পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৯, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাবেয়া পারভীন এর ছোট গল্প" স্মৃতির জানালায়" (১ম পর্ব)

ছবি
স্মৃতির জানালায় (১ম পর্ব)  রাবেয়া পারভীন                                                                       কি যে হয়েছে ঢাকা শহরের  রাস্তাঘাটের  অবস্থা  ভাবতেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যানজট লেগেই আছে। কিছুতেই যেন সঠিক সময়ে কর্মক্ষেত্রে  পৌঁছার কোন উপায় নেই।  চারপাশের আটকে পড়া না না রকম যানবাহনগুলির দিকে তাকিয়ে বিরক্তিতে  কপাল কুঁচকে উঠল মাহতাব সাহেবের।  রোদটাও ভিষন কড়া। এই সকাল সাড়ে নয়টাতেই ভিষন তেতে উঠেছে। তবু রক্ষা তিনি গাড়ীর ভিতরে বসে আছেন। রিক্সা, অটোরিকশা আর বাস যাত্রীদের  কথা চিন্তাই করা যায়না। মনে পড়ে গেল  একসময়  তিনিও এইসব রিক্সা অটোরিকশার  যাত্রী  ছিলেন। অবশ্য  তখন  ঢাকা শহরের এইসব যানজটের কোন অস্তিত্বই ছিলনা।  এক মাইলের  ভাড়া ছিল চারআনা। তখন এই চারআানা বাঁচাবার জন্য প্রায় সময়েই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেন। সে সব দিনের কথা মনে পড়লে মন খুব ভারাক্রান্ত  হয়ে উঠে,  মাঝে মাঝে হা্ঁসিও পায়!  হায়রে!  দুর্ভাগ্যের দিন,  সে সব দুর্ভাগ্যের সময় পার হয়ে  সৌভাগ্যের সিড়িতে উঠতে  কতই না সংগ্রাম  করতে হয়েছে। আজকের এই যে,  নিজের পয়সায় কেনা আরামদায়ক মোটরগাড়ীতে বসে আছেন তিনি , এ তার নিরলস সংগ্রামের।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । টানাপোড়েন (৪৭) বোঝাপড়া মমতা রায়চৌধুরী ' বাংলার  মুখ আমি  দেখিয়াছি,  তাই আর পৃথিবীর রূপ  খুঁজিতে চাই না আর'- জীবনানন্দ দাশের কবিতার এই লাইন দুটি রেখার বারবার মনে পড়ছে ।জন্মভূমি ,জন্মভিটে এ যে কি আত্মিকটান ।শুধুমাত্র যারা তাকে ছেড়ে দূরে আছে তারাই বুঝতে পারে মায়ের নাড়ির টান ।এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কাকিমা বললেন' হ্যাঁ রে তোর পঞ্চানন কাকার কথা মনে আছে ননী ?' রেখা বলল 'গাড়ি করে আসার সময় কাকার দোকান টা দেখলাম। আমি তোমাদের জামাইকে দোকানটা দেখালাম। কেমন আছে গো কাকিমা পঞ্চা কাকা?' কাকিমা কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন। রেখা আবার জিজ্ঞেস করল  'ও কাকিমা , পঞ্চাকাকা কেমন আছেন?' কাকু বললেন ' সবাই একে একে ছেড়ে চলে গেছে রে ননী। আমি অভাগাটাই পড়ে আছি। (কাঁদতে শুরু করলেন)। রেখা বলল ' এ বাবা কবে?' কাকিমা বললেন' ১ বছর হবে।' রেখা বললো  'কি হয়েছিল পঞ্চা কাকার?' কাকু বললেন 'সেদিন যে চলে যাবেন কে

রিনা দাস

ছবি
শুনুন মন্ত্রীমশাই শুনুন ঈশ্বর,প্রকৃতি ও মানুষ এক সুরে গাঁথা,বাস্তব সত্য এই তিন মিলে পরিপূর্ণ নিখিলের পরিধি ও বৃত্ত ৷ হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,খৃষ্টান নয় মানুষের পরিচয় কর্মের দ্বারাই আসে পরিচিতি কর্মেই হয় জয় ৷ আজো দাঁড়িয়ে আছেন শহিদেরা যাঁরা সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস ভগৎ,ক্ষুধি,প্রফুল্ল,সূর্য সেন বিনয়,বাদল,দিনেশ,সুভাষ ৷ শহিদের স্মৃতি হৃদয়ে তোমাদের এখনো পায়নি ঠাঁই ? রক্তলব্ধ স্বাধীনতার মূল্য তোমরা দিতে পার নাই ৷ ইতিহাস দেখছে তোমাদের ঔদ্ধত্য দেখছে তোমাদের পাশবিকতা তোমাদের পায়ের নীচে পিষ্ট আজ রক্তাক্ত অসহায় মানবিকতা ৷

রুকসানা রহমান

ছবি
পৃথিবী ঘুমায় নিরুদ্দেশে  কিছু স্বপ্ন  ভেজা শিশির সবুজ পালকে ওড়ে। কিছু লেখা খেলার মায়াজালে  বাঁধে, ভালোবাসা!  এই ছায়া,ছায়ামেঘ আবছায়া,উল্টে যাওয়া রিকশা,হঠাৎ বুকের পাঁজর ভাঙ্গা, তবু ছোটা সাতাশ নাম্বার  থেকে বত্রিশের লেক পাড়,জলসিড়ি ভেঙে  বসা। বিকেলের গেরুয়া রঙ লুটায় জলে, কিছু আশা অপেক্ষা জল জানালায় কষ্টের বলয় এঁকে বলে- কুছ ভি,না,কঁহ্যো তোলা থাক,কিছু রাত,শ্রাবণের ঐ-দ্বার পৃথিবী ঘুমায় এখন নিরুদ্দেশে।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"২৭

ছবি
চোখ রাখুন  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস   "বনফুল"  বনফুল ( ২৭ তম পর্ব )  চারদিক থেকে ক্যামেরা জুম করে আছে।ফ্লাশের আলোর ঝলকানিতে বেশ বিব্রত পলাশ।একের পরে এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে সাংবাদিকেরা। এরপর কি করবেন?কতোক্ষন পড়াশোনা নিয়ে থাকেন, আপনার এ্যাম্বিশন কি?ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে প্রায় সে ক্লান্ত।এমন সময় এসে গেলো অহনা আর সৈকত।ওরা এসে ঘরে বসতেই একজন প্রশ্ন করলো, আপনার কেউ স্পেশাল আছেন? তিনি কি খবর টা জেনে উইস করেছেন?  এবার পলাশ বেশ গম্ভীর হয়ে বললো, ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করবেন না প্লিজ। অহনা ইশারায় পলাশ কে জানালো ওরা এসে গেছে, সে আসছে।  পলাশ এবারে ইন্টারভিউ টা সংক্ষেপ করতে শুরু করলো। পরিস্কার বলে দিলো,"আমার ইচ্ছে আছে কোনো নামীদামি ভার্সিটি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করার।কিন্তু সামর্থ্য সায় দিচ্ছে না। দেখা যাক কি করা যায়।পরিবারের মানুষদের সাথে আলোচনা করতে হবে। প্লিজ, আপনারা আজকের মতো এই পর্ব এখানেই শেষ করুন। সাংবাদিকেরা আস্তে আস্তে নিজেদের ব্যাগ,ক্যামেরা গুছিয়ে নিলেন।  পলাশ টেরও পায়নি,তার ইন্টারভিউ এতোক্ষন

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"১৬

ছবি
  স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকা র পাতায় লেখক  শামীমা আহমেদ 'র   নতুন  ধারাবাহিক   উপন্যাস   "অলিখিত শর্ত" শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত                                                (পর্ব ১৬ )     শামীমা আহমেদ  রাহাত অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই শায়লা মাকে নিয়ে বেরুলো।বাসার কাছেই একটা ভালো হসপিটালে আজ মায়ের  চেকাপ করিয়ে কিছু টেস্ট করিয়ে আনবে। এমনিতে  অবশ্য  মা স্বাস্থ্যগত নিয়মকানুন খুব মেনে চলেন। স্বামী  হারানোর পর দীর্ঘদিন সন্তানদের দেখভাল করে রাখতে হয়েছে।তখন থেকে মা বুঝে গেছেন তিনি নিজে সুস্থ না থাকলে সন্তানদের কে দেখে রাখবে? তাইতো শায়লা আর রাহাতের মাকে নিয়ে খুব একটা চিন্তিত হতে হয় না।তবুও বয়স হয়েছে কখন কোন আড়ালে আবার কোন রোগ বাসা বাঁধে। শায়লা মাকে ফাস্টিং অবস্থায় নিয়ে গেলো। সুগার চেক করাবে সাথে এমারজেন্সির ডক্টরের এডভাইস মত ব্লাডের অন্যান্য দিকগুলো টেস্ট করানো হবে। সেখানে প্রেসার দেখা হলো। এই বয়সেও বেশ ভালোই কন্ট্রোল্ড প্রেসার।শায়লা মায়ের সাথে থেকে সবকিছু করিয়ে আনলো।আজ সন্ধ্যায় কিছু আর আগামীকাল সকালে সব রিপোর্ট পাওয়া  যাবে। শায়লা তখুনি বাসায় না ফিরে কাছেই একটা ভা

BVb

LOVE

VBFb

LOVE

BVb

LOVE

fgfd

LOVE