২০ মার্চ ২০২২

Ljuvv

LOVE

Ookj

LOVE

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৩৮ পর্ব




উপন্যাস


টানাপোড়েন ১৩৮
ভয়েস বিভ্রাট (৩)

মমতা রায়চৌধুরী

সরজু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছে সারা উঠোনময় নানা ধরনের পাতায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। মনটা একটু নাড়া দিয়ে উঠলো। আপন খেয়ালে কিছু পাতা তুলে নিয়ে তার গন্ধ নিতে চাইলো আর পাতার ভেতরে যেন কেমন একটা পুরনোকে ধরে থাকার আকুতি ,একটা বেদনা কাজ করতে লাগলো। গ্রামের বাড়ি প্রচুর গাছপালা আছে ।তাই উঠোনটা পাতায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। পুরনো পাতা ঝরে যায় মনের ভেতর একটা বিষন্নতা কাজ করতে থাকে কিন্তু পরক্ষণেই মনটা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে ,ঝরে যাওয়ার মধ্যে দিয়েই নতুনের আগমন ।বসন্ত এসে গেছে আবার নতুন করে নিজেকে সাজিয়ে 
তুলবে ।প্রকৃতি দিয়ে যায় সেই বার্তা। এ সব ভাবছে বসে বসে ,কতটা সময় পেরিয়ে গেছে হুশ নেই ।এমন সময় ফোন বেজে ওঠে। প্রথম ফোন রিং হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। পরক্ষণে আবার ফোন বেজে ওঠে। ফোনের কলতানে মনটাকে নিয়ে আসে বাস্তবে ।তাড়াতাড়ি উঠে ফোনটা ধরতে
 যায় । বাপ রে সাত সকালে কে ফোন করলো?
ফোনটা তুলে বলে' হ্যালো'।
' বৌদি ,মাধু বলছি।'
'হ্যাঁ বলো  কেমন আছো সবাই?'
'এমনি ঠিকঠাকই আছি। তোমরা কেমন আছো?'
'আমরা সবাই ভালই আছি ।এখন তো শুধু একটাই টেনশন বিয়ে নিয়ে।'
মাধু মনে মনে ভাবল' তাহলে কি কল্যাণের ব্যাপারটা সব জানে বৌদি?'
'কেন টেনশন করছো কেন?'
কত দায়িত্ব বলো  ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা।
একটা মাত্র দিদি। কত দায়িত্ব বলো তো?'
তা অবশ্য ঠিকই বলেছ। আমারও ননদের বিয়ে বলে কথা। একটাই ননদ কত দায়িত্ব বলো তো?'
'ঠিকঠাক পার করতে না পারলে কতজনা কত কথা বলবে ।আর রায়বাঘিনী ননদিনী আমার সে কি আর ছেড়ে কথা বলবে? দুইজনাই হো করে হেসে উঠলো।
"তা যা বলেছ মাধু।"
'তবেএকটা সমস্যা হয়ে গেল বৌদি?'
'কোন সমস্যা আমি শুনতে চাই না। ননদের বিয়ে ঠিকঠাক করে দাও। আমারই তো ভাই এর বউ হয়ে আসছে নইলে কিন্তু কথা শুনতে 
হবে তোমাকে ।আবার হো করে হেসে উঠলো।'
না গো বৌদি সিরিয়াসলি বলছি একটা সমস্যা হয়েছে।
'যা আমার ননদের কোন সমস্যা হতে 
পারে ?আমার ননদ হচ্ছে মুশকিল আসান সবকিছুই সহজ-সরলভাবে করে দেয় সমাধান।'
'তুমি কিছু শোনোনি?'
'এবার যেন সরজু একটু করে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে।'
'এতক্ষণ যা বলছে তাহলে এটা মশকরা নয় সত্যি সত্যিই কিছু হয়েছে।'
আরেকটু উদগ্রীব আর আশ্চর্য হয়ে বলল 'কি হয়েছে ঠাকুরঝি ব'লোনা?'
'মাধু দেখল বৌদির ব্যাপারে কিছু জানে না 'তারমানে কল্যান কিছুই জানায়নি।
তোমার সাথে কল্যাণের কথা হয়নি।'
'হয়েছে !তাও ৩ দিন আগে।
কাল করলাম ফোনটা রিসিভ করল না।
ওর ই কিছু কেনাকাটার ব্যাপারে কথা বলতাম।'
ও বৌদি গলার ব্যাপারে কিছু শোনো নি?
গলাটা থেকে ভালো কথা বেরোচ্ছিল না। কেমন ঘর ঘর আওয়াজ হচ্ছিল ।
তা আমি বললাম ভাই ডাক্তারটা দেখিয়ে 
নিস 'তুমি চিন্তা করো না আমি ঠিক ডাক্তার দেখিয়ে নেব?'
'কেন কি বলছ গো?'
গলাটাতেইতো সমস্যা হয়েছে। এবার তো গলার অপারেশন করতে হবে।'
সেকি?'
"আরে একথা আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে কর নি।"
'না বৌদি ওকে ভুল বুঝ না ।আমাদের কেউ জানায় নি শিখার সাথে কথা প্রসঙ্গে উঠে 
এসেছে ।তাই আমি ভাবলাম তোমাকে একবার জানাই।'
' তা বেশ করেছো ।অপারেশন করতে হবে ।এ চিন্তার ' হলো বলো? তোমাদের সামনে বিয়ে।'
"ওই জন্য তো আমার টেনশন হচ্ছে।'
'অপারেশনের ডেট ঠিক হয়ে গেছে? জানো এ ব্যাপারে কিছু?'
'না শিখা বলছিল, যে ডাক্তার বলেছে ইমিডিয়েট অপারেশন করাতে। সামনের মাসেই প্রথমদিকে করিয়ে নিতে বলেছে।'
'তাহলে তো গলার অবস্থা যাচ্ছেতাই। নাকি গো মাধু ।কী চিন্তা হচ্ছে গো ?আমার ভাইটা একা একা থাকে ওখানে।'
'বলেই কাঁদতে শুরু করল।'
' এখন কি কাঁদার সময় বলো ,ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো যেন অপারেশন সাকসেসফুল হয় আর তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।"'
'তোমরাও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো।
'সে করছি । কিন্তু বিয়েটা কি হবে বলো?
মানে?
সেটাইতো কথা বিয়ের ডেট তৈরি, মাসের লাস্ট উইকে অপারেশনের যদি শুরু হয় তাহলে বিয়েটা কিভাবে কি হবে?
লোকজন এসব নেমন্তন্ন হয়ে গেছে এখন এই মুহূর্তে ডেট চেঞ্জ করলে হয় এবার অপারেশনের ডেটটা কবে দেয় দেখা যাক বিয়ের করেই না হয় অপারেশন হবে আর কি করবে?'
মাধু একটু নিশ্চিন্ত হল।
'দাঁড়াও না ওকে আমি কেমন বকা দিই  
দেখো ।আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।'
'না বৌদি ,ওকে ভুল বুঝনা কার কাছে শোনাও সেমিনার ছিল তারপর গলাটা খুব ভোগাচ্ছে হয়তো টেনশনে আছে।'
'হ্যাঁ সে তো ঠিকই বলেছ।'
তুমি বলো মাধু আমি কি জানতে পারি না?
To know অধিকার রয়েছে কিন্তু এখনতো মান অভিমান করার সময় নয়।'
'আর একটা সমস্যা হয়েছে জানো বৌদি?'
'আরো সমস্যা?'
'শিখার কাছে শুনছিলাম টাকা পয়সা নিয়ে।
কেন? অপারেশনের জন্য  প্রচুর টাকা লাগবে  শুনছিলাম ।এই মুহূর্তে নাকি ওর টাকা-পয়সার সব ইনভেস্টে আছে ওই কলকাতায় ফ্ল্যাটে সেজন্য একটু চিন্তায় আছে।'
'তা আমরা রয়েছি কি করতে বলো মাধু?'
জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলল সরজু।
'সে তো ঠিকই।'
'ঠিক আছে । ,আমরা সবাই মিলেই সাহায্য করবো।'
'ঠিক আছে।'
'ফোন রাখছি। তাহলে বৌদি পরে কথা হবে।'
'আচ্ছা রাখো।'
 ভালো থেকো সবাই।'

ফোনটা কাটার পর সরজু ভাবলো একবার ভাইকে ফোনটা করি ।কেন এত টেনশন করছে আমরা তো রয়েছি।'
সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা করল।'
ফোন বেজে গেল।

'কিরে বাবা ফোন তুলছে না কেন ?এখনো কি ঘুমোচ্ছে পড়ে পড়ে। ভাবল একটু পরেই 
করি ।যদি ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে থাকে।'
এদিকে কল্যাণের মাথার উপর যেন করতাল বাজছে ।চোখে পর্দা নেমে এসেছে। অনেকগুলো ফোন করার বাকি আছে। দিদিকে একটা ফোন করতেই হবে। তবে এখনই করবে না আরেকটু বেলা বাড়ুক। দিদি এখন সাংসারিক নানা কাজে ব্যস্ত আছে।
বিছানার দিকে ক্লান্ত পা টেনে নিয়ে এলো কল্যাণ একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিলে ভালো হতো এখন ঘুমের ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না। বরং ঘুমিয়ে পড়লে অনেক কিছু গন্ডগোল হয়ে যাবে।
বিছানা থেকে উঠে কল্যান সরাসরি বাথরুমে গেল। সম্পুর্ন নিরাভরন হয়ে ঝর্নাটার নিচে দাঁড়িয়ে আবার নিজেকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করলো।
সাবান কেস থেকে সাবানটা নিয়ে গায়ে লাগলো একবার হাত থেকে সাবান টা পড়ে গেল।
সে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পড়েছে যদি ভালো করে প্রবাহিত জলে স্নান করা যায় তাহলে অনেক ক্লান্তির অবসান হয়।
তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী শরীরটাকে অবগাহন করাতে চায়।
কিন্তু এত অবগাহন না এত শাওয়ারের নিচে স্নান ধারাপাত বলা যেতে পারে।
সাওয়ারের জলে যখন চলছে ধারাপাত তখন মনে হচ্ছে যেন তপ্ত তাপিত দেহে রয়ে গেল স্বস্তির বার্তা।
একসময় এই জলের শব্দ ভেদ করে যেন কোথাও একটা ফোনের রিং হওয়ার আওয়াজ শুনতে পেল।
প্রথমে কল্যাণ ভাবলো 'না ,না পাশের ফ্লাটের কারোর বাজতে পারে?'
এক সকালে ফোন করবে কে?"
আবার ফোন বাজলো।
সাওয়ারের জলের আওয়াজ কমিয়ে দিয়ে কান পেতে শুনলো।
"হ্যাঁ ,ফোনের আওয়াজই বটে।'
এবার কল্যান ভিজা টাওয়াল কোমরে জড়িয়ে বেরিয়ে আসলো। এসে ফোনটা রিসিভ করল।
বলল 'হ্যালো।
'আমি দিদি বলছি।'
হ্যাঁ, দিদি .। প্রণাম নিও।
'তোর এত কিছু হয়েছে গলা নিয়ে একবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না ভাই? '
'আরে দিদি আমি ভেবেছিলাম তোমাকে ফোন করবো কিন্তু পরক্ষনেই ভেবে দেখলাম যে এটা ঠিক হবে না। সকালবেলায় তোমাকে ডিস্টার্ব করব সাহসে কুলালো না।'গলা দিয়ে ঘর, ঘর, ঘর আওয়াজ।
'এবার বল ভাই তোর কিসের টেনশন?'
'আমার টেনশন !এ কথা কে বলেছে?'
'হ্যাঁ, ভাই শোন, তোর গলাটা যে এতটা খারাপ অবস্থায় আছে একবারও জানাস নি?'
'না দিদি ,রাগ ক'রো না ।আমি তোমাকে জানাবো ভেবেছি কিন্তু রাত্রে আর পেরে উঠলাম না। রাত হয়ে গেছিল শরীর মন দুটোই ক্লান্ত ছিল ।'
'ঠিক আছে এখন একটা কথা বলত ভাই আমি কি তোর পর?'
'এভাবে কেন বলছো দিদি।'
তাহলে তোর কিছু সমস্যা হচ্ছে সেটা আমাকে জানাতি স।'
'মিথ্যা কথা বলব না দিদি, একটা সমস্যা হচ্ছে ওই জন্যই তোমাকে আমি আজকে ফোন
 করতাম ।তুমি যখন করেই ফেললে…।'
"বল সমস্যা কি?'
ডাক্তারবাবু ইমিডিয়েট গলার অপারেশন করতে বলেছে একটা কড গেছে অলরেডি।
'সমস্যা কী ডাক্তার বাবু বলেছেন যখন অপারেশন করাতে করিয়ে নে।'
কল্যান চুপ আছে।
'টাকা-পয়সার সমস্যা হচ্ছে?
তো চিন্তা করছিস কেন? আমরা তো আছি, নাকি?'
'সমস্যা হতো না দিদি ।নেয়া হলো এবার তাহলে হয় ফ্ল্যাটে বিক্রি করতে হবে এদিকে বারাসাতের ফ্ল্যাটটাও ছাড়তে পারছি না যতক্ষণ না ওখানে শিফট করছি। এবার কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।'
কোনো  ফ্ল্যাট  এখন বিক্রি করতে হবে না।
সে টাকার ব্যবস্থা আমি করে দেব ।ডাক্তার কত বলছে সেটা আমাকে জানা।
আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করিয়ে নে।'
'কিন্তু দিদি তুমি এতগুলো টাকা?'
'এটা ঠিক হবে না আমি তোমার কাছ থেকে এভাবে টাকা নিতে পারব না।'
'আরে বাবা ঠিক আছে যদি আমার কাছ থেকে না নিতে পারিস না তো কিছু গয়না  মা রেখে গেছে ন তোর বউকে দেবার জন্য এই গয়নাগুলো রেখেও তো দেয়া যেতে পারে?
কিন্তু আমি চাইছি না এই গয়নাগুলো বাধা দিতে।'
'কিন্তু দিদি আরও একটা সমস্যা?'
'আবার সমস্যা কি বিয়ের ডেট নিয়ে?'
কল্যাণ ভাবছে এতসব  নিশ্চয়ই শিখা ফোন করেছে।'
চুপ করে আছে কল্যাণ।
'বিয়ে কিন্তু ওই ডেটেই হবে বিয়ে পেছানো যাবে না' ডাক্তারের সঙ্গে সেই ভাবে কথা বল।'
"ঠিক আছে দিদি ,তুমি যখন বলছো তাই হবে।
বল তো সবারই তো লোকজন নেমন্তন্ন হয়ে গেছে আর বিয়েটা ফেলে রাখাটা ঠিক হবে না ভাই ।সে তুই বিয়ে করে যা না । অপারেশন করিয়ে আয় তাতে তো কোন অসুবিধা হবার কথা নয়।'
কল্যান চিন্তামুক্ত হলো এখন শুধু ডাক্তার সরকার মুখার্জির সঙ্গে কথা বলে চেন্নাইতে ডেট টা ঠিক করতে হবে।
'ঠিক আছে, এখন রাখছি। নিজের যত্ন নিবি ।'
'তুমিও ভালো থেকো দিদি।'
ফোনটা কেটে জানালায় কাছে দাঁড়িয়ে কল্যান ভাবতে চেষ্টা করছে  কেমন অবাক চাঁদের আলোয় যেন তার ঘরটা ভরে উঠবে , ভরে উঠবে ছোট্ট পৃথিবী।

কবি গোলাম কবিরের কবিতা




পড়ে থাকা একখণ্ড মাংসপিণ্ড
গোলাম কবির    

  মানুষকে তো ইচ্ছে করলেই 
  ছুৃঁয়ে দেয়া যায় , ইচ্ছে হলে প্রিয়ার খোঁপায় 
  গুঁজে দেয়া যায় একটি লাল গোলাপ
  কিংবা নিদেনপক্ষে একটি রক্তিম জবা।  
  ইচ্ছে করলে কখনো কখনো
  পাহাড়ের বুকে শুভ্র মেঘকে ও 
  ছুঁয়ে দেয়া যায় কিন্তু 
  হৃদয় কি ছুঁইয়ে দেয়া যায় হৃদয় না দিলে?
  অথচ কতো লোকই দেখি 
  হৃদয় না দিয়েই হৃদয় ছুৃঁয়ে দেয় 
  ভুল ভালবাসার খেলা খেলে! 
  ওরা মানুষের হৃদয় নিয়ে সাপলুডু 
  খেলা করে, কখনো আবার হৃদয় 
  ঝলসে দেয় অথচ ভালবাসলে 
  মানুষের হৃদয় হয়ে যায় 
  নিঃসীম আকাশের মতো উদার!  
  ভালবাসা পাবার জন্য মানুষ 
  অবিরাম বয়ে চলা নদীর মতো
  ভালবাসা নামের মরিচীকার পিছনে  
  ঘুরতে থাকে অবিরত! 
  অথচ মানুষের কাছে এখন
  হৃদয় নামের বস্তুটাই হারিয়ে গেছে, 
  ওটা এখন শুধুই পড়ে থাকা 
  একখণ্ড মাংসপিণ্ড যেনো!

কবি




Bgvgvggh

  
  

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা




মুখোস পরা মানুষ
শিবনাথ মণ্ডল

স্বার্থ ছাড়া  এই দুনিয়ায়
কেউতো চলেনা
স্বার্থ ছাড়া কোনো মানুষ
ভালো বাসেনা।
মিথ‍্যা কথা বলতে যাদের
মুখে বাধা আসেনা
নিজে ভাবে আমি ছাড়া
কেউতো বোঝেনা।
বন্ধু সেজে যে জন তোমায়
ভাবাই  আপনজন
সুযোগ বুঝে কেড়ে নেয়
আসল মূলধন।
কাছে এসে ভালো  বেসে
বলে মিষ্টিকথা
স্বার্থ খানা ফুড়িয়ে গেলে
নেয় কেটে মাথা।
মুখোস পরাএই দুনিয়ায়
যায়না কাউকে চেনা
আসল নকল যাবে বোঝা
পুড়ালে খাঁটি শোনা।।