পোস্টগুলি

এপ্রিল ২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাফর রেজা

ছবি
একা ক্লান্ত দিনের শেষে  যখন আঁধার নেমে আসে  খুঁজে পাই শুধু নিঃসঙ্গতা,  সহস্র মানুষের ভীড় ঠেলে চেনা পথে-চেনা ঠিকানায়  শুধু এগিয়ে যাওয়া, হাজারো মুখ জানিয়ে দেয় আমি একা, আমার কেউ নেই, বিনিদ্র রাত কেটে যায় সঙ্গী বিহীন,  স্বপ্নগুলো ফিরে আসে অপূর্ণতা নিয়ে জীবনের কারাগারে আশা গুলো  দোল দিয়ে যায় নিরাশার দোলনায়, রাতের আকাশ এসে দীর্ঘশ্বাসের সাথে  মনে করিয়ে দেয়,   আমার একাকীত্ব।

আইরিন মনীষা

ছবি
 নারী  নারী মানে অপরূপ সৃষ্টি বিধাতার কৃপায় অপার দান, নারীতেই সৃষ্টি অমর সব কৃষ্টি করেছে মহীয়ান জগতের শান।  নারী মানে মমতার আধার নানান রূপেতে তাকে যে পাই, ত্যাগের মহিমায় মহিয়সী আকার তারিই জয়গান যে আজ করে যাই। নারী মানে ধরণীর আলো  দেখায় সবাইকে আলোর দিশা, নারী যে করে সকলের সব ভালো  নিজেকে দহনে  জাগায় দীপ্ত নিশা। নারী মানে প্রতিবাদী রূপ অন্যায় অবিচারে সদা জাগ্রত, নারীতেই আবিষ্ট মংগল প্রদীপ ছোপ যুগে যুগে রেখেছে প্রমাণ নারী শাশ্বত নারী মানে সহিষ্ণুর বন্যা হয়না তুলনা কোনো কালে, নারীতেই পাওয়া মা আর কন্যা হয়েছি ধন্য আমি নারীত্বের তালে।

মহুয়া চক্রবর্তী

ছবি
আমি নারী  নারী তুমি কখনো কমলা কখনো চন্ডী কখনো ত্রিপুরা সুন্দরী   তুমি সৃষ্টি তুমি শক্তি তুমি গর্ভধারিনী। মেয়ে হয়ে জন্ম নিলে করে পরের ঘরে দান, ছেলেকে রাখো নিজের কাছে   তবে মেয়ে কে করো কেনো দান ! বাবার ঘরের কন্যা আমি স্বামীর ঘরের স্ত্রী, সন্তানের আজ মা হয়েছি নিজে আজ নিজেকে শুধাই আমার আসল পরিচয় কি ?      দশোভূজা রূপে তুমি সংসার সামলাও আবার কখনো মাতৃস্নেহে সন্তানকে বুকে আগলাও।     চারিদিকে চলছে যখন নারী নির্যাতন জাগো নারী রণং দেহি রূপে  এবার করো অসুর নিধন। নারী যদি না হতো আজ কে দেখাতো আলো  সৃষ্টি তাহলে থমকে যেত  পৃথিবী জুড়ে নামতো আঁধার কালো।   লক্ষ নারী কে পুরুষ তন্ত্র বন্দি করেছে ঘরে স্বাধীনতা আজ দুর্লভ খুব সব নারীদের তরে।জাগো নারী জাগো এবার বেরিয়ে এসো পর্দার আড়াল হতে, বাঁচার অধিকার শুধু ওদের নয়  আমাদেরও আছে চলো এবার পথ চলি একসাথে।

নূরজাহান শিল্পী

ছবি
আমাকে খুঁজো  রাতের আকাশে খুঁজো আমাকে  শুকতারাটা চেয়ে চেয়ে | নীলিমার নীলে ক্ষীণদৃষ্টির আলোকে   রূপালী চাঁদ নক্ষত্রের পাশে , সেই দেখাবে আলো আঁধারের বুক চিরে  অচেনা ,অজানা পথ দেখায়ে  নক্ষত্ররাজীর  অনিন্দ্য আলোয় , হয়তো আমি থাকবো অনেক দূরে  আমাকে পাবে তুমি  তারাদের ভীড়ে | গহীন দু চোখে আবেগী জল ছুঁয়ে , চাঁদের ম্লান আলোয় , তুমি যদি বুঝতে পারো তবে , আমায় আশীর্বাদ করো | অনন্ত জীবনে যেনো আমি   তুমারই থাকি বন্ধু চিরন্তন।

আফসানা সিকদার

ছবি
তোমার প্রতিক্ষায়  একটু আসতে যদি ভরা রোদ্দুরে ভিজিয়ে নিতাম আমি তোমার সমুদ্দুরে, উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়ায় প্রেম সুধা ঢেলে নিজেকে সপে দিতাম সবকিছু ফেলে চলে এসো প্রাণনাথ আমারি দ্বারে আমি যে অপেক্ষা দাঁড়িয়ে দুয়ারে।

শাহীন রহমান

ছবি
বেজোড়_ঘুঘুর_গান আমায় ছেড়ে থাকতে তোকে দেবোনাতো, অবহেলা যতই করিস, ছুঁয়ে যাবো  হৃদ'মাঝোরে আসন গেঁড়ে থাকবো বসে তোর কন্ঠে আকুল হয়ে সুর উঠাবো।  ফাগুন'বেলা স্নিগ্ধ ফুলের সুবাস হবো শাওন বেলা ভিজিয়ে দেবো বৃষ্টি জলে।  অহর্নিশী ছুঁয়ে যাবো উতাল হাওয়ায়  প্রতি ক্ষণে করবো দেখা নানান ছলে  আকুল ভালোবাসা নিয়ে পড়বো ঝরে  জষ্টি মাসে বকুল হয়ে তোর মাথাতে।  তোর উঠোনে দেখিস যদি বেজোড় ঘুঘু  ঘুঘু'র ছলে আসবো আমি সই পাতাতে।  উঠোনে তুই ছিটিয়ে দিবি শরষে দানা,  খাওয়ার ছলে মনের কথা যাবো কয়ে।  চুপটি করে দাওয়াতে তুই থাকিস বসে, মুখখানি তোর দেখে যাবো বিভোর হয়ে।  সেই মধুর স্মৃতি হৃদয় উদাস করেই যদি,  একলা বসে কান্না করিস ঘরের কোনে।  তোর ও মন ভরিয়ে দেবো ব্যাকুল সুরে,  গান শোনাবো একলা বসে দূরের বনে।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
কায়ার মায়া মানছি তোকে বলতে পারিনি, সময়ে অনেক কিছু, সেজন্যই কি তুই নিয়েছিস, অন্য কারো পিছু? বেকার তখন ছিলাম আমি, জানতিস ভালো তুই, সংসার করতে অর্থ লাগে, তাইতো নিশ্চুপ রই। হয়েছিলি কী সমব্যথী, ছিলিস্ তো আমার সমবয়সী! ভাবি এখন মনে মনে, দেখাসনি কেন তবে সহানুভূতি? বাপের বাড়িতে আসিস যখন, স্বামীর গাড়িতে চড়ে, জানিনা কেন বুকের ভেতর, 'অতীত', জাগে ধড়াস করে। স্বপ্নে এখনো দেখি যে তোকে, সিঁদুর পরিহিতা নারী, বক্ষে আমার জড়িয়ে আছিস, ছাড়াতে নাহি যে পারি। আদরে আদরে ভরিয়ে দিচ্ছিস, শরীরে শিহরন তুলে, সুখ প্রাপ্তির জগতে দুজনে, চলছি দুলে দুলে। ভোরের আলো চোখে পড়তেই, সরে গেল তোর কায়া, সম্বিত ফিরতেই বুঝলাম আমি, গতরাতের সবই মায়া।

ফিরোজ আহমেদ জুয়েল

ছবি
  ক্ষমা নিঃস্প্রান দেহে নিয়ে জীর্ণ হৃদয়, যদি কখোনো এ মন হারিয়ে যায়, সীমাহীন পথের কোন এক প্রান্তরে; পথ ভোলা পথিকের যাযাবর জীবন, ভাটা পড়ে হৃদয়ে গভীর প্লাবন, মেনে নিয়ে ভাসমান হয়ে অবসান; তুমি খুঁজতে এসোনা আমায়। নিঃসঙ্গ অনুভবের দৃঢ় কল্পনায়, নির্লজ্জ অনুভুতির নিদারুন যাতনায়, ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে আজি, বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছে নেই, তবু প্রেরনায় এতটুকুও প্রদিপ জলে উঠে, নতুন করে স্বপ্নের রঙতুলিতে, তুমি খুঁজতে এসোনা আমায়। হৃদয় মাঝে ছেয়ে আছে আজ, শুধুই কুলশিত আর কলঙ্কিত অধ্যায়, দুঃস্মৃতিতে বেধে যাওয়া এ মনে; নেই কোন স্মৃতি আজ দুটি চোখে, ঘুমন্ত পৃথিবিতে ভেসে আসা দুঃস্মৃতি; তুমি খুঁজতে এসোনা আমায়। তোমার চলার পথে থাকবেনা কোন বাধায়, মুক্ত বিহঙ্গনে পাড়ি দিও স্বাধীন চেতনায়; লজ্জিত অবয়ব আবৃত রেখে- নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা হোক, রয়ে যাবে চিরদিন শুভ কামনায়; তুমি খুঁজতে এসোনা আমায়। যে পথ তুমি আমায় দিয়েছো উপহার, মিথ্যে অভিযোগে করেছো সমাহার; শাণিতভাবে আমি তা করেছি স্বাগত, কেঁদেছে হৃদয় তবু হয়নি পরাজিত, সবভুলের জানি হয়না চারুতা, তবু ক্ষমা করে দিয়ে জানাই বিদায়; তুমি খুঁজতে এসোনা আমায়।

ওয়াহিদা খাতুন

ছবি
  সনেট বাঁকাচাঁদের প্রতিক্ষায়  অমাবস্যার বিষাদী আঁচলে ঝরেছে  আমার বসন্তের ফুটন্ত পুষ্পকলি ; তিমির দিগন্তে শ্যেন-নজর পড়েছে,  নাইটিংগেল হয়ে কিভাবে পথ চলি; সুরের ধ্বনি তুলে নিশিকালো আকাশে ; ঝিঁঝিঁ পোকার ক্রন্দনে,পেঁচাদের ডাকে নক্ষত্রের সন্ধানে কলরব বাতাসে; পৌঢ় রাত্রির নেত্র বেয়ে স্বপ্নরা হাঁকে ! কৃষ্ণপক্ষ পেরিয়ে শুক্লার আগমনী ; স্খলিত মুকুলে অমাবস্যা-ঘনঘটা-- জোনাকি-উদরে প্রতিক্ষা-প্রহর গুনি; স্ফীত তরঙ্গে জোয়ার-ভাটা জলচ্ছটা-- কাককালো ব্যথাতুর বিষন্ন সন্ধ্যায়--! তৃষ্ণার্ত আমি বাঁকাচাঁদের প্রতিক্ষায়--!! রচনাকালঃ-০১/০২/২০২১ রাত ১১টা ২৮ মিনিট। (সনেট নং ৯৪)।