একান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক। তার নিত্যদিনের আসা যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন "।
টানাপোড়েন (৪৭)
বোঝাপড়া
মমতা রায়চৌধুরী
' বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তাই আর পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে চাই না আর'-
জীবনানন্দ দাশের কবিতার এই লাইন দুটি রেখার বারবার মনে পড়ছে ।জন্মভূমি ,জন্মভিটে এ যে কি আত্মিকটান ।শুধুমাত্র যারা তাকে ছেড়ে দূরে আছে তারাই বুঝতে পারে মায়ের নাড়ির টান ।এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কাকিমা বললেন' হ্যাঁ রে তোর পঞ্চানন কাকার কথা মনে আছে ননী ?'
রেখা বলল 'গাড়ি করে আসার সময় কাকার দোকান টা দেখলাম। আমি তোমাদের জামাইকে দোকানটা দেখালাম। কেমন আছে গো কাকিমা পঞ্চা কাকা?'
কাকিমা কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন।
রেখা আবার জিজ্ঞেস করল 'ও কাকিমা , পঞ্চাকাকা কেমন আছেন?'
কাকু বললেন ' সবাই একে একে ছেড়ে চলে গেছে রে ননী। আমি অভাগাটাই পড়ে আছি। (কাঁদতে শুরু করলেন)।
রেখা বলল ' এ বাবা কবে?'
কাকিমা বললেন' ১ বছর হবে।'
রেখা বললো 'কি হয়েছিল পঞ্চা কাকার?'
কাকু বললেন 'সেদিন যে চলে যাবেন কে জান তো ননী ?আমরা দুজনে মিলে গল্প করলাম, ঠাকুরদালানে বসলাম ।তারপর যে যার বাড়ি চলে এলাম ।কিছুক্ষণ পরে এসে পঞ্চার নাতনিটা খবর দিল। মানা যায় কি বল?'
রেখা বললো 'এভাবে হঠাৎ চলে গেলেন মানুষটা?'
কাকিমা বললেন'হ্যাঁ রে।'
রেখা বলল 'সব কি গ্রামের প্রাণপুরুষ একে চলে যাচ্ছেন?'
কাকু বললেন'আগের মত গ্রাম আর নেই রে? হিংসা,দলাদলি রাজনীতি... গ্রাস করেছে।'
রেখা বলল 'আর বুলু জেঠিমা?'
কাকিমা কাঁদতে শুরু করলেন।
রেখা বলল 'ও কাকিমা কাঁদছো কেন? বলো না বুলু জেঠিমা?'
কাকিমা বললেন' আছে ।না মরে বেঁচে?'
রেখা বললো' কেনো এ কথা বলছো?'
কাকিমা বললেন 'পাগল হয়ে গেছে।'
রেখা বলল ,ও বাবা ,কি করে?'
কাকিমা বললেন 'সবার ই তো সন্তান রয়েছে ,সব অমূল্য সন্তান।'
রেখা বলল 'নীলুদা ,নীলুদা এখানে থাকে না?'
কাকিমা বলল 'না সে তো স্কলারশিপ পাওয়া ছেলে ।সে তো বিদেশে চলে গেছে আর ছোট যে থাকে ।সে তো বাড়িতে বউকে নিয়ে নিত্য অশান্তি ।বুলু জেঠিমা কত সৌখিন মানুষ ছিলেন তার হাল যদি দেখবি ,দুই চোখ ফেটে জল বেরোবে ননী ।'
রেখা বলল 'কাকিমা ,জেঠিমা কে দেখতে পাবো?'
কাকিমা বললেন 'আমি আছি তো আমার সঙ্গে যাবি দেখে আসবি।'
রেখা বললো 'ঠিক আছে।'
মনোজ বললো 'সবই তো ঠিক আছে ।তুমি বাড়ি ফিরবে না?'
রেখা বলল 'এই তো মাত্র আসলাম বাবা, এরইমধ্যে বাড়ি বাড়ি করছো?'
মনোজ অবাক হয়ে বলল-'এই আসলে ?ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখো কটা বাজে? বাইরে এসো তাহলে বুঝতে পারবে সূর্য অস্তচলগামী।'
রেখা দেখল ঘড়িতে সাড়ে পাঁচটা বাজে।
কাকিমাকে বলল'আজকে আর বুলু জেঠিমাকে দেখতে যাওয়া হবে না কাকিমা ,বাড়ি ফিরতে হবে?'
কাকু কাকিমা দুজনেই অবাক হয়ে বললেন' সে কিরে থাকবি না ননী?'
রেখা বললো 'কি করে থাকবো কাকিমা ?বাড়িতে আমার তো বাচ্চা আছে?'
কাকু বললেন 'বাচ্চা আছে ?তোর আবার বেবি কবে হলো?'
কাকিমা বললেন 'কি রে আমাদেরকে খবরটাও দেবার প্রয়োজন মনে করিস ননী'?
রেখার মনোজ দুজনেই হো হো করে হেসে উঠলো।
রেখা বলল 'কাকিমা -কাকু, তোমরা পারোও বটে ।তোমরা ছাড়া আমার কে আছে বলো? এত বড় ভালো খবরটা তোমরা জানতে পারতে না?'
কাকিমা বললেন 'তাহলে ,তাহলে কার বাচ্চা?'
মনোজ বলল 'কাকিমা আমাদের একটি স্ট্রীট ডগ আছে। তার নাম হচ্ছে মিলি, আর তার বেবি হয়েছে চারটে। সেগুলোকেই ও লালন পালন করছে।'
কাকু বললেন' দারুন ব্যাপার তো ননী?
'তাহলে তোর নাতি নাতনীদের কি নাম রেখেছিস?'
রেখা উৎসাহের সঙ্গে বলল'আমার একটি নাতনি আর তিনটি নাতি।'
কাকিমা বললেন 'বাহ ,বাহ।'
রেখা বলল ' ওদের নাম পাইলট, কর্নেল ,ক্যাপ্টেন আর মেয়েটার নাম হচ্ছে তুলি।'
কাকু বললেন 'বাহ খুব সুন্দর নাম রেখেছিস তো ননী।'
রেখা বলল ' জানো কাকু -কাকিমা। ওরা এত ভালো, কি বলবো তোমায় ।
আর আমার মিলিটাও যেন একটা বড় বেবি?'
মনোজ বলল 'কাকিমা ওদের গল্প যদি রেখা শুরু করে,ও শেষ হবে না আজকে। গুছিয়ে নাও তাড়াতাড়ি।ওঠো। ফিরতে হবে তো?'
কাকিমা বললেন 'এটা কি বলছে বাবা ।এতদিন পরে এসেছো বাড়িতে ।থাকবে না বাড়ির মেয়ে?'
মনোজ বলল 'ও কাকিমা আমার কোন ব্যাপার নয় ।তাহলে ও যদি থাকে থাকুক না ।আমাকে তো ফিরতেই হবে।'
কাকিমা বললেন' তাই কখোনো হয় বাবা। একসাথে এসেছো ।তুমি থাকবে না সেটা কি ভালো দেখাবে?'
মনোজ বলল ' না দেখানোর কি আছে কাকিমা ?আমার তো কাজ আছে ।অফিসে আছে ।তারপরেই বাচ্চাগুলো আছে ।ওদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে তো ?দুজন একসঙ্গে থাকা যাবে না?'
কাকিমা রেখার দিকে তাকিয়ে বললেন ' কি বলছে জামাই?'
রেখা বলল 'ও তো ঠিকই বলছে কাকিমা?'
কাকিমা বললেন' তাহলে একটা দিনের জন্য থাকবি না ননী?'
রেখা বলল 'আমারও তো স্কুল আছে কাকিমা। সে নয় স্কুলটা আমি ম্যানেজ করে নেব কিন্তু তোমাদের জামাইয়ের অফিস আছে। ওর খাবার তৈরি করা তারপর সেই বাচ্চাগুলো রয়েছে। ঝামেলা আছে?'
কাকিমা বললেন' একান্তই যদি জামাই বাবাজি থাকতে না পারে, তাহলে তুই একটা রাত থেকে যা না মা? আমাদের ভালো লাগবে।'
রেখা বললো , থেকে যেতে পারলে আমারও ভালো লাগতো ।যতই হোক এতদিন পরে এসেছি। নিজের গ্রামটাও একটু ঘুরে দেখতে পারতাম।'
মনোজ বলল'আজ তো সন্ধ্যা হয়ে গেল ।তুমি আর আজকে গ্রাম ঘুরে দেখতে পারবে না ।তোমাকে তাহলে দুদিন থাকতে হবে।'
কাকিমা উৎসাহের সঙ্গে বললেন 'তাহলে থেকেই যা দুদিন।'
এরমধ্যে ফোনের রিং হয়ে যাচ্ছে। কেউ ফোন ই তুলছে না।
মনোজ শেষে বিরক্ত হয়ে বলল 'রেখা' তোমার ফোন বেজে যাচ্ছে।'
রেখা বলল 'আমার ফোন?'
মনোজ বলল ' তোমার নয় তো,কি আমার ফোন ?তোমার ব্যাগে?'
রেখা বললো 'এই যা মনে হচ্ছে রিম্পাদির ফোন জানো তো, পৌঁছে বলেছিল ফোন করতে ।ছি ছি ফোন করতে ভুলে গেছি।'
রেখা ছুটে গিয়ে ব্যাগ খুলে ফোনটা ধরতে গেল।
এরমধ্যে ফোনটা কেটে গেল।
রেখা ফোনটা খুলে দেখছে পাঁচবার মিস কল হয়েছে।
এবং এই পাঁচটি মিস কল ই রিম্পাদি করেছে।
রেখা নিজেই ফোন করলো 'ফোনে রিং হতে লাগলো 'যতবার দেখি মা গো তোমায় আমি ।সাধ মেটেনা...।'
এবার ফোনটা রিসিভ করল অপরপ্রান্ত থেকে বলল 'হ্যালো'।.
রেখা বলল ' রিম্পাদি?'
ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলল ' না। মা তো একটু কাজ করছে।'
রেখা বলল 'তোতাই?'
তোতাই বলল 'হ্যাঁ ।কে ?রেখা মাসীমনি?'
রেখা বলল 'হ্যাঁ ।কেমন আছো সোনা?'
তোতাই বলল ' ভালো আছি মাসিমনি ।তোমরা ভালো আছ সবাই?'
রেখা বলল 'হ্যাঁ ।ভালো আছি। তোমার লেখাপড়া কেমন চলছে?'
তোতাই বললো 'ভালোই চলছে। কিন্তু স্কুল খোলা নেই বলে বন্ধুদের খুব মিস করছি মাসি মনি।'
রেখা বলল ' হ্যাঁ ।সে তো ঠিকই ।এই তো ১৬ নভেম্বর থেকে আবার স্কুল খুলে যাবে।'
তোতাই বলল 'হ্যাঁ ।সেই আনন্দেই আছি তো। কিন্তু?'
রেখা বললো 'কিন্তু কি মা?'
তোতাই বলল 'স্কুল তো সাড়ে নটা থেকে ।কি করে যাব? টিউশন পড়ে আসতে আসতেই তো নটা বেজে যাবে।'
রেখা বলল 'হ্যাঁ ।সেটা একটা সমস্যা জানিস তো? তবে তোদের একটা প্লাস পয়েন্ট আছে ,তোদের তো জোরাজুরি নেই। তোদের যেদিন মনে হবে যাবি?'
এর মধ্যেই দেখি রিম্পাদির গলা পাওয়া যাচ্ছে ।'এতক্ষণ কার সঙ্গে কথা বলছিস তুতু?
বন্ধুদের সঙ্গে এত কি কথা রে?'
তোতাই রেগে গিয়ে বলল 'তুমি তো শুধু আমাকে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতেই দেখো। এটা বন্ধুদের ফোন ?এটা তো রেখা মাসির ফোন।'
রিম্পাদি আঁচলে হাত মুছতে মুছতে এসে বলল 'তুই এদিকে আয় বাবু ,জলটা একটু ভর একোয়া গার্ড থেকে। আমি ফোনটা ধরছি।'
তোতাই বলল ' ওকে।'
রিম্পাদি বলল 'হ্যাঁ রে রেখা তোকে আমি ফোন করতে বলেছিলাম না?'
রেখা বলল 'সরি, সরি রিম্পাদি একদম ভুলে গেছি,।'
রিম্পাদি বলল "না রে এটা তো হওয়ারই কথা ।এতদিন পর গেছিস ।আমি এমনি তোর সঙ্গে একটু মজা করলাম।'
রেখা বলল 'আমরা ভালভাবেই এসে পৌঁছেছি।'
তোতাই বলল 'মা সবকটা বোতল ভরা হয়ে গেছে এবার?'
রিম্পাদি বলল 'রেখা কথাটা শুনতে পেলি?ভরা হয়ে গেছে। এবার কি করবে ?ভরা হয়ে গেছে এবার তুমি রুমে চলে যাও । পড়তে বসো।'
তোতাই বলল 'ok'
রেখা বলল 'না গো রিম্পাদি ।আমাদের তোতাই খুব ভালো মেয়ে ।কত কথা শোনে বলো তো? না হলে বয়সন্ধিকালের যে সমস্ত সমস্যা হয় ছেলেমেয়েদের নিয়ে ,ওর ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকম হয় নি? কি বলো?'
রিম্পাদি বলল 'না রে ।ওকে বোঝালে বোঝে ।এখনো তো সে রকম সমস্যায় পড়তে হয় নি ।তবে মাঝে মাঝে একটু জেদ লক্ষ্য করা যায়।'
রেখা বলল 'যাই হোক ওকে বুঝিয়ে ব'লো আর ওকেও বোঝার চেষ্টা ক'রো। বোঝাপড়াটা যেন ঠিক থাকে।""
রিম্পাদি বলল 'হ্যাঁ ,সে তো ঠিকই।'
ওদিক থেকে মনোজ চেঁচাচ্ছে ', যাবে তো না কি?'
রিম্পাদি বলল 'হ্যাঁ রে মনোজের গলা পাওয়া যাচ্ছে না ? চেঁচাচ্ছে কেন?'
রেখা বলল 'হ্যাঁ গো রিম্পা দি ।এদিকে তো আমাদের ফিরতে হবে ।অন্যদিকে কাকিমা -কাকু জোর করছে থেকে যেতে ।কি যে করি ।বুঝতে পারছি না।'
রিম্পাদি বলল 'ঠিক আছে। যদি মনে হয় তোর কোন অসুবিধা না থাকে বাড়িতে, সেই বুঝেশুনে কাজ কর না ।অনেকদিন পর গেছিস কাকু-কাকিমার ও ভালো লাগবে আর তোর ও ভালো লাগবে।'
রেখা বলল 'হ্যাঁ, সে তো বুঝতে পারছি কিন্তু জানো তো আমার বাড়িতে কচি কচি বাচ্চা রয়েছে কি হবে বলো তো ?ওর অফিস আছে?'
রিম্পাদি বলল 'সে তো বুঝতে পারছি ।বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই ,ওদের খাবার করার?'
রেখা বলল 'আগে পুটু কাজ করতো মেয়েটি খুব ভাল ছিল। ওকে বললে এসব করে দিতো। এখন যে মেয়েটা আছে না ,কি বলবো তোমাকে ?একেবারে ধরিবাজ মেয়ে।'
রিম্পাদি বলল 'তাহলে কি করবি?'
রেখা বলল 'দেখি মনোজের সাথে কথা বলে। পাশের বাড়ি চৈতির মা আছে । বললে হয়তো করে দেবে কিন্তু কেমন লাগে?'
রিম্পাদি বলল 'তুই তো রোজ রোজ বলবি না ।নিশ্চয়ই অসুবিধা আছে বলে বলছিস। পাশাপাশি থাকেন এটুকু না করার কিছু নেই ।একবার বলে দেখ।'
রেখা বলল 'হ্যাঁ দেখি ওর সাথে কথা বলে। ঠিক আছে ।ভালো থেকো রিম্পা দি।'
রিম্পাদি বলল 'হ্যাঁ তুইও ভালো যদি থাকিস। যদি থাকিস ,তাহলে পরে আমাকে জানাস।ভালোভাবে দিনগুলোকে উপভোগ করিস কেমন?'
রেখা বলল 'ok'
মনোজ বলল 'হলো তোমাদের কথা ।ফোন ধরলে তো আর ছাড়তে চাও না?'
রেখা বলল ' রাগ করছ কেন?'
মনোজ বললো ' রাগ করবো না। ঘড়িতে বাজে কটা দেখো ,ফিরতে হবে তো?'
রেখা বলল 'আমি যদি আজকে থেকে যাই।তাহলে কি কোন অসুবিধা হবে ?মানে মিলিদের খাবার দাবারের ব্যাবস্থা?'
মনোজ বলল ' না ,অসুবিধে তো হবে একটু ।সেটা ম্যানেজ করে নেয়া যাবে।'
এরইমধ্যে সঞ্জু এসে তাড়া দিল ' দাদা একটু তাড়াতাড়ি করুন।'
রেখা বললো 'তাহলে চৈতির মাকে একটু ফোন করে বলে দেবো ?কালকে রান্নার ব্যবস্থাটা করে দিতে?'
মনোজ বললো 'থাক কালকে বলতে হবে না ।দরকার হলে আমি রান্না করে রেখে দেব । আর কাকে বলব বলো তো ?লাগলে দেবে গৌরী সেন...?'
রেখা হেসে লুটোপুটি খেলো।
মনোজ বলল 'কাকু-কাকিমা ,আসছি ।আপনাদের মেয়ে রইল।'
কাকিমা বলেন 'হ্যাঁ ,যখন থাকবেই না বাবা।আর কি বলি ।সাবধানে এসো।'
কাকু ঘর থেকে বলেন'পৌঁছে ফোন করে দিও বাবা?'
মনোজ কাকু -কাকিমাকে প্রণাম করে করতে করতে বলল 'হ্যাঁ ফোন করে দেবো।'
কাকিমা কাকু খুব খুশি হলেন আর বললেন ' ননী আজকে থেকে গেল। আমাদের যে কত ভালো লাগছে বাবা ।তোমাদের মধ্যে এই সুন্দর বোঝাপড়াটা থাকুক ।ভালো থেকো তোমরা। আমরা আশীর্বাদ করছি।'