পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৫, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হাননান আহসান

ছবি
ইতিহাস ঘেঁটে ১।। পড়েছিলুম ইতিহাসে বাবরের এক ভায়রা ছিল তার বাড়িতে হাজার কুড়ি নানা জাতের পায়রা ছিল। উঠোন জুড়ে তাদের জন্য তিন শতাধিক গামলা ছিল সন্ধে-সকাল এই কাজে আর সুটেড-বুটেড আমলা ছিল। ২।। মধ্যযুগে আরেক রাজার মস্ত বড়ো বাজার ছিল সেই বাজারে গরু কিনলে ছাগলছানা ফ্রিতে ছিল। অবাক হবার কিচ্ছুটি নেই এসব কিন্তু সত্যি ছিল রাজা-রানির খাসমহলে খুন্তি-হাতার ব্যবসা ছিল। ৩।। ঘাঁটলে পাতা ইতিহাসের মশলা চিকেন কারি ছিল এখন যা যা ঘটছে দেখি তার চেয়ে বরং বেশি-ই ছিল। যেমন বলি, এই খবরটি-- ঘনঘটায় জমাট ছিল শেরশাহের এক পুত্র না কি বলিউডের বাদশা ছিল।

দেবব্রত সরকার এর রম্যরচনা না হেসে থামা য়ায় না

ছবি
বিজ্ঞাপন   আমার বিয়ের জন্য মা একটা ভালো মেয়ের সমন্ধ খুঁজছেন !  সে ঘরোয়া হবে আত্মীয় পরিজনের মাঝে নক্ষত্র হবে , জলের মধ্যে মাছ হবে , ডাঙায় মানুষ হবে  আর রূপের কাছে আস্ত এক মানবিক ! খুঁজতে খুঁজতে মা এখন ক্লান্ত ! যেখানেই যায় ডাঙায় মানুষ পায় কিন্তু তার রাইফেলধারী আছে ! জলে মাছ হতে পারে কিন্তু সমস্ত জলই খেয়ে নেয় ! রূপ আছে তাও সোস্যাল মিডিয়ায় বিক্রি করে ! এ সমস্ত দেখতে দেখতে মা আমার ক্লান্ত ! মেয়ের পরিবার চান সরকারি অফিসার ,নয় তো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা প্রফেসর আরও অনেক কিছু ! কিন্তু এগুলির একটিও নয় ! কবিতা গল্প উপন্যাস লিখতে গিয়ে কাঁটার খোঁচা খেতে খেতে এখন কোণঠাসা ! মেয়ের বাবা শুনলেই বলে আস্ত পাগলের সাথে বিয়ে দেব না ! জেনে শুনে বিষ পান কেই বা করবেন বলুনতো ? তাই আর সমন্দ টমন্দ এখন বলহরি হরি বল্ ! মা - বাবা অসুস্থ , আর আমিও বেকার , হ্যাঁ ঠেলে গুজে এমএ পড়া ! বেসরকারী ভালো মাইনের চাকর ছিলুম বটে কিন্তু মালিক পক্ষকে মেনে নিতে পারিনি ! ছেড়ে ছুঁড়ে ওই কবিতা গল্প উপন্যাস ! তাঁতীর তাঁত বোনার মতই আর কি ! শিল্পী বটে দাম নেই ! মহাজন কিনে নিয়ে গিয়ে চড়া দামে শোরুম করে বিক্রি করেন ! বেশ মজাও হয় ! তাঁতির আত

জৈদুল সেখ

ছবি
শেষ বিকেল দুপুরের তীব্র জ্বালা রোদ নিশ্চুপ মেটো পথে হাত ধরতেই নেমে এসেছিল আকাশভরা মেঘের গর্জন, উত্তরের দূরন্ত ঝড় পাহাড় সমান শিলা যখন একের পর মাথার উপর নেমে আসছে হ্যাঁ ঠিক তখনই বুকে জড়িয়ে বলেছিলে ভয় নেই, অন্ধকার দূর হবে একদিন।  আজ আলোয় আলোকিত। বসন্তের সুবাস চারিদিকে।  কতই না উন্নয়নের গ্রাম থেকে শহুরের মানুষগুলো! রংবেরঙের হরেকরকম ফুলে ভরা সকাল দুপুর রাত্রি! আর সেই পথ দিয়েই যাচ্ছিলাম আজ অবাক চোখে চেয়ে দেখি এক বিস্ময়ের স্মৃতি মন্থন! ভালোবাসাহীন পৃথিবী। এক‌টি মেয়ে তার ভালোবাসা প্রমাণ দিতে জ্যান্ত লাশ হয়ে পড়ে আছে! সেখানে তুমি আমাকে বুকে আগলে রেখেছিলে।  প্রিয়তমা! তুমি একবার এসে দেখে যাও এই বসন্তময় পৃথিবীকে কীভাবে নরকের আগুন দিয়ে পাষান্ড করে তুলেছে। প্রিয়তমা! অনন্ত একবার এসে দেখে যাও

আইরিন মণীষা

ছবি
বিরহী কথন চিত্ত্ব মননে গেঁথেছি যারে হারিয়ে ফেলেছি আমি তারে, বিরহী মননে স্মৃতি ভাসে যেখানে তোমার মুখটি আসে।  কাটে না প্রহর আমার আজ তোমাকে হারিয়ে পড়লো বাজ, এখনো তোমাতেই আমার বাস পারিনা ভুলতে স্মৃতির রাশ।  তোমারি বিরহে মননের ঢেউ দেখে না কষ্ট তোমাদের কেউ, স্মৃতির পালকে পরশ দিই তোমাকেই যেন খুঁজে নিই।।

শান্তিব্রত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
বারোটা বেজে যায়  ঘড়িতে এখন বেলা বারোটা প্রায়  ধর্মতলা স্ট্রীট পেরোতে পেরোতে যন্ত্র এবং জন্তুর চিল চিৎকার। ট্রাম গুমটির কোণ ঘেঁষে   দুটো জীবন্ত লাশ বাড়িয়ে চলেছে    পাওনা দেনার তুমুল উত্তেজনা।   শহিদ মিনারের দিক থেকে তীরবেগে উড়ে আসা প্রায় দুষ্প্রাপ্য   এক দাঁড়কাকের মুখ থেকে  হঠাৎ খসে যায় টুকরো গতকাল।    পুলিশবুথের ঠিক পেছন কোণ ঘেঁষে    মধুমেহ জর্জরিত এক মুতুবাবুর       অদ্ভুত পোজে চেন খুলতে খুলতে   সে কি চলকে ওঠা তৃপ্তির হাসি !   নষ্ট জলের নর্দমায় গড়িয়ে ঘড়ির কাঁটা    গুটি গুটি পায়ে রাত বারোটার দিকে;     চৌরঙ্গী পার্কস্ট্রীট জীবনদীপের চক্রব্যুহে  অনবরত ঠোকাঠুকি খেতে খেতে  এইবার নিশ্চিন্তে চুকে বুকে যাবে   ক্লান্ত দিনলিপির ধূসরিত কোলাজ। দুপায়ের ফাঁকে লবণাক্ত কোলভাগ   চিড়বিড়িয়ে ছটফট করে উঠে     খুঁজতে থাকে নখের আয়েশি নখরা! মেচেতা ভরা পালিশে তা দিয়ে     হেসে ওঠে খসখসে শিফন কিন্নরী।   শেষ হর্ণের তালে তালমিলিয়ে উছলে ওঠে     চিরচিহ্নিত বিস্ময়বোধক অব্যয়েরা।   সোনালী তরলের মৌতাতে গা ভাসিয়ে       বীরপুঙ্গবের বোতাম খোলা পৌরুষ  উন্মত্ত জন্তুর আক্রোশে ঝাঁপিয়ে     মাত্রাহীন সন্ত্রাসে ডুবে যেতে থাকে   

সঞ্জীবকুমার দে

ছবি
বোঝে কিছু ? দুধে–ভাতে বেশ, তবু মিউ মিউ মিউ ! রামাশিস রেগে টং – রোতি হ্যাঁয় কিউ ? দিনে ঘুম, চুপচাপ, রাতে ঘেউ ঘেউ ! রোজই ঢোকে এপাড়ায় অচেনা কি কেউ ? কারণে বা অকারণে টি টি টি ! এতদিনে সহবত শিখলি না, ছিঃ ! পুসি-কেলো-চন্দনা হেসে মরে – ইস্ ! অ্যাপস্, মেইল, বোঝে না তো কিছু – রামাশিস ! পাহারা তো কচু দেয়, রাতে টেনে ঘুম ! কর্তাকে ছবি সেন্ড – দিয়ে রাখলুম !

হাবিবুর রহমান হাবিব

ছবি
চোরকাঁটা   মেঘহীন সাদা আকাশ পরন্ত দুপুর  ধূ ধূ সাদা মাঠের পরে, তোমার ধূপছায়া শাড়ির পারে চোর কাঁটাতে বিঁধিয়ে দিলাম মন।  আমার এই টূকরো কথা আর হাসি পড়বে মনে ফিরবে যখন ঘরে।  খুঁজতে থাকবে একটি একটি করে ওগুলো চোর কাঁটা নয় স্মৃতির কাঁটা,  বিধঁবে বুকে কখনো সুখের ব্যথায় কখনো বা ব্যথার সুখে স্মৃতির পরে। শঙ্খ সাদা জোৎস্না রাত সে তো যেন রাত নয় মনে হবে চাঁদে লেখেছে গ্রহণ।  অমন করে বলোনা আর যাই বলো ওগো আসি বিদায়ের নীরব ব্যথায় মুখে থাক হাসি। তোমার ঐ দু চোখ থেকে যদি মুক্ত ঝরে,  ব্যথার স্মৃতির ঝিনুকে নয় রেখো তুমি তাকে ধরে হৃদয়ে মুক্ত করে।

নূরুজ্জামান হালিম

ছবি
উজবুকের রবিবার  আজ রবিবার। কত রবিবার হয়েছে গত, কত রবিবার আসবে আবার সে এমন কী আর! রবিবার গুলো আজ যাচ্ছেতাই। এমনি কোন এক রবিবারে  বর্ষা ছিল,  সেই বর্ষাকে ছুতো করে  জলে যেন না ভিজে শরীর  সে অধম সাহসে  গিয়েছি তোমার বাড়ি। তুমি ইউনিফর্ম পরে বসে আছো জানালার ধারে, বৃষ্টি সারলে পরে বেরুবে স্কুলের পথে। সহসা আমাকে দেখে  চমকে উঠলে তুমি যেন সর্বনাশ হয়ে গেছে আজ! বললে,"এত্তো সাহস?" তোমার মামনি এসে বলল, "এরকম ভিজেছো বাবা! মাথা মুছে নাও,  তোমরা যা এলোমেলো। " মায়ের কথায় -- তুমি হয়ে উঠলে নারী  তাওয়েলের বদলে,  ওড়নাতেই মুছে দিলে মাথা। চোখে চোখ রেখে লজ্জায় লাল তুমি বললে,"উজবুক! বৃষ্টিতে ভিজা তোমার  ছুতো। " তারপর আচমকায়একটা চুমু।  ধরার আগেই পালিয়ে ছিলে সেদিন  ভেবেছিলাম  মাঘ যদি আসে- রবিবার আসবেনা? তারপর, প্রেম আরও পবিত্র হলো,  আরও আরও এলোমেলো হলাম, কেন জানি-  সেরকম রবিবার আর এলো না। তোমরা হঠাৎ চলে গেলে অষ্ট্রেলিয়ায়, ফিরলে না আর। তারপর কত কত রবিবার   এলো গেলো, বৃষ্টিও এসেছে  কখনো কখনো বার মিলিয়ে। তবুও, তোমার বিয়ের খবর এল, তোমার বিখ্যাত হবার খবর,  দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াবার খবর, এখন

প্রবীর বেপারী

ছবি
অভিপ্রায়    খুঁজেছি যারে জনম ধরে কোথায় আমি পাবো তাহারে? আছে  কি সে এই চরাচরে? পাই যদি তাহার যুগল চরণ  বক্ষ মাঝে করিব ধারণ, কোথায় আছে সেই মহাজন  ভেবে ভেবে  রজনী কাটে। না পাই যদি তাহার দেখা মোর এ জনম যে হবে বৃথা, বোঝে না কেউ মনের ব্যাথা আশায় আশায় চলছি সর্বক্ষণ।  যেন কৃপা করে শ্যাম দয়াময়  এসেছি আমি যার করুণায়, অধমের এই শেষ অভিপ্রায়।

মনি জামান

ছবি
প্রিয়তমা প্রিয়তমা!যদি তোমার মন বলে,কবি ডাকছে তোমায়। তবে একটি কবিতা লিখ আমার স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য। যদি শরৎ কে কাঁদতে দেখ,তবে ভেবে নিও কবি অনেক কষ্ট পেয়েছে,কারণ তুমি কবিতা লিখনি তাই। প্রিয়তমা!যদি কখনো প্রজন্মের মিছিলের ডাক শোন, তবে সেদিন মিছিলে যোগ দিও তুমি। যদি মা বলে ডাকে তোমায় ওরা, তবে একুশের চেতনার গল্পটা  শুনিয়ে দিও ওদের। যদি ভূমিষ্ট জারজদের স্বাধীনতার  বিকৃতির ইতিহাস লিখতে দেখ, তবে আর একটি মুক্তি যুদ্ধের  ডাক দিও শাহাবাগে। প্রিয়তমা!যদি এ যুদ্ধে শহীদ হই, তবে প্রজন্মের এ যুদ্ধের একটি গল্প লিখ অনুজদের জন্য। যদি আর না ফিরি কখনো,তবে শহীদ বেদীতে তুমি নিজ হাতে একটি গোলাপ দিও সেদিন। প্রিয়তমা!যদি তোমার ছেলেরা  তোমার কথা না শোনে,তবে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের বজ্র কণ্ঠের স্বাধীনতার ভাষণটি শুনিয়ে দিও ওদের। প্রিয়তমা!আমার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে হলেও,প্রজন্মের জন্য একটি স্বাধীন নির্ভেজাল  দেশ রেখে যাব। তোমার সন্তানদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করো,কারণ তিরিশ লক্ষ  শহীদের রক্তে ভেজা এ মাটি।