পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আলোক দাস এর লেখা

ছবি
মানুষ কোথায়    একি খেলা চলছে এখানে, আগেই হোলো স্কুল বন্ধ I  পানসালা সব খোলাই থাক I  শিক্ষার আর দরকার নেই I এখন হচ্ছে এখানে হীরক রাজার দেশ I ট্রেন চলছে ভিড়ে, মাস্ক নেই কারও মুখে I করোনা এখন ঘরে ঘরে I আসছে গঙ্গাসাগর মেলা I বহু লোক আসবে সাগর তীরে I পুন্য স্বান হবে I কতলোক মরবে পাপে I হাসপাতালে ডাক্তার নেই, তাঁরা সব অসুস্থ হোয়ে ঘরে বন্দি I মেরুদন্ড ভাঙতে হোলে শিশুর, শিক্ষায় আঘাত আনো আগে I আসছে আবার ভোট I মিছিল, মিটিং হোক জোর কদমে I আবার সব হবে গড়ে পাশ I সবাই পাবে একশো I আহা কি মজা I পরীক্ষা বালাই সার I রায় ও মার্টিন তো হাতেই আছে I শিক্ষার হোক বিনাশ I ডোমের পরীক্ষা আবার হবে I জীবন হোক ছন্নচ্ছাড়া I সবাই যাবে হাইকোর্ট I ভোট আমাদের চাই I সবাই বোলবে দেবো কোরে পার্ক, দেবো আলো, দেবো লম্বা রাস্তায় গাছ, দেবো পুকুর, তার ওপরে উড়াল পুল I কলকাতা হবেই তিলোত্তমা I করোনা কিছু ই নয় I আমরাই দেবো মাস্ক I ভোট আমাদের চাই I

কবি খালেদা লিপি 'র কবিতা

ছবি
ঘ্রাণ   খালেদা লিপি  অন্ধজন স্বপ্ন দ্যাখে যদিও তার স্বপ্ন ঘুরে ফিরে এক জায়গায় স্থির  দেখতে পাওয়ার স্বপ্ন। বলেছিলো,  পৃথিবীকে দেখতে চাই যাকে ভালোবাসি তাকে দেখতে চাই যে আমার ঔরসজাত তাকে দেখতে চাই। দেখে দেখে সব চিনতে চাই মানুষ চিনতে চাই  ঘ্রাণে আর কতোটা চেনা যায় পৃথিবীর সব কিছু ঘ্রাণে চিনে রাখা যায়? প্রশ্ন শুনে ব্যাকুল হই দেখতে না পারার জন্য এই যে ব্যাকুলতা সেটা খুব ভাবায়।  ভাবি,দেখে দেখে কতোটা চিনেছি মানুষ কতোটা স্বপ্ন হয়েছে পূরণ কতোটা বাকি! বরং পৃথিবীর মানুষের ভয়ংকর রূপ দেখে  থমকে গেছি।  দেখতে পাওয়ার যে ভয়াবহতা হয়তো তা থেকে  বেঁচে গেছে অন্ধজন। দেখেও না চেনার বিষাদী আছন্নতা  ঘিরে রেখেছে জীবনকে সেই জীবনে ঘ্রাণ শুঁকে চিনে রাখার ক্ষমতাকে অসীম মনে হয়।

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
বৃষ্টি সেলিম সেখ জমেছে মেঘ আকাশেতে ঝরে পড়বে বৃষ্টি হয়ে, নদী-নালা ভরবে জলে প্লাবন আনবে লইয়ে। বৃষ্টির ওই ফোঁটা পড়বে যখন নিচে, ভিজাবো মোর দেহখানি আসবে জ্বর মিছে। আকাশ ভরা মেঘ দেখি  হয়েছে যে কালো, উঠেছে ঝড় পুব দিকে নিভেছে তাই আলো। গ্রীষ্মের ওই তপ্ত দুপুরে  আসেনা ঘুম কারও, যদি হতো বৃষ্টিপাত মন চায় ঘুমোতে আরো।  মরুর বুকে যদি হতো এক পশলা বৃষ্টি,  সবুজে  ভরতো সেথা হতো অনেক প্রাণের সৃষ্টি। অনাবৃষ্টির ফলে আজ হচ্ছে অনাবাদী জমি,  এভাবেই চলতে থাকলে বাঁচবে ভূমি কমই।  কোথাও দেখো অতিবৃষ্টি প্লাবন ডেকে আনে,  কোথাও দেখো হয়েছে মরু  অনাবৃষ্টির টানে।  বৃষ্টির পর সতেজ হাওয়া দিয়ে যাই মনে দোলা,  বৃষ্টি শেষে মাটির গন্ধে  প্রাণ থাকতো মোদের খোলা।

কবি মহুয়া চক্রবর্তী 'র কবিতা

ছবি
পরম আত্মীয়  মহুয়া চক্রবর্তী  কে আমার আত্মার আত্মীয় যে কিনা আমার আত্মার সাথে জড়িয়ে আছে সেই  কি আমার পরম আত্মীয়। পৃথিবীর এই গোলক ধাঁধায় দিবারাত্রি ঘুরে চলেছে নতুন সম্পর্কের বাঁধনে। কিন্তু আজও বুঝলাম না কে আমার আত্মার আত্মীয়। নিত্য দেখি চাঁদের হাটে সম্পর্ক গড়ে আর ভাঙে সম্পর্ক যে  আজ নিছকই খেলনা যা কিনা দুই পয়সার মূল্য দিয়ে সাঝের হাটে বেচে আর কেনে। পথে-ঘাটে নিত্যদিন কত সম্পর্ক ঘোরে আশেপাশে, স্বার্থ ফুরালে সব সম্পর্ক গুলো পালায় নিরুদ্দেশে।  যে আমায় এই পৃথিবীর আলো  দেখিয়েছিলে একদিনসেই আমার পরম আপন আমার গর্ভধারিনী মা বাকি সব সম্পর্ক গুলো সব টাই ফাঁকা উপর টাই শুধু চকচকে রঙিন।  একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসে' পিতা মাতা আর যার নাই পিতা-মাতা তার আছে দয়াল বিধাতা।  আরে ও আমার অবুঝ মন এই পৃথিবীতে কেউ নয় তোমার আপন। এক মুঠো ভালোবাসার আশায় অনেকতো ঘুরলে পথে পথে এবার চলো নিজ নিকেতন।

শামীমা আহমেদ/৫০ পর্ব

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৫০) শামীমা আহমেদ   দরজায় কলিংবেল শুনে শায়লা  নিজের ঘর থেকে এগিয়ে এলো। দরজা খুলতে গেলে ডাইনিং এর দেয়াল ঘড়িটাতে তাকিয়ে নেয়া শায়লার বহুদিনের অভ্যাস।কে কোন সময়টাতে  এলো এটা দেখা শায়লার একধরনের ভাবনার খোরাকও বটে!  ঘড়ির কাঁটায় রাত নয়টা।শায়লা দরজা খুললো।রাহাত অফিস থেকে ফিরলো।আজ বেশ দেরি হলো।রাহাত অবশ্য আগেই অফিস থেকে তা জানিয়েছিল।সামনে ওদের অফিসে বোর্ড মিটিং।অনেক পেপারস রেডি করতে হচ্ছে।তাই দেরি হবে।না জানালে মা বেশ অস্থির হয়ে উঠে। রাহাত আর কোন দিকে না তাকিয়েই বলে উঠলো,  আপু, খুব ক্ষুধা পেয়েছে, খাবার দাও। মা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। শায়লা তড়িঘড়ি করে কিচেনের দিকে পা বাড়ালো। দিচ্ছি, হাতমুখ ধুয়ে এসো। রাহাত নিজের রুমে ঢুকতে গিয়ে আবার ফিরে এলো। ওহ! আপু, আজ অনেক ব্যস্ত ছিলাম।তাই শিহাব ভাইয়াকে কল করতে পারিনি।আজ সারাক্ষনই সবাই গ্রুপে কাজ করেছি।একেবারেই ফুসরত মেলেনি।তবে ইনশাআল্লাহ  অবশ্যই  কাল কথা বলবো। শায়লা বেশ আড়ষ্ট হয়ে কথাগুলো শুনছিল।রাহাত যতটা সহজভাবে বলছে মনে হচ্ছে শিহাব ইতিমধ্যে  এই পরিবারের একজন সদস্য হয়ে গেছে।আসলে  শিহাবের সাথে কথা বলে রাহাতেরও খুব ভালো লেগেছে!তা

মমতা রায়চৌধুরী /৮৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮৭ উথাল পাথাল মন মমতা রায়চৌধুরী শিখার গতরাতে উত্তেজনায় ঘুম আসে নি হঠাৎ করে মনটা যেন কেমন উথাল-পাতাল করছে।কেন এমন হলো ?তবে কি মেসেজগুলো তার ভেতরে কোন রেখাপাত করল ।নাকি অন্যকিছু? উদাসী বাউল মনটাকে আবার কি ঘরের দিকেই আবদ্ধ করার জন্য কোনো মন তাকে ডাকছে, সোনার আলোয় ভরিয়ে দেবার জন্য । খুব ভোরবেলায় উঠে পরেছে শিখা। ভোরে উঠে ফ্রেশ হয়ে ঠাকুরঘরে গেছে। ঠাকুর ঘরে প্রেমের ঠাকুর 'রাধামাধব 'এর সামনে 'তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে ,মলিন মর্ম মুছায়ে..।'গান গাইছে একাগ্রচিত্তে। গান শুনে মাধু ,সুরঞ্জন ,বৃষ্টি সকলের ঘুম ভেঙে গেছে ।সকলে হা করে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়িয়েছে। তিন তলার ঠাকুর ঘর থেকে আওয়াজ আসছে।  মাধু সুরঞ্জনকে ধাক্কা দিয়ে বলল 'এই শোনো ,শোনো ।দেখো, শিখা গান গাইছে আবার ।আজ কতদিন পরে ঠাকুর ঘরে ঢুকলো বলো তো।' সুরঞ্জন বলল 'একটা গুড সাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।' মাধু বললো 'অপূর্ব গাইছে গো। ' সুরঞ্জন মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো আর বলল 'বোনটা কার দেখতে হবে তো,?' মাধু  হেসে বলল 'ননদটা  কার দেখতে হবে তো?' বৃষ্টিটা আবার বলল" পি মন