পোস্টগুলি

মার্চ ৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১২১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২১ প্লিজ ভালো থেকো মমতা রায়চৌধুরী আজ সকাল সকাল কাজের মাসি  এসেছে ।মাসিকে বলাই ছিল রেখার স্কুলে প্রচুর দায়িত্ব রয়েছে। মাসি কথা রেখেছে। মাসির আজ কয়েকটি বাড়তি কাজ রয়েছে।  তাই মাসি জিজ্ঞেস করছে রেখাকে'বৌমা, বৌমা, ও বৌমা। তখন রেখা শাড়ি পড়ছে । কুচিগুলো ঠিক করতে করতে সেফটিপিনটা মুখে ধরা অবস্থায় বলছে  ' কি মাসি কিছু বলছ?' দরজার কাছে  মসি এসে বললো' হ্যাঁ বৌমা।' 'কি বলছ?' 'উফ বাপরে বাপ কোনরকম করে কুচিগুলো পিনাপ করে পেডিকোটে ঢুকিয়ে দিল। তারপর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো 'বলো মাসি ,তাড়াতাড়ি বলো।' 'বাচ্চাগুলোকে কখন কখন খেতে দেব?' ' ওই তো ঠিক ,বারোটা সাড়ে বারোটার মধ্যে দেবে। তারপর ওদিকে সাড়ে তিনটের মধ্যে দেবে খেতে কেমন ।আর তুমিও খাবার খেয়ে নিও। তোমার কোন অসুবিধা হবে না তো মাসি?' 'না ,বৌমা।' ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে হাতরে হাতরে দুল খুঁজছে ।আসলে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও তাড়াহুড়ো করে রেখে দিচ্ছে।দুলের একটা নির্দিষ্ট জায়গায়  রাখার কথা কিন্তু সেখানে তো নেই। কোথায় রেখেছে সেটা বুঝে উঠতে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক পর্ব ১২০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১২০ অনুসন্ধিৎসু মমতা রায়চৌধুরী। উফ কাজের চাপে আর মাথা তুলতে পারছে না রেখা ।স্কুলের কাজগুলো বাড়ি বয়ে  নিয়ে চলে এসেছে। না এনেই বা কি করবে? প্যানডেমিক সিচুয়েশনে তো মেয়ের সংখ্যা বেশি নেই,  যদিও স্কুল টা খুলে দিয়েছে  ।ম্যাগাজিনের প্রকাশের গুরু দায়িত্ব তার ওপর পড়েছে । সময় বেশী নেই তাই লেখাগুলো কারেকশন করতে  এবার দিদিমণিদের হাত লাগাতে হচ্ছে ,সেগুলিকে ফ্রেশ করে লেখার জন্য। তারপর চারিদিকে কাটিং এর কাজ আছে ,কাটিং এর কাজ করতো রিম্পা দি,  তার তুলনা নেই।  খুব মিস করছে। তবে অনুরাধাদির হাতের লেখা খুব ভালো। অনুরাধাদি বলেছেন " চিন্তা ক'রো না  তুমি কিছুটা লেখ তারপর আমাকে দিও ।আমি করে দেব।' এরপর বিদ্যালয় সাজানো। নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। শরীরটাও বেশি ভালো যাচ্ছে না । ভালো থাকলে এরকম কষ্ট হয়না। এরমধ্যে বাচ্চাগুলো আবার অসুস্থ হয়েছে।  পারা যায়? না গিয়ে দেখি ,কিছু খায় কিনা? এতক্ষণ ঘাড় গুঁজে লেখাগুলোকে কারেকশন করা  হলো । মাথাটা তুলে একবার দরজার দিকে তাকিয়ে ভাবল 'আজকে তো চেঁচাল না ।'দেখি তো কি করছে ? রেখা বাচ্চাগুলোর কাছে গেল ।কাছে গিয়ে ওদের  টেনে টেনে ত

কবি সানি সরকার এর কবিতা "খাঁচার বাইরেটা যেমন"

ছবি
খাঁচার বাইরেটা যেমন সানি সরকার স্বপ্নে এত গোলাপ ফুটেছে বাগানে  ওই শীতের গোলাপ  খাঁচার বাইরেটায় এত হাসি, আনন্দ...  মায়া-ডাক এমনি, ঘূর্ণির মতন  ভেতরে তোলপাড়...  কিন্তু ঘুর্ণির সময়কাল নির্দিষ্ট  সূর্যের থেকে প্রকৃত আলো  আর কিছু নেই,লক্ষ্য করো  ঈশ্বর হাসছেন,একইভাবে সর্বত্র 

মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা

ছবি
রীতি মোঃ ইসমাঈল   আহা কতই না সুন্দর দেখতে ফুল চোখ আসে জুড়িয়ে হয়ে যায় ব্যাকুল।  যখনই নাকে আসে ফুলের ঘ্রাণ পরম শান্তিতে জুড়ায় এ মন ও প্রাণ।  মৌমাছিরা ফুল থেকে করে মধু আহরণ তোমারই মনের গহিনে আমি করিবো বিচরণ। ফুল ফুটে বসন্তের ঋতুতে আমি হারিয়ে যাবো কেবল শুধু তোমাতে। ফুল ফুটে ফল ধরিয়ে যায় সে ঝড়ে মানুষ অভিনয়ের মাঝে যায় যে মরে। অবশেষে হয়ে যায় ফুলের ইতি অপরদিকে মানুষের বেঁচে থাকে শুধুই স্মৃতি।

এম এ শোয়েব দুলাল এর কবিতা

ছবি
নদীও ভালোবাসা এম এ শোয়েব দুলাল নদীকে ভালোবেসে নদীর কাছে এসো নদীর মতো আপন করে আমাকে ভালোবাসো। নদীর জলে দেখবো শুধু উতাল পাতাল ঢেউ তুমি থাকবে আমি থাকবো থাকবে না আর কেউ। হেসে হেসে কথা বলে হবো দিশেহারা আমাদের দেখে হাসবে শুধু আকাশের তারা। কথা গুলো গুছিয়ে রাখো সময়ের জালে তোমার আমার ভালোবাসা হবে মহাকালে।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ( ১৫ তম পর্ব )  মনি জামান রাত্রি শেষে ভোরের আলো ফুটলো ফজরের আযান ধ্বনিতে মুখর চারিদিক,মোমেনা বেগম ভোরে পাড়ার লোকজন ডাকলো তার আর যেন তর সইছে না,চারি দিক যত ফর্সা হচ্ছে ততো দলে দলে পাড়ার সবাই হাজির হচ্ছে মোমেনা বেগমের বাড়ি মনে হয় আজ কোন মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। আজ দুশ্চরিত্রা আসমার বিচার হবে মানুষের ভিতর উৎসাহের কমতি নেই,সবাই এসে হাজির হয়েছে,ঘর থেকে আসমাকে বের করে আনা হলো,পাড়ার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা এসে সবাই উপস্তিত হলো,আসমা এক পাশে মুখ নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মোমেনা বেগম বললেন,আপনরা সবাই উপস্তিত আছেন এই মেয়ে আমার বংশে চুনকালি মাখিয়েছে,আজ বিচার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম আপনাদের মতামত বলুন কি শাস্তি দেওয়া যায়। আসমা যে অপরাধ করেছে সে নিয়ে এক জন মন্তব্য করলো যেহেতু আসমা চরিত্রহীন খারাপ একটা বাজে মেয়ে,সে হাতে নাতে ধরা পড়েছে তাই তার শাস্তি হওয়া উচিত তার শাস্তি হোক মুখে চুন কালি মাখিয়ে এ গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া। কেউ বলছে এমন বিচার হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন অপরাধ এই গ্রামে আর না করে,কেউ বলছে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরানো হোক।আসমা জানে আজ তার কথা কেউ