উপন্যাস
টানাপোড়েন ১২১
প্লিজ ভালো থেকো
মমতা রায়চৌধুরী
আজ সকাল সকাল কাজের মাসি
এসেছে ।মাসিকে বলাই ছিল রেখার স্কুলে প্রচুর দায়িত্ব রয়েছে। মাসি কথা রেখেছে। মাসির আজ কয়েকটি বাড়তি কাজ রয়েছে।
তাই মাসি জিজ্ঞেস করছে রেখাকে'বৌমা, বৌমা, ও বৌমা।
তখন রেখা শাড়ি পড়ছে । কুচিগুলো ঠিক করতে করতে সেফটিপিনটা মুখে ধরা অবস্থায় বলছে ' কি মাসি কিছু বলছ?'
দরজার কাছে মসি এসে বললো' হ্যাঁ বৌমা।'
'কি বলছ?'
'উফ বাপরে বাপ কোনরকম করে কুচিগুলো পিনাপ করে পেডিকোটে ঢুকিয়ে দিল। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো 'বলো মাসি ,তাড়াতাড়ি বলো।'
'বাচ্চাগুলোকে কখন কখন খেতে দেব?'
' ওই তো ঠিক ,বারোটা সাড়ে বারোটার মধ্যে দেবে। তারপর ওদিকে সাড়ে তিনটের মধ্যে দেবে খেতে কেমন ।আর তুমিও খাবার খেয়ে নিও।
তোমার কোন অসুবিধা হবে না তো মাসি?'
'না ,বৌমা।'
ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে হাতরে হাতরে দুল খুঁজছে ।আসলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও তাড়াহুড়ো করে রেখে দিচ্ছে।দুলের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার কথা কিন্তু সেখানে তো নেই। কোথায় রেখেছে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না। আমার সেই ঝুমকো কানের দুল টা কোথায় গেল খুঁজে পাচ্ছিনা। আছে এদিক ওদিক কিন্তু এখন কাজের সময় পাবো না আর একটা কথা বলি
,'মাসি অসুবিধে হলে পাশের বাড়ি পার্থকে ডেকে নিও ,বলে দেবে বা আমাদের এই সামনের দোকানে সেন্টুদা ,ঠিক আছে । তাছাড়া চৈতি, চৈতির মা জানে ব্যাপারটা। তোমার কোন অসুবিধা হবে না ।আর কোন অসুবিধা হলে, তুমি সঙ্গে সঙ্গে ওদেরকে বলবে। ওরা ফোন করে
দেবে ,ঠিক আছে ।কোন টেনশন করো না।
ট্রেনের টাইম হয়ে গেছে মাসি আর বেশি বকতে পারবো না। তুমি দরজা লক করে দাও ।ঠিক আছে?'
'ছেলে কখন খাবে?'
থাকবে না বলেই জানি। অফিস যাবে আজকে আজকে আবার কিসের অফিস কে জানে বাবা। যাইহোক যখন বলবে ওকে খেতে দিও আর তুমিও খেয়ে নিও ঠিক আছে ।আসছি ।টা টা।
সঙ্গে সঙ্গেই অটো দেখতে পেল হাতের ইশারায় ওকে দাঁড় করালো।
অটোআলা কাছে এসে বলল 'বসুন দিদি।
আজকে আপনাদের যেতে হবে দিদি?'
মাঝে মাঝে এত বেশি কৌতূহল দেখালে বিরক্তি লাগে তবু রেখা বলল
' তা যেতে হবে না ।তাহলে পূজোর কাজ গুলো কে করবে?'
'ও আচ্ছা ,আচ্ছা দিদি।'
'ট্রেনের টাইম হয়ে গেছে একটু দ্রুত চালাও।
আমিতো দ্রুত চালাচ্ছি দিদি। আমিও তো ট্রেনটা ধরাবো।আসলে আমি ট্রেনের কিছু প্যাসেঞ্জার পাব আমার ই তো লাভ। '
রেখা আর কথা বাড়ায় না।
একা মনে মনে ভাবছে পুরোহিত যদি এসে যায় কি হবে ওদিকে কে জানে। পঞ্চমীদিকে তো বলা আছে ,কটা মেয়ের রাখা আছে, সব জোগাড় যন্ত্র করে রাখতে। সব ভালই ভালই হয় ।তবেই ভালো। বড়দি কত আশা করে দায়িত্ব দিয়েছেন।'
ট্রেনের খবর হচ্ছে ।স্টেশনে নামিয়ে দিল। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে রেখা ছুটল। এই ট্রেন মিস করলে চলবে না।
উফ হাফ লেগে গেল অবশেষে ট্রেন পাওয়া গেল।
ট্রেনে যেতে যেতে মনে পড়ে গেল স্বপ্নিলের কথা আজ ক বছর আগের কথা পাগলের মত চেয়েছিল রেখাকে। সরস্বতী পুজোর দিন স্বপ্নীল ওয়েট করেছিল বাইক নিয়ে।
রেখা বলেছিল তার আসার কোন দরকার নেই কেন শুধু শুধু মিথ্যে মরীচিকার পেছনে ছুটছে। মানুষ তো কোন আশা নিয়েই বাঁচে। স্বপ্নিলের কোন আশাi তো রেখা পূর্ণ করতে পারবে
না ।তাহলে?'
আজ অনেকদিন পর আবার মনে পড়ছে। কেন এতদিন পরে আবার স্বপ্নিলের কথা মনে পড়ছে?কোন ছবি ওর কাছে নেই তবুও মনের হৃদয় আকাশে যে ছবি এঁকে রেখেছে। তাকেই যেন বারবার ছুঁতে ইচ্ছে করছে। পেসেঞ্জার এমন ধাক্কা দিলো রেখাকে ।রেখা তো কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন থামলে ষ্টেশনে নেমে গেল অদ্ভুত ।এইভাবে কেউ ধাক্কা মারে?'
এরপর রেখা জিজ্ঞেস করতে লাগল 'কে ,কোথায় নামবে ।তার মধ্যে একজন বলল'আমি রানাঘাট নামবো।'
', বাবা, তার আগে কি আজকে কোথাও জায়গা পাওয়া যাবে না ।সরস্বতী পূজার দিনেও এত ভিড়?
আর হবেই বা না কেন এটাই তো বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
আরো একজন প্যাসেঞ্জার কে জিজ্ঞেস করল আপনি কোথায় নামবেন দিদি। ও দিদি কোথায়?
ভদ্রমহিলা ট্রেনে উঠে বোধহয় একটা সুখনিদ্রা দিচ্ছিলেন ।তাই রেখার কথা থেকে বিরক্তি প্রকাশ হলো কিন্তু মুখে কিছু বললেন না।
' আমি নামবো পালপাড়া।'
' তাহলে সিটটা আমাকে দেবেন। যেটুকু বসে
যাওয়া যায়।'
তারপরই রেখার ভাবনা চলে যায় অন্য জগতে।
রেখা মনে মনে ভাবলো রাতের আকাশে নিশ্চুপ সাক্ষী আছে ধ্রুবতারা। প্রাণের কাছাকাছি, হৃদয়ের কাছাকাছি যেতে পেরেছিল কি তারা? শুধু সেই জানে মন । হৃদয়ই শুধু জানে।
আর স্বপ্নীল ফিরবে না রেখার কাছে। ভাবতে ভাবতেই পালপাড়া স্টেশনে এসে গেল ।
তিনি বললেন'ও দিদি আপনি বললেন
বসবেন ।জায়গা নিন।'
রেখা কোন রকমে এগিয়ে আসলো তারপর নির্দিষ্ট স্টেশন আসার সঙ্গে সঙ্গেই রেখা উঠে পড়ল।
ট্রেন থেকে নেমে রেখা দ্রুত ওভারব্রিজ অতিক্রম করে টোটো ধরল। তারপর স্কুলের গেটের কাছে এসে নামল । টোটো থেকে নামতেই দেখা গেল পঞ্চমীদি গেটের কাছে দাঁড়িয়ে।
' সব ঠিকঠাক হয়েছে তো?'
' কোন চিন্তা করবেন না । সব ঠিকঠাক করে রেখেছি। শুধু যেটুকু আমরা করতে পারবো না সেইটুকু আপনর জন্য রেখেছি।'
' ওকে, ওকে। চলো ,চলো।'
'মেয়েরা আসেনি।'
'ওদের নিয়েই তো করলাম।'
'খুব টেনশন ছিল।'
' আমাকে যখন দায়িত্ব দিয়েছেন দিয়েছেন, পালন করব ই।'
জানি পঞ্চমীদি শরীর বলেও তো একটা কথা আছে নাকি, বলো?তোমার হাতে তো সব কিছু নেই।'
পঞ্চমী একটু হাসল। হেসে বলল 'চলুন ,চলুন কিছু বাকি আছে ।দেখে নিন।'
রেখা সবকিছু দেখে নিতে নিতেই পুরোহিত মশাই এসে গেলেন ।পুজো হল ।পুজোর পর কয়েকজন সিনিয়র টিচার আসলেন ।তাদের সাথে কথা বলা হলো ।
স্নিগ্ধাদি বললেন'পুজো হয়ে গেল রেখা?
ভেবেছিলাম অঞ্জলি দেব।
রেখা জিভ কেটে বললো এ বাবা দিদি আমাকে যদি একবার ফোনটা করতেন তাহলে ঠাকুর মশাইকে একটু ওয়েট করতে বলতাম।'
হ্যাঁ কি আর করা যাবে।
আসুন তো ভেতরে আসুন তো দিদি প্রসাদ নিন।
পঞ্চমী সব গুছিয়ে গেছে?
হ্যাঁ দিদি। এইতো মেয়েরাও এসে গেছে।
এই তোরা আয় প্রসাদ নিবি আয়।
দিদি চলুন স্টাফ রুমে চলুন।
মেয়েদের প্রসাদ বিতরণ করে একটু স্টাফ রুমে গিয়ে বসল এর মধ্যেই ফোন বেজে উঠল।
ব্যস্ত থাকার দরুন ফোনটা রিসিভ করতে পারেনি
এবার ব্যাগ টা খুলে ফোনটা বের করতে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে পঞ্চমী দি এসে বলল 'ও দিদি ,ফোন টোন পরে ঘাটবেন। আগে একটু প্রসাদ । তারপর জল খান।
'আমি কেন একা খাব? দিদিরা এসেছেন উনাদেরকে দাও ।আর তোমার প্রসাদ টুকুও
নাও ।
সব মেয়েরা পেয়েছে!
হ্যাঁ , যারা এসেছিল,সবাইকে দিয়েছি ।আরেকটু প্রসাদ দিদিমনিদের জন্য তুলে রাখলাম ।'
'ভালো করেছো?
জোগারের বাসনপত্রগুলো ধুয়ে নি। আবার সন্ধ্যেবেলায় জোগাড় আছে তো?'
'যাও তুমি তোমার কাজগুলো সেরে নাও। এর মধ্যে কোন সিনিয়ার দিদি এসে গেলে আমি দিয়ে দেব।'
স্নিগ্ধা দি বললেন'রেখা আসছি। এবার রিম্পা কে দেখতে পেলাম না।'
'এ বাবা ,দিদি। জানেন না রিম্পাদি তো টান্সফার হয়ে গেছে।'
অবাক হয়ে বললেন' ওমা কবে? সেকি গো?'
এইতো কিছুদিন আগে।
ও বাড়ির কাছে হলো বুঝি?
হ্যাঁ দিদি।
কবে শুনবো তুমিও চলে গেছো।
তুমি চলে গেলে স্কুল টা একটু অন্যরকম হবে এই যে সব অনুষ্ঠানে থাকো আমাদের এত আপ্যায়ন করো।
না দিদি ,কারোর জন্যই কোনো কিছু ঠেকে থাকে না ।ঠিক চলে যাবে। দেখবেন।'
জানি রেখা কিন্তু আজকাল কৃত্রিমতায় মোড়া আন্তরিকতায় বড্ড বড় অভাব।
'ঠিক আছে রেখা ।আসছি। খুব ভালো
লাগলো ।ভালো থেকো।'
'হ্যাঁ, দিদি, ভালো থাকবেন আর এইভাবে স্কুলের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। আসবেন ।বিদ্যালয়ের পাশে থাকবেন।'
এরপর রেখা ফোনটা ঘেটে দেখতে লাগল, বাড়ি থেকে কোন ফোন এসেছে কিনা?
' না ,কোন ফোন আসেনি। তাহলে মাসি ঠিকঠাক সামলাতে পারছে ,কোন অসুবিধা হয়নি
একটু সন্ধিগ্ধ চিত্তে' তাহলে ফোনটা করলো কে?একটা আননোন নম্বর থেকে ফোন
এসেছে ।বেশ কয়েকবার মিসকল
হয়েছে ।ফোনটা করবে ,কি করবে না ?এই দোটানায় পড়েছে রেখা।
ভাবতে ভাবতেই ফোন নম্বরটা ডায়াল
করলো । ফোন টা বাজতে শুরু করেছে।
বুকের ভেতরে টিপটিপ করছে কে ফোন ধরবে কে জানে বাবা।
অপরপ্রান্ত থেকে কন্ঠ ভেসে আসলঃ
"হ্যালো
'বলছি এই নম্বর থেকে আমার ফোনে ফোন এসেছিল ।তাই আমি ফোনটা করলাম।
'কে বলছেন?'
তার আগে আপনি বলুন কে বলছেন?'
গলাটা একটু চেনা চেনা লাগছে।
তাহলে তো আপনি ধরেই ফেলেছেন।
ঠিকই ধরেছেন ।বলুন তো কে ?
' ওই তো সিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক।
'কোথায় আছেন স্কুলে?'
হ্যাঁ, আর সরস্বতী পুজো ,স্কুলে তো থাকতেই হবে?
কিছু বলবেন?
না ,না। ঠিক আছে ।আমি এমনি ফোন করেছিলাম।
ও আচ্ছা।
একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
'ও শিওর, বলুন।'
আপনার কোন ফুল পছন্দ?
রেখা ভেতরে একটা অদম্য কৌতূহল সৃষ্টি হলো হঠাৎ ফুলের কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন আপন মনে ভাবল।
কি ম্যাডাম উত্তর দিচ্ছেন না।
সাধারণত যে ফুল পছন্দ আমারও সেই ফুল পছন্দ।
ম্যাক্সিমামই তো বলে গোলাপ।
রেখা হো , হো, হো,করে হাসতে লাগলো।
হাসলে হবে না ম্যাডাম বলুন না ,দরকার আছে।
স্বর্ণচাঁপা।
'এটাই জানার ছিল।
তারপর বললেন ঠিক আছে ম্যাডাম রাখছি আপনি পুজো ভাল করে কাটান।'
স্বর্ণচাঁপার প্রসঙ্গে রেখার মন চলে গেল বর্ষার সেই দিনগুলোতে বর্ষায় কি করে এই স্বর্ণচাঁপা ফুল গুলোকে স্বপ্নীল তার জন্য নৈবেদ্য সাজিয়েছিল খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল রেখা এগুলো কোথায় পেলে তাতে স্বপ্নীল বলেছিল তুমি খুশি হয়েছো একরাশ মুগ্ধতা আর চোখে মুখে সেই প্রশ্ন বুঝিয়ে দিয়েছিল সে কতটা খুশি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিল যে অনেকক্ষণ সে কথা বলতে ভুলে গেছিল সে ভেবেছিল কোথা থেকে ফুলগুলো তার জন্য এনেছে সে ?সে পরম আদরে আদরে চাপা ফুলগুলোকে তার মুঠোয় ভরে নিয়ে গভীরভাবে তার ঘ্রাণ নিতে থাকলো সেই সুগন্ধ যেন তার হৃদয়ের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পরলো। আবার রেখা মৃদু স্বরে বলেছিল 'এত সুন্দর উপহার সে কখনো জীবনে পায়নি।'
কেন বারবার এই সম্পাদকের কথায় পুরনো দিনগুলো স্মৃতিতে ভিড় করে ফিরে আসে। আবার যেন তার মনে হলো কেউ যেন তার বসন্তের দরজায় নতুন করে নাড়া দিচ্ছে কিন্তু কে তার ছবিও তো কখনো সে দেখেনি অনেক কথাতে মিল খুঁজে পায়।
মনে পড়ে সেই গান 'কেন এতদিন পরে আজ তোমায় মনে পড়ে।
আমি কাঁদি নতুন করে সে তোমার ছবি ধরে।
আমার লাগছে যে অসহায় ... আমার হয়না ছোঁয়া তোমায় স্বপ্ন কেনার দরে।'
সত্যি তাই একবার সরস্বতী পুজোর সময় না জানিয়ে কেমন স্কুল গেটে এসে দাঁড়িয়েছিল স্কুল থেকে বেরোনোর সময় হঠাৎ করে তার বাইক এসে সামনে দাঁড়ায় কেমন হকচকিয়ে গেছিল রেখায় দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে যখন বলেছিল কেন তুমি এখানে এসেছ ,,?তখন স্বপ্নীল বলেছিল আর যদি তুমি আমার বাইকে না যাও তাহলে কিন্তু আমি এখানে দাঁড়িয়ে
থাকবো ?বাধ্য হয়ে রেখাকে বাইকে চাপতে হয়েছিল ।সেদিনের সেই যাত্রাপথ কতটা সুন্দর ছিল। একমাত্র রেখাই জানে আর স্বপ্নীল
জানে ।সেখানে ছিল না কোনো মলিনতা। একরাশ বিশ্বাস,.....।
শুধু এখন ভেবে কষ্ট লাগে জানি তুমি আর ফিরবে না ।নিভে যাওয়া দ্বীপ আর জ্বালবে না শুধু প্রতি নিঃশ্বাসে কষ্ট আমি না হয় আমার মত থাকলাম ।শুধু নিজে ভালো থেকো ।অনেক ভালো থেকো আর নিজের খেয়াল রেখো ।প্লিজ নিজের খেয়াল রেখো।'