পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৩, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অমলেন্দু বিশ্বাস

ছবি
নীল সরস্বতী পাতিরাম থেকে ধ্যানবিন্দু যেতে যেতে  পথে পড়ে মধ্যিখানে এ‍্যালবার্ট হল। তুমিতো জেনেছ যাকে কফিহাউস অথচ কুহকপথে জানি আমি নীল সরস্বতী! সমস্ত গরল গলে কফির ইনফিউশানে মৃদু ধোয়া ওড়ে আঙুলে অক্ষর ঠিক মদির সেতারে ছঁয়ে দিলে ফুটে থাকে শব্দের দো‍‍‍‍‍্যতনা লিটিল ম্যাগাজিনের দ্রোহ মুখবন্ধ নতুন পাতার গন্ধে লেগে থাকে  ঐশী নূরমাখা আকাংখিত  স্বপ্ন।

সৈয়দা আইরিন পারভীন এর প্রবন্ধ

ছবি
এর মানে কিন্তু জীবনে হেরে যাওয়া নয়, শিক্ষা নেয়া। ডিপ্রেসন এক অদ্ভুত রোগ এই রোগের কারন আছে, কিন্তু প্রতিকার নাই। পৃথিবীর যাবতীয় ব্যথর্তা, হতাশা, ধাক্কা আর দূভার্গ্য এই সব কিছু এক চিমটি করে মিশিয়ে যে মিক্সচার বানানো হয় সেই মিক্সচারের নাম ডিপ্রেসন "নিষ্টুর পৃথিবী হুট করে একটা মানুষকে এই মিক্সচার গিলিয়ে দিতে পারে। ডিপ্রেসন নামের মিক্সচার গিলে ফেলা মানুষটা স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়, পৃথিবীর লাল নীল হলুদ সব রং তার কাছে সাদাকালো লাগে, সে বিশ্বাস করতে শুরু করে, তার দ্বারা আর কিছু হবে না। হয়তো আর  "যদি "নামের শব্দ গুলো তার জীবনের ডিকশনারি থেকে মুছে যায়।                একটা মানুষ যখন শুধু কষ্ট পায় সে মন খারাপ করতে ইচ্ছে হয় কিংবা কাদঁতে ইচ্ছে হয় সে যখন রাগ হয় তখন চিৎকার করে রাগের প্রকাশ ঘটাতে ইচ্ছে হয়। ডিপ্রেসন নামের এই অনুভুতিটা কষ্ট আর রাগ মিশালে এক বিচ্ছিরি অনুভুতি। ডিপ্রেসড মানুষের কান্না পায় না, চিৎকার করতে ও ইচ্ছে হয় না, তার নীরবে চিৎকার করে কাদঁতে ইচ্ছা হয় শুধু, কিন্তু সে কাদঁতে পারে না-একদম না।        একজন ডিপ্রেসড মানুষের মাঝে মাঝে শুধু দুই হাতে মুখ চেপে একা একা চুপচাপ বসে থাক

শ্যামল রায়

ছবি
আমি ঘর হতে চেয়েছি আমি ঘর হতে চেয়েছি খুঁজে নিতে চাইছি  একদিকে সূর্য অন্যদিকে জোসনা রাত। কিন্তু যৌবনে স্বপ্ন দেখাটা, একটু বাড়তি   ইছামতি নদীর মতো কখনো বহতা কখনো বালির চরা। কোলাহলের কাছে উড়ে বেড়ায় এক ঝাঁক প্রজাপতি প্রিয় সন্ধ্যা নামলে সিঁদুর পরা নারী নির্ভেজাল ভালোবাসাটা ভুলে যায় পেরিয়ে যায় সকাল থেকে রাত পালটায় হাত, ঠোঁট ,গোটা শরীর আমি তোমার ঘর হতে চেয়েছি আমি মেঘ হতে চাইনি আমি প্রজাপতির ডানা হতে চাইনি যৌবনের স্বপ্ন দেখায় নির্ভেজাল কবিতা হয়ে ঘর খুঁজছি। 

প্রেমাংশু শ্রাবণ কবির,রের দীর্ঘ কবিতা

ছবি
সই বিকেলের কথা মনে পড়ে সেই বিকেলের কথা মনে পড়ে? এক দীর্ঘতম আশ্চর্য বিকেল! লোকালয় থেকে দূরে  আমাদের সেই স্বপ্রেম সাঁতার,মনে পড়ে? তোমার সমস্ত তুমি আমার সমস্ত আমি মিলেমিশে কি রকম একাকার একটা বিকেলের আর অনন্ত অতীতে ডুবে গিয়েছিলো--মনে পড়ে? সূর্যের জিহ্বায় লাল সে সময়ে ছুঁয়ে ছিলো প্রকৃতির শেষ দিনটুকু তুমি তার রক্তিম কুঙ্কুমরেণু গ্রীবা ও চিবুকে খুব মেখে ছিলে বলে উজ্জ্বল  সিংহের মত বাতাসেরা অপূর্ব কেশর দুলাতে দুলাতে এসে তোমার চিবুকে ঘাড়ে--শুরু করে দিয়ে ছিলো সুন্দর তান্ডব। আমরা সেদিন ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদের সবকটি ইটের মমতা ছুঁয়েছি মাতাল বাতাস নিয়ে অপরুপ খেলতে খেলতে আমরা কেমন অতীতের খুব বর্ণময় অভ্যন্তরে ডুবে যাচ্ছিলাম,মনে পড়ে? একটা সরু কুঠুরির মুখোমুখি এসে থমকে দাঁড়ালে তুমি। প্রশস্ত দীঘল সিঁড়ি দেখিয়ে বললে,এসো--এই সিঁড়ি ভেঙে আরও নিচে নামি কিছুটা সময় আজ কাটুক এখানে, এই ভাবে এরপর তিনটি বিদীর্ণ ঘরে দীর্ঘক্ষণ কেটেছে কেমন! ওই ঘরে কোনোদিন বোধিসত্ত্ব বুদ্ধের মূর্তির তলে সমর্পিত হতো অনার্য বিক্ষোভে জ্বলা অবিনাশী বাঙালীর বিষাক্ত বল্লম বিনয়ী বীরের মতো করতল পেতে আত্নার গভীরে তারা তুলে নিতো অহিংসার প্রেমের আর

শ্রীমতি মমতা রায় চৌধুরী'র গল্প

ছবি
প রিপূর্ণা দূর হয়ে যা। অন্য লোক দেখে নেব। মিনাদেবীর চিৎকার শুনে পূর্ণা ছুটে এসেছে দোতলায়। ফুলি বলছে আগে আমার কথাটা তো শুনবা গিন্নি মা। কোলে ছোট বাচ্চা মেয়েটি ওই ধমকে কান্না জুড়ে দিয়েছে। পূর্ণাকে দেখে একগাল হেসে কোলে যাবার জন্য ঝুঁকে পড়েছে। ফুলি তো মেয়েটাকে রাগের বশে দিয়েছে এক চড় বসিয়ে। কোলে যাইবো,কাজই চইলা যাইবো আর কোল খুঁজতেছে। পূর্ণা বলল -আহা ফুলি বাচ্চা মেয়েকে কেউ এভাবে..... দাও আমার কাছে দাও। মিনাদেবী তো আরো রেগে আগুন। ওই যে আর একজন হয়েছে কাজের মেয়ে সোহাগী। বাজা মেয়েমানুষ, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছে। কটুক্তি করে ফুলিকে আরেকবার শাসিয়ে বললেন- এরপর থেকে কাজে দেরি হলে একেবারে বিদেয় করে দেব। ফুলি তো কাঁদতে লাগলো। পূর্ণা সান্ত্বনা দিয়ে বলল -তুই তো জানিস মা ওরকম, তাহলে এত দেরি করে আসিস কেন? না গো বৌদি ,আজকে আমার বাড়িতে একটা ঘটনা ঘটছে, এর লায়গাই তো, বলে চুপ করে যায়। পূর্ণা বলে -কী হয়েছে রে? বরের সাথে আবার ঝগড়া করেছিস? হ,কেন? তুমি তো জানো বৌদি ওই যে পাশের বস্তিতে পুটি আমার বরের মাথাটা খাইলো। আচ্ছা কও তো আমার কিসে কমতি আছে? চারডা পোলাপানের জন্ম দিছি। আর কি চাই? পুরুষ মান

অলোক দাস

ছবি
পৃথিবী দাও বিদায় হাওড়া  বন্দি মোন জটিলতায় বদ্ধ জীবন, স্রোতের ধারার মতো বইছে দিনরাত - কিছু স্মৃতি আছে, যা ভোলার নয়, কবিতার দেশে এঁকে যাই, এই চলে আসা পথের ঠিকানা, হ্যাঁ মোন কথা বলে কখনো, যখন আমরা গভীর ঘুমে আছন্ন ।যেখানে গান নেই, ভালোবাসার অভাব, প্রাণ নেই, আশ্রয় ও নেই, তখনি 'mon' বলে বিদায় দাও । নীল আকাশ যা স্থির চিরদিন, তার নিচে শুধু কান্না, শুনছি বারবার । জানি দেহের বাঁদিকে যে  ঘড়িটা চলছে, সেটা অমূল্য । দামি বাড়ি, গাড়ি ও অর্থ যতই হোক, এর কোনো মূল্য নেই, কিন্তু বাঁদিকের ঘড়িটা বড়োই অমূল্য ।

ফাতেমা ইসরাত রেখা

ছবি
বিভ্রান্ত সম্পর্ক  তুমি দূরেই থাকো , দূরত্বেই তোমাকে মানায়  কাছে এলেই সব কেমন এলোমেলো হয়ে যায়,  চেনা পৃথিবীর ওম কি রকম অচেনা লাগে। মনে হয় যেন আমার অস্তিত্ব ক্ষয়ে মিশে গেছে  তোমার বুকের গভীরে মোড়ানো যান্ত্রিক দর্শনে, কুয়াশার ছাপ ফেলে যায় তোমার গমন পথের দু’দিকে। তুমি দূরেই থাকো, যেমন আছো কাছে এলেই জমানো অভিমান দু'চোখে উপচে পড়ে  শান্ত নদীর শীতল জলস্রোত ফুলে ফেঁপে ওঠে। প্রতিটি তরঙ্গ যেন ভরসার প্রতীক হয়ে যায় তোমার স্পর্শে  তোমার লগ্ন মাধুরী জলে ভিজে যায় অপেক্ষার আঁচে সময়ের, নেশা ভরা দৃষ্টির তরঙ্গে কামনার ঊর্মি দোলে ঘোর লাগা বিষাদে  আবছা আলোয় ভিজে যায় মন মহুয়ার বন।  তুমি দূরেই থাকো, যতোটা পারা যায়  আমারও মন ভুলে যাক সম্পর্ক, ভুলে যাক সব সংশয়  দ্বিধা দ্বন্দ্বের মায়া ছেড়ে কষ্টে থাকা সহজ। মিথ্যা প্রবোধ মেনে নিয়ে সমঝোতা কঠিন বরং আরো  মুখোশের আড়ালে মুখ, সত্যের আদলে মিথ্যা অভিনয়ে  তোমাকে ভীষণ মানিয়ে গেছে আজকাল  তুমি বরং দূরেই থাকো, দূরত্বেই তোমাকে মানায়।

জি এম কাউসার আলী, (অষ্ট্রেলিয়া)

ছবি
শূন্যতায় পূর্ণ পৃথিবী নিস্তব্ধ নিরিবিলি শূন্যতায় আছন্ন চতুর্দিক, শূন্যতায় পরিপূর্ণ অপূর্ণ হৃদয় না পাবাদের ভীড়ে, কূয়াশায় নিমগ্ন ধরার এই বেলা ভূমিতে। অতৃপ্ত অন্তর শুধু খুঁজে ফেরে  একরাশ ফুরসাত , কখনও চেয়েছি নিজের মতন করে, পূর্ণতার দলে ভিড়তে সুখের নোঙরে। তৃপ্ততা যে লেখেনি বিধাতা  এই অধমের ভালে! শুধু এঁকে দিয়েছে দুঃখের বলিরেখা  অধমের কপালে।  নয়ন মেলে চেয়ে থাকি,  চাতকের ন্যায় তোমার পানে, কখনও সুখ বৃষ্টি বর্ষন করো  আমার খরাচিত হৃদয়ে।

ওয়াসিম খান

ছবি
সে আসবে বলে   সেই কবে থেকে, সে আসবে বলে , প্রতিটা দুপুর বসে বট তলে থাকি একা একা ।  কোন শুভ দিনে, শুভ মুহূর্তে ,  শত যুগ পর তার সাথে হবে ক্ষণিকের দেখা ।  মন ভাঙে তবু আসলনা তো সে  এ অপেক্ষার হয় নাকো কভু চির অবসান ।  পৃথিবীর বুকে আঁধার নামলে জলে ভরে আখি, করি শুধু মিছে মিছে অভিমান।  নীরবে পাথর কষ্টে কাতর  বলি নাকো কথা কভু কারো সাথে একা একা হাসি । পাগল বলেই লোকে গালি দেয় দেখ যত পারে, আমি চুপ থাকতেই ভালোবাসি ।

তাহসান কামরুজ্জামান

ছবি
তু মি আসলে   তুমি যখন আমার হৃদয়ের চারণভূমিতে পাড়ি জমাও"তখন পুরো পৃথিবী জুড়েই যেন আমার সুখের উল্লাস ছড়িয়ে যায় !  চারিদিকে সব ফেকাসে রংগুলো রঙিন হয়ে উঠে।  যেন নতুন কোনো আকাশের দেখা মেলে"যেখানে শুধুই জমা হয়েছে  ব্যক্তিগত কিছু মনকাড়া বৃষ্টি।  কতোদিন ধরেই তো তোমার হৃদয়ের আকাশে আমার নীল ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে রেখেছি!  যদি তুমি একটু তাকিয়ে দেখো,আমার হৃদয়ের আকাশটা কে, তোমার প্রতিটা পদচারণে দলিত হয়ে উঠে আমার হৃদয়ের মন্দিরে! পুনরাবৃত্তি করতে থাকে তুমি এসেছিলে বলে।  কি এক অদ্ভুত শক্তি দেখেছো?  অদৃশ্য হয়েও ডাকাতে থাকো চুপটি করে হৃদয়ের ইশারা দিয়ে রঙিয়ে দিতে পারো মনের অনুভূতিগুলো।