১৬ মার্চ ২০২২

কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এর কবিতা




ফুল না ফুটলে কিসের বসন্ত
রেজাউদ্দিন স্টালিন 

ফুল না ফুটলে কিসের বসন্ত 
ফুল ফুটবে
স্তব্ধতার পাতায় দুলবে  সবুজ হাওয়া
কবির অবাধ্য অক্ষরে দিগ্বিদিকের পাল
কোকিল না ডাকলে কিসের বসন্ত
প্রতীক্ষার প্রাণে সাদা মেঘের গুঞ্জন 
হলুদ রাত্রি ফেটে পড়বে পৃথিবীর মুখের ওপর 
নদী এবং সমুদ্র কথা বলবে কানে কানে
চিরবন্ধ্যা জমির ফাটলে জন্ম হবে চাঁদের 
নগরে বন্দরে স্বপ্ন ফেরি করবে মৌমাছিরা
যুদ্ধরত সন্তানের জন্য মায়ের অপ্রতিহত আশীর্বাদ 
তিতুমীরদের প্রতিরোধ যাত্রা শ্বেত শহরে
বিরহে শেয়ার বাজার আর তার ডলার কন্যারা কাঁদুক
ক্রিকেটের কোলাহল আটকে থাক
মোরগবেলায়

পাঠশালার বেঞ্চে কৃষ্ণচূড়া না ফুটলে
কিসের বসন্ত
শিশুর চোখে আত্মাহুতি দিক
বোমারু বিমান

অমঙ্গলের বিপরীতে  প্রতিটি প্রার্থনা সুন্দর 
হত্যার বিরুদ্ধে সব  আর্তনাদ  কবিতা

আগুনের ফুল না ফুটলে  কিসের বসন্ত

কবি সালাম তাসির এর কবিতা




ভাটফুল ভোরের সৌন্দর্য
সালাম তাসির

একদিন সন্ধ্যায় ভাটফুল সৌন্দর্যের কাছে
তোমাকে বড় অসহায় মনে হলো
অথচ প্রতি রাতে তুমি গোলাপ হয়ে ফোটো।
গোয়ালন্দ ঘাট, রাত গভীর হলে অপেক্ষা দীর্ঘ হয় ;
জলচৌকিতে ঘুমিয়ে থাকা মোহন কুলির স্বজন হারানোর বেদনা তোমাকে সঙ্গ দেয়।
গোয়ালন্দ হাট,ভ্যাজাইলার মিষ্টির দোকান খুব ডাকে
কবি আউয়াল আনোয়ারের সান্নিধ্য  অমৃত হয়ে ওঠে।
হঠাৎ পদ্মার জলে ভেসে ওঠা শতবর্ষী ষ্টিমার, সার্স লাইটের আলোয় তিন নম্বর ঘাট দৃশ্যমান হলে
পাটুরিয়া থেকে উড়ে আসা একটা নীল প্রজাপতি তোমার আঙ্গুল ছুঁয়ে রাতের নীলিমায় 
অদৃশ্য হয়ে যায়। 
অপেক্ষা আরো দীর্ঘ হলে
দূরের মসজিদ থেকে ভেসে আসে ভোরের আযান, টিনপট্টির মন্দিরে বেজে ওঠে কাসর ঘন্টা
পূজারীর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়
ওঁম শান্তি, ওঁম শান্তির প্রার্থনা বাণী। 

ট্রেন ছুটে চলে বিরতিহীন, হার্ডিঞ্জব্রীজ নিকটবর্তী হয় ; শব্দের ঘ্রাণে বড় হয় সজনে ফুল
তোমার অপলক দৃষ্টিতে সবুজ হয় ধানক্ষেত
পাখিরা ডানা মেলে রোদ পোড়া বাতাসে।

আজও ট্রেনের সেই হুইসেল বাজে
জেগে ওঠে শহর, ঘুমন্ত ষ্টেশন
বড় বাবুর ইশারায় সেই পুরনো বাঁশির সুর
কানের গলিপথে হাজার মানুষের স্বস্তির নিঃশ্বাস।  
চায়ের কাপে  টুং টাং শব্দ,হকারের হাকডাক;
আমার চেয়ে থাকা দূরের মাঠ,ঘাসফুল সৌন্দর্য; নীলাকাশ নক্ষত্রের দেশ খুব আপন মনে হয়।
অথচ তুমি হাত বাড়ালেই মাধবীলতা ; পা বাড়ালেই পূর্ণশশী ; চোখ মেললেই জোছনা প্রহর।
আমার ঘুমশয্যায় এখনো ভাটফুল ভোর
ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখা ইচ্ছেগুলো 
রোজ রাতে গোলাপ হয়ে ফোটে
যেভাবে  ফুটে থাকো তুমি চিরচেনা সৌরভে।

শামীমা আহমেদর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৯




ধারাবাহিক উপন্যাস


শায়লা শিহাব কথন 
অলিখিত শর্ত (পর্ব ৬৯)
শামীমা আহমেদ 

শায়লাকে সাথে নিয়ে শিহাব লিফটের দিকে এগিয়ে গেলো। পেছন থেকে কেয়ারটেকার বেলাল দৌড়ে এলো। সার, সার,বাসার চাবিটা নিয়া যান। শিহাবের একেবারেই মনে ছিল না বেলালের কাছে যে বাসার চাবি দেয়া থাকে। শিহাব হাতে চাবি নিয়ে শায়লাসহ  লিফটে উঠে গেলো। নাম্বার ফোর বাটনে প্রেস করতেই লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে গেলো।শায়লার হাতে  বিশাল  একটা ফুলের বুকে আর শিহাবের জন্য আনা উপহারের ব্যাগটি। শায়লার ইচ্ছে বাসায় গিয়ে শিহাবকে তার আনা উপহারটি দিবে। শায়লার দিকে চোখ পড়তেই দুজনেই হেসে উঠলো।দুজনের চোখেমুখে  বিশ্বজয়ের আনন্দের উচ্ছ্বাস! শিহাবের ফ্ল্যাট বাড়িটির টপ ফ্লোরে। লিফট থামতেই দুজন বেরিয়ে এলো। শিহাব লক খুলে দরজা পুরোটা খুলে দিয়ে শায়লাকে আগে ঢুকবার জন্য হাত বাড়িয়ে  দিলো।শায়লা কিছুটা দ্বিধা, কিছুটা শঙ্কা ,কিছুটা আনন্দ আবার কিছুটা কৌতুহল  নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলো। ড্রয়িং রুমের সোফায় শায়লাকে বসতে বলে শিহাব দরজা বন্ধ করলো। শায়লা  বড় সোফাটির এক কোণে বসে ফুলের বুকেটি সেন্টার টেবিলে রাখলো।শায়লার ভেতরের আড়ষ্টতা এখনো কাটেনি।সে চারপাশে তাকিয়ে ঘরটি
দেখতে লাগল।বেশ ছিমছাম এক সেট বেতের সোফায় ঘরটি সাজানো। দেয়ালের এপাশ 
ওপাশ জুড়ে জানালায় খুব সুন্দর হালকা নীলাভ রঙের পর্দায় মনে হচ্ছে এক টুকরো আকাশ! সোফার সেটের সাথে মিল রেখে বেতের একটা বেশ লম্বাটে কর্ণার ল্যাম্প।শিহাব বড় সোফার আরেকপাশে বসলো। দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে একটি মিষ্টি হাসির বিনিময় হলো।
শিহাব বললো,
 কালো শাড়ি আর খোলা চুলে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে শায়লা। আর কপালের ছোট্ট টিপটায় আছে আহবান!
আহবান ? কিসের আহবান? 
 শিহাব হেসে উঠলো, আর কথা অন্যদিকে নিয়ে বললো,জানো? এখানে খুব একটা বসা হয় না। ড্রইং রুমে অতিথির আলাপচারিতা  বা আড্ডার আয়োজন হলে ভাল হয় কিন্তু আমার এখানে  সেভাবে কোন অতিথি আসেনা  বা আড্ডা দেয়া হয় না। আজ তুমিই আমার প্রথম অতিথি হয়ে এলে।
কারন, তুমিই যে আমার প্রথম সকাল, একাকী বিকেল,ক্লান্ত দুপুর বেলা।
হু,এটা আমার খুব প্রিয় একটা গান।
হ্যাঁ,এই একটা গানেই যেন ভালবাসার সবটুকু অনুভুতি প্রকাশ করে দেয়। 
 শিহাবের কথাবলার ভঙ্গিতে শায়লার কান্না পেলো ভীষণ। সে বুঝলো,একাকীত্ব মানুষের জীবনে একটি ভীষণ ক্ষত।যা থেকে প্রতিনিয়ত কেবলি রক্ত ঝরে।
তখনো শায়লা হাতে সেই ব্যাগটি নিয়ে আছে।খেয়াল হতেই বললো,শিহাব তুমি চায়ের আমন্ত্রণ দিয়েছো তাই আমি দুটো চায়ের মগ নিয়ে এলাম। তোমার জন্য উপহার।শায়লা ব্যাগটি খুলে মগ দুটো বের করলো।চমৎকার দুটো মগ! একই ধরনের দুটি মগ দুই রঙের হলেও  দুটোতেই একই ছবি অংকিত।একজনের হাতের উপর আরেকটি হাত রাখা। শায়লা বললো, আমাদের দুজনের জন্য।শিহাব ভালবাসার এক গভীর দৃষ্টিতে শায়লার দিকে তাকালো। শায়লা চোখের ভাষা বুঝে নিতে শিহাবের কোন বেগ পেতে হলো না। নীরবতা ভেঙে শিহাব বললো, আজ তবে কফি হয়ে যাক! শায়লা চলো ভেতরের  রুমে যাই। শায়লা সোফা থাকে উঠে  দাঁড়ালো। শিহাব এগিয়ে যেতেই শায়লা পিছু পায়ে এগিয়ে গেলো।
শিহাব বেডরুমে ঢুকে শায়লাকে জানালো এটা দুই বেডরুমের বাসা।আমি একা মানুষ একটিতে থাকছি আরেকটি রুম খালি পরে আছে। শিহাব এবার শায়লার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেলো। শায়লা দেখলো বেশ চমৎকার একটি ব্যালকনি! টবে নানান জাতের  ফুলের  গাছ। কোন কোনটিতে ফুল ফুটে আছে আবার কিছু গাছে শুধুই রঙিন পাতার বাহার। নীচ থেকে উঠে আসা একটা বিশাল আমগাছের ডালপালায় বারান্দাটায় একটা ছায়া ছায়া পরিবেশ। পড়ন্ত বেলায় পাখিদের ছুটোছুটি। যেন দিনের কর্মক্লান্তি সেরে ঘরে ফেরার তাড়া। দুজনেই নীরব হয়ে দেখছিল আর সময়টিকে গভীরভাবে অনুভবে নিচ্ছিল। শিহাব শায়লার খুব কাছে এসে দাঁড়ালো।  ডান হাত দিয়ে বেড়িয়ে ধরতেই শায়লা তার কাঁধে মাথা রাখলো।শায়লার ভেতরে কোথায় যেন জলপ্রপাতের জলধারার পতন। আর শিহাব যেন সেই জল পতনের শব্দ শুনতে পাচ্ছিল অন্তরের গভীরে। কিছুটাক্ষণ  দুজনের মাঝে দুজনার  আস্থা বিশ্বাস আর ভালবাসার বিনিময়ে সম্পর্কের দৃঢ়তায় আরো ঘনিষ্ঠ হলো। পাশেই শায়লার চোখ পড়লো, বারান্দায় দুইটি চেয়ার পাতা আর সামনের টেবিলে সিগারেটের ফিল্টার বোঝাই এস্ট্রে! 
শিহাবের প্রতি শায়লার জিজ্ঞাসু চোখে প্রশ্ন?
শিহাব জানালো,সেদিন সারাটা বিকেল, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে বসে বসে তোমাকে নিয়ে কতইনা স্বপ্নের কথা ভেবে ভেবে এস্ট্রে ফুল করেছি।আর সেদিন রাতেই তোমার কানাডার খবরটি শুনে আমি স্থির থাকতে পারিনি।তাইতো সকাল হতেই চলে গিয়েছিলাম তোমাকে দেখতে। 
হঠাৎই শিহাবের খেয়াল হলো, আচ্ছা আমি তোমাকে অতিথি করে এনে এমন করে শুধু কথাই বলে যাচ্ছি। শায়লা চলো আমার কিচেনে।তোমাকে দেখাই আমার গৃহিণীবিহীন  কিচেন যেখানে আমিই শেফ আবার  আমিই কনজিউমার।বলেই শিহাব হা হা করে হেসে উঠলো।
শিহাব শায়লাকে তার কিচেনে নিয়ে গেলো।বেশ চকচকে ঝকঝকে কিচেন। দেশি বিদেশি কুকিং ম্যাটেরিয়ালে রান্নাঘর সাজানো। চারদিকে কিচেন ক্যাবিনেটগুলো 
খুব সুন্দর রঙের কাঠের তৈরি। বিদেশি বার্নার উপরে কিচেন হুড তারো উপরে একজস্ট ফ্যান।বলা যায় আধুনিক ঘরনার কিচেন।শায়লা দেখলো মেরুন রঙের কোটিং এ একটা মাঝারি মাপের ফ্রিজ! বাহ! বেশতো!
শায়লার মনটা কেমন যেন করে উঠলো। সে বুঝতে পারছে না মানুষকি কখনো তার ভবিষ্যৎ  দেখতে পায়? নাকি যা কখনো হবার নয় তা ঘটিয়ে মায়া বাড়িয়ে যায়!
শিহাবের সবকিছুকেই শায়লার খুব আপন মনে হচ্ছে।সে বুঝতে পারে না এমনই যদি হবে সবকিছু, তবে কেন ভাগ্য তার অন্যভাবে লেখা হলো? কেন নিয়তির এই বিপরীতমুখী অবস্থান? শায়লা তার মনের এই প্রশ্নগুলো খুঁজতে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে বিকেলের লালচে আকাশটায় তাকিয়ে রইল।
শায়লার মনের ভাবনা তার মুখে বিষন্নতার ছাপ এনে দিলো। শিহাব সেদিকটায় একেবারেই খেয়াল করেনি ।সে  একা একাই বলে চলছে,শায়লা আজ চা নয়, তোমার আগমনে আজ স্পেশাল কিছু হবে, আজ এক্সপ্রেসো কফি হবে! শিহাব কফি মেকার অন করেছে পানি গরম হতে, সাথে কফি পাউডার আর কফি মেট থেকে ক্রীম মিল্ক পাউডার আর সামান্য চিনি দিয়ে সুইচ অন করতেই মিক্সিং শুরু হলো।শিহাব একপার্ট প্রফেশনালের মত কাজগুলো গুছিয়ে করলো।
খুব সহজভাবেই শায়লাকে বললো,শায়লা তোমার মগগুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে! দারুন হলো।আজই নতুন মগ উদ্বোধন হয়ে যাক। এই ট্রেতে করে মগ দুটি আর  আমার আনা নাস্তাগুলো নিয়ে  বারান্দায় চলে যাও, আমি কফি জগ নিয়ে আসছি।শায়লা সব গুছিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলো।
শিহাব কফি জগ নিয়ে বারান্দায় এলো।জগ থেকে একেবারে ফেনা তোলা ঘন কফি মগে ঢেলে দিলো। শায়লা একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বললো,আহ! ঘ্রাণে তো পাগল হয়ে যাচ্ছি।তুমি এত সুন্দর কফি বানাতে পারো?
শিহাবের যেন সেটা নিশ্চিত হতেই বললো, আগে খেয়েই দেখো তারপর বলো।শায়লা বললো, আমি দেখেই বুঝে নিয়েছি খেতে দারুন হবে! শায়লার কথায় শিহাবের মনে দুষ্টুমি খেলে গেলো! সে শায়লাকে বললো,
তাই,তবে কি আমাকে দেখেই  ঠিক এমনি বুঝে গিয়েছিলে? 
শায়লা খুব বুঝতে পারছে, শিহাব কি বলতে চাচ্ছে। শায়লা খুব দ্রুতই তার  উত্তর দিলো,শিহাব তোমায় দেখে ভালো লেগেছে এটা সত্যি কিন্তু তার সাথে যখন দেখেছে একজন নারীর প্রতি তোমার সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ, দেখেছি পরিমিত আচরণ আর নির্লোভ সম্পর্কের এগিয়ে যাওয়া সেটাতেই তোমাকে আমি খুব বেশি করে চিনেছি।
শায়লার কথায় শিহাবের হাতের কাজ থেমে গেলো,সে বুঝে উঠতে পারেনি শায়লা কথাটি 
এত সিরিয়াসলি নিবে।শায়লাকে সহজ কর‍তে শিহাব ওর পাশে বসে  শায়লার হাতটি
ধরে বললো,আমি এভাবে বলিনি শায়লা।তুমি,আর আমার প্রতি তোমার ভালবাসার গভীরতা আমার মনকে ভীষণভাবে ছুয়ে গেছে।এনেছে আস্থা আর ভরসা।
শিহাব দেখলো শায়লা বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছে।সে এখন দোটানায় আছে,একদিকে শিহাব আরেকদিকে  নোমান সাহেবের সাথে আইনের সম্পর্কে বন্দী।শায়লার ভেতরে কি চলছে শিহাব সেটা ভালো করেই বুঝে।
পরিবেশ ভারী হয়ে উঠলো। তাইতো শায়লাকে শিহাব বললো,কই,আমার কফি মগটা এগিয়ে দাও! আমার কতদিনের ইচ্ছে তুমি আমাকে কফি মগ এগিয়ে দিবে।
শায়লা শিহাবকে কফি মগ এগিয়ে দিতেই শিহাব শায়লাকেও  তার মগটি এগিয়ে দিলো।শিহাব নাস্তার প্লেট এগিয়ে দিলো।দুজনেই কফিতে চুমুক বসালো।
শিহাব জানতে চাইলো, কেমন?
শায়লা বললো চমৎকার! 
হঠাৎ শিহাব হেসে উঠলো!  
কি হলো?
শায়লা তোমার ঠোঁটের চারপাশে কফির ফোমগুলো লেগে আছে। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে! যেন সাগর পাড়ের ফেনিল জলরাশি ঘিরে আছে।
শিহাবের কথায় শায়লা একেবারে অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। শায়লাকে আর কিছু ভাবতে না দিয়েই শিহাব  শায়লার ঠোঁটে  ঠোঁট বসিয়ে এক  গাঢ় চুম্বনে শায়লার ঠোঁটে লেগে থাকা ফোমগুলো মুছে নিলো। শায়লা  চোখ বন্ধ করে শিহাবের শার্ট খামচে ধরলো। সামনের আমগাছটিতে ক্রমশই পাখির কিচিরমিচির
 কমে আসছিল।বিকেলের আলোর ফিকে হয়ে যাওয়া সন্ধ্যায় দুজনের প্রশ্বাসের পতন খুব ঘন হয়ে আসছিল।


চলবে....