থি বিসর্জন দিয়েছিলে,  সেই শ্রাবন্তী সন্ধ্যায় তুমি আমায় বৃষ্টি করেছিলে।  তোমার চৌকাঠে বসে অপেক্ষায় মরেছি অনেক মৃত্যু,  এক শতাব্দী গৃহবন্দী হয়ে আছো কিন্তু,  দ্বার খোলোনি আমি বসে আছি বলে। মুছে দিয়েছি আমার থাকার সমস্ত দাগ, পবিত্র এখন তোমার চৌকাঠ  চোখের জলে ধুয়ে দিয়েছি । বেরিয়ে দেখো..... এখন আমি পরিযায়ী, সাত রঙের পাখি হয়েছি ।

gfdgg

LOVE

sdfg

LOVE